আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক নমস্কার! আজ সারা বিশ্ব জুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ইস্টার পালন করছেন। আমি সবাইকে ইস্টারের অনেক শুভকামনা জানাই।
আমার যুবা বন্ধুরা, আপনারা সবাই এখন পরীক্ষায় ব্যস্ত। কিছু লোকের হয়তো পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। আর কিছু লোকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে – কারণ একদিকে পরীক্ষা, অন্যদিকে টি-২০ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ। আজও হয়ত আপনারা ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছেন। এর আগে ভারত পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলায় অসাধারণ ভাবে জয়ী হয়েছে। খেলায় খুব ভাল গতি এসেছে। আজ ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে। আমি দু’দলের খেলোয়াড়দেরই আমার শুভকামনা জানাচ্ছি। আমাদের জনসংখ্যার
৬৫ শতাংশ যুব প্রজন্ম। আর খেলার দুনিয়ায় আমরা যদি হেরে যাই, তো সে দুঃখের কথা। খেলার দুনিয়ায় এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ক্রিকেটের মত এখন ফুটবল, হকি, টেনিস, কাবাডি – সব খেলার প্রতি ভারতে আগ্রহ বেড়েছে। আজ আমি যুব প্রজন্মকে আর এক খুশির খবর শুনিয়ে আমার প্রত্যাশার কথা জানাতে চাই। আপনারা তো নিশ্চয়ই এই খবর এখন জানতে পেরে গেছেন যে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে অনূর্দ্ধ-১৭ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করছে আমাদের দেশ। সারা বিশ্বের ২৪টি দল খেলার জন্য ভারতে আসবে। ১৯৫১, ১৯৬২-র এশিয়ান গেমসে ভারত স্বর্ণপদক জয়ী হয়েছিল আর ১৯৫৬-র অলিম্পিক গেমসে ভারত চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য – গত কয়েক দশকে আমরা ক্রমাগত নিম্নস্থান পেয়ে আসছি – হেরে যাচ্ছি – পিছু হটছি – পিছিয়ে যাচ্ছি – পিছিয়েই যাচ্ছি। এখন তো ফিফাতে আমাদের স্থান এত নীচে নেমে গেছে যে কোনও কথা বলার সাহসই আমরা করতে পারি না। অন্য দিকে আমি দেখছি যে বর্তমানে ভারতের যুব প্রজন্মের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বেড়ে চলেছে। ই-পি-এল হোক, স্প্যানিশ লীগ হোক বা ইণ্ডিয়ান সুপার লীগ-এর খেলা হোক, আমাদের দেশের যুব প্রজন্ম এই বিষয়ে খবরাখবর পাওয়ার জন্য, টিভিতে খেলা দেখার জন্য সময় বার করে নেয়। এই কথা বলার তাৎপর্য এই যে, খেলার প্রতি আগ্রহ তো বাড়ছে। কিন্তু এত বড় সুযোগ যখন ভারতের সামনে এসেছে, তখন আমরা শুধু আয়োজন করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ করব? এই পুরো বছর জুড়ে আমরা এক ফুটবল-ফুটবল পরিবেশ তৈরি করে তুলতে পারি। স্কুলে, কলেজে, দেশের প্রতিটি কোণে আমাদের যুবা প্রজন্ম, আমাদের স্কুলের ছেলেরা তাদের ঘাম ঝরাক। চতুর্দিকে ফুটবল খেলা হোক। যদি এটা করতে পারি, তবেই তো আয়োজনের মজা আসবে আর এই জন্য আমাদের সবার প্রচেষ্টা হওয়া উচিত ফুটবলকে গ্রামে গ্রামে অলিতে গলিতে পৌঁছে দেওয়ার। ২০১৭ ফিফা অনূর্দ্ধ-১৭ বিশ্বকাপ এমনই এক সুযোগ। এই এক বছরের মধ্যে আমরা চারদিকে যুবপ্রজন্মের মধ্যে ফুটবলের জন্য এক নতুন উদ্যম, এক নতুন উৎসাহ তৈরি করি। এই আয়োজনের একটা লাভ তো আমাদের আছেই, আমাদের এখানে পরিকাঠামো তৈরি হবে, খেলার জন্য যে সব সুযোগ-সুবিধা আবশ্যক, তার প্রতি মনোযোগ পড়বে। আমি তো তখনই এর আনন্দ পাব যখন যুব প্রজন্মের প্রত্যেককে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব।
