নয়াদিল্লি, ১২ অক্টোবর, ২০২১
নমস্কার!
আপনাদের সবাইকে নবরাত্রির পবিত্র উৎসব উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। এই কর্মসূচিতে আমার সঙ্গে উপস্থিত দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস শ্রী অরুণ কুমার মিশ্রাজি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রায়জি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অধ্যক্ষগণ, উপস্থিত সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত মাননীয় বিচারক মহোদয়, সদস্যগণ, ইউএন এজেন্সির সমস্ত প্রতিনিধিগণ, সিভিল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত বন্ধুগণ, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভাই ও বোনেরা!
আপনাদের সকলকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এই আয়োজন আজ এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন আমাদের দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। ভারতের জন্য মানবাধিকারের সকল প্রেরণা, মানবাধিকারের মূল্যবোধের একটি বড় উৎস ছিল স্বাধীনতার জন্য আমাদের দেশবাসীর আন্দোলন, আমাদের গৌরবময় ইতিহাস। আমরা অনেক শতাব্দী ধরে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। একটি দেশ রূপে, একটি সমাজ রূপে অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিরোধ করেছি। একটা এমন সময়ে যখন সমগ্র বিশ্ব বিশ্বযুদ্ধের হিংসার আগুনে ঝলসে যাচ্ছিল, ভারত তখন গোটা বিশ্বকে ‘অধিকার এবং অহিংসা’র পথ দেখিয়েছে। আমাদের পূজনীয় বাপু’কে শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বে মানবাধিকার এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক রূপে দেখা হয়। এটা আমাদের সকলের সৌভাগ্য যে আজ অমৃত মহোৎসবের মাধ্যমে আমরা মহাত্মা গান্ধীর সেই মূল্যবোধ ও আদর্শ অনুসরণ করে বেঁচে থাকার সঙ্কল্প নিচ্ছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতের এই নৈতিক সঙ্কল্পগুলিকে শক্তি যোগাচ্ছে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারত ‘আত্মবৎ সর্বভূতেষু’র মহান আদর্শকে, শিষ্টাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবনা ও দর্শনকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলা দেশ। ‘আত্মবৎ সর্বভূতেষু’ মন্ত্রটির মানে হল – আমি যেমন সমস্ত মানুষই সেরকম। মানুষের সঙ্গে মানুষের, প্রাণের সঙ্গে প্রাণের কোনও ভেদ নেই। যখন আমরা এই দর্শনকে স্বীকার করি, তখন সব ধরনের খাদ ভরে যায়। সমস্ত বৈচিত্র্য সত্ত্বেও ভারতের জনমানস এই দর্শনকে হাজার হাজার বছর ধরে প্রাণবন্ত করে রেখেছে। সেজন্য কয়েকশ’ বছরের দাসত্বের পর ভারত যখন স্বাধীন হয়েছে তখন আমাদের সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত সাম্য ও মৌলিক অধিকারের ঘোষণা অত্যন্ত সহজভাবে জনমনে স্বীকৃত হয়েছে!
