Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

নতুন দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘আদি মহোৎসব’ – এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

নতুন দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘আদি মহোৎসব’ – এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ


আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী অর্জুন মুন্ডাজী, শ্রী ফগগন সিং কুলাস্তেজী, শ্রীমতী রেণুকা সিংজী, ডাঃ ভারতী পাওয়ারজী, শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডুজী, অন্যান্য বিশিষ্ট জন এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আমার আদিবাসী ভাই ও বোনেরা! আদি মহোৎসব উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা।

‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ – এর সময় দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতিফলন এই আদি মহোৎসব। আমি ভারতের আদিবাসী ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করার বিশেষ সুযোগ পেয়েছি। নানা রঙ, সুন্দর পোশাক, বৈচিত্র্যময় শিল্পকলা, নানারকমের স্বাদ এবং বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত – এই সবকিছু উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বৈচিত্র্যময় ভারতের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

ভারতের অনন্ত আকাশে রামধনুর মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই নানা বর্ণের রঙ-রস। সব রঙ একসঙ্গে মিলেমিশে বিশ্বকে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। বিভিন্ন রঙের এই বৈচিত্র্য এক সূত্রে গাঁথা হলেই যথাযথভাবে পরিস্ফুট হয় ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ চিন্তাভাবনার। এভাবেই ভারত তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দিয়ে বিশ্বকে আকৃষ্ট করে।

এই আদি মহোৎসব আমাদের ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’কে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের ভাবনাচিন্তাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি আমার আদিবাসী ভাই ও বোনদের অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

একুশ শতকের ভারত ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সমাজের যে অংশের মানুষকে পেছনের সারিতে রাখা হ’ত, কিন্তু আজ তাঁরা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্পর্শে এসেছে। বিগত ৮-৯ বছরে আদি মহোৎসবের মতো আদিবাসী সমাজের অনুষ্ঠান বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের নানা অনুষ্ঠানের সাক্ষী থেকেছি। আমি যখন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তখন সমাজকর্মী হিসাবে বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছিল। আমি বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর এলাকাগুলিও ঘুরে দেখেছি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি বেশ কিছু সপ্তাহ। আমি ঘনিষ্ঠভাবে আপনাদের ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করেছি এবং আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এমনকি, গুজরাটেও আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় আমি অতিবাহিত করেছি, গুজরাটের পূর্বাঞ্চলের উমর গ্রাম থেকে অম্বাজী পর্যন্ত আদিবাসী ভাই ও বোনেদের সেবার কাজে নিয়োজিত হয়ে। আদিবাসীদের জীবনযাপন দেশ ও আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তাই, আমি যখন আপনাদের মধ্যে আসি, তখন বিশেষ ধরনের এক আকর্ষণ অনুভব করি। নিজের প্রিয়জনের সঙ্গ লাভের অনুভূতি হয় আমার।

বন্ধুগণ,

আদিবাসী সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমি যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি ও তাঁদের উপহার দিই, তখন চেষ্টা করি আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের তৈরি কোনও উপহার তাঁদের হাতে তুলে দিতে।

বর্তমানে ভারত বিশ্বের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চেই উপস্থিত। তাই, আদিবাসীদের ঐতিহ্যও বিশ্বের কাছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে। আদিবাসীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমান ভারত সমগ্র বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব ঊষ্ণায়নের মতো নানা আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পন্থা-পদ্ধতি তুলে ধরছে। তাঁদের জীবনযাত্রা আমাদের এই ধরনের সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে সাহায্য করে। বর্তমানে আমরা যখন সুসঙ্ঘত উন্নয়নের কথা বলি, তখন গর্বিতভাবে এটা বলতে পারি যে, আমাদের আদিবাসী সমাজ থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে গাছ, বন, নদী, পর্বতের সম্পর্ক কি করে স্থাপন করতে হয় এবং কিভাবে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করবো, তা আমাদের শেখায় আদিবাসী ভাই ও বোনেরা। বর্তমানে ভারত এই একই জিনিস শেখাচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে।