বন্ধুরা, আপনাদের কাছে আমার এক প্রত্যাশা আছে। ২০১৭-র এই আয়োজন, এই সুযোগ কেমন হবে, আমাদের ফুটবলে গতি আনার জন্য বছরভর কী কী পরিকল্পনা করতে হবে, কী ধরনের প্রচার করতে হবে, বর্তমান ব্যবস্থায় কী সংশোধন করতে হবে, ফিফা অনূর্দ্ধ-১৭ বিশ্বকাপের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের খেলার প্রতি আগ্রহ কীভাবে বাড়ানো যায়, সরকারী স্তরে, প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলিতে, অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলিকে খেলার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন। ক্রিকেটে আমরা এই সবকিছু দেখতে পাই, কিন্তু অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রেও এই জিনিসগুলি আনতে হবে। ফুটবল এক সুযোগ। আপনারা কি আমাকে এই ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারেন? বিশ্বের সামনে ভারতের সম্মান বাড়ানোর এ এক মস্ত বড় অবসর বলে আমার মনে হয়। ভারতের যুবশক্তিকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করার এ এক সুযোগ বলে আমার মনে হয়। ম্যাচের সময় কি পেলাম, কি হারালাম এই অর্থে নয় – এই আয়োজন করার মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব ক্ষমতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, শক্তি প্রদর্শন করতে পারি, আর ভারতের ‘ব্র্যান্ডিং’-ও করতে পারি। আপনারা কি নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ-এ আপনাদের পরামর্শ পাঠাতে পারেন? লোগো কীরকম হবে, স্লোগান কীরকম হবে, সারা দেশে এই বিষয়ে উৎসাহ তৈরি করার জন্য কী কী করা উচিত, থিম সং কীরকম হবে, স্যুভেনির কী কী রকম তৈরি করা যেতে পারে – বন্ধুরা ভাবুন, আর আমি চাই যে, আমার প্রতিটি নওজোয়ান এই ২০১৭-র ফিফা অনূর্দ্ধ-১৭ বিশ্বকাপের দূত হয়ে উঠুন। ভারতের এক নতুন পরিচয় তুলে ধরার এই সুন্দর সুযোগে আপনারা সবাই সামিল হোন।
আমার প্রিয় বিদ্যার্থীরা, ছুটির সময় কোথায় বেড়াতে যাবেন তা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবনা-চিন্তা করেছেন। খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা বিদেশ যান, বেশির ভাগ মানুষই নিজের নিজের রাজ্যে কোথাও না কোথাও ৫ দিন – ৭ দিনের জন্য বেড়াতে যান। কিছু মানুষ রাজ্যের বাইরেও যান। আগের বারেও আমি আপনাদের বলেছিলাম, আপনারা যেখানেই যান না কেন, সেখান থেকে ফোটো আপলোড করুন। আর আমি দেখেছি যে, যে কাজ পর্যটন দপ্তর, সংস্কৃতি দপ্তর, রাজ্য সরকার ও ভারত সরকার করতে পারে নি, সেই কাজ দেশের এই রকম কোটি কোটি পর্যটক করে দিয়েছেন। এমন এমন জায়গার ফোটো আপলোড করেছেন যে দেখে সত্যিই আনন্দ পেয়েছি। এই কাজকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এবারেও আপনারা একইরকম ভাবে করুন, তবে এবার তার সঙ্গে কিছু লিখুন – শুধু ফোটোই নয়। আপনার লেখার যে ক্ষমতা আছে, তার প্রদর্শন করুন আর নতুন জায়গা দেখলে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয় – যে জিনিস আমরা শ্রেণিকক্ষে শিখতে পারি না, যা আমরা আমাদের পরিবারে শিখতে পারি না, যে জিনিস আমরা বন্ধুদের কাছ থেকে শিখতে পারি না, তা কখনও কখনও পর্যটনের মাধ্যমে শেখার অনেক বেশি সুযোগ পাওয়া যায় আর নতুন জায়গার নতুনত্বকে অনুভব করা যায়। লোক, ভাষা, খাওয়া-দাওয়া, সেখানকার আদব-কায়দা, না জানি আরও কত কিছু দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। আর সেই যে বলা হয় – ‘A traveller without observation is a bird without wing’। ভাল জিনিস দেখার শখ থাকলে নজরটাও তৈরি করতে হয়। ভারত বৈচিত্রে ভরা এক দেশ। একবার দেখার জন্য বেরিয়ে পড়ুন, জীবনভোর দেখতেই থাকবেন, দেখতেই থাকবেন। কখনই মন ভরবে না। আর আমি তো ভাগ্যবান, আমি ভ্রমণ করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না, প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না, আর আপনাদের মত অল্প বয়সের ছিলাম, আমি অনেক ঘুরেছি। বোধহয় ভারতবর্ষের এমন কোনও জেলা নেই, যেখানে আমার যাওয়ার সুযোগ হয় নি। জীবনকে তৈরি করার জন্য পর্যটনের এক বড় ভূমিকা আছে। আর এখন ভারতের যুবকরা সাহসের সঙ্গে পর্যটনে চলে যাচ্ছেন, কৌতূহল নিরসন করতে চলে যাচ্ছেন। আগের মত তাঁরা গতানুগতিক পথে না চলে, নতুন কিছু করতে চাইছেন – নতুন কিছু দেখতে চাইছেন। আমি একে একটা খুব ভাল নিদর্শন বলে মানি। আমাদের যুব প্রজন্ম সাহসী, যেখানে কেউ পা রাখেনি, সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা তাঁদের থাকা উচিত।
আমি কোল ইণ্ডিয়া-কে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই। নাগপুরের কাছে সাওনের-এ যেখানে কয়লাখনি আছে, সেখানকার ওয়েস্টার্ণ কোলফিল্ড লিমিটেড এক পরিবেশ বান্ধব ‘খনি পর্যটন এলাকা’ তৈরি করেছে। সাধারণত আমাদের মত মানুষের ভাবনাচিন্তা হচ্ছে – কয়লাখনি? তাহলে দূরেই থাকি। আমরা যখন সেখানকার মানুষের ছবি দেখি, আমাদের মনে হয় যে ওখানে গিয়ে কী লাভ। আর কথাই তো আছে যে কয়লাতে হাত কালো হয়, সেজন্যই লোক খনি থেকে দূরে চলে যায়। কিন্তু সেই কয়লা খনিকেই পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা? আর আমি খুশি যে এই তো সবে শুরু, এখন পর্যন্ত প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ নাগপুরের কাছে সাওনের গ্রামে পরিবেশ বান্ধব খনি পর্যটন কেন্দ্র দেখেছেন। এই জায়গা নিজেই নতুন জিনিস দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি আশা করব, ছুটিতে যদি আপনারা বাইরে বেড়াতে যান, তাহলে পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও কিছু কাজ আপনারা করতে পারবেন। আজকাল একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে – এই ব্যাপারে কম বা বেশি যা-ই হোক, আলোচনা কিন্তু হচ্ছে। হয়ত ব্যতিক্রমও আছে, তবু একটা সচেতনতা যে এসেছে – একথা বলা যেতেই পারে। পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে মানুষ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। পর্যটকরাও এই চেষ্টায় সামিল হচ্ছেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাঁরা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তাঁরাও এই কাজে যোগ দিচ্ছেন। হয়ত খুব বেশি বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ হচ্ছে না, কিন্তু হচ্ছে। আপনিও কি একজন পর্যটক হিসেবে পর্যটন কেন্দ্রের স্বচ্ছতায় গুরুত্ব দিতে পারেন না? আমার স্থির বিশ্বাস, আমাদের যুব বন্ধুরা এই বিষয়ে অবশ্যই সহায়তা করবেন। আর একথা সত্যি যে, পর্যটন থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়, অত্যন্ত দরিদ্র লোকেরাও এই ক্ষেত্র থেকে রোজগার করতে পারেন। পর্যটক যখন কোথাও বেড়াতে যান, তখন দরিদ্র হলেও তিনি কিছু তো কিনবেনই – ধনী হলে খরচের পরিমাণ হবে বেশি। অতএব পর্যটন থেকে প্রচুর রোজগারের সম্ভাবনা আছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত এখনও পর্যটনে অনেক পিছিয়ে আছে। কিন্তু আমরা একশো পঁচিশ কোটি দেশবাসী যদি মনে করি যে আমাদের পর্যটনকে শক্তিশালী করতে হবে, তাহলে আমরা অবশ্যই সারা বিশ্বকে আকর্ষণ করতে পারি। বিশ্বপর্যটনের এক বড় অংশকে আমরা এইভাবে নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারি। আর তাহলে আমাদের দেশের কোটি কোটি নব্য যুবার রোজগারের উপায় করে দেওয়া সম্ভব হবে। সরকার হোক, সংস্থা হোক, সমাজ হোক বা নাগরিক – এই কাজ সবাই মিলে করতে হবে। আসুন, আমরা সেই উদ্দেশ্যে কিছু কাজ করি।
আমার যুবা বন্ধুরা, ছুটিগুলো এমনি এমনি আসে আর চলে যায় – এটা আমার ভাল লাগে না। আপনারাও এই বিষয়টি ভাবুন। আপনারাও কি আপনাদের ছুটি, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলো, মহত্বপূর্ণ এই সময়গুলো এইভাবেই চলে যেতে দেবেন? আমি কতকগুলো বিষয় বলছি – আপনারা ভেবে দেখতে পারেন। আপনারা কি এই ছুটিতে নিজেদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আরও কোনও বাড়তি গুণ যোগ করার সঙ্কল্প নিতে পারেন না? যদি আপনি সাঁতার না জানেন তবে ছুটিতে সাঁতার শিখে নেওয়ার সঙ্কল্প করতে পারেন। যদি সাইকেল চালানো না জানা থাকে তাহলে পণ করুন, ছুটির দিনগুলোতে সাইকেল চালানো শিখবেন। আমি আজ পর্যন্ত দু’আঙুলে কম্পিউটার টাইপ করি – তাহলে কি টাইপিংটা শিখে নেব? আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাবার কতরকম কৌশলই না আছে – সেগুলোই শিখি না কেন! নাহয় আমাদের ঘাটতিগুলোকেই দূর করি। আমাদের নিজেদের শক্তিকে আরও বাড়াই। ভেবে দেখুন, এর জন্য যে খুব বড় কোনও ক্লাস দরকার, কোনও প্রশিক্ষক দরকার, বিরাট অঙ্কের ফিজ্ বা বড় বাজেট চাই – তা নয়। নিজের আশেপাশে তাকিয়ে দেখে যদি মনে করেন – ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে আপনি দারুণ কিছু বানাতে পারেন – তবে শুরু করে দিন, দেখুন কত আনন্দ পাবেন। দিনের শেষে দেখবেন জঞ্জাল থেকে আপনি কী অপূর্ব জিনিস বানিয়েছেন। আপনার ছবি আঁকার শখ আছে, কিন্তু ছবি আঁকতে পারেন না – আরে শুরু করেই দেখুন না, ঠিক এসে যাবে। ছুটির সময়টাতে নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য, নিজের ক্ষমতা, কর্মকুশলতা বাড়ানোর জন্য কিছু করুন। শুধু আমি যে ক্ষেত্রগুলির কথা বললাম, তা-ই নয়, তার বাইরে আরও অজস্র কাজের সুযোগ আছে। এর ফলে আপনার ব্যক্তিত্ব, আপনার আত্মবিশ্বাস যে কতখানি বেড়ে যাবে – দেখে নেবেন। ছুটির শেষে যখন স্কুল বা কলেজে ফিরে যাবেন, আর গিয়ে বন্ধুদের বলবেন – ভাই, আমি ছুটিতে এইটা শিখেছি; দেখবেন, যদি তারা কিছু না শিখে থাকে, তো ভাববে, এই যাঃ, আমার তো সর্বনাশ হয়ে গেল। তুমি তো দারুণ বুদ্ধিমান, কিছু শিখে এসেছো। বন্ধুদের মধ্যে এটা নিয়ে কথা হবে। আমি নিশ্চিত, আপনারা নিশ্চয়ই কিছু করবেন এবং আমাকে জানাবেন যে কী শিখলেন। কি – জানাবেন তো?
এবারের ‘মন কি বাত’-এর জন্য ‘মাই গভ’ পোর্টালে কিছু পরামর্শ এসেছে। যেমন –
“আমার নাম অভি চতুর্বেদী। নমস্কার, প্রধানমন্ত্রীজী, গতবার গরমের ছুটিতে আপনি বলেছিলেন, পাখিদেরও গরম লাগে। একটি পাত্রে জল ভরে আমাদের ব্যালকনি বা ছাদে রেখে দেওয়া দরকার। যা থেকে পাখিরা এসে জল খেয়ে যেতে পারবে। আমি এই কাজটি করে আনন্দ পেয়েছি। এই সুযোগে অনেক পাখির সঙ্গে আমার বন্ধুত্বও হয়ে গেছে। আমার অনুরোধ, আপনি ‘মন কি বাত’-এ এই বিষয়টা আবার বলুন। ধন্যবাদ!”