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার পরেও ভারত বিশ্ববাসীর সামনে সাম্য ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত নতুন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছে, নতুন দর্শন তুলে ধরেছে। বিগত দশকগুলিতে বিশ্বের সামনে এরকম অনেক মুহূর্ত এসেছে যখন বিশ্ববাসী ভ্রমের শিকার হয়েছে, সঠিক পথ থেকে সরে গেছে। কিন্তু ভারত সর্বদাই মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেছে, সংবেদনশীল থেকেছে। সমস্ত ধরনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের এই ‘আত্মা’ আমাদেরকে আশ্বস্ত করে যে, ভারত এভাবেই মানবাধিকারের শর্তগুলিকে সর্বোপরি রেখে ক্রমাগত একটি আদর্শ মানব সমাজ গঠনের কাজ করে যাবে।
বন্ধুগণ,
আজ দেশ ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস’ এবং ‘সব কা প্রয়াস’-এর মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এটা একভাবে মানবাধিকারকে সুনিশ্চিত করারই মূল ভাবনা। যদি সরকার কোনও প্রকল্প শুরু করে আর এর দ্বারা কিছু মানুষ লাভবান হন আর কিছু মানুষ না হন, তাহলে সমানাধিকারের দিকে প্রশ্নচিহ্ন উঠবেই। সেজন্যই আমরা এমন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি যাতে প্রত্যেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্দীষ্ট সকলেই উপকৃত হন। যখন কোনও বৈষম্য থাকে না, পক্ষপাত থাকে না, তখনই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয় আর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অধিকারও সুনিশ্চিত হয়। এ বছর ১৫ আগস্টে লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীকে সম্বোধিত করার সময় আমি এই বিষয়ে জোর দিয়েছি, আর বলেছি যে এখন আমাদের মৌলিক পরিষেবাগুলিকে ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এ পৌঁছে দিতে হবে। এই ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এর অভিযান যেন সমাজের অন্তিম পংক্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির কাছে পৌঁছয়, যেমনটি একটু আগেই আমাদের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রাজি উল্লেখ করেছেন, অন্তিম পংক্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেক মানুষের অধিকারকে সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। তাঁরা নিজেরাই জানেন না যে তাঁদের কী কী অধিকার রয়েছে। তাঁরা কোথাও অভিযোগ করতে যান না, কোনও কমিশনের কাছে যান না, তবুও সরকার এখন গরীবদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরকে বিভিন্ন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করছে।
বন্ধুগণ,
যখন দেশে একটা বড় শ্রেণী তাঁদের মৌলিক প্রয়োজনগুলি সাধনের জন্য সংঘর্ষ করতে থাকবে, তখন তাঁর কাছে নিজের অধিকার সুনিশ্চিত করা বা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কিছু করার সামর্থ্য, সময়, প্রাণশক্তি কিংবা ইচ্ছাশক্তি থাকে না। আমরা সবাই জানি, গরীবদের জীবনকে যদি আমরা নিবিড়ভাবে দেখি, তাহলে বুঝতে পারব যে তাঁদের প্রয়োজনই তাঁদের জীবন। আর সেই প্রয়োজনগুলি পূরণের জন্য তাঁরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, শরীরের প্রতিটি কণা ক্ষয় করে কাজ করতে থাকেন। তারপরেও যখন তাঁদের প্রয়োজন মেটে না, তখন অধিকারের জন্য লড়াই করার সুযোগই তাঁরা পান না। যখন গরীব তাঁদের মৌলিক পরিষেবাগুলি পান না, যে বিষয়ে একটু আগেই আমাদের অমিত ভাই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করছিলেন, যেমন শৌচালয়, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, চিকিৎসার চিন্তা – এসব কিছুর সঙ্গে যখন লড়তে থাকেন, তখন কেউ যদি তাঁদের সামনে গিয়ে তাঁদের অধিকারের তালিকা পেশ করে, তখন গরীবরা একটি কথাই আগে জিজ্ঞাসা করবেন যে, এই অধিকারগুলি কি তাঁদের প্রয়োজনীয়তাকে মেটাতে পারবে? কাগজে লেখা অধিকারগুলিকে গরীবের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে তাঁদের মৌলিক প্রয়োজনগুলি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। যখন তাঁদের মৌলিক প্রয়োজনগুলি পূরণ হতে শুরু করে, তখনই গরীব মানুষ তাঁদের প্রাণশক্তি অধিকার অর্জনের দিকে