Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ষোড়শ সিভিল সার্ভিসেস দিবসে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী

নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ষোড়শ সিভিল সার্ভিসেস দিবসে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আজ ষোড়শ সিভিল সার্ভিসেস দিবস, ২০২৩-এ সিভিল সার্ভেন্টদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। জনপ্রশাসনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের নজিরস্বরূপ ‘প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার’ প্রাপকদের হাতে তুলে দেন তিনি।

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিভিল সার্ভিসেস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সকলকে অভিনন্দন জানান। শ্রী মোদী বলেন, এ বছর ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূরণ করেছে তখন সিভিল সার্ভিসেস দিবস নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। উন্নত ভারতের লক্ষ্য পূরণের জন্য এখন সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার পালা। ১৫-২০ বছর আগে এই সার্ভিসে যোগ দেওয়া সিভিল সার্ভেন্টদের অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে অমৃতকালের আগামী ২৫ বছর দেশ গঠনে তরুণ আধিকারিকদের উল্লেখযোগ্য স্বাক্ষর রাখতে তাঁদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, তরুণ আধিকারিকরা ভাগ্যবান যে অমৃতকালের এই সময় দেশসেবার সুযোগ পাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বপ্ন পূরণের দায় আপনাদের কাঁধে রয়েছে। সময় যথেষ্ট পরিমাণে না থাকলেও দেশে অমিত সম্ভাবনা ও উদ্যমের অভাব নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেষ ৯ বছরে যে কাজ হয়েছে তাতে দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, কিছু আমলা ও আধিকারিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফলাফল সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিশ্বমঞ্চে ভারতের অগ্রগতির নজিরের ক্ষেত্রে কর্মযোগীদের ভূমিকা স্বীকৃতি দেন তিনি। সুশাসনের মাধ্যমে দরিদ্রতম মানুষের মধ্যে যে আস্থার ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেশের উন্নতিতে মাত্রা সংযোজিত করেছে। শ্রী মোদী বলেন, পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ভারত উঠে এসেছে। ডিজিটাল লেনদেনে ভারত ১ নম্বর জায়গা করে নেওয়ায় ফিনটেক-এর ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত। সবথেকে কম খরচে মোবাইল ডেটা ব্যবহারকারী দেশগুলির অন্যতম হল ভারত। এমনকি, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ পরিমণ্ডলও গড়ে তুলেছে দেশ। গ্রামীণ অর্থনীতিতে রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের প্রশ্নে তিনি বলেন, রেলপথ, মহাসড়ক, বন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিমানবন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন যে আজকের এই পুরস্কারের মাধ্যমেই প্রতিভাত হয় কর্মযোগীদের সেবার মনোভাব।

গত বছর ১৫ আগস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে তাঁর ভাষণে তিনি যে ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর কথা বলেছিলেন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলি হল – বিকশিত ভারত ও উন্নত ভারত গড়ে তোলা, দাসত্বের মানসিকতা কাটিয়ে ওঠা, ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধ করা, দেশের ঐক্য ও বৈচিত্র্যকে শক্তিশালী করা এবং দায়িত্ব পূরণকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে জায়গা দেওয়া। শ্রী মোদী বলেন, এই পাঁচটি সঙ্কল্প থেকে যে শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটছে তা বিশ্বে ভারতকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণের দিকে নিয়ে যাবে।

এ বছরের সিভিল সার্ভিসেস দিবসের বিষয়বস্তু ‘বিকশিত ভারত’-এর প্রেক্ষাপটে স্থির করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিকশিত ভারত’-এর ধারণা কেবল আধুনিক পরিকাঠামোর মধ্যে আটকে নেই। তিনি বলেন, ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য ভারত সরকারের ব্যবস্থা এমনভাবে কাজ করবে যাতে প্রত্যেক ভারতীয়র আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা যায় এবং প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী প্রত্যেক নাগরিকের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। অতীতের বছরগুলিতে এই ব্যবস্থার সঙ্গে যে নেতিবাচকতা যুক্ত ছিল তাকে ইতিবাচক রূপ দিতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