আমার প্রিয় দেশবাসীগণ, আমি অভি চতুর্বেদী নামে এই বালকটিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সে আমাকে একটা ভালো কাজের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। গতবার আমার মনে ছিল। আর তাই আমি বলেছিলাম যে, গরমের দিনে পাখিদের জন্য ঘরের বাইরে মাটির পাত্রে জল রাখুন। অভি আমাকে জানিয়েছে, সে সারা বছর এই কাজ করে চলেছে এবং অনেক পাখি তার বন্ধু হয়ে গেছে। হিন্দির মহান কবি মহাদেবী বর্মা পাখিদের খুব ভালবাসতেন। নিজের কবিতায় তিনি লিখেছিলেন – “তোকে দূরে যেতে দেবো না, উঠোন ভরে দেবো দানায়, পাত্রে ভরে দেবো মিষ্টি ঠাণ্ডা জল।” আসুন মহাদেবীজী-র এই কথাকে আমরা কাজে পরিণত করি। আমি অভিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, সেইসঙ্গে কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছি – তুমি আমাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে করিয়ে দিয়েছো।
মহীশূর থেকে শিল্পা কুকে আমাদের সকলের জন্য একটা খুব সংবেদনশীল বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বাড়ির পাশে দুধওয়ালা, খবরের কাগজওয়ালা, পোস্টম্যান আসেন। কখনও কখনও বাসনওয়ালা, কাপড় বিক্রিওয়ালাও ওই পথ দিয়ে যান। গরমের দিনে আমরা কি কখনও তাঁদের জল পান করতে ডেকেছি, কখনও কি জল দিয়েছি তাঁদের? শিল্পা, আমি আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ। কারণ আপনি এক অতি সংবেদনশীল বিষয়কে খুব সহজভাবে তুলে ধরেছেন। এটা ঠিক কথা। ব্যাপারটা খুবই সামান্য, কিন্তু গরমের সময় যদি পোস্টম্যান বাড়ির পাশে আসেন, আর আমরা তাঁকে জল খাওয়াই, তাহলে তাঁর কত ভাল লাগবে! অবশ্য ভারতের তো এটাই পরম্পরা। কিন্তু শিল্পা, আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আপনি এই জিনিসটা লক্ষ্য করেছেন।
আমার প্রিয় কৃষক ভাইবোনেরা, আপনারা ডিজিট্যাল ইণ্ডিয়ার কথা অনেক শুনেছেন। কিছু লোকের মনে হয়, ডিজিট্যাল ইণ্ডিয়া তো শহরের তরুণদের জগৎ! কিন্তু না, আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, আপনাদের সকলের সুবিধার্থে একটি ‘কিসান সুবিধা অ্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। আপনারা যদি এই অ্যাপটি আপনাদের মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে নেন, তাহলে কৃষি এবং আবহাওয়া সম্পর্কিত বহু তথ্য আপনার হাতে চলে আসবে। বাজারের অবস্থা কেমন, পাইকারি বাজারের পরিস্থিতি কি, এই সময়ে ভাল ফসলের যোগান কেমন, উপযুক্ত ওষুধ কোনটি, ইত্যাদি অনেক বিষয়ই এই অ্যাপে আছে। শুধু তা-ই নয়, এতে এমন একটি বাটন আছে, যা টিপলে সরাসরি কৃষি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। আর যদি আপনি কোনও প্রশ্ন তাঁদের সামনে রাখেন, তাঁরা তার জবাব দেবেন এবং আপনাকে বুঝিয়েও দেবেন। আমি আশা করি, আমার কৃষক ভাই-বোনেরা এই ‘কিসান সুবিধা অ্যাপ’ নিজেদের মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করবেন। চেষ্টা করে তো দেখুন, এটা আপনার কাজে লাগছে কিনা। যদি কোনও অসুবিধা থাকে তবে আমাকে অভিযোগ জানাতে পারেন।
আমার কৃষক ভাই-বোনেরা, অন্যদের তো গরমের ছুটি মানে বিশ্রামের সময়। কিন্তু কৃষকের জন্য এটা আরও ঘাম ঝরাবার মরশুম। তাঁরা বর্ষার জন্য অপেক্ষা করেন এবং বর্ষা আসার আগে নিজের ক্ষেতটিকে তৈরি করার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা শুরু করে দেন যাতে বর্ষার এক ফোঁটা জলও নষ্ট না হয়। কৃষকদের জন্য চাষ শুরুর আগের এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশবাসীকেও ভাবতে হবে জল ছাড়া কীভাবে চলবে? আমরা আমাদের নিজ নিজ এলাকার পুকুর, জল আসার রাস্তা, পুকুরে জল ভরার পথ যদি নোংরা জঞ্জাল ফেলে বন্ধ করে রাখি, তবে জল আসা বন্ধ হয়ে জলের সঞ্চয় ক্রমশ কমে যাবে। আমরা কি ওইসব পুরনো জায়গাগুলো আবার একবার খুঁড়ে, পরিষ্কার করে রাখতে পারিনা, যাতে বেশি জল সঞ্চয় করা যায়? যতটা জল বাঁচানো যাবে ততটাই লাভ। প্রথম বর্ষণে যদি জল বাঁচানো যায়, তবে পুকুর ভরে থাকবে, নদী-নালা ভরে থাকবে এবং পরে বৃষ্টি কম হলেও আমাদের ক্ষতি কম হবে। এবার আপনারা হয়তো দেখেছেন, ৫ লাখ পুকুর এবং চাষ জমির পুকুর বানানোর প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। ‘মনরেগা’ প্রকল্পের আওতায় জল সংরক্ষণের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
