Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জি-২০ শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ “শিক্ষা শুধুমাত্র সভ্যতার ভিত্তিই নয়, এটি ভবিষ্যৎ মানবসমাজের স্থপতি” “সত্যিকরের জ্ঞান বিনয় দেয়, বিনয় থেকে আসে সক্ষমতা, সক্ষমতা থেকে পাওয়া যায় সম্পদ, সম্পদ একজন মানুষকে ভালো কাজ করতে সক্ষম করে – এইভাবেই আসে আনন্দ” “আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সুপ্রশাসনের সঙ্গে উন্নতমানের শিক্ষাদান” “আমাদের যুবসমাজকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে তাঁদের নিয়মিত দক্ষ, পুনর্দক্ষ এবং আরও দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন” “ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার উপযুক্ত হয়ে ওঠার সুবিধা হয়”

জি-২০ শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ  “শিক্ষা শুধুমাত্র সভ্যতার ভিত্তিই নয়, এটি ভবিষ্যৎ মানবসমাজের স্থপতি” “সত্যিকরের জ্ঞান বিনয় দেয়, বিনয় থেকে আসে সক্ষমতা, সক্ষমতা থেকে পাওয়া যায় সম্পদ, সম্পদ একজন মানুষকে ভালো কাজ করতে সক্ষম করে – এইভাবেই আসে আনন্দ” “আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সুপ্রশাসনের সঙ্গে উন্নতমানের শিক্ষাদান” “আমাদের যুবসমাজকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে তাঁদের নিয়মিত দক্ষ, পুনর্দক্ষ এবং আরও দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন” “ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার উপযুক্ত হয়ে ওঠার সুবিধা হয়”


                                                                                                                                                                                          নয়াদিল্লি, ২২ জুন, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পুণেতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন।
সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, শিক্ষা শুধুমাত্র সভ্যতার ভিত্তিই নয়, এটি ভবিষ্যৎ মানবসমাজের স্থপতি। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রীদের শেরপা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা সকলের উন্নতি, শান্তি এবং প্রগতির জন্য মানবসমাজের প্রয়াসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শ্রী মোদী ভারতীয় পুঁথির উল্লেখ করেন, যেখানে শিক্ষাকে আনন্দের বাহন হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করেন, যার অর্থ – “সত্যিকরের জ্ঞান বিনয় দেয়, বিনয় থেকে আসে সক্ষমতা, সক্ষমতা থেকে পাওয়া যায় সম্পদ, সম্পদ একজন মানুষকে ভালো কাজ করতে সক্ষম করে – এইভাবেই আসে আনন্দ”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এক অমৃত যাত্রায় সওয়ার হয়েছে। তিনি বলেন, মৌলিক শিক্ষা যুবসমাজের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে এবং ভারত এর সঙ্গে যুক্ত করছে প্রযুক্তিকে। তিনি ‘ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর প্রফিশিয়েন্সি ইন রিডিং উইথ আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড নিউমেরেসি’ অথবা ‘নিপুণ ভারত’ নামে সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, জি-২০’তেও মৌলিক স্বাক্ষরতা এবং গণনা পদ্ধতিকেই অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি এই নিয়ে সময় বেঁধে ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ করার উপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন ই-লার্নিং’কে আপন করে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং বলেন যে, আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সুপ্রশাসনের সঙ্গে উন্নতমানের শিক্ষাদান। তিনি এই লক্ষ্যে সরকারি নানা উদ্যোগের উপর আলোকপাত করেন এবং ‘স্টাডি ওয়েবস্ অফ অ্যাক্টিভ লার্নিং অর ইয়াং অ্যাসপেয়ারিং মাইন্ডস্’ অথবা নবম শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত সব পাঠ্যক্রমের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘স্বয়ম’ – এর কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূর শিক্ষার মাধ্যমে ৩৪ মিলিয়নের বেশি নথিভুক্তি হয়েছে এবং সেখানে রয়েছে ৯ হাজারেরও বেশি পাঠ্যক্রম। ফলে, এটি কার্যকরী শিক্ষার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তিনি ‘ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নলেজ শেয়ারিং’ অথবা ‘দীক্ষা’ পোর্টালের কথাও উল্লেখ করেন, যা স্কুল ছাত্রছাত্রীদের দূর শিক্ষা দেয়। শ্রী মোদী জানান, ২৯টিও ভারতীয় এবং ৭টি বিদেশি ভাষায় পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৭ মিলিয়নেরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা সম্পূর্ণ করেছে। শ্রী মোদী জানান, ভারত এই অভিজ্ঞতা ও সম্পদ সকলের সঙ্গে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ – এর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারলে খুশি হবে।
আমাদের যুবসমাজকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে তাঁদের নিয়মিত দক্ষ, পুনর্দক্ষ এবং আরও দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দক্ষতার সঙ্গে কাজের সুযোগ এবং অনুশীলনকে যুক্ত করার উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে স্কিল ম্যাপিং – এর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষা, দক্ষতা ও শ্রম মন্ত্রক একসঙ্গে কাজ করছে। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলিকে স্কিল ম্যাপিং-কে বিশ্ব স্তরে নিয়ে যাওয়ার এবং ফাঁকগুলি বোজাবার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি সাম্য আনে এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ ঘোচায়। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার উপযুক্ত হয়ে ওঠার সুবিধা হয়। তিনি কৃত্রিম মেধার সম্ভাবনার কথাও জানান। শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষ করে তোলার কাজে কৃত্রিম মেধার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সুযোগ এবং প্রযুক্তির জন্য যে সমস্যা তার মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য জি-২০-কে পরামর্শ দেন তিনি।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত সারা দেশে ১০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব স্থাপন করেছে, যা আমাদের স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জন্য লালন-পালন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, ৭.৫ মিলিয়নেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এই ল্যাবগুলিতে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জি-২০ ভুক্ত দেশগুলি তাদের সাধ্য মতো, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ – এ গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তিনি উপস্থিত বিদগ্ধজনকে গবেষণায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করার উপায় খোঁজার আহ্বান জানান।
আগামীকালের শিশু ও যুবাদের জন্য এই জি-২০ শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই গোষ্ঠী দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ, ডিজিটাল রূপান্তর এবং নারী ক্ষমতায়নকে চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শ্রী মোদী বলেন, ‘শিক্ষাই সকল প্রয়াসের মূল’। তিনি জানান তাঁর বিশ্বাস, এই বৈঠক থেকে ভবিষ্যতের শিক্ষার পথ ও পদ্ধতি খুঁজে পাওয়া যাবে, যা সারা বিশ্বকেই উপকৃত করবে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’ – ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – এর মহান আদর্শ নিয়ে।

CG/AP/SB……22_JUNE_2023……