Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের গান্ধীনগরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী

গুজরাটের গান্ধীনগরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ১২ মে, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের গান্ধীনগরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এর মধ্যে রয়েছে – নগরোন্নয়ন দপ্তর, জল সরবরাহ দপ্তর ও পরিবহণ দপ্তরের ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন। এছাড়াও, ১৯ হাজার বাড়ি সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। 

এক সমাবেশে সুবিধাভোগীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ গঠনে এক ‘মহাযজ্ঞ’ চলছে। গুজরাটে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী। এর মধ্যে রয়েছে – ২৫ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ, পিএম মাতৃবন্দনা প্রকল্পে ২ লক্ষ জননীকে সহায়তা, ৪টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং হাজার হাজার কোটি টাকার আধুনিক পরিকাঠামো উন্নয়ন।

তিনি বলেন, সরকার ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নয়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের নীতির ফলে দেশে দুর্নীতি ও বৈষম্যের অবসান ঘটেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার মূল কথা হ’ল কোথাও কোনও বৈষম্য থাকবে না”। তিনি আরও জানান, গত বছর ৩২ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। 

আগের সরকারের সমালোচনা করে শ্রী মোদী বলেন, গ্রামীণ এলাকায় ৭৫ শতাংশ বাড়ির ক্ষেত্রে শৌচাগার সহ নানা সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি ছিল। ২০১৪ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে গরীবদের জন্য শুধু বাড়ির ছাদ তৈরি নয়, সম্পূর্ণ বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম আবাস যোজনা হ’ল অনেকগুলি প্রকল্পের একটি প্যাকেজ। এই বাড়িগুলিতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় শৌচাগার নির্মাণ, সৌভাগ্য প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ, উজ্জ্বলা প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও, গরীবদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে দেওয়া রেশনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। 

শ্রী মোদী বলেন, গত ৯ বছরে প্রায় ৪ কোটি গরীব পরিবারের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে, যার ৭০ শতাংশ মহিলাদের নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ এবং দেশে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজকোটে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ১ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সময়ও কম লেগেছে এবং অর্থও সাশ্রয় হয়েছে। তিনি আরও জানান, লাইট হাউস বা লঘু আবাস প্রকল্পের অধীনে দেশের ৬টি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম খরচে আধুনিক বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী দিনে গরীবরাও এই সুবিধা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটের বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য গৃহ ঋণে নজিরবিহীন ভর্তুকির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ লক্ষ পরিবারকে ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, গুজরাটের অনেক শহরকে আগামী দিনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে এবং অম্রুত মিশনের আওতায় ৫০০টি শহরে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং ১০০টি শহরকে স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ২০টি শহরে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে ২৫০ কিলোমিটার মেট্রো পরিষেবা চালু ছিল, আজ সেখানে তা বেড়ে হয়েছে ৬০০ কিলোমিটার। 

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে জল সরবরাহ পরিচালন ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেন, ১৫ হাজার গ্রাম এবং ২৫০টি পুর এলাকায় ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান জলের পাইপ লাইন এবং ১.২৫ লক্ষ কিলোমিটার পাইপ লাইন ছড়িয়ে রয়েছে। 

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকাল নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার ‘সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের মন্ত্রী এবং লোকসভার সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেক্ষাপট: উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – বনসকান্থা জেলায় বহুমুখী গ্রামীণ পানীয় জল সরবরাহ, আহমেদাবাদে নদীর উপর একটি সেতু, নারোদা জিআইডিসি-তে বর্জ্য সংগ্রহ, মেহসেনা ও আহমেদাবাদে বর্জ্য জল শোধন প্ল্যান্ট এবং দাহিগামে একটি অডিটোরিয়াম। যেসব প্রকল্পগুলি শিলান্যাস করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – জুনাগড়ে পাইপ লাইন প্রকল্প, গান্ধীনগর জেলায় জল সরবরাহ সম্প্রসারণ প্রকল্প, উড়ালপুল নির্মাণ, নতুন জল সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপন এবং বিভিন্ন সড়ক প্রকল্প। 

 

PG/MP/SB