নমস্কার,
নমস্কার আমার প্রিয় দেশবাসী,
করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারীর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।
আপনাদের সমস্ত দেশবাসীর তপস্যা, আপনাদের ত্যাগের ফলে ভারত এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে হওয়া লোকসানকে অনেকটাই প্রতিহত করতে সফল হয়েছে।
আপনারা কষ্ট সহ্য করেও নিজেদের দেশকে বাঁচিয়েছেন। নিজেদের ভারতবর্ষকে বাঁচিয়েছেন।
আমি জানি যে, আপনাদের কত কষ্ট হয়েছে।
কারও খাদ্যের সমস্যা, কারও যাতায়াতের সমস্যা, কেউ ঘর-পরিবার থেকে দূরে, কিন্তু আপনারা দেশের স্বার্থে এক নিয়মানুবর্তী সেপাইয়ের মতো নিজেদের কর্তব্য পালন করছেন। আমি আপনাদের সবাইকে সাদর প্রণাম জানাই।
আমাদের সংবিধানে যে, ‘উই দ্য পিউপল অফ ইন্ডিয়া, উই দ্য পিউপল অফ ইন্ডিয়া’র শক্তির কথা বলা হয়েছে – এটাই তো সেই শক্তি।
বাবাসাহেব ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতে আমাদের ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে, আমাদের সামগ্রিক শক্তির এই প্রদর্শন, এই সংকল্প বাবাসাহেব’কে সত্যিকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাবাসাহেবের জীবন আমাদের প্রত্যেক সমস্যাকে, আমাদের সংকল্প শক্তি এবং পরিশ্রমের সাহায্যে অতিক্রম করার নিরন্তর প্রেরণা যোগায়। আমি সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বাবাসাহেব’কে প্রণাম জানাই।
বন্ধুগণ,
এটা দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের সময়েও। এমনিতে ভারত উৎসবে ভরে থাকে, উৎসবে সবুজ থাকে, উৎসবের মাঝে হাস্যোচ্ছ্বল থাকে।
বৈশাখী, পয়লা বৈশাখ, পুথান্ডু, বোহাগ বিহু, বিশু সহ অনেক রাজ্যে নববর্ষের সূত্রপাত হ’ল।
লকডাউনের এই বন্ধনের মাঝে দেশের মানুষ যেভাবে নিয়মগুলি পালন করছেন, যত সংযম মেনে, নিজেদের বাড়িতে থেকে, উৎসবগুলি অত্যন্ত আড়ম্বরহীনভাবে পালন করছেন, এইসব দৃষ্টান্ত অত্যন্ত প্রেরণাদায়ী, অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আমি নববর্ষ উপলক্ষে আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যের মঙ্গল কামনা করি।
বন্ধুগণ,
আজ গোটা বিশ্বে করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারীর যে পরিস্থিতি, আমরা সবাই তার সঙ্গে খুব ভালোভাবেই পরিচিত।
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত কিভাবে নিজের দেশে সংক্রমণ প্রতিহত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে, আপনারা এ সম্পর্কে জেনেছেন, সাক্ষীও থেকেছেন।
যখন আমাদের দেশে করোনার একটাও ঘটনা ছিল না, তার আগেই ভারত করোনা প্রভাবিত দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং শুরু করে দিয়েছিল।
করোনা রোগীর সংখ্যা ১০০ পৌঁছনোর আগেই ভারত বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীর ১৪ দিনের ‘আইসোলেশন’ অনিবার্য করে দিয়েছিল।
অনেক স্থানে শপিং মল, থিয়েটার, ক্লাব, জিম ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
বন্ধুগণ,
যখন আমাদের দেশে করোনার মাত্র ৫৫০টি ঘটনা ছিল, তখনই ভারত ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল।
ভারত, সমস্যা বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করেনি, বরং যখনই সমস্যা দেখেছে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তখনই আটকানোর পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বন্ধুগণ,
এমনিতে, এটি এমন সঙ্কট, যখন অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তুলনা করা উচিৎ নয়, কিন্তু তবুও কিছু সত্যকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এটাও একটা সত্য যে, যদি বিশ্বের বড় বড় শক্তিশালী দেশের করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই, তাদের তুলনায় ভারত আজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে রয়েছে।
