Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের মোরবি-তে প্রধানমন্ত্রী হনুমানজির ১০৮ ফুট মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন

গুজরাটের মোরবি-তে প্রধানমন্ত্রী হনুমানজির ১০৮ ফুট মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন


নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

 

হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের মোরবি-তে হনুমানজির ১০৮ ফুট মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন। এই উপলক্ষে মহামণ্ডলেশ্বর মা কাকেশ্বরী দেবীজি উপস্থিত ছিলেন।

হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোরবি-তে হনুমানজির ১০৮ ফুট মূর্তির জাতির উদ্দেশে উৎসর্গীকরণ সারা বিশ্বজুড়ে হনুমানজির ভক্তদের কাছে এক আনন্দের মুহূর্ত। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার ভক্তকুল এবং আধ্যাত্মিক গুরুদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরে শ্রী মোদী গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উমিয়ামা, মাতা অম্বাজি এবং অন্নপূর্ণাজি ধামে ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকবার হয়েছে। এগুলি সবই তিনি ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ বা ‘হরি কৃপা’ বলে অভিহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের চার প্রান্তে হনুমানজির চারটি মূর্তি গড়ে তোলার প্রকল্প ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণের প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, হনুমানজি তাঁর সেবার মানসিকতা দিয়ে প্রত্যেককে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিলেন। তাই, প্রত্যেকেই তাঁর কাছ থেকে প্রেরণা পান। অরণ্যবাসী মানুষের মর্যাদা ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে হনুমানজি প্রকৃতপক্ষেই শক্তির প্রতীক। তিনি আরও বলেন, হনুমানজি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।

সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ও নানা ভাষায় রামকথা উদযাপনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উৎসব ভগবানের প্রতি নিষ্ঠা হিসেবে প্রত্যেককে এক বন্ধনে আবদ্ধ করে। প্রকৃতপক্ষে এটাই আমাদের আধ্যাত্মিক পরম্পরা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল শক্তি। আর, এগুলি সবই দাসত্বের কঠিন সময়ে পৃথক পৃথক অঞ্চলকে একত্রিত করতে সাহায্য করেছে। একই প্রতিফলন ঘটেছে স্বাধীনতার জন্য জাতীয় স্তরে সমবেত প্রয়াস গ্রহণের ক্ষেত্রেও। হাজার হাজার বছরের উত্থান-পতনে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি ভারতকে মজবুত রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন।

শ্রী মোদী আরও বলেন, আমাদের আস্থা ও সংস্কৃতির আবহমান ধারা সম্প্রীতি, সমতা ও সার্বিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে নিহিত রয়েছে। আর এর এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত হলেন ভগবান রাম, যিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মহৎ কর্ম সম্পাদনে প্রত্যেকের সাহায্য নিয়েছেন। তাই রামকথা ‘সবকা সাথ – সবকা প্রয়াস’-এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং হনুমানজি এই প্রয়াসের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই লক্ষ্যে শ্রী মোদী সঙ্কল্প পূরণে ‘সবকা প্রয়াস’-এর মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

গুজরাটি ভাষায় তাঁর ভাষণে শ্রী মোদী কেশবানন্দ বাপুকে এবং মোরবি-র সঙ্গে তাঁর সুদীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। মচ্ছু বাঁধ দুর্ঘটনায় তিনি হনুমান ধামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। এই বাঁধ দুর্ঘটনার সময় লব্ধ অভিজ্ঞতা কচ্ছ-এ ভূকম্পের সময় সাহায্য করেছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। মোরবি যে সংযম দেখিয়েছে তার জন্যই আজ এটি শিল্পোদ্যোগের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি জামনগর থেকে উৎপাদিত তামা, রাজকোট থেকে উৎপাদিত ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী এবং মোরবি থেকে উৎপাদিত ঘড়ি শিল্পের কথা বিবেচনায় রাখি তাহলে সমগ্র এই অঞ্চল আমার কাছে এক ‘ক্ষুদ্র জাপান’ হয়ে ওঠে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাত্রাধাম কাথিওয়াড়াকে পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত করেছে। তিনি মাধবপুর মেলা এবং রান উৎসবের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ থেকে মোরবি অত্যন্ত উপকৃত হয়েছে।

স্বচ্ছতা অভিযান এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগের জন্য ভক্তকুল এবং সন্ত সমাজকে পুনরায় সাহায্য গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন।

আজ গুজরাটের মোরবি-তে অতিকায় হনুমানজির মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন হয়েছে। দেশের চার প্রান্তে এরকম যে চারটি মূর্তি গড়ে তোলা হচ্ছে এটি তার দ্বিতীয়। #Hanumanji4dham প্রকল্পের আওতায় এই মূর্তিগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। মোরবি-তে আজ উদ্বোধন হওয়া হনুমানজির মূর্তিটি দেশের পশ্চিম প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে। এই মূর্তিটি পরম পূজ্য বাপু কেশবানন্দজির আশ্রমে গড়ে উঠেছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, হনুমানজির এ ধরনের প্রথম মূর্তি ২০১০-এ সিমলায় দেশের উত্তর প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছিল। দক্ষিণ প্রান্তে রামেশ্বরমে এরকম একটি মূর্তি স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। 

 

CG/BD/DM/