Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

দরিদ্র, প্রবীণ এবং অসহায় মানুষদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার – বললেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও সংযোগ ব্যবস্হায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুফলগ্রহীতাদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মিলিত হলেন। অটল বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা এবং বয়ঃবন্দনা যোজনা প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে।

সুফলগ্রহীতাদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে শ্রী মোদী বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের এই ধরনের কর্মসূচিগুলি জীবনের অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়াই করতে মানুষকে যেমন শক্তি যোগায়, অন্যদিকে তেমনি পারিবারিক দিক থেকে কঠিন আর্থিক পরিস্হিতি কাটিয়ে ওঠার জন্যও তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটায়।

দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার অনুসৃত বিভিন্ন কর্মসূচির বৈশিষ্ট্যগুলিও এদিন ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক ব্যবস্হার সুযোগ থেকে বঞ্চিত মানুষদের জন্য ব্যাঙ্কের দ্বার আজ উন্মুক্ত। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শিল্পোদ্যোগ স্হাপনে আগ্রহী ব্যক্তিদের মূলধন সংগ্রহের পথও নিশ্চিত করা হয়েছে। দরিদ্র এবং অসহায় মানুষদের নিয়ে আসা হয়েছে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যাতে আর্থিক সুরক্ষার সুফলগুলি তাঁরা ভোগ করতে পারেন।

শ্রী মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার আওতায় ২০১৪-২০১৭ এই সময়কালে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ২৮ কোটি। সমগ্র বিশ্বের মোট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নিরিখে যা প্রায় ৫৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, দেশের মহিলারা এখন আরও বেশি সংখ্যায় ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট খুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১৪-র ৫৩ শতাংশ থেকে এখন উন্নীত হয়েছে ৮০ শতাংশে।

সাধারণ মানুষের প্রতিকূল পরিস্হিতির কয়েকটি কাহিনী শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণই কোন পরিবারের দুঃখকে দূর করতে পারে না। তবে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সর্বদাই চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনার আওতায় উপকৃত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৫ কোটিরও বেশি। মাত্র ৩০০ টাকার বিনিময়ে এই যোজনায় নাম অন্তর্ভূক্ত করা যায়।

দুর্ঘটনা বিমা প্রসঙ্গে আলোচনাকালে শ্রী মোদী জানান, ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনাটির গ্রাহক হয়েছেন। এই যোজনার আওতায় বছরে মাত্র ১২ টাকার প্রিমিয়ামে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বিমার সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রবীণ এবং বৃদ্ধদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের কথাও প্রসঙ্গত বিবৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বয়োঃবন্দনা যোজনার আওতায় গত বছর প্রায় ৩ লক্ষ প্রবীণ ব্যক্তি উপকৃত হয়েছেন। ৬০ এবং তার ঊর্দ্ধবয়সী প্রবীণরা এই যোজনার আওতায় ৮ শতাংশ হারে ১০ বছরের জন্য পেনশন লাভের অধিকারী হবেন। প্রবীণ নাগরিকদের আয়করের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্য কর ছাড়ের মাত্রা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। প্রবীণ ও বৃদ্ধদের কল্যাণে তাঁর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে  জানান প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী মোদী সুফলগ্রহীতাদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনার আওতায় গত তিন বছরে নিয়ে আসা হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি মানুষকে। নাগরিকদের কল্যাণে বিশেষত দরিদ্র, প্রবীণ এবং অসহায় মানুষদের ক্ষমতায়নের জন্য তাঁর সরকার সকলরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে পুনরুচ্চারণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

 

SSS/SKD/NS/