নয়াদিল্লি, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সারা দেশের দৃষ্টি আজ এই ঐতিহাসিক কর্মসূচির দিকে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রায় সকল দেশবাসীই। যাঁরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকছেন, তাঁদের সকলকেই আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমার সঙ্গে এখানে মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী হরদীপ পুরীজী, শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজী, শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালজী, শ্রীমতী মীনাক্ষী লেখিজী এবং শ্রী কৌশল কিশোরজী। দেশের বহু বিশিষ্টজনও আজ এখানে উপস্থিত।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশ আজ এক নতুন শক্তি ও অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। অতীতকে পেছনে ফেলে আগত কালকে আমরা এখন রঙীন করে তুলতে চাইছি। যে নতুন যুগের ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা হ’ল – এক নতুন ভারত গড়ে তোলার আস্থার ছবি। কিংসওয়ে অর্থাৎ রাজপথ, যা ছিল দাসত্ব-শৃঙ্খলের প্রতীক, তা আজ থেকে শুধু ইতিহাস হয়েই থাকবে। কর্তব্য পথ নামকরণের মধ্য দিয়ে আজ থেকে এক নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি হ’ল। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে দাসত্বের আরেকটি চিহ্ন থেকে দেশবাসী মুক্ত হলেন। এজন্য আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আমাদের জাতীয় বীরত্বের প্রতীক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর এক বিশাল মূর্তি আজ স্থাপিত হ’ল ইন্ডিয়া গেটের কাছে। পরাধীনতা কালে এখানে মূর্তি ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের এক প্রতিনিধির। ঐ একই স্থানে নেতাজীর মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে দেশ আজ এক আধুনিক ও শক্তিশালী ভারত প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে। এই সুযোগ নিঃসন্দেহে এক নজির বিহীন ঐতিহাসিক ঘটনা। এই দিনটির সাক্ষী হতে পেরে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান বলেই মনে করছি।
বন্ধুগণ,
সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব, যাঁকে কোনও পদ বা সম্পদের নিক্তিতে বিচার করা যায় না। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল এতটাই যে, সমগ্র বিশ্বই তাঁকে মেনে নিয়েছিল একজন বিশ্ব নেতা রূপে। তিনি ছিলেন সাহসিকতা ও আত্মসম্ভ্রমের এক প্রতীক বিশেষ। নিজস্ব মত ও চিন্তাধারার স্বাতন্ত্রে তিনি ছিলেন বলীয়ান। নেতৃত্বদানের মতো ক্ষমতার অধিকারীও ছিলেন তিনি। নেতাজী সুভাষ বলতেন, অতীতের গৌরবময় ইতিহাসকে ভারত কখনই ভুলে যেতে পারে না। কারণ, ভারত ইতিহাসের গরিমা নিহিত রয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসীর মধ্যেই, তার ঐতিহ্যের পরম্পরায়। ভারতীয় ঐতিহ্যে গর্ববোধ করতেন নেতাজী সুভাষ। যত শীঘ্র সম্ভব এক আধুনিক ভারত গড়ে তোলার স্বপ্নও দেখতেন তিনি। স্বাধীনোত্তরকালে দেশ যদি তাঁর পথ অনুসরণ করে চলতো, তবে আমরা এক নতুন উচ্চতায় আজ উন্নীত হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার পর তিনি হলেন বিস্মৃত। তাঁর চিন্তাধারা ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত প্রতীকগুলিকেও অবজ্ঞা করা হ’ল। সুভাষ বাবুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতায় তাঁর বাসভবন দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। নেতাজী্র স্মৃতিজড়িত সেই বাড়িটিতে এক অনন্ত শক্তি ও উৎসাহ আমি অনুভব করেছিলাম। নেতাজীর শক্তি দেশকে চালিত করুক – এটাই আজ ভারতের ইচ্ছা ও বাসনা। কর্তব্য পথ – এ নেতাজীর মূর্তি তারই এক মাধ্যম হতে চলেছে। দেশের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সুভাষ বাবুর প্রভাব আমরা অনুভব করবো এই মূর্তির অনুপ্রেরণা থেকে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
