Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত ২’০, (২৩তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ


আমার প্রিয় দেশবাসীনমস্কারআজ আপনাদের সঙ্গে ‘মন কি বাত’ এমন এক সময়  করছি  যখন করোনা আমাদের  সবার ধৈর্য ও আমাদের সবার দুঃখ সহ্য করার সীমার পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের অনেক নিজেদের লোক অসময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন । করোনার প্রথম ওয়েভের সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার পরে দেশ আত্মবিশ্বাসে ভরে উঠেছিলকিন্তু এই তুফান দেশকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। বন্ধুরাবিগত দিনে এই সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমাদের ফার্মা ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা হোকভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচার হোকঅক্সিজেনের প্রোডাকশন এর সঙ্গে যুক্ত লোকেরাই হোক বা  মেডিকেল ফিল্ডের অভিজ্ঞরানিজেদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ সরকারকে দিয়েছেন। এই সময় আমাদের এই লড়াই জেতার জন্য এক্সপার্ট আর বৈজ্ঞানিক পরামর্শকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ভারত সরকার সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকার গুলিও নিজেদের দায়িত্ব  পালন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুরাকরোনার বিরুদ্ধে এই সময় দেশের ডাক্তার আর হেলথ ওয়ার্কাররা অনেক বড় লড়াই করে যাচ্ছেন। বিগত এক বছরে ওঁদের এই অসুখ নিয়ে সব রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই সময় মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ডাক্তার শশাঙ্ক যোশী জি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ডাক্তার শশাঙ্ক জির করোনার চিকিৎসা আর এর সঙ্গে যুক্ত রিসার্চের তৃণমূলস্তরে অভিজ্ঞতা আছে। তিনি ইন্ডিয়ান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস এর ডিন ছিলেন। আসুন কথা বলি ডাক্তার শশাঙ্কের জি  সঙ্গে ঃ

মোদিজী   নমস্কার ডাক্তার শশাঙ্ক জি

ডাক্তার –   নমস্কার স্যার।

মোদিজী –   কিছুদিন  আগেই  আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল।  আপনার মতামতের স্পষ্টতা আমার খুব ভালো লেগে ছিল।  আমার  মনে হয়েছে দেশের সমস্ত নাগরিকের আপনার মতামত জানা প্রয়োজন। যেসব কথা শুনতে পাইসেগুলোই একটি প্রশ্নের আকারে আপনার সামনে তুলে ধরছি।   ডাক্তার  শশাঙ্ক আপনারা এই সময় দিন রাত জীবন রক্ষার কাজে নিযুক্ত আছেন।  সবার আগে আমি চাইবো যে আপনি সেকেন্ড ওয়েভের বিষয়ে সবাইকে বলুন।   মেডিকেলি  এটা কিভাবে আলাদা।  আর কি কি সাবধানতা জরুরি।

ডাক্তার শশাঙ্ক –   ধন্যবাদ স্যার,  এই যে দ্বিতীয় প্লাবন এসেছে এটা দ্রুততার সঙ্গে এসেছে। যতটা  প্রথম প্লাবন ছিল তার থেকে এই ভাইরাস বেশি দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে চলেছে।  কিন্তু ভালো কথা এই যে তার থেকেও দ্রুত গতিতে রিকভারিও হচ্ছে আর মৃত্যু হার অনেক কম।  এর মধ্যে দুতিনটে তফাৎ আছে।  প্রথমতএটা যুবদের  আর বাচ্চাদের  মধ্যেও অল্প দেখা দিচ্ছেএগুলির লক্ষণ হলো– প্রথমে যেমন লক্ষণ ছিল শ্বাসকষ্টশুকনো  কাশি,  জ্বর এগুলো তো  সব ছিলোই।  তার সঙ্গে গন্ধ অনুভূতি হীনতা,  স্বাদ না থাকাও আছে।  আর লোকেরা একটু ভয়ে আছেন। ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই 80 থেকে 90 শতাংশ লোকের মধ্যে এগুলির কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই মিউটেশন – মিউটেশন যা বলা হচ্ছে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।   এই মিউটেশন হতেই থাকে যেভাবে আমরা জামা কাপড় বদলাই  সেই ভাবেই ভাইরাস নিজের রং বদলাচ্ছে।  আর সেই জন্যেই একেবারেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।  আমরা এই ওয়েভটাও পার হয়ে যাব।  ওয়েভ আসে যায়আর এই ভাইরাস আসা যাওয়া করতে থাকে।  তো এটাই আলাদা আলাদা লক্ষণ।  আর মেডিকেলি আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই ১৪ থেকে ২১ দিনের এইযে কোভিডের টাইম টেবিল আছে।  এই সময়ের মধ্যেই ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মোদিজী  ডাক্তার শশাঙ্ক,  আমার  জন্য আপনি যে অ্যানালিসিস করে বলেছিলেন তা খুবই ইন্টারেস্টিং।  আমি অনেক চিঠি পেয়েছি।  যার মধ্যে ট্রিটমেন্টের বিষয়েও লোকেদের মধ্যে অনেক আশঙ্কা আছে। কিছু ওষুধের চাহিদা খুব বেশি।  এজন্য আমি চাই যে  কোভিডের  ট্রিটমেন্টএর  ব্যাপারেও আপনি অবশ্যই লোকেদের বলুন।

