Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ডেফএক্সপো ২০২২ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

গুজরাটের গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ডেফএক্সপো ২০২২ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লি, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজী, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় শ্রী রাজনাথ সিংজী, গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজী, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী জগদীশভাই, গুজরাট মন্ত্রিসভার অন্যান্য সকল সদস্যগণ, চিফ অফ ডিফেন্স সার্ভিসেস জেনারেল অনিল চৌহানজী, চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধরী, চিফ অফ নেভাল স্টাফ অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার, চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে, অন্য সম্মানিত ব্যক্তিগণ, বিদেশ থেকে আগত সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

গুজরাটের মাটিতে শক্তিশালী, সামর্থবান এবং আত্মনির্ভর ভারতের এই মহোৎসবে আপনাদের সকলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে আপনাদের স্বাগত জানানো যতটা গৌরবের, এই মাটির সন্তান হিসাবে আপনাদের স্বাগত জানানো আমার জন্য ততটাই গৌরবের। ডেফএক্সপো ২০২২ – এর এই আয়োজন নতুন ভারতের এমন অনিন্দ্য সুন্দর চিত্র আঁকছে, যার সংকল্প আমরা অমৃতকালে নিয়েছি। এতে যেমন দেশের উন্নয়ন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যগুলিরও সহযোগিতা। এতে যুবসম্প্রদায়ের শক্তির সঙ্গে মিশেছে তারুণ্যের স্বপ্নও। এতে নবীনদের সংকল্পের সঙ্গে তাঁদের সাহস ও সামর্থও যুক্ত হয়েছে। এতে বিশ্বের জন্য আশার আলো রয়েছে, বন্ধুরাষ্ট্রগুলির জন্য সহযোগিতার অনেক সুযোগও রয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে ডিফেন্স এক্সপো এর আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু, এবারের ডেফএক্সপো অভূতপূর্ব। একটি নতুন সূচনার প্রতীক। এটি দেশের এমন প্রথম ডিফেন্স এক্সপো, যেখানে শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানিগুলি অংশগ্রহণ করছে শুধুমাত্র ভারতে নির্মিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রদর্শনী হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। এই প্রথমবার কোনও ডিফেন্স এক্সপো-তে ভারতের মাটিতে তৈরি ভারতের জনগণের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা নানা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শিত হচ্ছে। এখানে আজ লৌহ পুরুষ সর্দার প্যাটেলের এই পুণ্যভূমিতে দেশীয় কোম্পানিগুলি, আমাদের বৈজ্ঞানিকরা ও আমাদের নবীন প্রজন্মের সামর্থকে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি এক্সিবিটর অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন ভারতীয় শিল্পোদ্যোগের পাশাপাশি, কিছু সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোগ; অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ১০০টিরও বেশি স্টার্টআপ – এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সেজন্য বলা যায় যে, আপনারা এখানে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে সমাগত সবাই আমাদের দেশবাসীর ক্ষমতা ও সম্ভাবনা উভয়ের ঝলক একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছেন। এই সম্ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য প্রথমবার ৪৫০টিরও বেশি সমঝোতাপত্র ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

