Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব কেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লীতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য এক কেন্দ্রের সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ভাষন দেন।

শ্রী মোদী তাঁর ভাষনে বলেন, ‘শিল্প ৪.০’ সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাদানের বর্তমান এবং ভবিষ্য মানবজীবন পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে। এই কেন্দ্রটি ভবিষ্যতে ব্যাপক সম্ভাবনার প্রবেশদ্বার খুলে দিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিশ্বের চতুর্থ কেন্দ্র। এই ধরনের কেন্দ্র সানফ্রানসিসকো, টোকিও এবং বেজিং-এ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অফ থিঙ্কস, ব্লক চেন এবং বিগ ডেটার মতো বিভিন্ন উদীয়মান ক্ষেত্র ভারতকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও সাহায্য করতে পারে। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি ভারতের কাছে কেবল শিল্প ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্যই নয়, সামাজিক পরিবর্তনেও বড় ভূমিকা নেবে। ‘শিল্প ৪.০’ সংক্রান্ত উপাদানগুলির ভারতে অভাবনীয় পরিবর্তনসাধনের ক্ষমতা রয়েছে। এই কেন্দ্রটি ভারতে শিল্পক্ষেত্রে যেসব কাজকর্ম হচ্ছে, তার প্রসারে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল ভারত আন্দোলন গ্রামগুলিতে কিভাবে ইন্টারনেট ডেটা পৌঁছে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলি-ঘনত্ব, ইন্টারনেট পরিষেবার পরিধি এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রহন কিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেকথাও তুলে ধরেন। ভারতে অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্রের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবথেকে বেশি মোবাইল ডেটা ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি, এদেশে সবথেকে কমমূল্যে মোবাইল ডেটা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো ও তারসঙ্গে যুক্ত আধার, ইউপিআই, ই-ন্যাম এবং জিইএম-এর কথাও উল্লেখ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজকর্ম বাড়াতে এক মজবুত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কয়েক মাস আগে জাতীয় স্তরের একটি কৌশল রচনা করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য গড়ে তোলা ঐ কেন্দ্রটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণার কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘শিল্প ৪.০’ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, উন্নত স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদান এবং স্বাস্হ্যক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়ে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রটি কৃষকদের সাহায্য করার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা নেবে। পরিবহন সহ আধুনিক গতিময়তার মতো ক্ষেত্রেও এই কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ভারত গ্রহন করতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এমনকি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ভারত বড় অবদানও যোগাতে পারে। শ্রী মোদী বলেন, দক্ষ ভারত মিশন, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া এবং অটল উদ্ভাবন মিশনের মতো সরকারি উদ্যোগগুলি যুব সম্প্রদায়কে নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তির উপযোগী করে তুলছে।

CG/BD/NS/