মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিঃ বারাক ওবামা আয়োজিত নৈশভোজের অনুষ্ঠানে পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে হুমকির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
পরমাণু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসাও করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগকে বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বিশেষ অবদান বলা চলে।
ব্রাসেল্স-এ সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি কতটা বাস্তব ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ব্রাসেল্স-এর এই ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের তিনটি বিশেষ দিক বা বৈশিষ্ট্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, সন্ত্রাসবাদীরা এখন হিংসার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দ্বিতীয়ত, কোন সন্ত্রাসবাদী এখন আর কোন গোপন ডেরায় বাস করে না। তারা এখন শহরে স্মার্ট ফোন ও কম্পিউটার নিয়ে ঘোরাফেরা করে। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পরমাণু অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে কোন কোন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। সন্ত্রাসবাদীদের ভূমিকা শুধু কাজ হাসিল করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটেছে এবং সন্ত্রাসবাদীরাএখন একুশ শতকের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাদের নেটওয়ার্ক এখন সারা বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এর মোকাবিলায় আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে এখনও সীমাবদ্ধ রেখেছি দেশ তথা জাতীয় পর্যায়েই। সমগ্র বিশ্বই এখন সন্ত্রাসবাদীদের নাগালে। কিন্তু বিভিন্ন জাতি এখনওনিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারেনি।
শ্রী মোদী বলেন, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদীদের আটক ও সাজার ব্যবস্থা যদি না করা যায়, তাহলে পরমাণু সন্ত্রাসের ঘটনা কোনদিনই হ্রাস পাবে না। তাই, বিশ্বের সবক’টি জাতির উচিত সন্ত্রাসকে অন্যের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকে দূরে থাকা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন যে কোন দেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা উচিত, অন্যদিকে আবার সবক’টি রাষ্ট্রকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার নীতি।
PG/SKD/DM/S
PM @narendramodi and @POTUS in discussion at the NSS Dinner at the White House. pic.twitter.com/bbbD0fBqcC
— PMO India (@PMOIndia) March 31, 2016
Interacted with world leaders at the NSS dinner at the White House. Shared my thoughts on the threat of nuclear terrorism.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 1, 2016