গত আট বছরে আমরা এমন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যার মধ্যে নেতাজীর স্বপ্ন ও আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। নেতাজী সুভাষ ছিলেন অবিভক্ত ভারতের প্রথম দেশনায়ক, যিনি ১৯৪৭ সালের আগেই আন্দামানকে মুক্ত করে সেখানে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেই সময় তিনি কল্পনা করেছিলেন যে, একদিন লালকেল্লাতে পতাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটবে এরকমভাবেই। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে লালকেল্লায় ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলনের সুযোগ যখন আমি পেয়েছিলাম, তখন আমার মনেও ঠিক একই অনুভূতি কাজ করেছিল। আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় নেতাজী এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের স্মৃতিবিজড়িত একটি সংগ্রহশালাও গড়ে তোলা হয়েছে লালকেল্লার মধ্যে।
বন্ধুগণ,
আজাদ হিন্দ ফৌজ – এর সেনানীরা ২০১৯ সালে যখন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেছিল, সেই দিনটির কথা আমি কখনই বিস্মৃত হতে পারবো না। কারণ, বহু দশক ধরে তাঁরা অপেক্ষা করেছিলেন এই বিশেষ সম্মানটির জন্য। আন্দামানে যেখানে নেতাজী ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, সেই স্থানটি দর্শন করে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সুযোগ আমার হয়েছিল।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আন্দামানের যে দ্বীপগুলিকে নেতাজী সর্বপ্রথম মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন, সেগুলিকে দাসত্বের চিহ্ন বহন করতে হয়েছিল এই সেদিন পর্যন্ত। স্বাধীন ভারতেও ঐ দ্বীপগুলি ছিল ব্রিটিশ শাসকদের নামাঙ্কিত। নেতাজী সুভাষের পরে ঐ দ্বীপগুলির ভারতীয় নাম করণ করে এবং ভারতীয় পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করে দাসত্বের সেই চিহ্নগুলিকে আমরা মুছে দিতে পেরেছি।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকালে ‘পঞ্চ প্রাণ’ অর্থাৎ ৫টি সংকল্পের কথা স্মরণ করেছেন দেশবাসী। এই ৫টি সংকল্পের মধ্যে নিহিত রয়েছে উন্নয়ন ও প্রেরণার ৫টি লক্ষ্য পূরণের সংকল্প। এর মধ্যে রয়েছে – দাসত্বের মানসিকতা পরিহার করে আমাদের ঐতিহ্যের ধারায় গর্বিত হয়ে ওঠার আহ্বান। আজ আমাদের রয়েছে নিজস্ব পথ ও প্রতীক চিহ্ন। নতুন মাত্রা ও আদর্শের অধিকারী আমাদের দেশ। আমাদের দেশের রয়েছে নিজস্ব লক্ষ্য ও সংকল্প। বন্ধুগণ, আজ থেকে রাজপথ এই নামটি হ’ল অবলুপ্ত। আজ থেকে এটা পরিচিত হ’ল কর্তব্য পথ রূপে। পঞ্চম জর্জের মূর্তি অপসারিত করে সেখানে স্থাপিত হ’ল নেতাজীর মূর্তি। আজকের এই ঘটনার শেষ বা শুরু বলে কিছু নেই। স্বাধীনতার লক্ষ্য পূরণ পর্যন্ত আমাদের সংকল্পের এই যাত্রাপথ নিরন্তর থাকবে। দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বাসভবন যেখানে অবস্থিত ছিল, সেই পথের নাম রেড কোর্স রোড থেকে পরিবর্তিত হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ – এ। আমাদের সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনে ভারতীয় বাদ্য যন্ত্রের ঐকতানই এখন অনুরণিত হয়। বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে আমাদের দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় আনন্দে উদ্বেলিত হয় প্রত্যেক ভারতবাসীর হৃদয়। অতি সাম্প্রতিককালে দাসত্বের প্রতীক বিসর্জন দিয়ে ভারতীয় নৌ-বাহিনী সেজে উঠেছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতীক চিহ্নে। জাতীয় যুদ্ধ স্মারক গঠনের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর বহুদিনের ইচ্ছাও আজ পূরণ হয়েছে।
বন্ধুগণ,
এই পরিবর্তন তথা রূপান্তর শুধুমাত্র প্রতীক চিহ্ন পরিবর্তনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেছে দেশের নীতিগত প্রচেষ্টার মধ্যেও। ব্রিটিশ যুগ থেকে চলে আসা শত শত আইনের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। বহু দশক ধরেই ব্রিটিশ সংসদে ভারতীয় বাজেট পেশের যে দিন ও সময়কে অনুসরণ করা হচ্ছিল, তারও পরিবর্তন ঘটেছে। জাতীয় শিক্ষা নীতির মধ্য দিয়ে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে আজকের তরুণ ও যুবসমাজকে। এক কথায় বলতে গেলে দেশের চিন্তাদর্শ ও আচরণবিধি দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তিলাভ করেছে। এই মুক্তির মধ্য দিয়েই এক উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যকে আমরা পূরণ করতে পারবো।