ভারতের স্বাধীনতার পর দশকের পর দশকের অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে একেবারে প্রান্ত সীমায় সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে সরকারগুলির নীতিগত ফলের দৃষ্টান্ত দেন এবং বলেন যে ৪ কোটিরও বেশি জাল গ্যাস সংযোগ, রেশন কার্ড এবং ১ কোটি ভুয়ো মহিলা ও শিশুকে নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে ভুয়ো স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে এবং এমজিএনআরইজিএ-র অধীন লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সুবিধা প্রদান করা হত সেইসব শ্রমজীবীদের কল্যাণে যাঁদের অস্তিত্বই ছিল না। এই ব্যবস্থার যে রূপান্তরসাধন ঘটানো হয়েছে সেক্ষেত্রে সিভিল আধিকারিকদের কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুল লোকের হাতে টাকা পৌঁছনো বন্ধ করে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে যা এখন গরীবদের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় সীমিত। ফলে, লক্ষ্য এবং কর্মপদ্ধতি স্থির করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের চ্যালেঞ্জ দক্ষতা নিয়ে নয়, বরং প্রকৃত সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করা এবং যাঁরা তা নন তাঁদেরকে বাদ দেওয়াই হল আশু প্রয়োজন। ব্যবস্থাগত বাঁধা দূর করে অতীতের অক্ষমতাকে এখন সক্ষমতায় রূপান্তরিত করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। পূর্বে মানসিকতা ছিল যে সরকারই সব কাজ করবে, আর এখনকার পরিবর্তিত মানসিকতা হল সরকার প্রত্যেকের জন্য কাজ করবে। প্রত্যেক মানুষের সেবায় সময় এবং সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারের এখন উদ্দেশ্য হল – ‘দেশ প্রথম, জনগণ প্রথম’। আজকের সরকারের অগ্রাধিকার হল অবহেলিতদের উন্নতিসাধনে কাজ করা। তিনি বলেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকগুলির লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে আসছে সরকার। প্রত্যেক সীমান্ত গ্রামকে শেষ গ্রাম হিসেবে না বিবেচনা করে বরং প্রথম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী বলেন, ১০০ শতাংশ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও কঠোর পরিশ্রম, আরও উদ্ভাবনী সমাধানসূত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া দরকার। বিভিন্ন দপ্তর যে এনওসি চাইত, ব্যবস্থার মধ্যে সেরকম কোনও তথ্যই খুঁজে পাওয়া যেত না। তিনি বলেন, জীবনধারার স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুচারু ব্যবসার জন্য আমাদের এসবের এক সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’-এর দৃষ্টান্ত দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, যে কোনও পরিকাঠামো প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ডেটা সামগ্রী একটা মঞ্চেই খুঁজে পাওয়া যাবে। উন্নত পরিকল্পনা এবং সামাজিক ক্ষেত্রের উন্নতিসাধনের জন্য এর যথাযথ সদ্ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের চাহিদা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তা অনেক উপকারে লাগবে এবং  ভবিষ্যতে শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়েও তার প্রয়োজন পড়তে পারে। বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে জেলা ও ব্লক স্তরে সংযোগ বৃদ্ধিতে তা সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিরূপণের ক্ষেত্রেও তা কাজে লাগবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকাল অনন্ত সুবিধার সঙ্গে অমিত চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আজকের উচ্চাকাঙ্ক্ষী নাগরিক এইসব ব্যবস্থার পরিবর্তন কবে ঘটবে তা নিয়ে প্রতীক্ষায় থাকতে প্রস্তুত নয়। এক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের পূর্ণ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অনুরূপ দ্রুততার সঙ্গে তার রূপায়ণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে তার কারণ ভারতের কাছ থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বিশ্ব আজ বলছে যে ভারতের সময় এসে গেছে। আমলাতন্ত্রের কাছে নষ্ট করার মতো যথেষ্ট সময় নেই।

গণতন্ত্রে বিভিন্ন ভাবধারার রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন এবং গুরুত্ব রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমলাতন্ত্রকে দেখতে হবে যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আয়করদাতাদের টাকা জনকল্যাণে ব্যবহার করছে কিনা। কোনও রাজনৈতিক দল আয়করদাতার টাকা নিজের সংস্থার স্বার্থে না রাষ্ট্রের কল্যাণে ব্যবহার করছে, ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে, নাকি নাগরিকদের জীবনধারার স্বাচ্ছন্দ্য বিকাশে তা ব্যবহার করা হচ্ছে, বিভিন্ন সংস্থায় দলের লোককে নিয়োগ দেওয়া করা হচ্ছে নাকি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা হচ্ছে আমলাতন্ত্রের কাজ হল সেটা দেখা। শ্রী মোদী বলেন যে সর্দার প্যাটেল আমলাতন্ত্রকে ভারতের ইস্পাত কাঠামোর সঙ্গে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেন, এটা সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের সময় এবং তরুণের স্বপ্নভঙ্গ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে আয়করদাতাদের অর্থও যাতে নষ্ট না হয় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন যে জীবনের দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত কাজ করা এবং দ্বিতীয়ত কাজ করতে দেওয়া। কাজ করায় বিশ্বাস করেন যে মানুষ, তাঁরা দায়িত্বভার নিয়ে তাঁর দলের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারেন। জনসাধারণের জীবনে পরিবর্তনসাধনের জন্য যে অন্তর্গত তাগিদ তা জীবনে স্মরণীয় চিহ্ন রেখে যায়। আপনি নিজের জন্য কি করেছেন তা দিয়ে আপনার বিচার হবে না, মানুষের জীবনে আপনি কি পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছেন তা দিয়ে আপনার গুরুত্ব নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, সুশাসন হল মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। জনকেন্দ্রিক প্রশাসন সমস্যার সমাধান করে এবং উন্নত ফল দেয়। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক মাপকাঠিতে এইসব জেলাগুলি অন্যান্য জেলা থেকে ভালো কাজ করছে তার কারণ সেখানে সুশাসন রয়েছে এবং উদ্যমী তরুণ আধিকারিকরা সে কাজে প্রয়াসী হচ্ছেন। জনসাধারণের অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করা গেলে অনেক কাজ অনেক ভালোভাবে করা সম্ভব বলে তিনি জানান। এক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছ ভারত, অমৃত সরোবর, জল জীবন মিশন-এর দৃষ্টান্ত দেন।