এই ডেফএক্সপো ২০২২ – এর আয়োজন আমরা অনেক আগেই করতে চেয়েছিলাম। গুজরাটের জনগণ এ সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু, কিছু উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে আমাদের কিছুটা দেরী হ’ল। সেজন্য বিদেশি অতিথিদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু, দেশের এখন পর্যন্ত সর্বকালীন ও সর্ববৃহৎ এই ডিফেন্স এক্সপো একটি নতুন ভবিষ্যতের শক্তিশালী সূচনা করল। আমি জানি যে, এর ফলে, কিছু দেশের অসুবিধাও হয়েছে। কিন্তু, অনেক দেশ ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে আমাদের দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারত যখন ভবিষ্যতের এই সুযোগগুলিকে সাকার করে তুলছে, তখন ভারতের ৫৩টি আফ্রিকী বন্ধুরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই উপলক্ষে আজ দ্বিতীয় ভারত – আফ্রিকা প্রতিরক্ষা আলোচনাও শুরু হতে চলেছে। ভারত ও আফ্রিকীয় দেশগুলির মধ্যে এই সখ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেই পুরনো বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে আর সময়ের সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। নতুন মাত্রায় মাত্রান্বিত হচ্ছে। আমি আফ্রিকা থেকে সমাগত সম্মানিত বন্ধুদের জানাতে চাই যে, আপনারা আজ গুজরাটের যে ভূমিতে পা রেখেছেন, তার জন্য আফ্রিকীয় দেশগুলির অত্যন্ত প্রাচীন সমুদ্র বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল। আফ্রিকাতে যে প্রথম রেলগাড়ি চালু হয়েছিল, তার নির্মাণ কার্যও এই গুজরাটের কচ্ছ থেকে আফ্রিকায় যাওয়া মানুষরাই করেছেন। কত কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের শ্রমিকরা আপ্রাণ পরিশ্রম করে আফ্রিকায় আধুনিক রেল লাইন পাতার কাজে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আজ আফ্রিকায় গেলে আমরা যে ‘দুকান’ শব্দটি সর্বত্র শুনতে পাই, সেটি একটি গুজরাটি শব্দ। তেমনই ‘রোটি’, ‘ভাজি’ – এই শব্দগুলিও ভারতীয়দের থেকেই আপনারা আত্মস্থ করে নিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেতার জন্মভূমি যেমন ছিল গুজরাট, তেমনই তাঁর প্রথম কর্মভূমি ছিল আফ্রিকা। আফ্রিকার প্রতি এই আত্মীয়ভাব এবং আপনত্ব আজও ভারতের বিদেশ নীতির কেন্দ্রে রয়েছে। করোনা সঙ্কটকালে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্ব দুশ্চিতায় ছিল, তখন ভারত আমাদের আফ্রিকীয় বন্ধু দেশগুলিকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রয়োজনের সময় ওষুধ থেকে শুরু করে শান্তি সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে আফ্রিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

বন্ধুগণ,

এই আয়োজনকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন প্লাস’ – এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের কনক্লেভ। এই কনক্লেভে আমাদের ৪৬টি বন্ধুরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করছে। আজ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সুরক্ষাও একটি অগ্রাধিকারে পর্যবসিত হয়েছে। ২০১৫ সালে আমি মরিশাসে বক্তব্য রাখার সময় বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পাশাপাশি, আমাদের ‘সাগর’ দূরদৃষ্টির কথাও তুলে ধরেছিলাম। তেমনই আমি সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ‘শাংগ্রি লা ডায়লগ’ – এ বলেছিলাম, ভারত – প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আফ্রিকীয় দেশগুলির উপকূল থেকে আমেরিকা পর্যন্ত ভারতের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। আজ বিশ্বায়নের নিরিখে মার্চেন্ট নেভির ভূমিকাও সম্প্রসারিত হয়েছে। ভারতের কাছে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। আর আমি বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য ভারত যথাসম্ভব সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আমরা কখনই পিছিয়ে আসবো না। সেজন্য এই ডিফেন্স এক্সপো ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর বিশ্বাসের প্রতীকও হয়ে উঠেছে। এখানে এতগুলি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিশ্বের অনেক বড় সামর্থ আজ গুজরাটের মাটিতে একত্রিত হয়েছে। আমি এই আয়োজনে ভারতের সমস্ত বন্ধু দেশ এবং তাদের প্রতিনিধিদের হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য আমি গুজরাটের জনগণ, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল ও তাঁর পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাই। দেশ তথা বিশ্বে উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ সামর্থ নিয়ে গুজরাটের যে পরিচয় গড়ে উঠেছে, তা আজ এই ডিফেন্স এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামী দিনগুলিতে গুজরাট যে প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে, যা ভারতের নিরাপত্তা এবং সামরিক সামর্থে গুজরাটের অনেক বড় অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করবে।