কেন্দ্রিভূত করতে পারে, তাঁদের অধিকার দাবি করতে পারেন। আমরা সবাই এই বিষয়টির সঙ্গে খুব ভালোভাবেই পরিচিত যে, যখন প্রয়োজনীয়তা মেটে, মানুষ অধিকারের প্রতি সতর্ক হন, তখনই তাঁর মনের আকাঙ্ক্ষাগুলিও দ্রুতগতিতে পল্লবিত, প্রস্ফুটিত হয়। এই আকাঙ্ক্ষাগুলি যত প্রবল হয়, ততই গরীবরা দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি অর্জন করেন, ততই গরীবদের এই দারিদ্র্যের কুচক্র থেকে বের করে এনে তাঁদের স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। সেজন্য যখন গরীবদের বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হয়, তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়, রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়, তখন তাঁরা নিছকই কিছু প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়ে ওঠেন না, এই প্রকল্পগুলি তাঁদের প্রয়োজনীয়তাকে মেটায়। এর ফলে, তাঁরা নিজেদের অধিকারের প্রতি সচেতন হন আর তাঁদের মন দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে জীবনে কিছু করার নানা স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে।
বন্ধুগণ,
গরীবরা এই পরিষেবাগুলি পেলে তাঁদের জীবনে একটা মর্যাদাবোধ জাগে। এই মর্যাদাবোধ তাঁদের জীবনকে গরিমাময় করে। যে গরীব মানুষেরা কখনও শৌচকর্মের জন্য খোলা আকাশের নিচে যেতে বাধ্য ছিলেন, তাঁরা যখন শৌচালয় পান তখন তাঁদের জীবন গরিমাময় হয়ে ওঠে। যে গরীব মানুষ কখনও ব্যাঙ্কের চৌকাঠ পেরোনোর সাহস করতেন না, তাঁরা যখন জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাঁদের মনে সাহস জাগে। তা থেকে তাঁদের আত্মসম্মানবোধ বাড়ে। যে গরীব মানুষ কখনও ডেবিট কার্ড সম্পর্কে ভাবতেই পারতেন না, তাঁদের হাতে যখন রুপে কার্ড পৌঁছয়, পকেটে রুপে কার্ড নিয়ে তাঁরা যখন এটিএম-এ যান, তখন তাঁদের আত্মমর্যাদা বাড়ে। যে গরীব মানুষ কখনও রান্নার গ্যাসের সংযোগের জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুপারিশ পেতে ঘুরে বেড়াতেন, তাঁরা যখন বাড়িতে বসেই উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সংযোগ পান, তখন তাঁদের আত্মমর্যাদা বাড়ে। যে মহিলারা অনেক প্রজন্ম ধরে সম্পত্তির মালিকানার অধিকার পেতেন না, সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি যখন তাঁদের নামেই রেজিস্ট্রি হয় তখন সেই মা-বোনেদের আত্মমর্যাদা বাড়ে।
বন্ধুগণ,
বিগত বছরগুলিতে দেশের ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর প্রতি ভিন্ন ভিন্ন স্তরে হওয়া অবিচারকে দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক দশক ধরে মুসলিম মহিলারা তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আমাদের সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে মুসলিম মহিলাদের নতুন অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। হজ যাত্রার সময় মুসলিম মহিলাদের মেহরমের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত করার কাজও আমাদের সরকারই করেছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের নারীশক্তির সামনে স্বাধীনতার এত দশক পরও অনেক প্রতিকূলতার পাহাড় ছিল। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের পা রাখার অনেক বাধা-নিষেধ ছিল। মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছিল। আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে মহিলাদের জন্য অনেক কাজের ক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাঁদের ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে কাজ করার অধিকার দিয়েছি। বিশ্বের বড় বড় দেশ এমনটা করতে পারেনি কিন্তু ভারত আজ কর্মরত মহিলাদের ২৬ সপ্তাহের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
যখন সেই মহিলা ২৬ সপ্তাহ ছুটি পান, এর মাধ্যমে সরকার নবজাতক শিশুর অধিকার রক্ষা সুনিশ্চিত করে। সেই অধিকারটি হল তার মায়ের সঙ্গে জীবনের প্রারম্ভিক দিনগুলি কাটানোর অধিকার। হয়তো আমাদের আইনের বইগুলিতে এখনও পর্যন্ত এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লিখিত হয়নি।
বন্ধুগণ,