মাস – দেড় মাস আগে অনেক দেশ করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এক প্রকার ভারতের মতো অবস্থাতেই ছিল। আজ, সেই দেশগুলিতে ভারতের তুলনায় করোনার ঘটনা ২৫-৩০ গুণ বেশি বেড়ে গেছে।
সেই দেশগুলিতে হাজার হাজার মানুষের দুঃখজনক মৃত্যু হয়েছে।
ভারত যদি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহন করে সুসংহত প্রচেষ্টা না চালাতো, যথাসময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিত, তা হলে আজ ভারতের অবস্থা কী হ’ত, তার কল্পনাই বিরাট ভীতির সঞ্চার করে ।
দেখুন, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে এটা স্পষ্ট যে, আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি, আজকের পরিস্থিতিতে সেটাই আমাদের জন্য সঠিক।
সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউনের সবচেয়ে বড় লাভ দেশ পেয়েছে।
যদি শুধুই আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন, তা হলে এটি ব্যয়সাপেক্ষ অবশ্যই, অনেক বড় মূল্য দিতে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভারতবাসীর জীবনের সঙ্গে এর কোনও তুলনা হতে পারে না।
সীমিত সম্পদ নিয়ে ভারত যে পথে এগিয়েছে, সেই পথের প্রশংসা সারা বিশ্বে হওয়াটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক।
দেশের রাজ্য সরকারগুলি, স্থানীয় স্বায়ত্ত্ব শাসনাধীন সংস্থাগুলিও অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছে। ২৪ ঘন্টা ধরে প্রত্যেকেই নিজেদের দায়িত্ব সামলানোর চেষ্টা করে গেছে, আর পরিস্থিতিকে সামলেছেও।
কিন্তু বন্ধুগণ,
এতসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও করোনা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সমগ্র বিশ্বে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এবং সরকারগুলিকে আরও বেশি সতর্ক করে দিয়েছে। ভারতেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এখন কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো, আমরা কিভাবে বিজয়ী হবো, আমাদের দেশে লোকসান কতটা কমানো যায়, মানুষের কষ্ট কিভাবে কমানো যায় – এই বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিরন্তর আলাপ-আলোচনা চালিয়েছি। আর এই সমস্ত আলোচনায় একটি বিষয় উঠে এসেছে, প্রত্যেকের এটাই পরামর্শ, নাগরিকদের পক্ষ থেকেও এই পরামর্শ পেয়েছি যে, লকডাউনকে বাড়ানো হোক।
অনেক রাজ্য তো আগে থেকেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।
বন্ধুগণ,
সমস্ত পরামর্শ মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ভারতে লকডাউনকে এখন তেসরা মে পর্যন্ত আরও বাড়াতে হবে। অর্থাৎ, তেসরা মে পর্যন্ত আমাদের সবাইকে, প্রত্যেক দেশবাসীকে লকডাউনের মধ্যেই থাকতে হবে।
এই সময়ের মধ্যে আমাদের নিয়মানুবর্তিতাকে তেমনভাবেই পালন করতে হবে, যেভাবে আমরা করে আসছি।
আমি সমস্ত দেশবাসীকে অনুরোধ জানাই যে, এখন করোনাকে আমাদের যে কোনও মূল্যে নতুন এলাকায় ছড়াতে দেওয়া চলবে না।
স্থানীয় স্তরে এখন একজন রোগী বাড়লে, এটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় হওয়া উচিৎ।
কোথাও করোনায় একজন মানুষের মৃত্যু হলে আমাদের দুশ্চিন্তা আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিৎ।
আর সেজন্য আমাদের হটস্পটগুলিকে চিহ্নিত করে আগের থেকেও বেশি, অনেক বেশি সতর্কতা বাড়াতে হবে।
যে স্থানগুলি হটস্পটে পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলির দিকেও আমাদের কড়া নজর রাখতে হবে, কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুন হটস্পট তৈরি হওয়া আমাদের পরিশ্রম এবং আমাদের তপস্যাকে আরও প্রতিস্পর্ধা জানাবে, নতুন সঙ্কট তৈরি করবে।
সেজন্য, আগামী এক সপ্তাহে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কঠোরতা আরও বেশি বাড়ানো হবে।
