Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জন ঔষধি যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়

জন ঔষধি যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়


নতুন দিল্লি, ০৭ মার্চ, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জন ঔষধি কেন্দ্রের মালিক এবং সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। জেনেরিক ওষুধের ব্যবহার এবং জন ঔষধি পরিযোজনার সুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পয়লা মার্চ থেকে সারা দেশে জন ঔষধি সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের বিষয় ভাবনা হল – “জন ঔষধি-জনউপযোগী”। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া।

পাটনার সুবিধাভোগী শ্রীমতী হিলদা অ্যান্টনির সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, কিভাবে তিনি জন ঔষধি ওষুধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তিনি ওষুধের গুণগতমান সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। উত্তরে শ্রীমতী হিলদা জানান, এই ওষুধে তিনি উপকৃত হয়েছেন। কারণ আগে মাসিক ওষুধে ১,২০০-১,৫০০ টাকা খরচ হতো, তার পরিবর্তে এখন ২৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। শ্রীমতী হিলদা আরও জানান, এখন তিনি সামাজিক কারণে এই সঞ্চয় খরচ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং আশাপ্রকাশ করেন যে, তার মতো মানুষের মাধ্যমে জন ঔষধের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। তিনি বলেন, মধ্যবিত্তরা এই প্রকল্পের বড় দূত হতে পারেন। তিনি সমাজের মধ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রশ্রেণীর আর্থিক অবস্থার উপর রোগের প্রভাব সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন। শ্রী মোদী সমাজের শিক্ষিত অংশকে জন ঔষধির সুবিধার কথা তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান। 

ভুবনেশ্বর থেকে দিব্যাঙ্গ সুবিধাভোগী শ্রী সুরেশ চন্দ্র বেহেরার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময় করেন। তিনি জন ঔষধি পরিকল্পনা নিয়ে শ্রী বেহেরার অভিজ্ঞতার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। শ্রী মোদী আরও জানতে চান যে, শ্রী বেহেরার প্রয়োজনীয় সব ওষুধ জন ঔষধি কেন্দ্রে পাওয়া যায় কি না। শ্রী বেহেরা জানান, তার পিতা-মাতার প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধ এই দোকান থেকেই কেনেন এবং প্রতি মাসে ২,০০০-২,৫০০ টাকা সাশ্রয় করেন। প্রধানমন্ত্রী, ভগবান জগন্নাথের কাছে তার পরিবারের সুস্থতা ও মঙ্গল কমানা করেন। তিনি শ্রী বেহেরার উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেহেরা একজন দিব্যাঙ্গ হয়েও সাহসীকতার সঙ্গে তার যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। 

মহীশূরের শ্রীমতী ববিতা রাওয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী তাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই সুবিধার কথা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে আরও বেশি মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন। 

সুরাট থেকে শ্রীমতী ঊর্বশী নীরব প্যাটেল, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার এলাকায় জন ঔষধির বিষয়ে প্রচারের কথা তুলে ধরেন এবং জন ঔষধি কেন্দ্রের স্বল্পমূল্যের স্যানিটারি প্যাডগুলি কিভাবে তাকে আরও বেশি লোককে দান করতে সাহায্য করেছে সে সম্পর্কেও ব্যাখ্যা দেন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তার সেবামূলক মনোভাবের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে জনজীবনে সেবার ভূমিকা বাড়বে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং মহামারীর সময়ে বিনামূল্যে রেশনের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। 

রায়পুরের শ্রী শৈলেশ খান্ডেওয়ালা জন ঔষধি পরিযোজনার মাধ্যমে তার যাত্রাপথের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখানে ওষুধের দাম কম। সমস্ত রোগীদের কাছে এই কথাটি তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য চিকিৎসকদেরও জন ঔষধির বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

অনুষ্ঠানের ভাষণে শ্রী মোদী বলেন, জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি শুধু শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য ওষুধের কেন্দ্র নয়, মনের দুশ্চিন্তাও কমায় এবং মানুষের অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে স্বস্তি এনে দেয়। প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, দেশের সব অংশের সব শ্রেণীর মানুষ এই সুবিধার যোগ্য। এক টাকার বিনিময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ কোটি স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি থেকে বোঝা যায় যে, জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি সারা দেশে মহিলাদের জীবনকে কতটা সহজ করে তুলেছে। 

শ্রী মোদী জানান, এখনও পর্যন্ত দেশে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি এখন শুধুমাত্র সরকারি দোকান নয়, সাধারণ মানুষের জন্য সমাধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ক্যান্সার, যক্ষ্মা, মধুমেয়, হৃদরোগের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৮০০-রও বেশি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। স্টান্টিং এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও নিয়ন্ত্রণে রাখা নিশ্চিত করেছে সরকার। তিনি নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবাকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় রয়েছেন। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন এবং দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ডায়ালিসিস কর্মসূচিতে ৫৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলেও জানান তিনি। হাঁটু প্রতিস্থাপন ও ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছ। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, কয়েকদিন আগে সরকার আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা থেকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অর্ধেক আসন সরকারি মেডিকেল কলেজের সমান খরচ করা হবে”।

 

CG/SS/SKD/