গ্রামে-গ্রামে জল বাঁচানো, আসন্ন বৃষ্টির প্রত্যেক ফোঁটা কী করে সংরক্ষণ করা যায়, গ্রামের জল গ্রামেই থাকুক – এই সব সচেতনতার অভিযান কীভাবে শুরু করা যায়, তার পরিকল্পনা আপনারা তৈরি করুন। এই সম্বন্ধীয় বিভিন্ন সরকারী যোজনায় আপনারা সামিল হোন, যাতে জলের গুরুত্ব এবং সংরক্ষণের জন্য সবাইকে নিয়ে এক জন-আন্দোলন গড়ে ওঠে। দেশের মধ্যে এমন অনেক গ্রাম আছে, অনেক প্রগতিশীল কৃষক রয়েছেন, অনেক সচেতন নাগরিক রয়েছেন, যাঁরা এই কাজ করছেন। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।
আমার কৃষক ভাই-বোনেরা, আমি আপনাদের আরও একটা কথা বলতে চাই। কিছুদিন আগে ভারত সরকার এক বড় কৃষি মেলার আয়োজন করেছিল। তাতে আমি দেখেছি, কত রকমের আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে আর তা কৃষিকাজে কত পরিবর্তন এনে দিয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তিগুলিকে এখন কৃষকের ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। আর এখন কৃষকরাও বলছেন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হবে। আমি এই মতকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাসায়নিক সারের অত্যধিক ব্যবহার আমাদের ধরিত্রী মাকে অসুস্থ করে দিয়েছে। আমরা ধরিত্রী মায়ের সন্তান। আমরা আমাদের ধরিত্রী মাকে অসুস্থ রাখতে চাই না। ভালো মশলা যদি রান্নায় দেওয়া হয়, তো রান্না ভাল হয়। কিন্তু ভাল ভাল মশলা যদি বেশি মাত্রায় দেওয়া হয়, তাহলে সেটা খেতে কি ভালো লাগে? সেটা খেতে নিশ্চয়ই ভাল লাগে না! রাসায়নিক সারের ব্যবহারও ঠিক এই রকম। যত ভাল সার-ই হোক না কেন, অতিরিক্ত এইসব সারের ব্যবহার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। প্রত্যেক জিনিষের ব্যবহার প্রয়োজনমত হওয়া দরকার। এতে খরচাও কম হয়, পয়সাও বাঁচে। আমি তো ভাবি, কম cost – বেশি output – কম খরচে বেশি উৎপাদন – এই নীতি নিয়ে আমাদের চলতে হবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের কৃষিকাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্ষাকাল আসতে এখনও ১-২ মাস বাকি। আমি আশা করছি, জল সংরক্ষণের জন্য যেসব আবশ্যক কাজ রয়েছে, এরই মধ্যে পুরো মনোযোগ দিয়ে এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারব। যত জল বাঁচবে, কৃষকদের ততটাই লাভ হবে আর জীবনও ঠিক ততটাই বাঁচবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ৭-ই এপ্রিল হল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’। এই বছর পৃথিবীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের থিম হল – ‘বিট ডায়াবেটিস’। অর্থাৎ ডায়াবেটিসকে পরাস্ত করুন। ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ, যেটা অন্যান্য সব রোগকেও ডেকে নিয়ে আসে। একবার যদি কারও ডায়াবেটিস হয়, তারপর অনেক রোগরূপী অতিথি নিজের ঘরে, শরীরে প্রবেশ করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আমাদের দেশে সাড়ে ৬ কোটি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। তিন শতাংশ মৃত্যুর কারণ হল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস দুই রকমের – টাইপ 1 ও টাইপ 2। টাইপ 1 হল বংশগত, মা-বাবার থাকলে, সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর টাইপ-2-র কারণ হল বদভ্যাস, বয়সজনিত এবং অতিরিক্ত ওজন। আমরা এদের নিমন্ত্রণ করে ডেকে নিয়ে আসি।
সমগ্র পৃথিবী ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত। এই জন্য ৭ তারিখ, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের থিম হল ডায়াবেটিস। আমরা সবাই জানি, ডায়াবেটিস-এর সবথেকে বড় কারণ হল আমাদের
লাইফ-স্টাইল। কায়িক পরিশ্রম কম হচ্ছে। ঘামের কোনও নাম-গন্ধ নেই। হাঁটাচলা হচ্ছে না। খেলাও আমরা অনলাইনে খেলছি। অফলাইন-এ কিছু হচ্ছে না। আমরা কি ৭ তারিখের অনুপ্রেরণা নিয়ে ডায়াবেটিস-কে পরাস্ত করার জন্য নিজস্ব জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি না? যদি আপনি যোগব্যায়ামে রুচি রাখেন, তাহলে যোগাভ্যাস করুন। না হলে অন্তত কিছু দৌড়-ঝাঁপ করুন। যদি আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিক সুস্থ হয়, তাহলে আমাদের ভারত সুস্থ থাকবে। কখনও কখনও আমরা সঙ্কোচবশত মেডিক্যাল চেক-আপ করাই না। আর তারপর যখন অবস্থা খুব সঙ্কটজনক হয়, তখন আমাদের মনে আসে যে আমরা ডায়াবেটিস-এর পুরনো রোগী। পরীক্ষা করতে তো কোনও কষ্ট নেই! এইটুকু তো করতেই পারেন। আর এখন তো সমস্ত সুযোগ-সুবিধা হাতের কাছেই, অনেক সহজেই হয়ে যায়। আপনি নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।