কন্যা-সন্তানদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক আইনও বিগত কয়েক বছরে প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ৭০০টিরও বেশি জেলায় ‘ওয়ান-স্টপ সেন্টার’ চালু করা হয়েছে, যেখানে এক জায়গাতেই মহিলাদের চিকিৎসা সহায়তা, পুলিশি নিরাপত্তা, সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলিং, আইনি সহায়তা এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের সঙ্গে যত ধরনের অপরাধ হয় সেগুলির শুনানি যেন দ্রুত করা হয় তা সুনিশ্চিত করতে সারা দেশে ৬৫০টিরও বেশি ‘ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট’ চালু করা হয়েছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।‘মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট’ সংশোধন করে মহিলাদের গর্ভপাত সংক্রান্ত স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সুরক্ষিত এবং আইনসম্মত গর্ভপাতের ব্যবস্থা হওয়ার ফলে মহিলাদের জীবনে সঙ্কট হ্রাস পেয়েছে আর অনেক ধরনের প্রতারণা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন। শিশুদের ওপর যত ধরনের অপরাধ হয়, সেগুলিতে লাগাম টানতে সংশ্লিষ্ট আইনগুলিকে কড়া করা হয়েছে আর সেগুলির বিচারের জন্যও সারা দেশে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেদের কতটা শক্তি রয়েছে তা আমরা সাম্প্রতিক প্যারালিম্পিকের সময় আরেকবার অনুভব করেছি। বিগত বছরগুলিতে দিব্যাঙ্গদের সশক্তিকরণের জন্যও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তাঁদের জন্য অনেক নতুন নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। সারা দেশে হাজার হাজার ভবনে, সরকারি বাসে, রেলগাড়ি ও রেল প্ল্যাটফর্মগুলিকে দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সুগম করে তুলতে নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭০০টি ওয়েবসাইট দিব্যাঙ্গদের অনুকূলে তৈরি করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গদের সুবিধার জন্য বিশেষ ধরনের মুদ্রা চালু করা, কারেন্সি নোটেও তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা, আপনারা অনেকেই হয়তো এ ব্যাপারে জানেন না, কিন্তু আমাদের নতুন মুদ্রা ও কারেন্সি নোট আমাদের দিব্যাঙ্গ বন্ধুরা নিজেদের প্রজ্ঞা চক্ষু দিয়ে যাতে আলাদা করে বুঝতে পারেন, স্পর্শের মাধ্যমে কারেন্সি নোটের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে দক্ষতা। দক্ষতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ পাঠ্যক্রম রচনা করা। এইসব ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলিতে অনেক জোর দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে অনেক ভাষা, অনেক কথ্যভাষা যেমন রয়েছে, তেমনই আমাদের অনেক সাংকেতিক ভাষাও রয়েছে। আমাদের মুক-বধির দিব্যাঙ্গজনরা যদি গুজরাটের বাসিন্দা হন, তাঁরা যে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন, মহারাষ্ট্র, গোয়া কিংবা তামিলনাড়ুর মুক-বধির দিব্যাঙ্গজনেরা ভিন্ন সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন। ভারতে এই সমস্যা সমাধানের জন্য গোটা দেশের মুক-বধির দিব্যাঙ্গজনদের সুবিধার্থে একটি প্রামান্য সাংকেতিক ভাষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনসম্মতভাবে এই ব্যবস্থা করে তাঁদেরকে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব কিছু তাঁদের অধিকার, তাঁদের সমস্ত মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার সংবেদনশীল ভাবনারই পরিণাম। সম্প্রতি দেশের প্রথম সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডিকশনারি এবং অডিও বুকের সুবিধা লক্ষ লক্ষ দিব্যাঙ্গ শিশুদের সুবিধাভোগী করে তুলেছে। এর ফলে তাঁরা ই-লার্নিং-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন। এবার যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়েছে, সেখানেও এই বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তেমনই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং সমানাধিকার দেওয়ার জন্য ট্র্যান্সজেন্ডার পার্সন্স (প্রোটেকশন অফ রাইটস) আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যাযাবর এবং