বন্ধুগণ,
ভারতের মহত্ত্ব ও উদারতা সম্পর্কে মহাকবি ভারতীয়ার একটি চমৎকার কবিতা লিখেছিলেন তামিল ভাষায়। কবিতাটির নাম ছিল ‘পারুক্কুল্যে নাল্লা নাড়ু – ইঙ্গাল, ভারতনাদ – আ’। মহাকবি ভারতীয়ার এই কাব্য গর্বিত করে তোলে প্রত্যেক ভারতীয়কেই। কবিতার সারমর্ম হ’ল এই – প্রজ্ঞা, আধ্যাত্মিকতা, সম্ভ্রম, খাদ্য দান, সঙ্গীত এবং শাশ্বত কাব্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আমাদের ভারত হ’ল বিশ্ব সেরা। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর শৌর্য বীরত্ব, অন্যের প্রতি দয়া ও সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং জীবনের সত্যানুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্বে আমাদের দেশ ভারতবর্ষই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন। তামিল কবি ভারতীয়ার এই কবিতার প্রতিটি শব্দ ও প্রতিটি আবেগকে আপনারা উপলব্ধি করুন।
বন্ধুগণ,
পরাধীনতাকালে সমগ্র বিশ্বের কাছে যুদ্ধ আহ্বানের বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল আমাদের দেশ। এই বার্তা ছিল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। ভারতীয়ার তাঁর কবিতায় যে ভারতের বর্ণনা দিয়ে গেছেন, ঠিক সেই রকম দেশই গড়ে তুলবো আমরা। এই কর্তব্য পথ ধরেই আমরা পৌঁছে যাব আমাদের সেই বিশেষ লক্ষ্যে।
বন্ধুগণ,
কর্তব্য পথ শুধু ইঁট পাথরের তৈরি একটি পথ মাত্র নয়। ভারতের নাটকীয় অতীত এবং সর্বকালের আদর্শের এক মূর্ত প্রতীক হ’ল এই কর্তব্য পথ। নেতাজীর মূর্তি এবং জাতীয় যুদ্ধ স্মারক দেশবাসীকে শুধু অনুপ্রাণিতই করবে না, সেই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে জাগিয়ে তুলবে কর্তব্য বোধও। তাই, এখান থেকেই সরকার সেই কাজ শুরু করতে সংকল্পবদ্ধ। দেশবাসীর সেবা করার জন্য যাঁদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এই রাজপথ নামটির মাধ্যমে তাঁরা যে জনসাধারণের সেবক – এই কথাটি মনে রাখার কোনও অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়নি। এটি যদি রাজপথই হয়, তা হলে জনকল্যাণের যাত্রাপথ হয়ে উঠবে কোনটি! রাজপথ ছিল ব্রিটিশ শাসকদের পথ, যাঁরা ভারতবাসীকে তাঁদের অনুগত দাস বলেই মনে করতো। তাই, রাজপথ – এই নামটির মধ্যেই ছিল দাসত্বের এক চিহ্ন। কিন্তু বর্তমানে স্থাপত্যের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটেছে। এখন থেকে দেশের সাংসদ, মন্ত্রী এবং আধিকারিকরা যখন এই পথ দিয়ে যাত্রা করবেন, তখন এই কর্তব্য পথ নামটির মধ্যেই তাঁরা খুঁজে পাবেন দেশের প্রতি সেবা ও কর্তব্যের এক নতুন উদ্যম ও অনুপ্রেরণা। জাতীয় যুদ্ধ স্মারক থেকে কর্তব্য পথ, রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি তাঁদের মধ্যে প্রতি মুহূর্তে এই অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে যে, ‘দেশই সর্বাগ্রে’।
বন্ধুগণ,
আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের যে সমস্ত কর্মীরা কর্তব্য পথ গড়ে তোলার পাশাপাশি, তাঁদের শ্রমের মধ্য দিয়ে কর্তব্য পথেরও দিশা-নির্দেশ করেছেন, তাঁদের জানাই আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা। সেই সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগমাত্র আজ আমি পেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় আমার এই উপলব্ধি আমি লাভ করেছি যে, দরিদ্র, শ্রমিক কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভারত সম্পর্কে এক বিশেষ স্বপ্ন লুকিয়ে রয়েছে। গলদঘর্ম হয়ে যে কাজ তাঁরা করেছেন, তার মধ্য দিয়েই স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে দেশের এই নজির বিহীন উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে যাঁরা উৎসাহ যুগিয়ে এসেছেন, সেই সমস্ত দরিদ্র শ্রমিক কর্মীদের জানাই আমার অভিনন্দন। আমার এই সমস্ত