ডাক্তার শশাঙ্ক –  হ্যাঁ স্যারক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট লোকেরা অনেক দেরিতে শুরু করেন। মনে করেন নিজে থেকেই রোগ সেরে যাবে।  এই ভরসাতেই থাকেন। আর মোবাইলে আসা বার্তা উপর ভরসা রাখেন। অথচ যদি সরকারি নির্দেশ পালন করেন তাহলে এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় না। কোভিডে  ক্লিনিক ট্রিটমেন্ট প্রটোকল আছেযার মধ্যে তিন রকমের তীব্রতা আছে। হালকা বা মাইল্ড কোভিড,  মধ্যম বা মডারেট কোভিডআর তীব্র বা Severe কোভিড। যেটা হালকা কোভিডসেটার জন্য আমরা অক্সিজেনের মনিটরিং করে থাকি। পালসের মনিটরিং করে থাকিজ্বরের মনিটরিং করে থাকি,  জ্বর বেড়ে গেলে কখনো কখনো প্যারাসিটামল এর মত ওষুধের ব্যবহার করে থাকি। আর নিজেদের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।  যদি মডারেট কোভিড হয়ে থাকেমধ্যম কোভিড হোক  বা তীব্র গভীর হোকসেক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। সঠিক এবং সস্তা ওষুধ available আছে। এরমধ্যে স্টেরয়েড আছে সেটা প্রাণ বাঁচাতে পারেযেটা ইনহেলার দিতে পারে।  ট্যাবলেটও দেওয়া যেতে পারে। আর এর সঙ্গেই প্রাণবায়ুযা অক্সিজেন সেটাও দিতে হয়।  আর এই জন্য ছোট ছোট চিকিৎসা আছে।  কিন্তু সচরাচর যেটা হচ্ছেএকটা নতুন এক্সপেরিমেন্টাল ওষুধ আছে,  যার নাম রেমডেসিভির।  এই ওষুধে অবশ্যই একটা জিনিস হয়যে হাসপাতালে দুতিনদিন কম থাকতে হয়।  আর ক্লিনিক্যাল রিকভারি অল্পবিস্তর সাহায্য পাওয়া যায়। আর এই অউষুধ কখন কাজ করেযখন প্রথমে থেকে 10 দিনে দেওয়া হয়ে থাকে।  আর এটা পাঁচদিনই দিতে হয়। এই যে লোকেরা রেমডিসিভিরের পেছনে দৌড়চ্ছেএর কোনো দরকার নেই।  এই ওষুধটার  কাজ অল্পই।  যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়যারা হাসপাতালে ভর্তি হন,  আর ডাক্তার যখন বলেন তখন নিতে হয়।  তাই এটা সবাইকে বোঝানো খুবই জরুরী।  আমরা প্রাণায়াম করব,  আমাদের শরীরে যে Lungs আছে সেটাকে একটু এক্সপেন্ড করবআর আমাদের রক্ত পাতলা করার যে ইনজেকশন আছে যেটাকে আমরা হেপারিন বলে থাকি। এইসব ছোট ছোট ওষুধ দিলে ৯৮লোক ঠিক হয়ে যান।  তাই পজিটিভ থাকা অত্যন্ত জরুরী।  ট্রিটমেন্ট প্রোটোকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী।  আর যেসব দামি দামি ওষুধ আছে,  সেগুলির পিছনে দৌড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই।  স্যারআমাদের কাছে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।  প্রাণবায়ু অক্সিজেন আছে।   ভেন্টিলেটরেরও  সুবিধা আছে।  সবকিছুই আছে স্যার।  আর কখনো কখনো যদি এই  ওষুধ পাওয়া যায়  তাহলে চাহিদাসম্পন্ন লোকেদেরই দেওয়া উচিত।  তাই এই বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে।  আর এর জন্য স্পষ্ট করে বলতে চাই স্যার যে আমাদের কাছে বিশ্বের সবথেকে বেস্ট ট্রিটমেন্ট available আছে।  আপনি দেখবেন রিকভারি রেট ভারতে সবথেকে ভালো আপনি যদি ইউরোপের সঙ্গে তুলনা করেন। আমেরিকাতে রোগী সেরে উঠছেন আমাদের ট্রিটমেন্ট প্রটোকলে স্যার।  

মোদিজী   ডাক্তার শশাঙ্ক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ডাক্তার শশাঙ্ক আমাদের যা জানালেন তা অত্যন্ত জরুরী এবং আমাদের সব কাজে লাগবে।  বন্ধুরা আমি আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করছি,  আপনাদের যদি যেকোনো তথ্য জানার থাকেআর কোনো আশংকা থাকে তাহলে সঠিক Source থেকে জেনে  নেবেন।  আপনাদের যে ফ্যামিলি ডাক্তার আছেনআশেপাশের যে ডাক্তার আছেন আপনারা তাদের ফোন করে যোগাযোগ করুন।  এবং সঠিক পরামর্শ নিন।  আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের অনেক ডাক্তারই নিজেরাই এই দায়িত্ব নিচ্ছেন।  অনেক ডাক্তার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেদের সচেতন করছেন।  ফোনেহোয়াটসঅ্যাপেও কাউন্সেলিং করছেন।  অনেক হাসপাতালের  ওয়েবসাইট আছে সেখানে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানার ব্যবস্থা আছে।  আর সেখানে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শও নিতে পারবেন।  এটা খুবই প্রশংসনীয়। আমার সঙ্গে শ্রীনগর থেকে ডাক্তার নাবিদ নাজির শাহ্‌  রয়েছেন।  ডাক্তার নাবিদ শ্রীনগরের এক Government মেডিকেল কলেজের প্রফেসর। নবীদ জি  নিজের তত্ত্বাবধানে অনেক করোনা পেশেন্টকে  সারিয়ে তুলেছেন।  আর রমজানের এই পবিত্র মাসে ডাক্তার নাবিদ নিজের কর্তব্য পালন করছেন।  তিনি আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় বের করেছেন।  আসুন ওঁর সঙ্গে কথা বলি।