বন্ধুগণ,

বর্তমানে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী, বিশেষ করে আদিবাসী ভাই-বোনদের তৈরি নানা সামগ্রীর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন সামগ্রী এখন বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, পূর্ববর্তী সরকারের সময় বাঁশ কাটা ও বাঁশ ব্যবহারের উপর আইনি নিষেধাজ্ঞা ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাঁশ কে তৃণ প্রজাতির আওতায় এনেছি এবং এর উপর জারি থাকা সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এর ফলে, বাঁশজাত সামগ্রী বর্তমানে এক বিশাল শিল্পে পরিণত হয়েছে। আদিবাসীদের তৈরি সামগ্রী যেন সবচেয়ে বেশি বাজার পায়, সেই লক্ষ্যে সরকার অবিরাম কাজ করে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে আমরা বন ধন মিশনের উদাহরণ দিতে পারি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৩ হাজারেরও বেশি বন ধন বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে খুব কম সংখ্যক অরণ্যজাত সামগ্রী এমএসপি-র আওতাধীন ছিল। বর্তমানে তা সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার প্রায় ৯০টি অরণ্যজাত সামগ্রী ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করছে। এ থেকে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী উপকৃত হচ্ছেন। ৫০ হাজারেরও বেশি বন ধন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমানে ৮০ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী জনগণ এই গোষ্ঠীগুলির সদস্য। আমাদের মা ও বোনেরাও এই গোষ্ঠীগুলিতে রয়েছেন। এগুলির মাধ্যমে আদিবাসী মহিলারাও বিশেষ সুযগ-সুবিধা পাচ্ছেন।

ভাই ও বোনেরা,

বর্তমান সরকার আদিবাসী যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছেন। এ বছরের বাজেটে আদিবাসী শিল্পীদের জন্য পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আপনাদের আর্থিক সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, আপনার সামগ্রী বাজারজাতকরণের জন্যও সাহায্য করা হবে। এ থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন তরুণ প্রজন্ম। বন্ধুগণ, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই আমাদের চেষ্টা সীমাবদ্ধ নয়। দেশে শত শত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন। তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য ও দক্ষতা রয়েছে। আদিবাসী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এইসব ক্ষেত্রে সম্ভাবনা আরও বাড়ানোর জন্য ও আদিবাসী যুবকদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ উন্মোচিত করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

২০ বছর আগে আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন আমি সেখানে লক্ষ্য করি যে, আদিবাসীদের উন্নয়নে পূর্ববর্তী সরকার বিশেষ কিছু করেনি। আদিবাসী এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়নি তারা। বর্তমানে শুধু একবার ভেবে দেখুন! যদি কোনও আদিবাসী শিশু বিজ্ঞান নিয়ে একেবারেই না পড়ে, তা হলে সে কিভাবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে আমরা আদিবাসী এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে আদিবাসী শিশুর শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।

বর্তমানে দেশে একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫ গুণ বেড়েছে। ২০০৪-২০১৪ এই ১০ বছর সময় কেবলমাত্র ৯০টি একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় চালু হয়েছিল। কিন্তু, ২০১৪-২০২২ এই ৮ বছর সময়ে ৫০০-রও বেশি একলব্য মডেল বিদ্যালয়কে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৪০০-রও বেশি এই ধরনের বিদ্যালয় কার্যকর রয়েছে। ১ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী ছাত্রছাত্রী এই বিদ্যালয়গুলিতে পড়াশুনা করে। এ বছরের বাজেটে এই ধরনের বিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারীর শূন্য পদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিলি উপজাতিভুক্ত তরুণদের প্রদেয় বৃত্তির পরিমাণও দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। ৩০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া এতে উপকৃত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আদিবাসী যুবক-যুবতীদের লেখাপড়ার জন্য ভাষা একটি বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষায় পড়াশুনোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের আদিবাসী শিশু ও যুবকরা এখন নিজেদের ভাষাতেই লেখাপড়া করতে পারছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার উচ্চাকাঙ্খী জেলা ও ব্লকগুলির উন্নয়নে প্রচার চালাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। অনুন্নত শ্রেণীর জনগণকে প্রাধান্য দেবার মন্ত্র নিয়ে দেশ উন্নয়নের নতুন দিশায় এগিয়ে চলেছে।