গত ২৪-শে মার্চ পৃথিবীতে ‘যক্ষ্মা দিবস’ পালিত হল। যখন আমি ছোটো ছিলাম, তখন যক্ষ্মার নাম শুনলেই ভয় পেতাম। ভাবতাম যে, মৃত্যু একেবারে শিয়রে। কিন্তু এখন যক্ষ্মা ভয়ের কারণ নয়। কারণ, এখন সবাই জানে যে, যক্ষ্মার চিকিৎসা সম্ভব ও খুব সহজেই তাকে সারানো যায়। কিন্তু যখন যক্ষ্মা মৃত্যুর কারণ ছিল, তখন আমরা ভয় পেতাম। কিন্তু এখন আমরা যক্ষ্মার পরোয়া করি না। সমগ্র পৃথিবীর তুলনায় আমাদের দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। যক্ষ্মা থেকে যদি মুক্তি পেতে হয়, তাহলে সঠিক চিকিৎসার দরকার এবং সার্বিক চিকিৎসার দরকার। আমাদের সঠিক ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা মাঝখানে ছেড়ে দিলে, নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়। যক্ষ্মা তো এমন একটা রোগ, যেটা আশেপাশের সবাই জানে, তাঁরাও চেক-আপ করার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন। যদি কাশি হয়, জ্বর থাকে, ওজন কমতে থাকে, তাহলে আশেপাশের লোকেরও সন্দেহ হতে পারে যে, ব্যক্তিটির যক্ষ্মা হয়েছে কিনা। এর মানে হল, এটি এমন একটা রোগ যার তাড়াতাড়ি পরীক্ষা দরকার।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এই বিষয়ে অনেক কাজ চলছে। ১৩,৫০০-র বেশি মাইক্রোস্কোপি সেন্টার রয়েছে। চার লাখেরও বেশি DOTs provider রয়েছে। অনেক আধুনিক পরীক্ষাগার রয়েছে আর, এসমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। আপনি একবার পরীক্ষা তো করান আর এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সঠিক চিকিৎসা করুন এবং রোগ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যান। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, যক্ষ্মা হোক বা ডায়াবেটিস – এদের আমাদের পরাস্ত করতে হবে। ভারতকে এই রোগগুলি থেকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু এটা কেবল সরকার, ডাক্তার, ওষুধ দিয়ে হবে না – যতক্ষণ না আপনারা এগিয়ে আসেন। আর এই জন্য আমি আজ দেশবাসীদের অনুরোধ করছি, আসুন, ডায়াবেটিস-কে পরাস্ত করুন এবং যক্ষ্মা থেকে মুক্তি পান।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এপ্রিল মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন আসছে। বিশেষ করে ১৪-ই এপ্রিল বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেদকর-এর জন্মদিন। ওঁর ১২৫-তম জন্ম-জয়ন্তী ধুমধামের সঙ্গে সারা দেশে পালিত হল। পঞ্চতীর্থের একটি ‘মহু’ ওঁর জন্মস্থান। লণ্ডনে ওনার পড়াশোনা। নাগপুরে দীক্ষা। ২৬, আলিপুর রোড, দিল্লি-তে ওঁর মহাপরিনির্বাণ হয়েছিল এবং মুম্বইতে যেখানে ওঁর শেষকৃত্য হয়েছিল সেই পূণ্যস্থল – এই পাঁচ তীর্থের উন্নতির জন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি। আমার সৌভাগ্য যে, এই বছর ১৪-ই এপ্রিল পূজনীয় বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর জন্মস্থান মহু যাওয়ার সৌভাগ্য হবে। দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার জন্য বাবাসাহেব আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। সেই পথ অনুসরণ করে দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে ওঁকে আমরা সবথেকে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারি। কিছুদিন পরে, বিক্রম অব্দ শুরু হচ্ছে। নতুন বিক্রম অব্দ আসবে। বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন নামে এই উৎসব পালিত হয়। কেউ এটাকে ‘নব সম্বৎসর’ বলে, কেউ ‘গুড়ি-পর্বা’, কেউ ‘বর্ষ প্রতিপদা’, আবার কেউ ‘উগাদী’ বলে। কিন্তু ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত জায়গায় এটি পালিত হয়। নববর্ষের জন্য সবাইকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন।
আপনারা জানেন, আমি গতবার বলেছিলাম যে, আমার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান প্রায় ২০টি ভাষায় আপনার সময় মতো যে কোনো সময় আপনার মোবাইল ফোনে শুনতে পারবেন। আপনাকে শুধু একটা মিসড কল করতে হবে। এই সুবিধা মাত্র একমাস হয়েছে, আর আমি খুশি হয়েছি যে, প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ এর থেকে লাভবান হয়েছেন। আপনিও নম্বরটি লিখে নিন – 81908 81908। আমি আবার বলছি, 81908 81908। আপনি মিসড কল করুন, আর যখন আপনার সুবিধা হবে, আপনি পুরনো ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানও আপনি আপনার মাতৃভাষায় শুনতে পাবেন। আমি খুশি হব, আপনার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন! অনেক অনেক ধন্যবাদ!