ভাই-বোনদের আমি একথাও বলেছি যে, আগামী বছর ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠানে তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজন হবেন আমার বিশেষ অতিথি। দেশের শ্রমিক ও মেহনতি মানুষদের জন্য সম্ভ্রমের যে সংস্কৃতির আজ জন্ম হ’ল, তাতে আমি খুশি। নতুন ভারতে একটি ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ঘটবে এই ঘটনার মধ্য দিয়েই। বন্ধুগণ, নীতিগত প্রচেষ্টায় সংবেদনশীলতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্বটিকেও হয়ে উঠতে হবে সমানভাবে সংবেদনশীল। দেশ তাই আজ তার শ্রমশক্তির জন্য গর্বিত। ‘শ্রমেব জয়তে’ হয়ে উঠুক বর্তমান ভারতের এক মন্ত্র বিশেষ। কাশীতে বিশ্বনাথ ধাম উদ্বোধনকালে কর্মরত মানুষদের সম্মানে পুষ্পবর্ষণ করা হয়। প্রয়াগরাজে পবিত্র কুম্ভ মেলার সময় কৃতজ্ঞতা জানানো হয় শৌচ কর্মীদের সম্মানে। মাত্র কয়েকদিন আগেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস বিক্রান্ত – এর সূচনা হ’ল। সেটি গড়ে তুলতে যে শ্রমিক ভাইরা দিনরাত কাজ করেছিলেন, তাঁদের ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ আমার ঘটেছিল। আমি তাঁদের সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের শ্রমশক্তির জন্য সম্ভ্রমের এই ঐতিহ্য ভারতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উপলক্ষে অনুসরণ করা হচ্ছে। নতুন সংসদ ভবন গড়ে তোলার কাজে নিযুক্ত শ্রমিক কর্মীদের জন্য একটি বিশেষ গ্যালারি তৈরি করা হবে। যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে যে, দেশের সংবিধান যেমন একদিকে গণতন্ত্রের ভিত্তি, অন্যদিকে শ্রমিক কর্মীদের অবদানের চিহ্নও রয়েছে সেখানে। এইভাবেই এই কর্তব্য পথ অনুপ্রাণিত করবে প্রত্যেক দেশবাসীকে। কঠোর পরিশ্রমের সাফল্যকে নিশ্চিত করবে এই বিশেষ অনুপ্রেরণা।
বন্ধুগণ,
এই অমৃতকালের মধ্যে আমাদের পন্থা-পদ্ধতি, সহায়সম্পদ, পরিকাঠামো তথা আচরণ বিধির মধ্যে আধুনিকতাকে ফুটিয়ে তোলাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। বন্ধুগণ, পরিকাঠামো বলতে যে ছবিটা প্রথমেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে, তা হ’ল সড়ক বা ফ্লাইওভার। কিন্তু, ভারতকে আধুনিক করে গড়ে তোলার যাত্রাপথে পরিকাঠামো সম্প্রসারণের বিষয়টিতে রয়েছে এক বিশেষ মাত্রা। বর্তমানে সামাজিক, ডিজিটাল ও পরিবহণ সংক্রান্ত পরিকাঠামো ছাড়াও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সমানভাবেই দেশ কাজ করে চলেছে। একটি সামাজিক পরিকাঠামোর দৃষ্টান্ত আমি তুলে ধরছি। আগের তুলনায় দেশে এইমস্ – এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তিন গুণ। দেশে মেডিকেল কলেজগুলির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের মতো। ভারত বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দিয়ে নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কতটা সচেষ্ট, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে এই পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়েই। নতুন নতুন আইআইটি, আইআইআইটি এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলির এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সারা দেশ জুড়েই। গত তিন বছরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলের সুযোগ পৌঁছে গেছে দেশের সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি গ্রামীণ বাসস্থানে। দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবার নির্মাণ করার এক অভিযানও এখন শুরু হয়েছে। এই সামাজিক পরিকাঠামো প্রসারের মধ্য দিয়েই সামাজিক ন্যায়কে নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