মোদিজী   নাবিদ জি নমস্কার।

নাবিদ   নমস্কার স্যার।

মোদিজী –   ডাক্তার নাবিদ ‘’মন কি বাত’’  এর আমাদের শ্রোতারা এই কঠিন সময়ে প্যানিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।  আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে  তাঁদের কি পরামর্শ দেবেন ?

নাবিদ   দেখুন যখন করোনা শুরু হয়েছিল,  তখন কাশ্মীরে যে প্রথম কোভিড হসপিটাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল সেটা ছিল আমাদের সিটি হসপিটাল।  যেটা মেডিকেল কলেজের আন্ডারে আসে।  সে সময়টা এক ভয়ের পরিবেশ ছিল।  কোভিডর ইনফেকশন হলেই লোকেরা মনে করতেন তাঁদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  আর এর ফলে আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক মহল এবং প্যারা মেডিকেল স্টাফদের মধ্যেও ভয়ের সঞ্চার হয়েছিল যে তাঁরা এই পেশেন্টদের কিভাবে চিকিৎসা করবেইনফেকশন হওয়ার মত বিপদ নেই তো  কিন্তু যেমন যেমন সময় এগিয়েছেআমরাও দেখলাম যেযদি সম্পূর্ণভাবে  আমরা প্রটেক্টিভ গিয়ার পরিধান করি এবং সুরক্ষা বিধি মেনে চলি তাহলে আমরাও সুরক্ষিত থাকতে পারবো। আর আমাদের যে বাকি স্টাফ আছে তারাও সুরক্ষিত থাকতে পারেন।  আর এর পরে আমরা দেখতে পেলাম রোগী বা কিছু লোক অসুস্থ ছিলেন যাঁরা asymptomatic,  যাদের  মধ্যে রোগের কোনো লক্ষণ ছিল না।  আমরা দেখলাম 90 থেকে  95 শতাংশের বেশি যে সমস্ত রোগী যাঁরা কোনো ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের মধ্যে করোনার যে ভয় ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা অনেক কমে গিয়েছে। আজ যখন করোনার এই সেকেন্ড ওয়েভ এসেছে তখনও আমাদের প্যানিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।  এই সময়েও যে সুরক্ষা বিধি আছে আর SOP আছেযদি সেগুলো ওপর আমরা গুরুত্ব দিইযেমন মাস্ক পরাহাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করাএ ছাড়াও ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেনটেন করা বা সোশ্যাল গ্যাদারিং এড়িয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকার্মও খুব ভালোভাবে করে যেতে পারব। তাহলে এই রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবো।

মোদিজী –   ডাক্তার নাবিদ,  ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও মানুষের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন আছে যেমন ভ্যাকসিন এর দ্বারা কতটা সুরক্ষা পাওয়া যাবে ? ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কতটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবোআপনি এ প্রসঙ্গে কিছু বলুন যাতে শ্রোতাদের উপকার হয়। 

ডাক্তার নাবিদ –   যখন করোনার ইনফেকশনের সন্মুখিন হলামতখন থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে কোভিড-19 এর সঠিক কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।  ফলে আমরা দুটো জিনিস দিয়ে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি।  একটা Protective Measures, আর আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে যদি কোন এফেক্টিভ ভ্যাকসিন আমাদের কাছে আসে তাহলে সেটা আমাদের এই রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। আর এখন আমাদের দেশে দুটো ভ্যাকসিন এইসময় আছেকোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড। যেগুলো এখানেই তৈরি হওয়া ভ্যাকসিন। Company গুলো যখন trial দিয়েছে দেখা গেছে যে সেগুলির কার্যকারিতা ৬০এর বেশি।  আর যদি আমরা জম্মু– কাশ্মীরের কথা বলি তাহলে আমাদের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন।  হ্যাঁ সোশ্যাল মিডিয়াতে এর যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা বা গুজব আছে যে এগুলোর সাইড ইফেক্ট আছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের এখানে যে সমস্ত ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে সেখানে কোন সাইডএফেক্ট পাওয়া যায়নি।  সাধারণত ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও জ্বর আসাসারা শরীর ব্যথা বা  লোকাল সাইড  অর্থাৎ ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা হওয়া  এমনই সাইডএফেক্ট আমরা প্রত্যেকের মধ্যে দেখেছি।  তেমন কোনো বিরূপ প্রতিক্রয়া আমরা দেখি নি।  আর হ্যাঁদ্বিতীয় কথা মানুষের মধ্যে এই আশঙ্কাও ছিল যে কিছু লোক আফটার ভ্যাকসিনেশন অর্থাৎ টিকাকরণের পরে পজিটিভ হয়েছেন। সেখানে কোম্পানী থেকেই Guideline ছিল টীকাকরণের পরেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকতে পারে এবং  পজেটিভ হতে পারে।  কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগের ভয়াবহতা কম থাকবে। অর্থাৎ তিনি পজেটিভ হতে পারেন কিন্তু জীবনহানির আশংকা কম। তাই টীকাকরণ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত।  যার যখন সময় আসবেকেননা পয়লা মে থেকে আমাদের সমগ্র দেশে যাদের ১৮ বছরের বেশি বয়স তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে।  তাই সবার কাছে এটাই আবেদন করব আপনারা আসুন ভ্যাকসিন লাগান এবং নিজেকেও প্রটেক্ট করুন।  আর সামগ্রিকভাবে আমাদের সোসাইটি ও আমাদের কমিউনিটি এর ফলে কোভিড ১৯ র  ইনফেকশন থেকে সুরক্ষিত হয়ে উঠবে।  