অর্ধ-যাযাবর সম্প্রদায়গুলির জন্যও ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। লোক আদালতগুলির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ পুরনো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে আদালতগুলির বোঝা লাঘব করা হয়েছে আর দেশবাসীরও অনেক উপকার হয়েছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টা সমাজে নানা অসাম্য ও অবিচার দূর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশ শতাব্দীর সবচাইতে বড় বিপর্যয় করোনা মহামারীর মোকাবিলায় সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। এই বিরাট সঙ্কটের সামনে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ ত্রস্ত হয়ে উঠেছে। পূর্ববর্তী মহামারীগুলির অভিজ্ঞতা থেকেই যখন এতবড় বিপর্যয় আসে, এতবড় জনসংখ্যার দেশ ও সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে ভারত যা করেছে তার ফলে ভারতকে নিয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞদের সমস্ত আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এহেন কঠিন সময়েও ভারত চেষ্টা করেছে যাতে একজন গরীবকেও খালি পেটে না ঘুমোতে হয়। বিশ্বের বড় বড় দেশ এমনটা করতে পারেনি।
আজও ভারতে ৮০ কোটি মানুষকে নিয়মিত বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। ভারত এই করোনা সঙ্কটকালে কোটি কোটি গরীব, অসহায় ও বয়স্কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ড’ চালু করা হয়েছে যাতে তাঁরা দেশের যে কোনও জায়গাতেই গিয়ে প্রাপ্য রেশন পেতে পারেন। দরজায় দরজায় না ঘুরতে হয়।
ভাই ও বোনেরা,
মানবিক সংবেদনশীলতা ও সমবেদনাকে সর্বোপরি রেখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার এহেন প্রচেষ্টা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের অনেকভাবে উপকৃত করেছে। আজ দেশের কৃষকরা কোনও সুদখোরের থেকে ঋণ নিতে বাধ্য নন। তাঁদের হাতে কিষাণ সম্মান নিধির শক্তি আছে, ফসল বিমা যোজনা আছে, বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার অনুকূল সরকারি নীতি আছে। এর পরিণাম হল, সঙ্কটের সময়েও দেশের কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণ ফসল উৎপাদন করছেন। জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উদাহরণও আমাদের সামনে রয়েছে। আজ এই অঞ্চলগুলিতেও উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত করার চেষ্টা আন্তরিকভাবে করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা তাঁদের মানবাধিকারকে ততটাই মজবুত করছে।
বন্ধুগণ,
মানবাধিকারের আরেকটি দিক রয়েছে, যা নিয়ে আজ কথা বলতে চাই। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক মানুষ নিজের মতো করে মানবাধিকারের ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা সেই ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিজেদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেছেন। এক ধরনের কোনও ঘটনাকে কিছু মানুষ মনে করেন মানবাধিকার লঙ্ঘন আর তাঁরা একই ধরনের অন্য ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন না। এই বৈষম্যের মানসিকতাও মানবাধিকারকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করে। মানবাধিকার তখনই সবচাইতে বেশি লঙ্ঘিত হয় যখন নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, রাজনৈতিক চশমা পড়ে দেখা হয়, রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির দাড়ি-পাল্লায় মেপে বিচার করা হয়। এ ধরনের সিলেক্টিভ ব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য ততটাই লোকসানদায়ক। আমরা দেখেছি, এই ধরনের সিলেক্টিভ ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু মানুষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে বিশ্ববাসীর সামনে দেশের মর্যাদাহানি করছে। এই ধরনের মানুষদের থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
বন্ধুগণ,