PG/SB
PM begins #MannKiBaat by conveying Easter greetings to people across the world. https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
PM congratulates Indian cricket team for their wins against Pakistan & Bangladesh & conveys best wishes for the match today. #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
समय है, खेलों में एक नई क्रांति के दौर का : PM @narendramodi on importance of sports #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
India had a good run in football earlier but that is not the case now. Our rankings are also very low: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
I see that our youth is enjoying football like EPL. Its important to take football to every village & FIFA U-17 is a great opportunity: PM
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
Due to the tournament that we are hosting, we will get an opportunity to create good sporting infrastructure also: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
मैं चाहूँगा कि मेरा हर नौजवान ये 2017 FIFA Under- 17 विश्व कप का ambassador बने: PM @narendramodi #MannKiBaat https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
भारत विविधताओं से भरा हुआ है | एक बार देखने के लिए निकल पड़ो, जीवन भर देखते ही रहोगे, देखते ही रहोगे : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
ज़िन्दगी को बनाने के लिए प्रवास की एक बहुत बड़ी ताक़त होती है : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
मैं Coal India को एक विशेष बधाई देना चाहता हूँ | Western Coalfields Limited (WCL), नागपुर के पास सावनेर, जहाँ Coal Mines हैं : PM
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
उस Coal Mines में उन्होंने Eco-friendly Mine Tourism Circuit develop किया है : PM @narendramodi #MannKiBaat https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
PM @narendramodi emphasises on cleanliness at tourist spots across India. #MyCleanIndia https://t.co/Iy8hu3Nre5 #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
My young friends, don't let your holidays go just like that. Pick up one skill during the holidays: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
Abhi Chaturvedi reminds PM of his message last year of giving water to birds during summer. #MannKiBaat https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
Shilpa shared on @mygovindia that we should ensure that we offer water to those who sell milk, newspapers, deliver posts etc. #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
आपको खुशी होगी कि एक ‘किसान सुविधा App’ आप सब की सेवा में प्रस्तुत किया है : PM @narendramodi talks to farmers during #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
This is a very important time for farmers. All of us have to think about one thing and that is water conservation: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
PM @narendramodi addressing farmers during #MannKiBaat. Join. https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
इस बार दुनिया ने ‘World Health Day’ को 'Beat Diabities’ - इस theme पर केन्द्रित किया है : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
A few days ago there was TB day. To fight TB you need correct and complete treatment: PM @narendramodi #MannKiBaat https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
और इसलिए मैं आज मेरे देशवासियों से आग्रह करता हूँ कि हम Diabetes को परास्त करें, TB से मुक्ति पाएँ : PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
PM is paying tributes to Dr. Ambedkar and talking about his life. Join. https://t.co/Iy8hu3Nre5
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
कुछ ही दिनों में, विक्रम संवत की शुरुआत होगी : PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
मेरी नव-वर्ष के लिए सब को बहुत-बहुत शुभकामनायें हैं : PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
मन की बात को सुनने के लिए, कभी भी सुन सकते हैं, 20 भाषाओँ में सुन सकते हैं, अपने समय पर सुन सकते हैं, अपने मोबाइल फ़ोन पर सुन सकते हैं: PM
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
81908-81908...आप missed call करिए और जब भी सुविधा हो, पुरानी ‘मन की बात’ भी सुनना चाहते हो, सुन सकते हो, अपनी भाषा में सुन सकते हो: PM
— PMO India (@PMOIndia) 27 March 2016
Today's #MannKiBaat will interest youngsters, students, tourists, farmers, sportspersons…do hear. https://t.co/cAOI1olf3f
— Narendra Modi (@narendramodi) 27 March 2016