বন্ধুগণ,

আমি একটু আগে বড় স্ক্রিনে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর ডিসার জনগণকে দেখছিলাম। ডিসায় গড়ে ওঠা নতুন এয়ারফিল্ডটি দেশের প্রতিরক্ষা এবং এই এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিসা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ১৩০ কি.মি. দূরে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিশেষ করে আমাদের বিমানবাহিনী পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করলে এই পশ্চিম সীমান্তে যে কোনও হানাদারি বা আকাশসীমা অতিক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া সম্ভব হবে। আমার ডিসার ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমি গান্ধীনগর থেকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। এখন তো ডিসা, বনসকান্থা ও পাটনের মতো জেলাগুলির সৌভাগ্যের সময়। গুজরাট তো সেই ২০০০ সালেই এই এয়ারফিল্ডের জন্য জমি দিয়েছিল। যখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি নিয়মিত এখানকার নির্মাণকর্মের অগ্রগতি নিয়ে তদ্বির করেছি। এই এয়ারফিল্ড গড়ে তোলার গুরুত্ব সম্পর্কে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এত বড় জমি দিয়েছি, কিন্তু ১৪ বছর ধরে কিছুই হয়নি। ফাইলও অধরা থেকে গিয়েছিল। এর যৌক্তিকতা নিয়ে এত প্রশ্নও তোলা হয়েছিল যে, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও প্রতিটি বিষয়কে নিয়মানুগভাবে আবর শুরু করতে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা ডিসায় অপারেশনাল বেস নির্মাণে সিদ্ধন্ত নিই, আর আমাদের সেনাবাহিনীর এই প্রত্যাশা আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমার বন্ধু, যিনি আজ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হয়েছেন, তার অবদানও এক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। আজ এখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলেই আমাকে মনে করিয়েছেন যে, জেনারেল চৌধরির সুযোগ্য নেতৃত্বেই এই সাফল্য এসেছে। সেজন্য ডিসাবাসীকে আমি যত অভিনন্দন জানাব, ততটাই অভিনন্দন জানাব আমার প্রিয় বিমানবাহিনীর বন্ধুদের। এই এলাকা এখন দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বনসকান্থা এবং পাটন যেমন সৌরশক্তি উৎপাদনের নবীন কেন্দ্র হিসাবে দেশব্যাপী তাদের পরিচয় গড়ে তুলেছে, সেই বনসকান্থা এবং পাটনও এখন দেশের বিমানবাহিনীর শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

যে কোনও শক্তিশালী দেশের জন্য ভবিষ্যতের নিরাপত্তার অর্থ কী, মহাকাশ প্রযুক্তি তার একটা অনেক বড় উদাহরণ। আমাকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই আমাদের তিনটি সশস্ত্র সেনাবাহিনী এই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। সেইসব সমস্যার সমাধানের কাজও আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ‘মিশন ডিফেন্স স্পেস’ দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রকেও তাদের সামর্থ প্রদর্শনে সুযোগ করে দেবে। মহাকাশে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলির দিকে তাকিয়ে ভারতকে এই প্রস্তুতি আরও বিস্তারিতভাবে নিতে হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকেও নতুন নতুন উদ্ভাবক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। মহাকাশে ভারতের শক্তি যেন সীমিত না থাকে, এর সুফল যেন শুধুই ভারতীয়দের জন্য সীমিত না থাকে, সেই দূরদৃষ্টি নিয়েই আমাদের এই অভিযান। মহাকাশ প্রযুক্তি ভারতের উদার ভাবনাসম্পন্ন মহাকাশ কূটনীতি নতুন পরিভাষাকে রচনা করে চলেছে। নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে চলেছে। এর ফলে, অনেক আফ্রিকী বন্ধুদেশ সহ অন্যান্য অনেক ছোট ছোট দেশও লাভবান হচ্ছে। আজ ভারত ৬০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থে তার মহাকাশ বিজ্ঞান উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ – এর একটি উজ্জ্বল প্রমাণ। আগামী বছরের মধ্যে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি দেশও ভারতের উপগ্রহ ভিত্তিক তথ্য দেওয়ামাত্র ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এমনকি, ইউরোপ ও আমেরিকার মত … উপগ্রহ ভিত্তিক তথ্য ব্যবহার করছে। এইসব কিছুর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি আমাদের সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অপার সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেদের আয় বৃদ্ধি এবং তাঁদের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য রিয়েল টাইম তথ্য পাচ্ছেন। আমরা জানি যে, মহাকাশ সংক্রান্ত এই সম্ভাবনাগুলি আমাদের যুবসম্প্রদায়ের স্বপ্নগুলিতে অনন্ত আকাশে ডানা মেলতে সাহায্য করবে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অধিক গুণমানসম্পন্ন সাফল্য অর্জন করবে। এই যুবশক্তি ভবিষ্যৎ নির্মাণকারী মহাকাশ প্রযুক্তিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। সেজন্য এই বিষয়টিকেও ডিফেন্স এক্সপো-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের এই ভূমির সঙ্গেই ডঃ বিক্রম সারাভাইয়ের মতো বৈজ্ঞানিকের প্রেরণা ও গৌরব যুক্ত রয়েছে। সেই প্রেরণা আমাদের সংকল্পগুলিকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে।