পরিবহণ পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ এখন যেভাবে চলছে, তা অতীতে কোনও দিন দেখা যায়নি। আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে সহ সারা দেশে নির্মিত রেকর্ড সংখ্যক গ্রামীণ সড়ক। রেল বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ যেমন দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, দেশের শহরগুলিতে মেট্রো রেল পরিষেবাও ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলার পাশাপাশি, জলপথ পরিবহণের নতুন নতুন প্রচেষ্টাও চালানো হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে। ডিজিটাল পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অগ্রণী দেশগুলির মধ্যে এখন স্থান করে নিয়েছে ভারত। বিশ্ববাসীর মুখে মুখে এখন উচ্চারিত হচ্ছে ভারতের ডিজিটাল লেনদেনের নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপনের কথা। দেশের দেড় লক্ষ পঞ্চায়েত এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার পাতার কর্মযজ্ঞের কথাও এখন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেছে।
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
পরিকাঠামো প্রকল্প প্রসঙ্গে আলোচনার সময় দেশের সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো নির্মাণ ও প্রসারের কাজ সম্পর্কে খুব কম পরিসরেই আলোচনা করা হয়। ‘প্রসাদ’ কর্মসূচির আওতায় দেশের বহু তীর্থ স্থানকেই এখন আবার নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কাশী – কেদারনাথ – সোমনাথ থেকে কর্তারপুর সাহিব করিডর পর্যন্ত যে কর্মযজ্ঞ সম্পূর্ণ হয়েছে, এক কথায় তা নজির বিহীন। বন্ধুগণ, সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো বলতে শুধুমাত্র ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কিত পরিকাঠামোর মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ নেই। সমানভাবেই এগিয়ে চলেছে দেশের ইতিহাস, জাতীয় বীর ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিকাঠামোগুলিও। সর্দার প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি কিংবা আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকিত সংগ্রহশালা, পিএম মিউজিয়াম অথবা বাবাসাহেব আম্বেদকর স্মারক, জাতীয় যুদ্ধ স্মারক কিংবা জাতীয় পুলিশ স্মারক – এর সবকটিই হ’ল আমাদের সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোরই কয়েকটি দৃষ্টান্ত মাত্র। জাতি হিসেবে আমাদের সংস্কৃতি এক নতুন সংজ্ঞা লাভ করেছে। আমরা সুরক্ষিত করে তুলছি আমাদের মূল্যবোধগুলিকেও। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ডিজিটাল এবং পরিবহণ সংক্রান্ত পরিকাঠামো প্রসারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে পারে ভারতের মতো একটি উচ্চাকাঙ্খী রাষ্ট্র। কর্তব্য পথ – এর মধ্য দিয়েই আরেকটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আজ উন্মেষ ঘটলো। স্থাপত্য থেকে আদর্শ – ভারতীয় সংস্কৃতির সবকটি দিককেই আপনারা খুঁজে পাবেন এর মধ্যই দিয়ে। আমি ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আবেদন জানাবো নবনির্মিত এই কর্তব্য পথ দেখে যাওয়ার জন্য। এর মধ্যে আপনারা প্রত্যক্ষ করবেন ভবিষ্যতের ভারতকে। যে অফুরন্ত শক্তি ও উৎসাহ নিহিত রয়েছে এর মধ্যে, তা আপনাদের উজ্জীবিত করবে জাতি হিসাবে এক নতুন ভারত দর্শনের। আগামী কাল থেকে তিন দিন সন্ধ্যায় এখানে আয়োজিত হবে নেতাজী সুভাষের জীবন অবলম্বনে একটি ড্রোন শো। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে এখানে এসে আপনারা ছবি ও সেলফি-ও তুলুন। আপনারা সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করুন #কর্তব্য পথ – এই নামে। আমি জানি যে, এই পুরো পথটি দিল্লিবাসী এবং পরিবার-পরিজন সহ এখানে বেড়াতে আসা সাধারণ মানুষের কাছে এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। এই কথা স্মরণে রেখে কর্তব্য পথ – এর পরিকল্পনা, নক্শা ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেইভাবেই। আমার স্থির বিশ্বাস যে, কর্তব্য পথ দেশবাসীর মনে কর্তব্য বোধের এক নতুন প্রেরণা জাগিয়ে তুলবে, যা আমাদের নতুন ও উন্নত এক ভারত গড়ে তোলার সংকল্প পূরণের পথে সহায়ক হয়ে উঠবে। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আরও একবার ধন্যবাদ জানাই আপনাদের সকলকে। আসুন, এবার আপনারা আমার সাথে গলা মিলিয়ে বলে উঠুন নেতাজী, অমর রহে।
নেতাজী – অমর রহে!