মোদিজী   ডাক্তার নাবিদ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।  এবং আপনাকে রমজানের পবিত্র মাসে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

ডাক্তার নাবিদ –   অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মোদিজী   বন্ধুগণ করোনার এই সংকটকালে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব সকলেই উপলব্ধি করতে পারছেন।  এর জন্য আমি চাই যে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনরকম অপপ্রচারে  কান দেবেন না। আপনারা সকলেই জানেন  যে ভারত সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারকে ফ্রি ভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে যার সুফল ৪৫ বছর  বয়সের ঊর্ধ্বের  লোকেরা পেতে পারবেন।  এখন তো পয়লা মে থেকে দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল ব্যক্তির জন্য ভ্যাকসিন উপলব্ধ হতে চলেছে।  এবার দেশের কর্পোরেট  সেক্টর কোম্পানিগুলোও  নিজেদের কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমি এটাও বলতে চাই যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের যে কর্মসূচি এখন চলছে সেটা আগামী দিনেও চলবে। আমি রাজ্যগুলোকেও বলতে চাইছি  যে তারা ভারত সরকারের এই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন অভিযানের সুবিধা নিজের নিজের রাজ্যের যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিক।  বন্ধুগণআমরা সবাই জানি এই রোগের প্রকোপের ফলে  আমাদের পক্ষে নিজেকে,  নিজের পরিবারকে দেখাশোনা করা  মানসিকভাবে কতটা দুরূহ হয়ে ওঠে।  কিন্তু আমাদের হাসপাতালের  নার্সিংস্টাফদের তো সেই কাজটাই একনাগাড়ে অসংখ্য রোগীদের জন্য একসঙ্গে করতে হয়।  এই সেবাভাবই আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় শক্তি।  নার্সিং স্টাফ এর সেবাদান আর পরিশ্রম এর ব্যাপারে সবথেকে ভালো বলতে পারবেন কোন  নার্স।  এইজন্য আমি রায়পুরের ডাক্তার বি আর আম্বেদকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  সেবারত সিস্টার ভাবনা ধুপ জি কে ‘’মন কি বাত’’এ  আমন্ত্রণ জানিয়েছি।  তিনি  অসংখ্য করোনা রোগীদের দেখাশোনা করেছেন।  আসুন ওঁর সঙ্গে কথা বলি।

মোদি   নমস্কার ভাবনা জি।

ভাবনা –  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জি নমস্কার।

মোদি   ভাবনা জি ?

ভাবনা   ইয়েস স্যার।

মোদি   ‘’মন কি বাত’’ র শ্রোতাদের আপনি অবশ্যই এটা বলুন যে আপনার পরিবারে এতগুলো দায়িত্ব পালনএতগুলো অর্থাৎ মাল্টি টাস্কআর  তার পরেও আপনি করোনা  রোগীদের সেবা করছেনকরোনা রোগীদের সঙ্গে কাজ করে আপনার যে অভিজ্ঞতা দেশবাসী অবশ্যই শুনতে চাইবেন।  কারণ যারা সিস্টার হন যারা নার্স হন তারা পেশেন্টের সবথেকে কাছের হয়ে থাকেনআর সব থেকে দীর্ঘ সময় তাঁরা রোগীদের সঙ্গে থাকেন।  তাই তাঁরা সমস্ত জিনিস খুব সূক্ষ্ম ভাবে বুঝতে পারেন।  আপনি বলুন।

ভাবনা   জি স্যার। আমার টোটাল কোভিড এক্সপেরিয়েন্স দু মাসের স্যার।  আমরা ১৪ দিন ডিউটি করি আর ১৪ দিন পরে আমাদের রেস্ট দেওয়া হয়তারপর দুই মাস পরে আমাদের এই কোভিড ডিউটি রিপিট হয় স্যার।  যখন আমার প্রথম কোভিড ডিউটি পড়ল তখন আমি সবার প্রথমে আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের এই কোভিড ডিউটির কথা জানাই। সেটা মে মাসের কথাআমি যখনি এটা জানালাম সবাই ভয় পেয়ে গেলবললেন ঠিক করে কাজ করতেএকটা emotional situation তৈরি হয়েছিল। মাঝে যখন আমার মেয়ে জিজ্ঞেস করেছিল যে মা তুমি কোভিড ডিউটিতে যাচ্ছ সেইসময়টা আমার জন্য খুব emotional moment ছিল। কিন্তু যখন আমি কোভিড পেশেন্টদের পাশে গেলামদেখলাম তাঁরা আরো বেশি ভীতিগ্রস্ত। কোভিডের নামে সবাই এত ভয় পেয়েছিলযে ওঁরা বুঝতেই পারছিল না যে ওঁদের সঙ্গে কি হতে চলছেআর আমরা এরপর কি করবো। আমরা ওঁদের ভয় দূর করার জন্য ওঁদের খুব ভালো Healthy Environment দিয়েছিস্যার। কোভিড ডিউটির প্রথমেই আমাদের PPE কিট পরতে বলা হয়েছিল, PPE কিট পরে ডিউটি করা খুব কঠিন কাজ। স্যারআমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ছিল। আমি দু মাসের ডিউটিতে সব জায়গায় ১৪ দিন করে ডিউটি করেছি Ward এ , ICU তে, Isolation এ স্যার।