২০শে এপ্রিল পর্যন্ত প্রত্যেক এলাকা, প্রত্যেক থানা, প্রত্যেক জেলা, প্রত্যেক রাজ্যকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে, সেখানে লকডাউন কতটা পালন করা হচ্ছে, সেই এলাকার করোনা থেকে নিজেদের কতটা রক্ষা করেছে – এগুলির মূল্যায়ন নিরন্তর করা হবে।
যে এলাকা এই অগ্নি পরীক্ষায় সফল হবে, যাঁরা নিজেদের এলাকায় হটস্পট বাড়তে দেবে না, আর যাঁদের হটস্পটে পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে, সেই এলাকাগুলিতে ২০শে এপ্রিল থেকে কিছু জরুরি গতিবিধির অনুমতি ও ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
কিন্তু মনে রাখবেন, এই অনুমতি শর্তসাপেক্ষ হবে, বাইরে বেরোনোর নিয়ম অত্যন্ত কঠোর হবে।
লকডাউনের নিয়ম যদি ভাঙা হয়, আর করোনার পা আমাদের এলাকায় দেখা যায় তাহলে সমস্ত অনুমতি আবার দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সেজন্য কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন হবেন না, অন্যদেরও দায়িত্ব জ্ঞানহীন হতে দেবেন না।
আমার দেশবাসী,
আগামীকাল এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন জারি করা হবে।
বন্ধুগণ,
২০শে এপ্রিল থেকে চিহ্নিত এলাকাগুলিতে এই সীমিত ছাড়ের ব্যবস্থা, আমাদের গরিব ভাইবোনদের জীবিকার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে। যাঁরা দিন এনে দিন খান, দৈনিক রোজগারের মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন মেটান, তাঁদের নিয়ে আমার বৃহৎ পরিবার।
আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি হ’ল – তাঁদের জীবনে আসা সমস্যাগুলিকে দূর করা।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে সরকার তাঁদের সাহায্য করার যাথাসম্ভব চেষ্টা করেছে।
এখন নতুন গাইডলাইন রচনার সময়েও তাঁদের হিতের কথা সম্পূর্ণ মনে রাখা হয়েছে।
এই সময় রবিশস্য কাটার কাজও চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি একসঙ্গে চেষ্টা করছে, যাতে কৃষকদের যথাসম্ভব কম সমস্যা হয়।
বন্ধুগণ,
দেশে ওষুধ থেকে শুরু করে রেশন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ভান্ডার রয়েছে। সরবরাহ শৃঙ্খলের বাধাগুলি লাগাতার দূর করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। যেখানে জানুয়ারিতে আমাদের একটি মাত্র ল্যাব ছিল, সেখানে এখন ২২০টিরও বেশি ল্যাবরেটরিতে টেস্টিং – এর কাজ চলছে।
বিশ্বের অভিজ্ঞতা এটা বলে, করোনার ১০ হাজার রোগী হলে, ১,৫০০ – ১,৬০০ শয্যার প্রয়োজন হয়। ভারতে আজ আমরা ১ লক্ষেরও বেশি শয্যার ব্যবস্থা করে নিয়েছি। শুধু তাই নয়, ৬০০টিরও বেশি এমন হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলিতে শুধু কোভিড চিকিৎসার কাজ চলছে। এই পরিষেবাগুলিকে আরও দ্রুতগতিতে বাড়ানো হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আজ ভারতের কাছে যতই সীমিত সম্পদ থাকুক, কিন্তু আমার ভারতের যুব বিজ্ঞানীদের প্রতি বিশেষ আবেদন, বিশ্ব কল্যাণের জন্য, মানব কল্যাণের জন্য আমার নবীন বন্ধুরা, আপনারা এগিয়ে আসুন। করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য আমাদের দেশের নবযুবকেরা, আমার দেশের বৈজ্ঞানিকরা সংকল্প নিন।
বন্ধুগণ,
আমরা যদি ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করি, নিয়ম মেনে চলি, তা হলে করোনার মতো মহামারীকেও পরাস্ত করতে পারবো।
এই বিশ্বাস নিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করার আগে আমি আপনাদের সঙ্গ চাইছি, ৭টি বিষয়ে আপনাদের সঙ্গ চাইছি।
প্রথমত : আপনার বাড়ির বয়স্ক মানুষদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে, এমন ব্যক্তি, যাঁদের পুরনো রোগ আছে, তাঁদের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হতে হবে। তাঁদের করোনা থেকে অনেক সামলে রাখতে হবে।
দ্বিতীয়ত : লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের ‘লক্ষ্মণ রেখা’ সম্পূর্ণ রূপে পালন করুন, বাড়িতে তৈরি ফেস কভার বা মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করুন।
