নতুন দিল্লি, ১৪ই অক্টোবর, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ২০২৩ – ২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৫ বছর কেন্দ্রশাসিত লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের জন্য দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের ৫২০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের দারিদ্র সংক্রান্ত অনুপাত যুক্ত না করে চাহিদার ভিত্তিতে এই মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর ফলে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দুটির চাহিদা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং কেন্দ্রের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানেও সর্বজনীন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য সাধিত হবে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুসারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশন হল কেন্দ্রের একটি প্রকল্প যেখানে দেশজুড়ে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলির দারিদ্র দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে । ২০১১-র জুন মাসে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। দেশের ১০ কোটির মতো পরিবারে সর্বজনীন সামাজিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দারিদ্র দূরীকরণ যার মূল উদ্দেশ্য। এই পরিবারগুলি থেকে ১জন মহিলাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত করিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, তাদের জীবিকার সংস্থান করা এবং নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আর্থিক সম্পদ ব্যবহার করার এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে পেশাদারদের সাহায্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা হয়। দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের এটি হল একটি অনন্য বৈশিষ্ট। এই প্রকল্পের অন্যদিকটি হল জাতীয়, রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে নির্ধারিত সমর্থনের ব্যবস্থা করা যেখানে গ্রামের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে দীর্ঘ মেয়াদে সাহায্য করা হবে।
প্রেক্ষাপটঃ-
দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশন পূর্বতন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে “উমীদ” কর্মসূচী হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান তহবিলের নিরিখে তদানিন্তন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ১ শতাংশের কম ছিল। এই মিশনের আওতায় জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামা়ঞ্চলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষরা যাতে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য পান তা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৩ – ১৪ অর্থ বর্ষ থেকে ২০১৭ – ১৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বিশেষ প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়। এর আওতায় সেই সময়ের হিসেবে গ্রামাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী এর অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই সময়ও বিশেষ প্যাকেজে রাজ্যের দরিদ্র জন সংখ্যার অনুপাত বিবেচনা না করে প্রকল্প রূপায়ণে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মূল প্রকল্পটির জন্য ৭৫৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়। যেখানে কেন্দ্রের অংশ থাকবে ৬৭৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে এবং ঐ রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতির জন্য প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়ে পারেনি। গুজরাটের আনন্দের ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্ট ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের বিষয়ে পুরো মূল্যায়ণ করে। তাতে পূর্ববর্তী রাজ্যে দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশকিছু আশাব্যঞ্জক তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে রোজগার বৃদ্ধি, সম্পদ বৃদ্ধি, মহিলাদের জন্য নতুন নতুন জীবিকার সুযোগ, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি এবং যথাযথভাবে ঋণের অর্থ ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। এর সঙ্গে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করা, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং পারস্পরিক সাহায্যের বিষয় উল্লেখযোগ্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের থেকে সম্প্রদায়ভিত্তিক সহায়ক ব্যক্তি ও সামাজিক মূলধন বিপুল পরিমাণে তৈরি হয়, একই সঙ্গে এই কাজের সহায়তার জন্য অনেককে পাওয়াও গিয়েছিলো।
CG/CB/SFS
Today’s Cabinet decision will further 'Ease of Living' for the people of Jammu and Kashmir as well as Ladakh. https://t.co/QoMGNnm7WF
— Narendra Modi (@narendramodi) October 14, 2020