মোদি জি – অর্থাৎ সব মিলিয়ে আপনি প্রায় একবছর এই কাজটা করছেন।

ভাবনা – ইয়েস স্যারঅখানে যাওয়ার আগে আমি জানতাম না আমার কলীগ কারাআমরা টীম মেম্বারের মতো কাজ করেছি। রোগীদের যে সব সমস্যা ছিল আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিতাম। আমরা রোগীদের সম্বন্ধে জানলামওঁদের stigma দূর করলাম। অনেক লোক এমন ছিল যাঁরা কোভিডের নামে ভয় পেত। যখন আমরা তাঁদের History লিখতামকোভিডের সমস্ত symptom তাঁদের মধ্যে পাওয়া যেত কিন্তু ওঁরা ভয়ের জন্য Test করাতে চাইতেন না। তখন আমরা ওঁদের বোঝাতামস্যার যখন severity বেড়ে যেত ততক্ষনে ওঁদের Lungs already infected হয়ে থাকতো এবং ICU এর প্রয়োজন হতো। তখন সঙ্গে তাঁদের পুরো ফ্যামিলি আসতো। এরকম এক দুটো কেস আমি দেখেছি স্যার।  আর শুধু  এটাই করিনি।  সমস্ত এজ গ্রুপের সঙ্গেই কাজ করেছি স্যার আমি।  যার মধ্যে ছোট বাচ্চাও ছিল।  মহিলাপুরুষপ্রবীণ সব রকম পেশেন্ট ছিল স্যার।  ওদের সবার সঙ্গেই আমি কথা বলেছি। তো সবাই বলে  যে আমি ভয়ের কারণে আসতে পারিনি।  সবার কাছ থেকেই  আমরা এই উত্তর পেয়েছি স্যার।  তাই আমরা ওঁদের বুঝিয়েছি স্যার।  যে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।  আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরাও আপনাদের সহযোগিতা করব।   ব্যাস আপনার যে প্রটোকল আছে সেটা মেনে চলুন। আমরা এইটুকুই ওঁদের জন্য করতে পেরেছি স্যার।

মোদিজী – ভাবনা জি, আপনার সঙ্গে কথা বলে আমার খুব ভালো লেগেছেআপনি অনেক কথা জানালেন।  আপনার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বললেন তাই অবশ্যই দেশবাসীর কাছে এর একটা পজিটিভিটির  মেসেজ  পৌঁছবে।  আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবনা জি। 

ভাবনা   থ্যাংক ইউ সো মাচ স্যার থ্যাংক ইউ সো মাচ। জয় হিন্দ।

মোদিজী   জয় হিন্দ। 

ভাবনা জী এবং আপনাদের মত nursing staff দের হাজার হাজার ভাই বোনেরা নিজেদের দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করছেন। এটা আমাদের সবার জন্যই প্রেরণাদায়কআপনারা আপনাদের নিজেদের স্বাস্থের দিকেও ভাল করে নজর দিন। নিজেদের পরিবারের দিকেও মনোযোগ দিন

বন্ধুরাবেঙ্গালুরু থেকে সিস্টার সুরেখা জী এখন আমাদের সঙ্গে আছেনসুরেখা জী K C General Hospital এর Senior Nursing Officer.আসুন তাঁর অভিজ্ঞতাও শুনি

মোদী জী– নমস্কার সুরেখা জী,

সুরেখা– আমি আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে সত্যি গর্বিত  সম্মানিত বোধ করছি

মোদীজী– সুরেখা জী আপনি  আপনার সহকর্মী নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীরা অসাধারণ কাজ করছেন। ভারতবর্ষ আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন সেই সব নাগরিকদের আপনি কি বলতে চান?