তৃতীয়ত : নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশাবলী পালন করুন। গরম জল ও ভাতের ফ্যান নিয়মিত পান করুন।
চতুর্থত : করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ অবশ্যই ডাউনলোড করুন। অন্যদেরও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে প্রেরণা যোগান।
পঞ্চমত : যতটা সম্ভব আপনার প্রতিবেশী গরিব পরিবারগুলির দেখাশোনা করুন। তাঁদের খাদ্যের প্রয়োজন মেটান।
ষষ্ঠত : আপনারা নিজেদের ব্যবসা এবং আপনাদের শিল্পোদ্যোগে কর্মরত মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল হন, কাউকে চাকরি থেকে বের করে দেবেন না।
সপ্তমত : দেশের করোনা যোদ্ধা, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান দিন।
বন্ধুগণ,
সম্পূর্ণ নিষ্ঠা নিয়ে তেসরা মে পর্যন্ত লকডাউনের নিয়ম পালন করুন। যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
‘বয়ং রাষ্ট্রে জাগৃয়াম’ – আমরা সবাই দেশকে প্রাণবন্ত এবং জাগ্রত করে রাখি।
এই কামনা নিয়ে আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
CG/SB/SB
कोरोना वैश्विक महामारी के खिलाफ भारत की लड़ाई,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
बहुत मजबूती के साथ आगे बढ़ रही है।
आपकी तपस्या,
आपके त्याग की वजह से भारत अब तक,
कोरोना से होने वाले नुकसान को काफी हद तक टालने में सफल रहा है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
मैं जानता हूं,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
आपको कितनी दिक्कते आई हैं।
किसी को खाने की परेशानी,
किसी को आने-जाने की परेशानी,
कोई घर-परिवार से दूर है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
लेकिन आप देश की खातिर,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
एक अनुशासित सिपाही की तरह अपने कर्तव्य निभा रहे हैं।
हमारे संविधान में जिस
We the People of India की शक्ति की बात कही गई है,
वो यही तो है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
बाबा साहेब डॉक्टर भीम राव आंबेडकर की जन्म जयंती पर,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
हम भारत के लोगों की तरफ से अपनी सामूहिक शक्ति का ये प्रदर्शन,
ये संकल्प,
उन्हें सच्ची श्रद्धांजलि है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
लॉकडाउन के इस समय में देश के लोग जिस तरह नियमों का पालन कर रहे हैं,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जितने संयम से अपने घरों में रहकर त्योहार मना रहे हैं,
वो बहुत प्रशंसनीय है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आज पूरे विश्व में कोरोना वैश्विक महामारी की जो स्थिति है,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
आप उसे
भली-भांति जानते हैं।
अन्य देशों के मुकाबले,
भारत ने कैसे अपने यहां संक्रमण को रोकने के प्रयास किए,
आप इसके सहभागी भी रहे हैं और साक्षी भी: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
जब हमारे यहां कोरोना के सिर्फ 550 केस थे,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
तभी भारत ने
21 दिन के संपूर्ण लॉकडाउन का एक बड़ा कदम उठा लिया था।
भारत ने,
समस्या बढ़ने का इंतजार नहीं किया,
बल्कि जैसे ही समस्या दिखी, उसे,
तेजी से फैसले लेकर उसी समय रोकने का प्रयास किया: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
भारत ने holistic approach
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
न अपनाई होती,
integrated approach
न अपनाई होती,
तेज फैसले न लिए होते तो आज भारत की स्थिति कुछ और होती।
लेकिन बीते दिनों के अनुभवों से ये साफ है कि हमने जो रास्ता चुना है, वो सही है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
अगर सिर्फ आर्थिक दृष्टि से देखें तो अभी ये मंहगा जरूर लगता है लेकिन भारतवासियों की जिंदगी के आगे,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
इसकी कोई तुलना नहीं हो सकती।
सीमित संसाधनों के बीच,
भारत जिस मार्ग पर चला है,
उस मार्ग की चर्चा आज दुनिया भर में हो रही है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इन सब प्रयासों के बीच,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
कोरोना जिस तरह फैल रहा है,
उसने विश्व भर में हेल्थ एक्सपर्ट्स और सरकारों को और ज्यादा सतर्क कर दिया है।
भारत में भी कोरोना के खिलाफ लड़ाई अब आगे कैसे बढ़े,
इसे लेकर मैंने राज्यों के साथ निरंतर बात की है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
सभी का यही सुझाव है कि लॉकडाउन को बढ़ाया जाए।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
कई राज्य तो पहले से ही लॉकडाउन को बढ़ाने का फैसला कर चुके हैं।
साथियों,
सारे सुझावों को ध्यान में रखते हुए ये तय किया गया है कि भारत में लॉकडाउन को अब 3 मई तक और बढ़ाना पड़ेगा: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
यानि 3 मई तक हम सभी को,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
हर देशवासी को लॉकडाउन में ही रहना होगा।
इस दौरान हमें अनुशासन का उसी तरह पालन करना है,
जैसे हम करते आ रहे हैं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
मेरी सभी देशवासियों से ये प्रार्थना है कि अब कोरोना को हमें किसी भी कीमत पर नए क्षेत्रों में फैलने नहीं देना है।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
स्थानीय स्तर पर अब एक भी मरीज बढ़ता है तो ये हमारे लिए चिंता का विषय होना चाहिए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इसलिए हमें Hotspots को लेकर बहुत ज्यादा सतर्कता बरतनी होगी।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जिन स्थानों के Hotspot में बदलने की आशंका है उस पर भी हमें कड़ी नजर रखनी होगी।
नए Hotspots का बनना,
हमारे परिश्रम और हमारी तपस्या को और चुनौती देगा: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
अगले एक सप्ताह में कोरोना के खिलाफ लड़ाई में कठोरता और ज्यादा बढ़ाई जाएगी।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
20 अप्रैल तक हर कस्बे,
हर थाने,
हर जिले,
हर राज्य को परखा जाएगा, वहां लॉकडाउन का कितना पालन हो रहा है,
उस क्षेत्र ने कोरोना से खुद को कितना बचाया है,
ये देखा जाएगा: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
जो क्षेत्र इस अग्निपरीक्षा में सफल होंगे,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जो Hotspot में नहीं होंगे,
और जिनके Hotspot में बदलने की आशंका भी कम होगी,
वहां पर 20 अप्रैल से कुछ जरूरी गतिविधियों की अनुमति दी जा सकती है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इसलिए,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
न खुद कोई लापरवाही करनी है
और न ही किसी और को लापरवाही करने देना है।
कल इस बारे में सरकार की तरफ से एक विस्तृत गाइडलाइन जारी की जाएगी: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
जो रोज कमाते हैं,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
रोज की कमाई से अपनी जरूरतें पूरी करते हैं,
वो मेरा परिवार हैं।
मेरी सर्वोच्च प्राथमिकताओं में एक,
इनके जीवन में आई मुश्किल को कम करना है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
अब नई गाइडलइंस बनाते समय भी उनके हितों का पूरा ध्यान रखा गया है।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
