Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

জনজাতীয় গৌরব দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

জনজাতীয় গৌরব দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী


নতুন দিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ঝাড়খণ্ডের খুন্তিতে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ এবং বিশেষভাবে অনগ্রসর জনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে পিএম পিভিটিজি মিশনের সূচনা করেন তিনি। পিএম কিষানের পঞ্চদশ কিস্তির অর্থও প্রদান করেন শ্রী মোদী। রেল, সড়ক, শিক্ষা, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। 

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত সংকল্প শপথ পাঠে নেতৃত্ব দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সকালে তিনি ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মস্থান উলিহাটু গ্রাম এবং রাঁচির বিরসা মুন্ডা মেমোরিয়াল পার্ক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগ্রহালয় ঘুরে দেখেছেন। ২ বছর আগে এই দিনেই তিনি ওই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছিলেন। জনজাতীয় গৌরব দিবস এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। পৃথক রাজ্য হিসেবে ঝাড়খণ্ডের গঠনে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর বিশেষ অবদানের উল্লেখ করেন তিনি। 

ভগবান বিরসা মুন্ডার অসামান্য সংগ্রামের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝাড়খণ্ড তিলকা মাঝি, সিধু কানহো, চাঁদ ভৈরব, ফুলো ঝাঁও, নীলাম্বর, পীতাম্বর, যাত্রাতানা ভগৎ এবং অ্যালবাট এক্কার মতো এমন অসংখ্য জনজাতীয় নায়কের ধাত্রীভূমি। স্বাধীনতা সংগ্রামে এই আদিবাসী যোদ্ধারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের উপেক্ষা করে আসা হয়েছে। এখন অমৃত মহোৎসবের এই সময়ে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে সন্তোষপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ঝাড়খণ্ডের মাটি থেকে দুটি ঐতিহাসিক প্রয়াসের সূচনা হল। একটি হল বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য পূরণের মাধ্যম হিসেবে এটি কাজ করবে। অপরটি হল পিএম জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান। যেসব উপজাতি বিলুপ্তির সীমায় পৌঁছে গেছে এই অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের রক্ষা ও উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারতের চারটি অমৃত স্তম্ভ – নারী শক্তি, ভারতের খাদ্য উৎপাদন, ভারতের যুবশক্তি এবং ভারতের নব্য মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর বিকাশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। ভারতের উন্নয়নের মাত্রা ও গতি এই চারটি স্তম্ভের বিকাশের উপর নির্ভর করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্রের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন দেশের বৃহৎ অংশের মানুষ মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৎকালীন সরকারের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য দরিদ্র মানুষ সব আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন। বর্তমান সরকার সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

উন্নত ভারতের লক্ষ্যে পিএম জনমন বা প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান এক বিশেষ পদক্ষেপ বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। এই প্রকল্পের আওতায় সরকার জনজাতি গোষ্ঠীগুলির কাছে পৌঁছে তাদের উন্নয়ন ও উত্তরণের প্রয়াস চালাবে। এবাবদ কেন্দ্রীয় সরকার ২৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে বলে তিনি জানান। 

পিএম কিষান সম্মাননিধির পঞ্চদশ কিস্তির অর্থ প্রদানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নিয়ে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাঠানো হল।

ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণন, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেন, কেন্দ্রীয় জনজাতি উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

PG/SD/SKD