ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে খরা ও জলসঙ্কট পরিস্থিতি সম্পর্কে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের এক পর্যালোচনা বৈঠকে নেতৃত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস এবং কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ঝাড়খণ্ডকে দেওয়া হয় ২৭৩ কোটি টাকা। এছাড়াও, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এই তহবিলের আওতায় প্রথম কিস্তিবাবদ রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ১৪৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলের আওতায় ঝাড়খণ্ডের ১২ লক্ষ কৃষিজীবী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মোট ৩৭৬ কোটি টাকা। এছাড়াও, মেটানো হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার বিমা সংক্রান্ত দাবি-দাওয়াও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের কাছে আর্থিক সহায়তাপৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পর্যালোচনাকালে প্রকাশ পায় যে আগামী দু’বছরে ঝাড়খণ্ড তার সেচসেবিত এলাকা ১৯ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেছে। রাজ্য পরিকল্পনার আওতায় ১ লক্ষ জলাশয় গড়ে তোলা হবে কৃষিকাজের জন্য। এছাড়াও, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ আইনের আওতায় ব্যবস্থা করা হবে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ জলাশয়ের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জলাশয়ে মৎস্যচাষের কাজেও উৎসাহ দিচ্ছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
জল সংরক্ষণের বিষয়টিকে একটি জন-আন্দোলনের রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা দিয়েও জলের প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই কাজে এনসিসি, এনএসএস, নেহরু যুব কেন্দ্র এবং স্কাউট্স অ্যান্ড গাইড্স-এর মতো যুব সংগঠনগুলিকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
শ্রী রঘুবর দাস বৈঠকে জানান যে ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ রূপায়ণের লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বানের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই যোজনা রূপায়ণের কাজটি নিয়মিতভাবে তদারকির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার লক্ষ্যে ‘সয়েল হেল্থ কার্ড’-এর বিলি-বন্টন ব্যবস্থাকে একটি জনমুখী আন্দোলনে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে হলে কর্মোদ্যম, পদ্ধতিগত ব্যবস্থা এবং যথোচিত গুরুত্বদানের ওপর দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাটি পরীক্ষার কাজটিকে এক বিশেষ দক্ষতা হিসেবে উৎসাহিত করে তোলা দরকার।এই কাজে গবেষণাগার তৈরির জন্য ‘মুদ্রা’র মাধ্যমে ঋণ সহায়তা প্রসারেরও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণের আওতায় সৃষ্ট সম্পদ সম্পর্কে তথ্য যোগানের ব্যবস্থাটিকে পদ্ধতি-নির্ভর করে তুলতে হবে। এই ব্যবস্থায় ছবি আপলোড করাও সম্ভব। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত জলাশয়গুলিরও অনুসন্ধান করা যেতে পারে।
বৈঠকের শেষে স্থির হয় যে সমস্যা নিরসনে একযোগে কাজ করে যাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
PG/SKD/DM/S
Had extensive discussions with Jharkhand CM Raghubar Das & officials on ways to mitigate the drought in the state. https://t.co/iqwXUmUCLe
— Narendra Modi (@narendramodi) May 14, 2016
Urged State Govt to initiate a mass movement for water conservation, rain water harvesting & ensuring maximum coverage for soil health cards
— Narendra Modi (@narendramodi) May 14, 2016