इस समय रबी फसल की कटाई का काम भी जारी है।
केंद्र सरकार और राज्य सरकारें मिलकर,
प्रयास कर रही हैं कि किसानों को कम से कम दिक्कत हो: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
हेल्थ इन्फ्रास्ट्रक्चर के मोर्चे पर भी हम तेजी से आगे बढ़ रहे हैं।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जहां जनवरी में हमारे पास कोरोना की जांच के लिए सिर्फ एक लैब थी,
वहीं अब 220 से अधिक लैब्स में टेस्टिंग का काम हो रहा है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
भारत में आज हम एक लाख से अधिक Beds की व्यवस्था कर चुके हैं।
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
इतना ही नहीं,
600 से भी अधिक ऐसे अस्पताल हैं, जो सिर्फ कोविड के इलाज के लिए काम कर रहे हैं।
इन सुविधाओं को और तेजी से बढ़ाया जा रहा है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आज भारत के पास भले सीमित संसाधन हों,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
लेकिन मेरा भारत के युवा वैज्ञानिकों से विशेष आग्रह है कि विश्व कल्याण के लिए,
मानव कल्याण के लिए,
आगे आएं,
कोरोना की वैक्सीन बनाने का बीड़ा उठाएं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
हम धैर्य बनाकर रखेंगे,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
नियमों का पालन करेंगे तो कोरोना जैसी महामारी को भी परास्त कर पाएंगे।
इसी विश्वास के साथ अंत में,
मैं आज 7 बातों में आपका साथ मांग रहा हूं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
पहली बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
अपने घर के बुजुर्गों का विशेष ध्यान रखें
- विशेषकर ऐसे व्यक्ति जिन्हें पुरानी बीमारी हो,
उनकी हमें Extra Care करनी है, उन्हें कोरोना से बहुत बचाकर रखना है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
दूसरी बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
लॉकडाउन और Social Distancing की लक्ष्मण रेखा का पूरी तरह पालन करें ,
घर में बने फेसकवर या मास्क का अनिवार्य रूप से उपयोग करें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
तीसरी बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
अपनी इम्यूनिटी बढ़ाने के लिए, आयुष मंत्रालय द्वारा दिए गए निर्देशों का पालन करें,
गर्म पानी,
काढ़ा,
इनका निरंतर सेवन करें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
चौथी बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
कोरोना संक्रमण का फैलाव रोकने में मदद करने के लिए आरोग्य सेतु मोबाइल App जरूर डाउनलोड करें।
दूसरों को भी इस App को डाउनलोड करने के लिए प्रेरित करें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
पांचवी बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जितना हो सके उतने गरीब परिवार की देखरेख करें,
उनके भोजन की आवश्यकता पूरी करें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
छठी बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
आप अपने व्यवसाय, अपने उद्योग में अपने साथ काम करे लोगों के प्रति संवेदना रखें,
किसी को नौकरी से न निकालें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
सातवीं बात-
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
देश के कोरोना योद्धाओं,
हमारे डॉक्टर- नर्सेस,
सफाई कर्मी-पुलिसकर्मी का पूरा सम्मान करें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
पूरी निष्ठा के साथ 3 मई तक लॉकडाउन के नियमों का पालन करें,
— PMO India (@PMOIndia) April 14, 2020
जहां हैं,
वहां रहें,
सुरक्षित रहें।
वयं राष्ट्रे जागृयाम”,
हम सभी राष्ट्र को जीवंत और जागृत बनाए रखेंगे: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona