Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

দু’বছরে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আরও বেশি আবহাওয়া এবং জলবায়ু-বান্ধব ভারত গড়তে ‘মিশন মৌসম’ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা


নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দু’বছরে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আজ ‘মিশন মৌসম’ অনুমোদন করেছে।
‘মিশন মৌসম’ প্রধানত রূপায়ণ করবে পৃথ্বী বিজ্ঞান মন্ত্রক। এর লক্ষ্য, বহুমুখী এবং রূপান্তরকারী উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের আবহাওয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিজ্ঞান, গবেষণা এবং পরিষেবার উন্নতি করা। এতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ আরও প্রস্তুত হতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে – নাগরিকদের পাশাপাশি, প্রান্তিক এলাকার মানুষ। চরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটাতে এটি সহায়ক হবে। এর ফলে, সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ উন্নত করার সক্ষমতা বাড়বে।
‘মিশন মৌসম’ – এর অঙ্গ হিসেবে ভারত গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ বৃদ্ধি করবে, আবহাওয়া বিজ্ঞানে সক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটাবে, অত্যাধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, উন্নত মানের গণনা এবং কৃত্রিম মেধা ও যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষণের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ‘মিশন মৌসম’ নিখুঁতভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এই মিশনের লক্ষ্য হবে নিখুঁত এবং সময় মতো আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা। সক্ষমতা বৃদ্ধি, সচেতনতা বৃদ্ধি, কুয়াশা, শিলাবৃষ্টি, বৃষ্টি ইত্যাদির মতো বিষয়ে আগাম জানানোর উপায় হবে। ‘মিশন মৌসম’ – এ অন্তর্ভুক্ত হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। এর মধ্যে আছে – অত্যাধুনিক র‍্যাডার এবং উপগ্রহ ব্যবস্থা। এতে যুক্ত থাকবে উন্নত সেন্সর এবং সুপার কম্প্যুটার। 
‘মিশন মৌসম’ সরাসরি যে ক্ষেত্রগুলিকে সাহায্য করবে, সেগুলি হ’ল – কৃষি, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা, পরিবেশ, উড়ান, জলসম্পদ, বিদ্যুৎ, পর্যটন, জাহাজ চলাচল, পরিবহণ, শক্তি এবং স্বাস্থ্য। 
পৃথ্বী বিজ্ঞানের তিনটি সংস্থা ইন্ডিয়া মেটিওরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরলজি এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং প্রাথমিকভাবে ‘মিশন মৌসম’ রূপায়ণ করবে। এদের সাহায্য করবে পৃথী বিজ্ঞান মন্ত্রকেরই অন্য সংস্থাগুলি, যেমন – ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি। এছাড়াও সাহায্য নেওয়া হবে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা জগৎ এবং শিল্প জগতের, যাতে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান এবং পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দিতে পারে। 

 

PG/AP/SB