এ বছরের বাজেটে তপশিলি উপজাতিভুক্তদের জন্য বরাদ্দ ২০১৪ সালের তুলনায় ৫ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আদিবাসী এলাকায় আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে, পর্যটন ও আয় – এই দুয়ের সম্ভাবনাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময় দেশের যেসব হাজার হাজার গ্রাম উগ্র বামপন্থার সমস্যায় জর্জরিত ছিল, বর্তমানে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে। সেখানকার তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হচ্ছেন সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে। এই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলির প্রত্যেক নাগরিককে সমাজের মূল অংশের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

গত ৮-৯ বছরে সাম্য ও সম্প্রীতিকে মূল লক্ষ্য করে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের কাজ চলছে। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশের নেতৃত্ব এক আদিবাসীর হাতে। এই প্রথম একজন আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে ভারতকে গর্বিত করেছেন। এই প্রথম আদিবাসী ইতিহাসকে দেশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী সমাজের বিশাল ভূমিকা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত রয়েছি। তাঁদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, দশকের পর দশক ধরে এইসব নেতা-নেত্রীদের আত্মবলিদান জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়নি। বর্তমানে অমৃত মহোৎসবের সময় দেশ ভুলে যাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।

এই প্রথম দেশে ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে আদিবাসী গর্ব দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রথম আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষায় সংগ্রহশালা চালু করা হচ্ছে। ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে গত বছর আমার এই ধরনের সংগ্রহশালা উদ্বোধন করার ও ভগবান বীরসা মুন্ডার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের অতীতকে রক্ষা করতে হবে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের জন্য বর্তমানে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদি মহোৎসবের মতো অনুষ্ঠান এই ধরনের প্রতিশ্রুতিকে আরও মজবুত করে। বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।

বন্ধুগণ,

এই বছর সমগ্র বিশ্ব ভারতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উদযাপন করছে। এই মিলেট আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনদের অন্যতম প্রধান খাদ্য। ভারত বর্তমানে এই বিশেষ খাদ্যকে ‘শ্রী অন্ন’ পরিচয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিচ্ছে। শ্রী অন্ন বাজরা, শ্রী অন্ন জোয়ার, শ্রী অন্ন রাগি সহ অন্যান্য খাদ্যশস্যগুলি তাঁদের স্বাদ ও গন্ধের জন্য বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করছে। এই উৎসবে এ ধরনের শ্রী অন্ন – এর নানা ফুড স্টল রয়েছে। আমাদের সকলের উচিৎ, আদিবাসী এলাকার খাবারগুলিকে যথাসম্ভব প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা।

এর ফলে, আমাদের জনগণের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি, আদিবাসী কৃষকদের আয় বৃদ্ধি হবে। আমি নিশ্চিত যে, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলবো। আজ মন্ত্রক দিল্লিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের নিয়ে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর ফলে, আমরা তাঁদের নানা পণ্য সামগ্রীর নমুনা দেখতে পাচ্ছি। দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা ও গাজিয়াবাদবাসীর কাছে আমার অনুরোধ – আপনারা আসুন ও এই মেলা ঘুরে দেখুন।

স্বাস্থ্য সচেতন জনগণ তাঁদের খাদ্য তালিকার বিভিন্ন সামগ্রীতে বিশেষভাবে নজর দিয়ে থাকেন। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাই, আপনারা আসুন ও দেখুন, আমাদের অরণ্যজাত বিভিন্ন সামগ্রী কতটা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। আদিবাসী ভাই ও বোনেদের আনা পণ্যসামগ্রী যাতে বিক্রি হয় – আপনারা তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের যেন কোনও পণ্য ফিরিয়ে নিয়ে যেতে না হয়, সবকিছুই যেন এখানে বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হবে এবং তাঁরা সাফল্যের স্বাদ অনুভব করবেন।

আসুন, আপনারা সকলে একযোগে আদি মহোৎসবকে বিশেষভাবে স্মরণীয় ও সফল করে তুলি। আপনাদের সঙ্গে রইল আমার শুভেচ্ছা!
আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে