Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

তিন বছর মেয়াদী ২২তম ভারতীয় আইন কমিশন গঠনের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদন


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে তিন বছর মেয়াদী ২২তম ভারতীয় আইন কমিশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সরকারি গ্যাজেটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকেই কমিশনের সূচনা হবে। মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কমিশন যেসব সুপারিশ করবে তাতে সরকার উপকৃত হবে। আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমীক্ষা ও সুপারিশ করার দায়্ত্বি কমিশনের ওপরেই থাকবে।

আইন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ করা কোন বিষয় অথবা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে এই আইন নিয়ে গবেষনা তথা বর্তমান আইনগুলি পর্যালোচনা করে তাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা তা দেখবে এবং প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করবে। দীর্ঘ বকেয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, মামলার খরচ ও প্রণালী সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্হায় সংস্কারের লক্ষ্যেও কমিশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

কমিশনের অন্যান্য বিচার্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে ১) অপ্রয়োজনীয় বা অপ্রাসঙ্গিক আইনগুলিকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে সেগুলি বাতিল করা ; ২)রাষ্ট্রীয় নীতির প্রেক্ষিতে বর্তমান আইনগুলি খতিয়ে দেখে তাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া জাতীয় নীতি রূপায়ণে ঐসব আইনের প্রয়োগ এবং সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী উদ্দেশ্যপূরণে এই আইনগুলির প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তাও জানাবে কমিশন। ৩) আইন ও বিচার বিভাগ সম্পর্কিত যেকোন বিষয়ে কমিশন তার দৃষ্টিভঙ্গি সরকারকে জানাবে, এমনকি সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে অন্যান্য দেশকে আইনী সমীক্ষার কাজে সাহায্য করার বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করে দেখবে। ৪) গবিরদের স্বার্থে আইনী প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্হাকে আরও সরল করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ৫) একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় আইনগুলি খতিয়ে দেখে তাকে আরও সরল করতে যেসমস্ত বাধা-বিপত্তি বা ঘাটতি রয়েছে তা দূর করার উদ্যোগ নেবে।

কমিশন তার সুপারিশ চূড়ান্ত করার পূর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বা দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। সরকারি গ্যাজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকেই এই কমিশনের তিন বছরের মেয়াদ শুরু হবে। কমিশনে একজন পূর্ণ সময়ের চেয়ারপার্সন, সদস্য সচিব সহ চারজন পূর্ণ সময়ের সদস্য, পদাধিকার বলে আইনী বিষয়ক দপ্তরের সচিব, সদস্য হিসেবে, পদাধিকার বলে আইন প্রণয়নকারী দপ্তরের সচিব, সদস্য হিসেবে থাকবেন। এছাড়াও পাঁচজন আংশিক সময়ের সদস্য কমিশনে থাকবেন বলে স্হির হয়েছে।

******

CG/ BD /NS/