নয়াদিল্লি, ১৯ মার্চ, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডেয়ারি শিল্পের উন্নয়নে সংশোধিত জাতীয় কর্মসূচিটি অনুমোদন পেয়েছে। সংশোধিত ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট (এনপিডিডি)-এর জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১ হাজার কোটি টাকা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সময়কালে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এর ফলে, ডেয়ারি শিল্পের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। এছাড়াও, দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং দুধের গুণমান বৃদ্ধি করা যাবে। গো-পালকরা যাতে আরও ভালো বাজার পান এবং দুধ বিক্রি করে আর্থিক লাভের মুখ দেখেন, তা নিশ্চিত করতেই এই প্রকল্প কার্যকর হবে।
প্রকল্পটির দুটি ভাগ রয়েছে। দুগ্ধশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শীতলীকরণ ব্যবস্থাপনা, উন্নতমানের পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো এবং শংসাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামাঞ্চলে নতুন যেসব দুগ্ধ সমবায় সমিতি গড়ে উঠবে, সেগুলিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। দুধ সংগ্রহ ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সহায়তা করা হবে। দুটি দুগ্ধ উৎপাদক সংস্থা তৈরি করা হবে।
দ্বিতীয় ভাগে জাপান সরকার এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির সহায়তায় সমবায় ব্যবস্থাপনার আওতায় দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমবায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা হবে। এর ফলে, দুধের উৎপাদন বাড়বে এবং পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
এনপিডিডি বাস্তবায়নের ফলে ১৮ লক্ষ ৭৪ হাজার গো-পালক উপকৃত হবেন। দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি হবে। ৩০ হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০.৯৫ লিটার দুধ উৎপাদন হবে। গ্রামাঞ্চলে ৫১,৭৭৭টি দুধ পরীক্ষাগারকে শক্তিশালী করা হবে। ৫,১২৩টি দুধ শীতলীকরণ প্ল্যান্ট গড়ে তোলার ফলে ১২৩ লক্ষ ৩৩ হাজার লিটার দুধ শীতল করা যাবে। এছাড়াও, ১৬৯টি পরীক্ষাগারের মানোন্নয়ন ঘটানো হবে।
সংশোধিত এনপিডিডি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১০ হাজার নতুন দুগ্ধ সমবায় সমিতি গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগ শ্বেত বিপ্লব ২.০-কে আরও শক্তিশালী করবে।
SC/CB/DM.