Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রারম্ভিক বক্তব্য

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রারম্ভিক বক্তব্য


নয়াদিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

 

মহামান্য অতিথিবৃন্দ,
মাননীয় নেতৃবৃন্দ,
নমস্কার!

আজ সকলরকম আনুষ্ঠানিকতার পূর্বে মাত্র কিছুক্ষণ আগে মরক্কো-য় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আহতরা প্রত্যেকেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই মর্মে প্রার্থনা জানাই আমরা সকলেই। মরক্কো-এর এই কঠিন সময়ে সমগ্র বিশ্বই রয়েছে ঐ দেশের পাশে। সম্ভাব্য সকলরকম সহযোগিতা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুত।

মহামান্য অতিথিবৃন্দ,
মাননীয় নেতৃবৃন্দ,

জি-২০-র সভাপতি হিসেবে ভারতের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।

আমরা আজ যে স্থানটিতে সমবেত হয়েছি, তার মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বছরের সুপ্রাচীন একটি স্তম্ভবিশেষ। ঐ স্তম্ভে খোদিত রয়েছে প্রাকৃত ভাষায় এই শব্দগুলি : 

‘हेवम लोकसा हितमुखे ति,
अथ इयम नातिसु हेवम’

এর অর্থ হল – মানবজাতির সুখ ও কল্যাণ সর্বদাই নিশ্চিত করা উচিত।

আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে ভারত এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল সকল বিশ্বজনের কাছে। 

ঐ বার্তাটি স্মরণ করে আসুন আমরা জি-২০ সম্মেলন শুরু করি।

একবিংশ শতক হল এমন একটি বিশেষ সময়কাল যা সমগ্র বিশ্বকে এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। এটি হল এমনই একটি সময় যখন আপনাদের সকলের পুরনো যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তার নতুন সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব। আমাদের সকলের মিলিত আলোচনার সূত্র ধরেই সেই সমাধানসূত্র আমরা খুঁজে বের করতে পারি। সুতরাং, মানব-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আমাদের অবশ্যই সকলরকম দায়িত্ব গ্রহণ করে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। 

বন্ধুগণ,

কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে আস্থার সঙ্কট। সংঘাত ও সংঘর্ষ আস্থার এই সঙ্কটকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। 

তবে, আমরা যেভাবে কোভিড জয় করেছি, ঠিক সেইভাবেই পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকেও আমরা বেরিয়ে আসতে পারি। 

আজ জি-২০-র সভাপতি রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সমগ্র বিশ্বকে আহ্বান জানিয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং আমাদের সর্বপ্রথম কাজটিই হল বিশ্বজুড়ে যে অনাস্থার বাতাবরণ চলছে তাকে সার্বজনীন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের বাতাবরণে রূপান্তরিত করা।

এখন হল এমনই একটি সময় যখন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ অর্থাৎ, সকলকে সঙ্গে নিয়ে সকলের বিশ্বাস ও প্রচেষ্টাকে সম্বল করে সকলের কল্যাণ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এই মন্ত্রটি হল আমাদের সকলের কাছে সামনের দিকে এগিয়ে চলার এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।

অস্থির ও অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনীতি বা উত্তর-দক্ষিণ ভেদাভেদ কিংবা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের দূরত্ব অথবা খাদ্য, জ্বালানি ও সারের ব্যবস্থাপনা কিংবা সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের মোকাবিলা অথবা স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও জল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা – যাই হোক না কেন, আমাদের সুনির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে নিয়ে আরও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলতে হবে। শুধুমাত্র বর্তমান কালের জন্যই নয়, সেইসঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেও এই কাজে আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। 

বন্ধুগণ,

ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকাল হল দেশে তথা বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্তি প্রচেষ্টার এক বিশেষ প্রতীক, যা সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার বার্তা বহন করে। 

আজকের এই সম্মেলন প্রকৃত অর্থে সাধারণ মানুষেরই জি-২০ সম্মেলন। কোটি কোটি ভারতীয় যুক্ত রয়েছেন এই প্রচেষ্টার সঙ্গে। ভারতের ৬০টিরও বেশি শহরে ২০০-টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সম্মেলন উপলক্ষে।

‘সবকা সাথ’ – এই মানসিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ভারত জি-২০-তে আফ্রিকা ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদের প্রস্তাব এনেছে। আমি বিশ্বাস করি যে আপনারা সকলেই এই প্রস্তাবটিতে একমত হবেন। 

আজকের পরবর্তী কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে আপনাদের সকলের সম্মতি নিয়ে আমি আফ্রিকা ইউনিয়নের চেয়ারপার্সনকে আমন্ত্রণ জানাই জি-২০-র এক স্থায়ী সদস্য রূপে তাঁদের স্থানটি বেছে নেওয়ার জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

AC/SKD/DM/