নেতাজী – অমর রহে!
নেতাজী – অমর রহে!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে
PG/SKD/SB
Felt honoured to inaugurate the statue of Netaji Bose. pic.twitter.com/KPlFuwPh8z
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
Speaking at inauguration of the spectacular 'Kartavya Path' in New Delhi. https://t.co/5zmO1iqZxj
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
देश की नीतियों और निर्णयों में सुभाष बाबू की छाप रहे, कर्तव्य पथ पर उनकी भव्य प्रतिमा इसके लिए प्रेरणास्रोत बनेगी। pic.twitter.com/X7V0KxGpJx
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
पिछले आठ वर्षों में हमने एक के बाद एक ऐसे कई निर्णय लिए हैं, जिनमें नेताजी के आदर्श और सपने समाहित हैं। pic.twitter.com/LwqLhSpdF3
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आज भारत के संकल्प और लक्ष्य अपने हैं। हमारे पथ और प्रतीक अपने हैं। इसीलिए राजपथ का अस्तित्व समाप्त हुआ है और कर्तव्य पथ बना है। pic.twitter.com/fJGeJMxeFt
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
जिस भारत का वर्णन महाकवि भरतियार ने अपनी एक कविता में किया है, हमें उस सर्वश्रेष्ठ भारत का निर्माण करना है और उसका रास्ता कर्तव्य पथ से होकर ही जाता है। pic.twitter.com/gROSu3Eu2A
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
कर्तव्य पथ भारत के लोकतांत्रिक अतीत और सर्वकालिक आदर्शों का जीवंत मार्ग है। देश के सांसद, मंत्री और अधिकारियों में भी यह पूरा क्षेत्र Nation First की भावना का संचार करेगा। pic.twitter.com/JKx0VMwMBB
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आज हमारे पास कल्चरल इंफ्रास्ट्रक्चर के ऐसे अनेक उदाहरण हैं, जो बताते हैं कि एक राष्ट्र के तौर पर हमारी संस्कृति क्या है, हमारे मूल्य क्या हैं और हम कैसे इन्हें सहेज रहे हैं। pic.twitter.com/sya8S4dugB
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
आजादी के अमृत महोत्सव में, देश को आज एक नई प्रेरणा मिली है, नई ऊर्जा मिली है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज हम गुजरे हुए कल को छोड़कर, आने वाले कल की तस्वीर में नए रंग भर रहे हैं।
आज जो हर तरफ ये नई आभा दिख रही है, वो नए भारत के आत्मविश्वास की आभा है: PM @narendramodi
गुलामी का प्रतीक किंग्सवे यानि राजपथ, आज से इतिहास की बात हो गया है, हमेशा के लिए मिट गया है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज कर्तव्य पथ के रूप में नए इतिहास का सृजन हुआ है।
मैं सभी देशवासियों को आजादी के इस अमृतकाल में, गुलामी की एक और पहचान से मुक्ति के लिए बहुत-बहुत बधाई देता हूं: PM @narendramodi
आज इंडिया गेट के समीप हमारे राष्ट्रनायक नेताजी सुभाषचंद्र बोस की विशाल मूर्ति भी स्थापित हुई है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
गुलामी के समय यहाँ ब्रिटिश राजसत्ता के प्रतिनिधि की प्रतिमा लगी हुई थी।
आज देश ने उसी स्थान पर नेताजी की मूर्ति की स्थापना करके आधुनिक, सशक्त भारत की प्राण प्रतिष्ठा भी कर दी है: PM
सुभाषचंद्र बोस ऐसे महामानव थे जो पद और संसाधनों की चुनौती से परे थे।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
उनकी स्वीकार्यता ऐसी थी कि, पूरा विश्व उन्हें नेता मानता था।
उनमें साहस था, स्वाभिमान था।
उनके पास विचार थे, विज़न था।
उनमें नेतृत्व की क्षमता थी, नीतियाँ थीं: PM @narendramodi
अगर आजादी के बाद हमारा भारत सुभाष बाबू की राह पर चला होता तो आज देश कितनी ऊंचाइयों पर होता!