বন্ধুগণ,

আজ যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন বলতে হয়, আমাদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধকৌশল ইতিমধ্যেই আমাদের যুবসম্প্রদায়ের হাতে চলে এসেছে। ফলে, ভারতের যুবসম্প্রদায়ের উদ্ভাবন এবং গবেষণার ভূমিকা অনেক বেড়েছে। সেজন্য এই ডিফেন্স এক্সপো আমাদের যুবসম্প্রদায়ের জন্য একটি ভবিষ্যৎ জানালার মতো।

বন্ধুগণ,

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত “অভিপ্রায়, উদ্ভাবন ও রূপায়ণ” – এর মন্ত্র  নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ থেকে ৮ বছর আগে পর্যন্ত বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানীকারী দেশ রূপে। আমরা সারা পৃথিবী থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতাম। কিন্তু, নতুন ভারত এই ইন্টেন্ট বা ইচ্ছেশক্তি দেখিয়েছে। আর আজ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নতুন নতুন সাফল্যগাথা তৈরি করছে। বিগত ৫ বছরে আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানী আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমরা বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানী করছি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানী ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। আর আগামী দিনে আমরা একে ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। এই রপ্তানী অল্প কয়েকটি সরঞ্জামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলি আজ আন্তর্জাতিক সরবরাহ-শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠছে। আমরা আন্তর্জাতিক মানের ‘স্টেট অফ আর্ট’ সরঞ্জাম সরবরাহ করছি। আজ একদিকে অনেক দেশ ভারতে নির্মিত ‘তেজস’ – এর মতো আধুনিক ফাইটার জেট কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। আর অন্যদিকে, আমাদের কোম্পানিগুলি আমেরিকা, ইজরায়েল এবং ইতালির মতো দেশগুলিকেও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কলকব্জা সরবরাহ করছে।

বন্ধুগণ,

যখন কোনও ভারতবাসী শোনেন যে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল তার ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি ঘাতক এবং আধুনিকতম বলে অনেক দেশ এটি কিনতে চায়, তখন তাঁদের বুক গর্বে ভরে ওঠে।

বন্ধুগণ,

ভারতের প্রযুক্তির উপর আজ বিশ্ববাসী ভরসা করছেন। কারণ, ভারতীয় সেনাবাহিনীগুলি এগুলির ক্ষমতাকে প্রমাণ করে দিয়েছে। আইএনএস বিক্রান্তের মতো অত্যাধুনিক এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে যুক্ত হয়ে এর শক্তি বাড়িয়েছে। অত্যাধুনিক কারিগরি এবং প্রযুক্তির বিশাল মাস্টার পিস এই যুদ্ধ জাহাজটি কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তি অনুসরণ করে তৈরি করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতি অনুসরণ করে নির্মিত ‘প্রচন্ড’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারকে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয়েছে। তেমনই, ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘কমব্যাট গান’ ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কিনে নিজেদের অস্ত্রাগারে স্থান দিয়েছে ভারতীয় স্থল সেনা। গুজরাটের হাজিরায় নির্মীয়মান মর্ডাল আর্টিলারি আজ দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে।