সুরেখা জী– হ্যাঁ স্যারএকজন দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার সুবাদে আমি সবাইকে বলতে চাই যে নিজের প্রতিবেশিদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। প্রাথমিক পর্য্যায়ে পরীক্ষা  সঠিক ট্র্যাকিং মৃত্যুহার কমাতে সাহায্য করবেএবং আরো বলতে চাই যে যদি কোন লক্ষণ দেখেন তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আলাদা রাখুন  নিকটবর্তী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করুনসমাজে এই রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা জরুরীআমাদের আশাবাদী হওয়া উচিত,ভয় পাবেন না  দুশিন্তা করবেন না। এতে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়আমরা আমাদের সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ  একটা ভ্যাক্সিনের জন্য গর্বিতও আমি ভাক্সিন নিয়েছিআমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে ভারতের নাগরিকদের একটা কথা বলতে চাইব যে কোন ভাক্সিন  সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ভাগ নিরাপত্তা দিতে পারেনা । প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে  সময় লাগে। ভ্যাক্সিন নিতে ভয় পাবেন না। নিজেরা ভাক্সিন নিনএর সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে আমি বলতে চাই সবাই বাড়িতে থাকুনসুস্থ থাকুনঅসুস্থ মানুষদের থেকে দূরে থাকুনবার বার নাকে মুখে চোখে অকারণে হাত দেবেন না। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখুনসঠিক ভাবে মাস্ক পরুন, বারবার হাত ধুয়ে নিন এবং ঘরোয়া শুশ্রুষাগুলি যতটা সম্ভব পালন করুন আয়ূর্বেদিক কাড়া পান করুন,গরম জলের ভাপ নিন গার্গল করুন  নিশ্বাস প্রশ্বাসের কিছু ব্যায়াম করতে পারেনসবশেষ কিন্তু শেষ কথা নয়, frontline কোভিড যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। আমরা আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই আমরা এক সঙ্গে লড়াই করবএভাবেই আমরা অতিমারীকে হারাতে পারব মানুষের জন্য এটাই আমার বার্তা স্যার।

মোদীজী– ধন্যবাদ সুরেখা জী ।

সুরেখা জীধন্যবাদ স্যার ।

সুরেখা জীসত্যিই আপনি খুব কঠিন সময়ে হাল ধরে আছেন। আপনি নিজের যত্ন নিন। আপনার পরিবারের প্রতিও আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আমি দেশবাসীকেও বলতে চাই যে যেমনটা ভাবনা জী ও সুরেখা জী নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বললেনকোরোনার সঙ্গে লড়বার জন্য positive spirit খুব জরুরীদেশবাসীকে এটা বজায় রাখতে হবে

বন্ধুরাডাক্তার এবং নার্সিং স্টাফেরদের সঙ্গে সঙ্গে ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার দের মতো ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররাও ঈশ্বরের মতো কাজ করছেন । যখন কোনো আম্বুল্যান্স কোনো রোগীর কাছে পৌঁছয় তখন তাকে দেবদূত বলে মনে হয়। এঁদের সবার কাজের ব্যাপারে এঁদের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে দেশের সবার জানা উচিতআমার সঙ্গে এখন এমনই এক ভদ্রলোক আছেন শ্রী প্রেম বর্মা যিনি একজন অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভারএঁর নাম শুনেই তা বোঝা যায়। প্রেম বর্মা জী নিজের কাজনিজের কর্তব্য সম্পুর্ণ প্রেম ও নিষ্ঠা র সঙ্গে করেন। আসুন ওঁর সাথে কথা বলি

মোদী জী– নমস্কার প্রেম জী,

প্রেম জী– নমস্কার মোদীজ,

মোদীজী– ভাই প্রেম ,

প্রেম জী– হ্যাঁ স্যার ,

মোদীজী– আপনি আপনার কাজের ব্যাপারে

প্রেম জী– হ্যাঁ স্যার ,

মোদী জী– একটু বিস্তারিত ভাবে জানানআপনার যা অভিজ্ঞতা সেটাও জানান,

প্রেম জীআমি CAT এর ambulance driver , যখনই কন্ট্রোল আমাদের ট্যাবে কল করে১০২ থেকে যখন কল গুলো আসে আমরা পেশেন্টের কাছে চলে যাই। এইভাবে আমি দু বছর ধরে ক্রমাগত এই কাজটিই করে আসছি নিজের কিট পরে নিজের গ্লাভস মাস্ক পরেপেশেন্ট যেখানে উনি ড্রপ করতে বলেনযেকোনো হসপিটালেআমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে সেখানে ড্রপ করি

মোদীজী– আপনি ভ্যাক্সিনের দুটো ডোজই পেয়ে গেছেন নিশ্চয়

প্রেম জী– হ্যাঁ স্যার

মোদীজী– তাহলে অন্যরা ভ্যাক্সিন নিক। এইব্যাপারে আপনি কি বলতে চান?

প্রেম জী– নিশ্চয় স্যার সবারই এই ডোজ নেওয়া উচিত আর এটা পরিবারের জন্যেও ভালো এখন আমার মা বলেন এই চাকরী ছেড়ে দাও আমি বলেছিমাযদি আমি চাকরি ছেড়ে বসে থাকি তবে অন্য পেশেন্টদের কে কিভাবে পৌঁছে দেবেকারন এই করোনার সময়ে সবাই পালাচ্ছেসবাই চাকরি ছেড়েছুড়ে চলে যাচ্ছে মা ও আমায় বলেন এই চাকরি ছেড়ে দিতে আমি বলেছি না মা আমি চাকরি ছাড়ব না

