নাগপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নাগপুর এবং বিলাসপুরের মধ্যে সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন।
প্রধানমন্ত্রী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলি ঘুরে দেখেন এবং ট্রেনে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের কন্ট্রোল সেন্টার প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখেন এবং নাগপুর ও আজনি রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাগুলির অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এই ট্রেন চালু হওয়ার ফলে নাগপুর থেকে বিলাসপুরের যাত্রার সময়কাল সাত-আট ঘন্টা থেকে কমে এখন সাড়ে পাঁচ ঘন্টায় দাঁড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেন –
“নাগপুর ও বিলাসপুরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলাম। এই ট্রেন চালু হওয়ার ফলে সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।”
নাগপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছনোর সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ সিন্ধে, রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি।
প্রেক্ষাপট
এই ট্রেনের যাত্রা সূচনার ফলে একদিকে পর্যটন প্রসার লাভ করবে, অন্যদিকে তেমনই যাত্রার অভিজ্ঞতাও অনেক আরামদায়ক হবে। নাগপুর থেকে বিলাসপুর সফরের সময় কমে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা দাঁড়াবে। দেশের এটি ষষ্ঠ বন্দে ভারত ট্রেন। অতীতের তুলনায় এটির সংস্করণ অনেক উন্নত মানের। ট্রেনটির ওজন অনেক হালকা হওয়ায় এটি অনেক বেশি দ্রুতগামী এবং কম সময়ে যাত্রাপথ অতিক্রম করতে পারে। দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্দে ভারত অনেক উন্নতমানের এবং উন্নত সুবিধা সম্বলিত। কেবলমাত্র ৫২ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছে এটি পৌঁছে যেতে পারে। এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার। পূর্বের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলির ওজন যেখানে ছিল ৪৩০ টন, বর্তমান এই বন্দে ভারতের ওজন সেখানে কমে দাঁড়িয়ে ৩৯২ টনে। চাহিদার ভিত্তিতে ওয়াই-ফাই সংযোগ রয়েছে এই ট্রেনে। তথ্য প্রদানের জন্য অতীতে যেখানে ছিল ২৪ ইঞ্চি স্ক্রিন, বর্তমানে প্রতিটি কোচে ৩২ ইঞ্চি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিবেশ-বান্ধব এবং এর শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলি ১৫ শতাংশের বেশি শক্তি সাশ্রয় করতে পারে। এই ট্রেনগুলির একজিকিউটিভ কোচগুলির সিট ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে।
নতুন নকশার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্টস অর্গানাইজেশন (সিএসআইও) অনুমোদিত বায়ু শোধনের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
দ্বিতীয় দফার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে সফর বিমান যাত্রার মতো আরামদায়ক। এতে সংঘর্ষ নিরোধক ব্যবস্থা – ‘কবচ’-এর মতো অত্যাধুনিক সুরক্ষার সুবিধা রয়েছে।
Flagged off the Vande Bharat Express between Nagpur and Bilaspur. Connectivity will be significantly enhanced by this train. pic.twitter.com/iqPZqXE4Mi
— Narendra Modi (@narendramodi) December 11, 2022
नागपूर-बिलासपूर वंदे भारत एक्स्प्रेसला हिरवा झेंडा दाखवला. या ट्रेनमुळे दळणवळणात लक्षणीय वाढ होईल. pic.twitter.com/KLWGbnQwPr
— Narendra Modi (@narendramodi) December 11, 2022