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
लेकिन दुर्भाग्य से, आजादी के बाद हमारे इस महानायक को भुला दिया गया।
उनके विचारों को, उनसे जुड़े प्रतीकों तक को नजरअंदाज कर दिया गया: PM @narendramodi
पिछले आठ वर्षों में हमने एक के बाद एक ऐसे कितने ही निर्णय लिए हैं, जिन पर नेता जी के आदर्शों और सपनों की छाप है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
नेताजी सुभाष, अखंड भारत के पहले प्रधान थे जिन्होंने 1947 से भी पहले अंडमान को आजाद कराकर तिरंगा फहराया था: PM @narendramodi
उस वक्त उन्होंने कल्पना की थी कि लाल किले पर तिरंगा फहराने की क्या अनुभूति होगी।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
इस अनुभूति का साक्षात्कार मैंने स्वयं किया, जब मुझे आजाद हिंद सरकार के 75 वर्ष होने पर लाल किले पर तिरंगा फहराने का सौभाग्य मिला: PM @narendramodi
आज भारत के आदर्श अपने हैं, आयाम अपने हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज भारत के संकल्प अपने हैं, लक्ष्य अपने हैं।
आज हमारे पथ अपने हैं, प्रतीक अपने हैं: PM @narendramodi
आज अगर राजपथ का अस्तित्व समाप्त होकर कर्तव्यपथ बना है,
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आज अगर जॉर्ज पंचम की मूर्ति के निशान को हटाकर नेताजी की मूर्ति लगी है, तो ये गुलामी की मानसिकता के परित्याग का पहला उदाहरण नहीं है: PM @narendramodi
ये न शुरुआत है, न अंत है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
ये मन और मानस की आजादी का लक्ष्य हासिल करने तक, निरंतर चलने वाली संकल्प यात्रा है: PM @narendramodi
आज देश अंग्रेजों के जमाने से चले आ रहे सैकड़ों क़ानूनों को बदल चुका है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
भारतीय बजट, जो इतने दशकों से ब्रिटिश संसद के समय का अनुसरण कर रहा था, उसका समय और तारीख भी बदली गई है।
राष्ट्रीय शिक्षा नीति के जरिए अब विदेशी भाषा की मजबूरी से भी देश के युवाओं को आजाद किया जा रहा है: PM
कर्तव्य पथ केवल ईंट-पत्थरों का रास्ता भर नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
ये भारत के लोकतान्त्रिक अतीत और सर्वकालिक आदर्शों का जीवंत मार्ग है।
यहाँ जब देश के लोग आएंगे, तो नेताजी की प्रतिमा, नेशनल वार मेमोरियल, ये सब उन्हें कितनी बड़ी प्रेरणा देंगे, उन्हें कर्तव्यबोध से ओत-प्रोत करेंगे: PM
राजपथ ब्रिटिश राज के लिए था, जिनके लिए भारत के लोग गुलाम थे।
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
राजपथ की भावना भी गुलामी का प्रतीक थी, उसकी संरचना भी गुलामी का प्रतीक थी।
आज इसका आर्किटैक्चर भी बदला है, और इसकी आत्मा भी बदली है: PM @narendramodi
आज के इस अवसर पर, मैं अपने उन श्रमिक साथियों का विशेष आभार व्यक्त करना चाहता हूं, जिन्होंने कर्तव्यपथ को केवल बनाया ही नहीं है, बल्कि अपने श्रम की पराकाष्ठा से देश को कर्तव्य पथ दिखाया भी है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
मैं देश के हर एक नागरिक का आह्वान करता हूँ, आप सभी को आमंत्रण देता हूँ...
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2022
आइये, इस नवनिर्मित कर्तव्यपथ को आकर देखिए।
इस निर्माण में आपको भविष्य का भारत नज़र आएगा।
यहाँ की ऊर्जा आपको हमारे विराट राष्ट्र के लिए एक नया विज़न देगी, एक नया विश्वास देगी: PM @narendramodi