মোদীজী– মাকে কষ্ট দেবেন নামাকে বুঝিয়ে বলবেন,

প্রেম জী– হ্যাঁ ,

মোদী জি– কিন্তু এই যে আপনি মায়ের কথা বললেন,

প্রেম জী– হ্যাঁ,

মোদী জী– এটা খুবই মর্মস্পর্শী,

প্রেম জী– হ্যাঁ

মোদীজীআপনার মাকেও,

প্রেম জী– হ্যাঁ

মোদীজী– আমার প্রণাম জানাবেন,

প্রেম জী– নিশ্চয়,

মোদীজী– হ্যাঁ

প্রেম জী– হ্যাঁ

মোদীজিপ্রেম জী আমি আপনার মাধ্যমে ,

প্রেম জী– হ্যাঁ

মোদীজী– এই যারা অ্যাম্বুল্যান্স চালায় আমাদের সেই ড্রাইভার রাও

প্রেম জী– হ্যাঁ

মোদীজী – বড় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন,

প্রেম জী– হ্যাঁ,

মোদীজী– আর সবার মায়েরা কি ভাবেন,

প্রেম জী– নিশ্চয় স্যার,

মোদীজী– এই কথা যখন শ্রোতা দের কাছে পৌঁছবে।

প্রেম জী– হ্যাঁ,

মোদীজি– আমি নিশ্চিত জানি যে তাদের ও হৃদয় স্পর্শ করবে।

প্রেম জী– হ্যাঁ,

মোদীজি– প্রেম জি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি তো প্রায় প্রেমের গঙ্গা বইয়ে দিচ্ছেন

প্রেম জী– ধন্যবাদ স্যার,

মোদীজী– ধন্যবাদ ভাই,

প্রেম জী– ধন্যবাদ,

বন্ধুরাপ্রেমজী এবং আরো এরকম হাজার হাজার মানুষ,আজ নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে চলেছেনকরোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে যতো জীবন বাঁচছে তাতে অ্যম্বুলেন্স ড্রাইভার দের ও বিশাল বড় অবদান আছে প্রেম জী আপনাকে ও সারাদেশে আপনার সব সঙ্গীকে আমি অনেক অনেক সাধুবাদ জানাই। আপনি সময়ে পৌঁছোনজীবন বাঁচান

আমার প্রিয় দেশবাসী,এটা ঠিক যে করোনায় বহু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন কিন্তু করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কিন্তু ততোটাইগুরুগ্রামের প্রীতি চতুর্বেদী ও সম্প্রতি করোনা কে হারিয়ে দিয়েছেন প্রীতি জী “মন কি বাত” এ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের সবার খুব কাজে লাগবে

মোদীজী– প্রীতি জি নমস্কার

প্রীতি জি– নমস্কার স্যার আপনি কেমন আছেন?

মোদীজী– আমি ভাল আছিসবথেকে আগে আমি আপনাকে covid -19 

প্রীতি জি – হ্যাঁ

মোদীজী– সাফল্যের সঙ্গে লড়বার জন্যে

প্রীতি জি –হ্যাঁ

মোদীজীপ্রশংসা জানাই

প্রীতি জি –thank you so much sir

মোদীজী– আপনার স্বাস্থ্য আরো দ্রুত ভালো হয়ে উঠুক এই কামনা করি

প্রীতি জি –ধন্যবাদ স্যার

মোদীজী– প্রীতি জি

প্রীতি জি –হ্যাঁ স্যার

মোদীজী– এতে কি শুধু আপনিই অসুস্থ হয়েছিলেন নাকি আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সংক্রমিত হয়েছিলেন?

প্রীতি – না না স্যার আমি একলাই হয়েছিলাম

মোদিজি– যাক ঈশ্বরের অসীম কৃপা আচ্ছা আমি চাই

প্রীতি –হ্যাঁ স্যার।

মোদিজি– যে আপনি যদি আপনার কষ্টের সময়ের অভিজ্ঞতার কথা সবাইকে জানান তবে হয়তো শ্রোতারাও এই রকম সময়ে কিভাবে নিজেদের সামলাবেন তার একটা পথনির্দেশ পাবেন

প্রীতি হ্যাঁ স্যার নিশ্চয়স্যার initial stage এ আমার খুব লেথার্জীমানে খুব আলস্য আলস্য লাগত আর তার পরে না আমার গলা একটু একটু খুশ খুশ করতে লাগলএরপর আমার মনে হল যে এগুলো symptom তাই আমি টেস্ট করাবার জন্যই টেস্ট করালাম পরের দিন রিপোর্ট আসা মাত্রই যেই দেখালাম আমি পজিটিভআমি নিজেকে কোয়ারান্টিন করে ফেললামএকটা ঘরে আইসোলেট করে আমি ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করলাম ওদের বলে দেওয়া ওষুধ ও শুরু করে দিলাম

মোদীজি– তাহলে আপনার এই quick action এর কারণে আপনার পরিবার রক্ষা পেল

প্রীতি– হ্যাঁ স্যারসবারই টেষ্ট পরে করানো হয়ে ছিল সবাই নেগেটিভ ছিল আমিই পজিটিভ ছিলাম আগেই আমি নিজেকে একটা ঘরে আইসোলেট করে নিয়ে ছিলাম নিজের প্রয়োজনের সব জিনিসপত্র নিয়ে আমি নিজেই ঘরে বন্ধ ছিলাম। তার সঙ্গে সঙ্গে আমি ডাক্তারদের দেওয়া ওষুধ ও শুরু করে দিয়ে ছিলামস্যার আমি না ওষুধের সঙ্গে যোগ ব্যায়ামআয়ূর্বেদিক ও শুরু করে দিয়ে ছিলামআর আমি কাঢ়া খাওয়াও শুরু করেছিলাম। আর স্যার immunity boost করবার জন্য আমি যখনই খেতাম হেলদি ফুডমানে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতাম। আমি প্রচুর ফ্লুইড খেয়েছিস্টিম নিয়েছি গার্গল করেছি আর গরম জল খেয়েছি। আমি সারাদিন ধরে এই সব করেছি রোজ আর স্যার সব থেকে বড় কথা আমি বলতে চাই যে একদম ঘাবড়াবেন না মানসিক ভাবে খুব স্ট্রং থাকতে হবেযার জন্য আমি যোগ ব্যায়াম ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতামওটা করলে আমার খুব ভাল লাগতো।

