Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

দিল্লিতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

দিল্লিতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


নয়াদিল্লি, ০৩ জানুয়ারি, ২০২৫ 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দিল্লিতে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান এবং ২০২৫ সালটি ভারতের বিকাশে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সাল বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠায় এবং আর্থ-সামাজিক নানা ক্ষেত্রে ভারতের স্বপ্ন পূরণে অন্যতম মাইলফলক হয়ে উঠবে।  
আজ উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত একাধিক উদ্যোগ। তাঁদের, বিশেষত মহিলাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাড়া করা ঝুঁপড়ির পরিবর্তে নিজস্ব আবাস-স্থল অবশ্যই এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলির কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, ঐ সময়ে আন্দোলনরত অনেকের সঙ্গে তিনিও অশোক বিহারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। 
বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে সারা দেশে এখন কর্মযজ্ঞ চলছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যাত্রায় দিল্লির একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সেজন্যই কেন্দ্রীয় সরকার ঝুপড়ির জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিতে চায়। দু’বছর আগে ঝুপড়িবাসীদের জন্য কালকাজি এক্সটেনশনে ৩ হাজারেরও বেশি পাকা বাড়ির উদ্বোধন হয়েছে। আজ এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫০০টি বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রাপকদের হাতে। স্বাভিমান অ্যাপার্টমেন্টস্‌ মানুষের আত্মমর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে। 
সরকারের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে ৪ কোটিরও বেশি মানুষের পাকা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন যাঁদের মাথার ওপরে ছাদ নেই, তাঁরাও পর্যায়ক্রমে ন্যূনতম সুবিধাসম্পন্ন বাসস্থান পেয়ে যাবেন। দিল্লিতে আরও প্রায় ৩ হাজার নতুন বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে নারেলা সাব-সিটি প্রকল্প রূপায়ণে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। 
বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে নগর ও শহরগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী উপযুক্ত আবাসনের পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা পরিষেবার গুরুত্বও উল্লেখ করেন। বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (নগর)-র আওতায় সারা দেশে ১ কোটিরও বেশি বাড়ি নির্মিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য গৃহ ঋণের সুদ বাবদ পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, অনগ্রসর গোষ্ঠী সহ সব পরিবারের শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষা পরিষেবার সংস্থানে সরকারের উদ্যোগের কথাও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে। মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষা নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর সুবাদে দরিদ্র পরিবারের শিশুরাও চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র কিংবা দক্ষ পেশাদার হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে পাবে। আধুনিক শিক্ষা পরিকাঠামোকে জোরদার করে তোলার লক্ষ্যে তিনি একটি নতুন সিবিএসই ভবন তৈরির কথাও ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে দিল্লি সরকার যে ভূমিকা নিয়ে চলেছে, তার কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্না হাজারের ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে কিছু মানুষ দিল্লিকে বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতির আখড়া করে তুলতে চাইছে বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর বিপরীতে জাতীয় রাজধানীর মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।  

SC/AC/SB