Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লী, ০১  জুলাই, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে সমস্ত চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে আজকের দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ডাঃ রায়কে বড় মাপের চিকিৎসক বলে উল্লেখ করেছেন। গত দেড় বছর ধরে মহামারীর সংকটের সময় চিকিৎসকরা যে পরিষেবা দিচ্ছেন তার জন্য ১৩০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শ্রী মোদী ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখছিলেন।  

চিকিৎসকদের অবদানের কথা স্বীকার করে এই মহামারীর সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা স্মরণ করেছেন। মানব জাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে যেসব চিকিৎসক প্রাণ দিয়েছেন তিনি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রী মোদী বলেছেন, করোনার ফলে যেসব চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে আমাদের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা সেগুলির সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাহায্যে আমাদের চিকিৎসকরা নতুন এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এই  ভাইরাসকে মোকাবিলা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা ক্ষেত্র অবহেলিত ছিল। ভারতের বিপুল জনসংখ্যা সত্বেও এদেশে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যা পিছু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট কম। যে কোন মৃত্যুই বেদনাদায়ক, কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের ফলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আর এর জন্য পুরো কৃতিত্ব কঠোর পরিশ্রমী চিকিৎসক, কঠোর পরিশ্রমী স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির কর্মীদের প্রাপ্য।   

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ১৫ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ বছর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে- ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যেসব জায়গায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথাযথ নয় সেইসব অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ঋণ নিশ্চয়তা প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন নতুন এইমস, মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে মাত্র ৬টি এইমস ছিল। এখন ১৫টি এইমস তৈরির কাজ চলছে। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দেড়গুণ বাড়ানো হয়েছে। স্নাতক স্তরে ডাক্তারির আসন সংখ্যাও দেড়গুণ বাড়ানো হয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরে ৮০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।   

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যেকোন সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তার জন্য কঠোর আইন রয়েছে। এছাড়াও কোভিড যোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা যাতে মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করেন এবং যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেন। যোগের সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য তিনি চিকিৎসকদের প্রশংসা করেছেন। যোগের বিষয়ে প্রচার গত শতাব্দীতে স্বাধীনতার পরই শুরু করা উচিৎ ছিল। কিন্তু সেই কাজ এখন করা হচ্ছে। যোগ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী প্রামান্য তথ্যভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি আইএমএ-র কাছে জানতে চেয়েছেন যোগ নিয়ে এ ধরণের কাজ তারা করতে পারেন কিনা। আন্তর্জাতিক সাময়িক পত্রগুলিতে যোগের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশে তিনি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতাগুলি নথিভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। অভিজ্ঞতা, রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসার পরিকল্পনাগুলি বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন ওষুধ এবং নানা ধরণের চিকিৎসার ফল সম্পর্কে গবেষণার কাজে এগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্রী মোদী বলেছেন, আমাদের চিকিৎসকরা যত সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা করেন এতো বিপুল সংখ্যক রোগীর  চিকিৎসা বিশ্বে অন্য কোথাও হয়না। এখন সময় এসেছে এই অভিজ্ঞতা সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার। কোভিড মহামারী এই কাজটি শুরু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আমরা যদি টিকা কিভাবে কাজ করছে, দ্রুত শনাক্তকরণের ফলে কতটা সুবিধা হচ্ছে এইসব বিষয়গুলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি তাহলে সেটি মানব জাতির পক্ষে লাভজনক হবে। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত শতকের মহামারীগুলির বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে সমস্ত তথ্য প্রমাণ প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা নথিভুক্ত করতে পারি যা মানব জাতির পক্ষে সহায়ক হবে।

 

CG/CB/NS