Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গুজরাটের দাহেজে ওএনজিসি পেট্রো অ্যাডিশনস্‌ লিমিটেড (ওপ্যাল)-এ আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

গুজরাটের দাহেজে ওএনজিসি পেট্রো অ্যাডিশনস্‌ লিমিটেড (ওপ্যাল)-এ আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

গুজরাটের দাহেজে ওএনজিসি পেট্রো অ্যাডিশনস্‌ লিমিটেড (ওপ্যাল)-এ আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ


গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানী,

আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীমণ্ডলের সদস্য শ্রী নীতিন গড়করি এবং শ্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া,

এই অঞ্চলেরজনপ্রিয় সাংসদ শ্রী মনসুখ ভাই বসাওয়া,

মঞ্চে উপবিষ্টঅন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,

আমার বন্ধুরা,

আমাদের দাহেজ এখন একটি ক্ষুদ্র ভারত হয়ে উঠেছে। দেশের এমন কোনও জেলা নেই যেখানকার কোনও মানুষ এইক্ষুদ্র ভারতে থাকেন না। নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত এই মানুষেরাই দাহেজকে বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে দিয়েছেন। আজ গোটা দেশে আর বিশ্বের নানাপ্রান্তে বাণিজ্যিকভাবনা আর সহসিকতার প্রতিধ্বনি শোনা যায়। গুজরাটের সেই সাহসিকতাকে তুলে ধরতেদাহেজ-ভারুচ অঞ্চলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীছিলাম, অনেকবার এই অঞ্চলের উন্নয়নকে গতিপ্রদান করতে এখানে এসেছি আর লাগাতার এরসঙ্গে যুক্ত থেকেছি।

এই অঞ্চলকে আমিতিলতিল করে গড়ে উঠতে আর হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যেতে দেখেছি।

গত ১৫ বছর ধরেদাহেজের উন্নয়নের জন্য গুজরাট সরকার ভগীরথের ভূমিকা পালন করেছে। আর তারইপরিণামস্বরূপ গোটা দাহেজ অঞ্চল শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণস্থান হয়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,গুজরাট সরকারের লাগাতার প্রচেষ্টার পরিণামস্বরূপ দাহেজ-এসইজেড বিশ্বের উন্নততম৫০টি শিল্পাঞ্চলের মধ্যে নিজের স্থান করে নিতে পেরেছে।

এটিই ভারতেরপ্রথম শিল্পাঞ্চল যেটি ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং-এ এত দ্রুত নিজের স্থান করে নিয়েছিল।

২০১১-১২ সালেতো দাহেজ এসইজেড-এর ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং-এ ২৩তম স্থানে উঠে এসেছিল। আজওদাহেজ-এসইজেড বিশ্বের কয়েকটি হাতেগোনা শিল্পাঞ্চলের মধ্যে নিজের বিশেষ স্থান করেনিয়েছে।

দাহেজশিল্পাঞ্চল শুধু গুজরাটের নয়, গোটা দেশের কয়েক লক্ষ নবীন প্রজন্মের মানুষকেকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশিবিনিয়োগ হয়েছে।

দাহেজএসইজেড-এর এই সাফল্যের জন্য এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

দাহেজ আর তারপরিকাঠামো উন্নয়নে গুজরাট সরকার সর্বদাই ঐকান্তিক করেছে। সেজন্য যখন দেশে চারটিপেট্রোলিয়াম-কেমিক্যাল-পেট্রোকেমিক্যাল ইনভেস্টমেন্ট রিজিয়ন বা পিসিপিআইআর গঠন করাহয় তাতে গুজরাটের দাহেজের নামও ছিল।

পিসিপিআইআর ১লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ হাজার মানুষসরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত। একটি অনুমান অনুসারে পিসিপিআইআর পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়েউঠলে এর মাধ্যমে কোনও না কোনওভাবে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

পিসিপিআইআর-এরকারণে দাহেজ এবং গোটা ভারুচ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে খুব ভাল পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে।এর ফলে, আর্থিক গতিবিধিও তীব্র হয়েছে।

আজ দাহেজেরএসইজেড, পিসিপিআইআর গুজরাট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন খুব ভালস্পন্দিত শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এটিকে একটি শিশুর মতো আমার চোখের সামনে বাড়তেদেখেছি। সেজন্য এখানকার সঙ্গে আমি মানসিকভাবে যুক্ত। এর সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়েরয়েছে।

দাহেজ আরপিসিপিআইআর-এর সমৃদ্ধির পেছনে ওএনজিসি পেট্রো অ্যাডিশনস্‌ লিমিটেড বা ওপাল-এরঅবদান অন্স্বীকার্য।

এখানকার জন্যওপেল একটি ‘অ্যাঙ্কর ইন্ডাস্ট্রি’র মতো। এটি দেশের সর্ববৃহৎ পেট্রোকেমিক্যাল কারখানা । এতে সর্বমোট ৩০হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ছিল। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৮ হাজার কোটি টাকাবিনিয়োগ হয়ে গেছে।

