Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ধরমশালায় ‘রাইজিং হিমাচল : গ্লোবাল ইনভেস্টর্স মিট’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


 

এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

 

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই সম্মেলনে যোগদানকারী সকল সম্পদ সৃষ্টিকারীদের স্বাগত জানাতে পেরে তিনি খুশি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে রাজ্যগুলি লগ্নি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিত এবং লগ্নিকারীরা অপেক্ষায় থাকতেন কোন রাজ্য সবচেয়ে বেশি ছাড় দেয়।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যগুলি বুঝেছে শিল্পপতিদের দেওয়া এই ছাড়ের প্রতিযোগিতায় কারোরই লাভ হয় না। না রাজ্যের, না শিল্পপতিদের।

 

তিনি বলেন, লগ্নিকারীরা যাতে রাজ্যগুলিতে লগ্নি করেন তার জন্য সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি যা হবে ইন্সপেক্টর রাজ মুক্ত এবং প্রতি মুহূর্তে পারমিটের প্রয়োজন হবে না।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যগুলি লগ্নিকারীদের সেই ধরনের পরিবেশ দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

 

তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে সহজে বাণিজ্য করা, বিভিন্ন তামাদি আইন বাতিল করা সহ অনেক সংস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতায় বিশ্ব মঞ্চে আমাদের শিল্পে প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি বাড়বে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে রাজ্যগুলির স্থানীয় মানুষ এবং সর্বোপরি দেশের উপকার হবে ও ভারত দ্রুতগতিতে এগোবে।

 

তিনি বলেন, শিল্পক্ষেত্রও পরিষ্কার, স্বচ্ছ ব্যবস্থা এবং সরকার পছন্দ করে।

 

তিনি বলেন অবাঞ্ছিত আইন এবং সরকারের হস্তক্ষেপ শিল্পের অগ্রগতিকে বাধা দেয়।

 

তিনি বলেন, এই পরিবর্তনগুলির কারণেই আজ ভারত বাণিজ্য-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে।

 

তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়নের শকট নতুন ভাবনা, নতুন উদ্যমের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে চারটি চাকায় ভর দিয়ে। সেগুলি হল – সমাজ, এমন একটি সরকার যে নতুন ভারত গড়তে উৎসাহ দেয়, সাহসী শিল্পক্ষেত্র এবং জ্ঞান যা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই লক্ষ্য।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৯-এর মধ্যে সহজে ব্যবসা করার শ্রেণীতে ৭৯ ধাপ উঠেছে ভারত। তিনি বলেন, “প্রতি বছর আমরা প্রতিটি বিষয়ে উন্নতি করছি। এই শ্রেণীতে উন্নতি করার অর্থ যে আমাদের সরকার শিল্পের তৃণমূল স্তরের প্রয়োজনীয়তা বোঝার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”

 

তিনি বলেন, “এটা শুধু ধাপের উত্তোরণই নয়, বরং ভারতে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান বিপ্লব। আজকের বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এক শক্তিশালী দেশ কেননা, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল হতে দিইনি।”

 

তিনি বলেন, শক্তিশালী দেউলিয়া বিধির মাধ্যমে যথাযথ নির্গমন পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে গৃহ নির্মাণ শিল্পে আটকে পড়া আবাসন প্রকল্পগুলির কাজ যাতে আবার শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে, এখন ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার পরিবার তাঁদের বাসস্থান যথাসময়ে পাবেন।

 

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঘরোয়া কোম্পানিগুলির জন্য কর্পোরেট করও ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

 

তিনি শিল্প এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের ভারতকে লগ্নির জন্য অন্যতম সুগম গন্তব্য হিসেবে দেখার অনুরোধ করেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লগ্নি করার সিদ্ধান্তে হিমাচল প্রদেশও উপকৃত হবে।

 

লগ্নি-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বেশ কিছু ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেওয়ায় হিমাচল প্রদেশ সরকারের প্রশংসা করেন তিনি।

 

এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি উল্লেখ করেন যেমন, ‘এক জানালা’ ব্যবস্থা, ক্ষেত্র-ভিত্তিক নীতি, জমি বন্টনে স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর জন্যই এই রাজ্য লগ্নির জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী হিমাচলকে পর্যটন সহ বহু সম্ভাবনার ভাণ্ডার বলে অভিহিত করেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী, হিমাচল প্রদেশে লগ্নির সম্ভাবনা ও সুযোগ সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন।

 

প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে একটি কফি টেবল বইও প্রকাশ করেন।

 

 

CG/AP/DM