আজ যখন বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে চর্চা হয় তখন তার মূলে থাকে ব্যক্তির অধিকার। ব্যক্তির অধিকার ও ব্যক্তিগত অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তিকে জুড়েই সমাজ তৈরি হয় আর সমাজের সঙ্গে সমাজকে জুড়েই দেশ তৈরি হয়। কিন্তু ভারত এবং ভারতের ঐতিহ্য অনেক শতাব্দী ধরে এই ভাবনাকে একটি নতুন উচ্চতা দিয়েছে। আমাদের দেশে অনেক শতাব্দী ধরে শাস্ত্রগুলিতে বারবার এই মানবাধিকার নিয়ে নানারকম আলোচনা করা হয়েছে –
“আত্মনঃ প্রতি-কূলানি পরেষাম ন সমাচারেৎ”
অর্থাৎ, যা নিজের জন্য প্রতিকূল সেই ব্যবহার যেন অন্য কারোর প্রতি করা না হয়। তার মানে হল, মানবাধিকার নিছকই অধিকার বিষয়ক নয়, তার সঙ্গে আমাদের কর্তব্যের বিষয়ও রয়েছে। আমরা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের অধিকার নিয়েও ভাববো, অন্যদের অধিকার রক্ষাকে নিজের কর্তব্যে পরিণত করব। আমরা প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে ‘সম-ভাব’ এবং ‘নম-ভাব’ রক্ষা করব। যখন সমাজে এই সারল্য আসে, তখন মানবাধিকার আমাদের সমাজ জীবনের মূল্যবোধে পরিণত হয়। অধিকার এবং কর্তব্য – এই দুটি যেন রেললাইনের মতো। এগুলির ওপর দিয়েই মানব উন্নয়ন এবং মানব গরিমার যাত্রা এগিয়ে চলে। অধিকার যতটা প্রয়োজনীয়, কর্তব্যও ততটাই প্রয়োজনীয়। অধিকার এবং কর্তব্যকে আলাদাভাবে ভাবা উচিৎ নয়। এগুলিকে একসাথেই বিচার করতে হবে। এটা আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা যে আমরা যত কর্তব্যের ওপর জোর দেব, ততটাই অধিকার সুনিশ্চিত হবে। সেজন্য প্রত্যেক ভারতবাসী তাঁদের অধিকারগুলির প্রতি সচেতন হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের কর্তব্যগুলিকেও যেন ততটাই গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করেন। সেজন্যও আমরা সবাই মিলে নিরন্তর চেষ্টা করে যাব আর মানুষকে ক্রমাগত প্রেরণা যুগিয়ে যাব।
বন্ধুগণ,
এই ভারতেরই সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রকৃতি এবং পরিবেশকে নিয়ে চিন্তা করতে শেখায়। বৃক্ষে পরমাত্মার বাস – এটা আমাদের বিশ্বাস, এটা আমাদের শিষ্টাচার। সেজন্য আমরা শুধুই বর্তমানের চিন্তা করি না, আমরা ভবিষ্যতকেও সঙ্গে নিয়ে চলি। আমরা ক্রমাগত বিশ্বের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানবাধিকার প্রতি সচেতন করে চলেছি। আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘ থেকে শুরু করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে ভারতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, হাইড্রোজেন মিশন, আজ ভারত সুদূরপ্রসারী জীবন এবং পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমি চাইব যে মানবাধিকারের লক্ষ্যে কর্মরত আমাদের সমস্ত চিন্তাবিদগণ, বিদ্বজনেরা এই লক্ষ্যে তাঁদের প্রচেষ্টা বাড়িয়ে যান। আপনাদের সকলের চেষ্টায়, জনগণের অধিকার স্থাপনের মাধ্যমে আমরা সবাই যেন নিজেদের মনের কর্তব্যভাবকে আরও প্রেরণা যোগাই! এই শুভকামনা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
CG/SB/DM/
Addressing the 28th NHRC Foundation Day programme. https://t.co/IRSPnXh2qP
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021
भारत के लिए मानवाधिकारों की प्रेरणा का, मानवाधिकार के मूल्यों का बहुत बड़ा स्रोत आज़ादी के लिए हमारा आंदोलन, हमारा इतिहास है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
हमने सदियों तक अपने अधिकारों के लिए संघर्ष किया।
एक राष्ट्र के रूप में, एक समाज के रूप में अन्याय-अत्याचार का प्रतिरोध किया: PM @narendramodi
एक ऐसे समय में जब पूरी दुनिया विश्व युद्ध की हिंसा में झुलस रही थी, भारत ने पूरे विश्व को ‘अधिकार और अहिंसा’ का मार्ग सुझाया।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
हमारे बापू को देश ही नहीं बल्कि पूरा विश्व मानवाधिकारों और मानवीय मूल्यों के प्रतीक के रूप में देखता है: PM @narendramodi
बीते दशकों में ऐसे कितने ही अवसर विश्व के सामने आए हैं, जब दुनिया भ्रमित हुई है, भटकी है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
लेकिन भारत मानवाधिकारों के प्रति हमेशा प्रतिबद्ध रहा है, संवेदनशील रहा है: PM @narendramodi
जो गरीब कभी शौच के लिए खुले में जाने को मजबूर था, उब गरीब को जब शौचालय मिलता है, तो उसे Dignity भी मिलती है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