বন্ধুগণ,

দেশের এই সাফল্যের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি, সংস্কার এবং ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬৮ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীগুলির আজকের প্রগতিশীল নেতৃত্ব আমাদের এই নীতি বাস্তবায়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এগুলি কোনও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি প্রসূত সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্ত সৈন্য ইচ্ছাশক্তির ফল। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আজ আমাদের সেনাবাহিনীগুলিতে এমন সৈনিক ও সেনা নায়করা রয়েছেন, যাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনকে গতিশীল করতে বিভিন্ন স্টার্টআপ, শিল্পোদ্যোগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণা খাতে ২৫ শতাংশ বাজেট আমরা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গবেষণারত নতুন প্রজন্মের জন্য বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারত সরকার যদি তাদের ১০০ টাকা দেয়, তা হলে আমার দেশের নবীন প্রজন্মের সেই ক্ষমতা আছে যে, তাঁরা দেশকে ১০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেবে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি, আমাদের সেনা নায়করাও এগিয়ে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, দেশের প্রয়োজনে যত বেশি সম্ভব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম তাঁরা দেশীয় কোম্পানিগুলি থেকেই কিনবেন। সেনাবাহিনীগুলি একসঙ্গে হয়ে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের দুটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে একটি তালিকার যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম শুধু দেশীয় কোম্পানিগুলি থেকে কেনা হবে। আর দ্বিতীয় তালিকাটি হ’ল – সেইসব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের, যেগুলি আমরা অনিবার্যভাবেই বিদেশ থেকে কিনতে বাধ্য। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত, যখন শুনলাম, আজ সেনা নায়করা প্রথম তালিকায় আরও ১০১টি নতুন সরঞ্জাম জুড়েছেন, যা তাঁরা শুধুই ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কিনবেন। এই সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতের সামর্থকেও তুলে ধরে। আর দেশের সৈনিকদের নিজের দেশে উৎপাদিত যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের উপর ক্রমবর্ধমান ভরসার প্রতীক। এই তালিকার পর, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মোট ৪১১টি যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কেনা হবে। আপনারা কল্পনা করুন, এত বড় বাজেট ভারতীয় কোম্পানিগুলির ভিত্তিতে কতটা শক্তিশালী করবে, আমাদের দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে কতটা শক্তি যোগাবে, আমাদের প্রতিরক্ষা নির্মাণ ক্ষেত্রকে কত শক্তিশালী করে তুলবে আর এর মাধ্যমে আমার দেশের নবীন প্রজন্ম কত লাভবান হবে!

বন্ধুগণ,

এই আলোচনার মাধ্যে আরেকটি বিষয়কে আমি অবশ্যই তুলে ধরতে চাই। আমাদের ধারাভাষ্যকাররাও কখনও কখনও এই বিষয়গুলি নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কিন্তু আমি অবশ্যই বলব যে, এটা আমাদের সকলের জীবনে একটি বড় অভিজ্ঞতা। আমরা যখন ট্রেনের সিটে বসি, এক আসনে ৪ জন বসে থাকলে পঞ্চম জনকে আর বসতে দিই না। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলিরও ঐ একই অবস্থা। বিশ্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ ক্ষেত্রে কিছু কোম্পানির যে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে, সেখানে তারা অন্য কাউকে ঢুকতে দিতে চায় না। কিন্তু, ভারত সাহস দেখিয়ে নিজেদের জায়গা বানিয়ে নিয়েছে। আজ বিশ্বের জন্য ভারতীয় নবীন প্রজন্মের দক্ষতা একটি বিকল্প হয়ে উঠে আসছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতীয় নবীন প্রজন্মের সামর্থ এত দ্রুত দেখাতে পারছে, তার কারণ হ’ল – ভারত সবার ভালো চায়। বিশ্ববাসীর জন্য নতুন নতুন সুযোগ, বিকল্প গড়ে তুলতে চায়। আমাদের নবীন প্রজন্মের এই প্রচেষ্টার সামর্থের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই আগামী দিনে দেশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হবে। এর পাশাপাশি, দেশের সামর্থে নবীন প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেক গুণ বাড়বে। আজকের এই ডিফেন্স এক্সপো-তে আমরা যে জিনিসগুলি দেখতে পাচ্ছি, সেগুলিতে আমি ‘গ্লোবাল গুড’ – এরও সংকেত দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের অনেক ছোট ছোট দেশ, যারা সম্পদের অভাবে তাদের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে – তারা এ থেকে অনেক লাভবান হবে।

