Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

‘চন্দ্রশেখর- আদর্শগত রাজনীতির শেষ প্রতীক’ শীর্ষক বই প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল ‘চন্দ্রশেখর- আদর্শগত রাজনীতির শেষ প্রতীক’ শীর্ষক বই প্রকাশ করেছেন।বইটি লিখেছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শ্রী হরিবংশ এবং রবি দত্ত বাজপেয়ীর। এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সংসদের গ্রান্হাগার কক্ষের বালাযোগী আডিটোরিয়ামে।

প্রধানমন্ত্রী বইটির প্রথম খন্ড উপরাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাতে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রশেখরজীর মৃত্যুর ১২ বছর পরেও আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরজীর চিন্তা-ভাবনা প্রতিনিয়ত আমাদের পথ দেখায় এবং অনুপ্রেরণা যোগায়।

প্রধানমন্ত্রী এই বই লেখার জন্য শ্রী হরিবংশকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রী চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু মুহুর্ত এবং কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী চন্দ্রশেখরজীর সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। চন্দ্রশেখরজীর সেইসময় উপরাষ্ট্রপতি ভৈরন সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন। তিনি দিল্লী বিমানবন্দরে চন্দ্রশেখরজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির লোক হলেও দুই নেতার মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে গুরুজী বলে ডাকতেন শ্রী চন্দ্রশেখরজী। তিনি বলেন, শ্রী চন্দ্রশেখরজী তাঁর সংস্কৃতিমনস্ক এবং মতাদর্শের কারণে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতোপার্থক্যের কারণে তৎকালীন শাসক দলের সঙ্গেও বিরোধীতায় সঙ্কোচবোধ করতেন না।

মোহন ধারিয়াজী এবং জর্জ ফার্নান্ডেজের মতো নেতারাও চন্দ্রশেখরজীর কথা বার বার বলতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

চন্দ্রশেখরজীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, অসুস্হ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখতেন। যখনই শ্রী মোদী দিল্লীতে আসতেন, তখনই তাঁকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানাতেন। সাক্ষাতের সময় চন্দ্রশেখরজী গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে খোঁজখবর নিতেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতো।

চন্দ্রশেখরজীর স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা, মানুষের প্রতি তাঁর আস্হা এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি তাঁর দৃঢ়তা প্রশংসনীয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

কৃষক, দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য চন্দ্রশেখরজীর ঐতিহাসিক পদযাত্রার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যের, তাঁর সেই সময় যে সম্মান প্রাপ্য ছিল, তা তিনি পাননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে দিল্লীতে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। তাঁদের জীবনী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কর্মকান্ডের বিষয় তুলে ধরার জন্য, তিনি সমস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারদের কাছে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতাকে দুরে সরিয়ে দেশে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শ্রী হরিবংশ, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা শ্রী গুলাম নবি আজাদ।

**********

CG/SS/NS