जो गरीब कभी बैंक के भीतर जाने की हिम्मत नहीं जुटा पाता था उस गरीब का जब जनधन अकाउंट खुलता है, तो उसमें हौसला आता है, उसकी Dignity बढ़ती है: PM @narendramodi
बीते वर्षों में देश ने अलग-अलग वर्गों में, अलग-अलग स्तर पर हो रहे Injustice को भी दूर करने का प्रयास किया है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
दशकों से मुस्लिम महिलाएं तीन तलाक के खिलाफ कानून की मांग कर रही थीं।
हमने ट्रिपल तलाक के खिलाफ कानून बनाकर, मुस्लिम महिलाओं को नया अधिकार दिया है: PM @narendramodi
आज महिलाओं के लिए काम के अनेक सेक्टर्स को खोला गया है, वो 24 घंटे सुरक्षा के साथ काम कर सकें, इसे सुनिश्चित किया जा रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
दुनिया के बड़े-बड़े देश ऐसा नहीं कर पा रहे लेकिन भारत आज career women को 26 हफ्ते की paid maternity leave दे रहा है: PM @narendramodi
हमारे दिव्यांग भाई-बहनों की क्या शक्ति है, ये हमने हाल के पैरालंपिक में फिर अनुभव किया है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
बीते वर्षों में दिव्यांगों को सशक्त करने के लिए भी कानून बनाए गए हैं, उनको नई सुविधाओं से जोड़ा गया है: PM @narendramodi
भारत ने इसी कोरोना काल में गरीबों, असहायों, बुजुर्गों को सीधे उनके खाते में आर्थिक सहायता दी है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
प्रवासी श्रमिकों के लिए ‘वन नेशन वन राशन कार्ड’ की सुविधा भी शुरू की गई है, ताकि वो देश में कहीं भी जाएँ, उन्हें राशन के लिए भटकना न पड़े: PM @narendramodi
मानवाधिकारों से जुड़ा एक और पक्ष है, जिसकी चर्चा मैं आज करना चाहता हूं।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
हाल के वर्षों में मानवाधिकार की व्याख्या कुछ लोग अपने-अपने तरीके से, अपने-अपने हितों को देखकर करने लगे हैं: PM @narendramodi
एक ही प्रकार की किसी घटना में कुछ लोगों को मानवाधिकार का हनन दिखता है और वैसी ही किसी दूसरी घटना में उन्हीं लोगों को मानवाधिकार का हनन नहीं दिखता।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
इस प्रकार की मानसिकता भी मानवाधिकार को बहुत ज्यादा नुकसान पहुंचाती है: PM @narendramodi
मानवाधिकार का बहुत ज्यादा हनन तब होता है जब उसे राजनीतिक रंग से देखा जाता है, राजनीतिक चश्मे से देखा जाता है, राजनीतिक नफा-नुकसान के तराजू से तौला जाता है।
— PMO India (@PMOIndia) October 12, 2021
इस तरह का सलेक्टिव व्यवहार, लोकतंत्र के लिए भी उतना ही नुकसानदायक होता है: PM @narendramodi
The Mantra of 'Sabka Saath, Sabka Vikas, Sabka Vishwas, Sabka Prayas' guarantees human rights to every person. pic.twitter.com/PWh22ubRAl
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021
At the core of our efforts- ensuring dignity to every individual. pic.twitter.com/Cv10CNsonf
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021
On one hand, India has been courageously fighting a once in a lifetime global pandemic while at the same time, we ensured that the basic rights of every individual are respected.
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021
I feel proud that even at the peak of COVID-19, 80 crore Indians got access to free food grains. pic.twitter.com/D3a3EqQ8ME
मानवाधिकार का बहुत ज्यादा हनन तब होता है, जब उसे राजनीतिक चश्मे से देखा जाता है, राजनीतिक नफा-नुकसान के तराजू से तौला जाता है।
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021
इस तरह का सलेक्टिव व्यवहार लोकतंत्र के लिए भी बेहद नुकसानदायक होता है। pic.twitter.com/faV6w1DSiM
हम अपने साथ-साथ दूसरों के भी अधिकारों की चिंता करें, दूसरों के अधिकारों को अपना कर्तव्य बनाएं और हर किसी के साथ ‘सम भाव’ एवं ‘मम भाव’ रखें। pic.twitter.com/u8r4aNXFJj
— Narendra Modi (@narendramodi) October 12, 2021