বন্ধুগণ,

ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের এই সুযোগগুলিকে অনন্ত আকাশ রূপে দেখছে, ইতিবাচক সম্ভাবনা রূপে দেখছে। আজ আমাদের উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাডুতে দুটি ডিফেন্স করিডর দ্রুতগতিতে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগের জন্য আসছে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে সরবরাহ-শৃঙ্খলের একটা বড় নেটওয়ার্ক বিকশিত হচ্ছে। এই বড় কোম্পানিগুলির সুবাদে আমাদের অসংখ্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সহযোগী শিল্পোদ্যোগ হিসাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের এই ছোট শিল্পোদ্যোগগুলির হাতেও এখন অনেক পুঁজি আসবে। এক্ষেত্রে লক্ষ-কোটি টাকা বিনিয়োগের ফলে নবীন প্রজন্মের জন্য অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। ফলে, দেশে একটি নতুন উন্নতির শিখরে পৌঁছনোর সুযোগ গড়ে উঠবে। আমি গুজরাট ডিফেন্স এক্সপো ২০২২ – এ অংশগ্রহণকারী সমস্ত কোম্পানিকে আহ্বান জানাতে চাই যে, আপনারা এই সুযোগগুলিকে ভবিষ্যতের ভারতকে কেন্দ্রে রেখে বাস্তবায়িত করুন। আপনারা সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। উদ্ভাবন করুন, গুণমানের নিরিখে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম নির্মাণের সংকল্প নিন আর শক্তিশালী উন্নত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন। আমি নবীন প্রজন্মের সমস্ত বন্ধুদের, গবেষক ও উদ্ভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে আমি আমার বর্তমানকে আপনাদের জন্য উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।

বন্ধুগণ,

দেশ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যে বদলে যাচ্ছে, তা হয়তো আপনারাও অনুভব করছেন। একটা সময় ছিল, যখন এদেশে কোনও অনুষ্ঠানে পায়রা উড়ানো হ’ত আজ সেই দেশ চিতা ছাড়ার ক্ষমতা রাখে। এই ঘটনাগুলি ছোট হলেও এর সংকেত অনেক বড়। এই শব্দগুলি সরল বাক্য তৈরি করলেও এর সামর্থ অপরিসীম। আজ ভারতের যুবশক্তি, ভারতের সামর্থ বিশ্বের প্রত্যাশার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আজকের এই ডিফেন্স এক্সপো সেই প্রত্যাশারই একটি প্রতীকী উদাহরণ রূপে প্রস্তুত। আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথজীকে আন্তরিকভাবে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। যে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি একের পর এক সাফল্য অর্জন করছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি খুব কম কথা বলেন। কিন্তু, দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেন। আমি তাঁকে ও তাঁর পুরো টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনাদের দীপাবলি উৎসব আনন্দময় হয়ে উঠুক। আমাদের গুজরাটবাসীকে নতুন বছরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী ভাষণের বেশ কিছু অংশ গুজরাটি ভাষায় ছিল, যা ভাবানুবাদ করা হয়েছে

PG/SB/SB