প্রধানমন্ত্রী District Visions@100 -এর উল্লেখ করে বলেন যে এর প্রস্তুতির কাজ চলেছে এবং পঞ্চায়েত স্তরে এই দিশা প্রস্তুত করতে হবে। পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা এবং রাজ্য কোন ক্ষেত্রগুলির ওপর আলোকপাত করতে হবে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কি পরিবর্তন দরকার, রপ্তানির জন্য পণ্য চিহ্নিতকরণ – এই সমস্ত ক্ষেত্রে একটা স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় পণ্যের প্রসার ঘটাতে এমএসএমই এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে শৃঙ্খল যোগের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। তরুণ প্রতিভা, স্থানীয় উদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিকে উৎসাহ দেওয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।

সরকারের মাথায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমলাদের সঙ্গে কাজ করার যে নানা সুযোগ তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি রীতিমতো আনন্দিত। দক্ষতা বিকাশের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘মিশন কর্মযোগী’ সমস্ত আমলার মধ্যে এক বিরাট প্রচারের জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষতা বিকাশ কমিশন এই প্রচারাভিযানকে পূর্ণ সক্ষমতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ‘মিশন কর্মযোগী’র লক্ষ্য হল আমলাদের পূর্ণ সক্ষমতার ব্যবহার করা। iGOT প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্যই হল গুণগত প্রশিক্ষণের সুযোগের সহজলভ্যতা যাতে সব জায়গায় থাকে। শ্রী মোদী বলেন, এই প্রশিক্ষণ এবং শেখার বিষয়টি কেবলমাত্র কয়েক মাসের রীতিস্বরূপ নয়, আজকের কেন্দ্রীয় সরকারি কাজে নব-নিযুক্তরা iGOT প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষিত হচ্ছে এবং ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ’-এর মাধ্যমে তাঁদের শিক্ষানবিশি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন যে পদের শ্রেণীবিন্যাসকে মুছে ফেলতে হবে। প্রতিনিয়ত সচিব, সহকারী সচিব এবং প্রশিক্ষণাধীন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানান তিনি। একটা দপ্তরের মধ্যে নতুন ধারণা গড়ে তুলতে প্রত্যেকের সক্রিয় অংশগ্রহণ যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদাহরণ দেন তিনি। কোনও আধিকারিক কেন্দ্রীয় সরকারে ডেপুটেশনে কাজের অভিজ্ঞতা লাভের আগে তাঁদের প্রথম কয়েক বছর রাজ্যস্তরে কাটাতে হত। সেই অভাব পূরণ করা হচ্ছে সহকারী সচিব নিয়োগ করে যেখানে তরুণ আইএএস আধিকারিকরা এখন তাঁদের ক্যারিয়ারের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ বছরের অমৃতযাত্রা ‘কর্তব্যকাল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্বাধীনতার শতবর্ষ সুবর্ণ বর্ষ তখনই হবে যখন আমরা আমাদের কাজকেই প্রথম অগ্রাধিকার দিতে পারব। কাজ আমাদের কাছে কোনও সুযোগ নয়, বরং একটা সঙ্কল্পের মতো। এখন দ্রুত পরিবর্তনের সময়। আপনার অধিকার বলে আপনার ভূমিকা নির্দিষ্ট হবে না, বরং আপনি কি কাজ করছেন এবং কি সাফল্য অর্জন করেছেন তার নিরিখেই বা বিবেচিত হবে। নব ভারতে নাগরিকদের অধিকার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নতুন উদ্ভূত ভারতবর্ষে গুরুত্বপূর্ণ কাজের সুযোগ রয়েছে আপনার কাছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তরুণ সিভিল সার্ভেন্টদের ইতিহাসে ছাপ রেখে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। স্বাধীনতার ১০০ বছর পরে দেশের মূল্যায়ন হবে তখন তাঁদের সেই কাজ পরিগণিত হবে। আপনারা তখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন যে দেশের এক নতুন ব্যবস্থার সৃষ্টিতে এবং তার উন্নতিসাধনে আমার ভূমিকা ছিল। দেশ গঠনে সিভিল সার্ভেন্টরা যে এই ভূমিকার বিস্তার ঘটাবেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত বলে জানান।

কেন্দ্রীয় কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব শ্রী পি কে মিশ্র, ক্যাবিনেট সচিব শ্রী রাজীব গৌবা, প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন-অভিযোগ দপ্তরের সচিব শ্রী ভি শ্রীনিবাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 

 

PG/AB/DM/