মোদীজী– হ্যাঁ আচ্ছা প্রীতি জী যখন আপনার এই প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ হয়ে গেল আপনি সংকট মুক্ত হলেন

প্রীতি– হ্যাঁ

মোদীজি– এখন আপনার রিপোর্টও নেগেটিভ

প্রীতি– হ্যাঁ স্যার

মোদীজী– তাহলে আপনি আপনার স্বাস্থের জন্যএর দেখাশোনার জন্য এখন কি করছেন?

প্রীতি– স্যার প্রথমত আমি যোগ ব্যায়াম বন্ধ করিনি

মোদীজি– হ্যাঁ

প্রীতিঠিক আছেআমি এখোনো কাঢ়া খাচ্ছি আর নিজের ইমিউনিটি ভাল রাখবার জন্য আমি সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছি এখনো

মোদীজিহ্যাঁ

প্রীতি– আমি যেমন আগে নিজেকে খুব অবহেলা করতাম সেদিকে এখন খুব মনোযোগ দিচ্ছি 

মোদিজি– ধন্যবাদ প্রীতি জি

প্রীতি– thank you so much sir

মোদীজিআপনি আমাদের যা জানালেন আমার মনে হয় এটা বহু মানুষের কাজে লাগবে আপনি সুস্থ থাকুন আপনার পরিবারের লোকেরা সুস্থ থাকুকআপনাকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা 

আমার প্রিয় দেশবাসীআজ যেমন আমাদের মেডিকেল ফিল্ডের লোকেরাফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার রা দিন রাত সেবার কাজ করে যাচ্ছেন তেমনই সমাজের অন্য লোকেরাও এই সময়ে পিছিয়ে নেই। দেশ আবার একবার একজোট হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে  এই সময়ে আমি দেখতে পাচ্ছি কেউ কোয়ারান্টিনে থাকা পরিবারের জন্য ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে কেউ সব্জী দুধ ফল ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছে । কেউ বিনা মূল্যে রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিচ্ছে এই কঠিন সময়েও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা গুলি এগিয়ে এসে অন্যের সাহায্যের জন্য যেটুকু করা সম্ভব করার চেষ্টা করছে। এবার গ্রামে ও নতুনভাবে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে  কঠোর ভাবে কোভিড নিয়মের পালন করে মানুষ নিজের গ্রামকে করোনা থেকে বাঁচাচ্ছেনযারা বাইরে থেকে আসছেন তাদের জন্যেও সঠিক ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। শহরেও তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে এসেছেন। যারা নিজেদের এলাকায় যাতে করোনা কেস না বাড়ে তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনঅর্থাৎ এক দিকে দেশ দিনরাত হাসপাতালভেন্টিলেটর আর ওষুধ নিয়ে কাজ করছে তো অন্য দিকে দেশের মানুষ ও জান প্রাণ দিয়ে করোনার চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুদ্ধ করছেএই চিন্তাটা আমাদের অনেক শক্তি দেয়অনেক বিশ্বাস দেয়। যা যা চেষ্টা হচ্ছে তা বিরাট বড় সমাজ সেবা। এতে সমাজের শক্তি বাড়ে

আমার প্রিয় দেশবাসী আজ মন কি বাত এর পুরো আলোচনাটাই আমি করোনা মহামারীর ওপরেই রেখেছিলাম কারণ এই রোগকে হারানোই এখন আমাদের প্রাথমিকতা। আজ ভগবান মহাবীর জয়ন্তীও এর জন্য আমি প্রত্যেক দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাইভগবান মহাবীরের বার্তা আমাদের তপস্যা ও আত্মসংযমের প্রেরনা দেয় এখন রমজানের পবিত্র মাসও চলছেসামনে বুদ্ধপূর্ণিমা। গুরু তেগবাহাদুরের চারশোতম প্রকাশ পর্বও আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন পঁচিশে বৈশাখ –রবীন্দ্রজয়ন্তীও আছেএগুলো সবই আমাদের নিজেদের কর্তব্য করে যাওয়ার প্রেরণা দেয় একজন নাগরিক হওয়ার সুবাদে আমরা আমাদের নিজেদের জীবনে যতটা কুশলতার সঙ্গে নিজেদের কর্তব্য পালন করবততই দ্রুতগতিতে সংকট মুক্ত হয়ে আমরা ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাব। এই কামনার সঙ্গে আমি আপনাদের সবাইকে আবার একবার বলতে চাই যে ভ্যাক্সিন সবাইকে নিতে হবে এবং সাবধান ও থাকতে হবে ‘দবাই ভী– কড়াই ভী’। এই মন্ত্র কখোনোই ভুললে চলবেনা আমরা একসঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি এই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসব। এই বিশ্বাস সহ আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নমস্কার