বন্ধুগণ, আজভারতে পলিমারের ‘মাথাপিছু ব্যবহারের পরিমাণ’ শুধুই ১০ কিলোগ্রাম, যেখানে গোটাবিশ্বের পরিমাপ হল প্রায় ৩২ কেজি। আজ যখন গোটা দেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ছে,সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে, শহরগুলির উন্নয়ন হচ্ছে, সেজন্য নিশ্চিতভাবেই পলিমারেরমাথাপিছু ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এতে ওএনজিসিপেট্রো অ্যাডিশনস্‌ লিমিটেড-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পলিমার যুক্তবস্তুসমূহের চাহিদা পরিকাঠামো, গৃহনির্মাণ, প্যাকেজিং, সেচ, অটোমোটিভ, স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রে বাড়ছে।

কেন্দ্রীয়সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্মার্ট সিটি’র মতো বড় প্রকল্পগুলিতেও ওপালেরঅংশীদারিত্ব হবে প্রায় ১৩ শতাংশ।

পলিমারেরব্যবহার বৃদ্ধির সহজ মানে হচ্ছে কাঠ, কাগজ ও ধাতুর মতো ঐতিহ্যসম্পন্ন বস্তুরব্যবহার কমে যাওয়া। অর্থাৎ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকাগ্রহণ করা।

এই সময় দেশেরপেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান হ’ল যে,আগামী দুই দশক ধরে এই ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে।

বন্ধুগণ,ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে আরও বড় মাত্রায় পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে বন্দরআধুনিকীকরণ, ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়েস্টম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টগুলিতে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। নিশ্চিতভাবে এক্ষেত্রে লক্ষলক্ষ নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও হবে।

শ্রমিকদেরসুবিধার্থে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে সরকার নিয়মিত চেশটা চালিয়েযাচ্ছে। শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষিত করতে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও জোর দেওয়াহচ্ছে। দেশে প্রথমবার দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক গড়ে তুলে এক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবেকাজ করা হচ্ছে। বস্তাপচা ও পরস্পরবিরোধী আইনগুলি বাতিল করে এবং প্রয়োজনে কিছু আইনেসংস্কার এনেও কাজের বাজারের বিস্তার ঘটাচ্ছি।

অ্যাপ্রেন্টিস্‌শিপঅ্যাক্ট সংস্কার করে অ্যাপ্রেন্টিস্‌দের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, আর অ্যাপ্রেন্টিস্‌থাকাকালীন ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

১৯৪৮-এরফ্যাক্টরি অ্যাক্ট সংস্কার করে রাজ্যগুলিতে মহিলাদের রাত্রিকালীন কাজের সুযোগবৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সবেতনমাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করে দেওয়া হয়েছে।

শ্রমিকদেরপরিশ্রমের টাকা ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই টাকা যাতে তাঁরা প্রয়োজনের সময় যেকোনও স্থান থেকে তুলতে পারেন, সেজন্য ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান করাশুরু হয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রেকর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে যেমন বস্ত্রশিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রেপ্রয়োজনানুসারে ‘ফিক্সড্‌ টার্ম এমপ্লয়মেন্ট’-এর মাধ্যমে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানেরসুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সাধারণদোকানদার এবং প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে ৩৬৫ দিনই খোলা রেখে ব্যবসা চালাতে পারে রাজ্যসরকারগুলিকে সেই ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,আপনারা সবাই জানেন যে, ২০১৪ সালে সরকার গঠনের আগে দেশের সামনে কী ধরণের আর্থিকসমস্যা ছিল! দ্রব্যমূল্য ছিল আকাশছোঁয়া, বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের ভরসা ছিলক্রমহ্রাসমান; ফলস্বরূপ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সরাসরি মন্দাক্রান্ত ছিল।বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি আর্থিক সমস্যার মোকাবিলা করে আজ গোটা বিশ্বে যখনআশঙ্কার মেঘ ছেয়ে আছে, সেই আকাশে ‘উজ্জ্বল বিন্দু’র মতো ঝিকমিক করছে।

গত বছর বিশ্ববিনিয়োগ পরিসংখ্যানে ভারতকে ২০১৬-১৮ পর্যন্ত দুই অর্থবর্ষে বিশ্বের ‘টপ থ্রিপ্রসপেকটিভ হোস্ট ইকোনমি’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

২০১৫-১৬অর্থবর্ষে ৫৫.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণবিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে।

গত দু’বছর ধরেওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল কম্‌পিটিভনেস্‌ ইনডেক্সে ভারত ৩২ স্থান উপরেউঠেছে।

বিশ্বব্যাঙ্কের ‘লজিস্টিকস্‌ পারফরম্যান্স ইনডেক্স’-এ ভারত ২০১৪’তে ৫৪তম স্থানে ছিল। ২০১৬’তেএই র‍্যাঙ্কিং-এ যথেষ্ট উন্নতি করে ভারত ৩৫তম স্থানে পৌঁছেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আজভারতের সবচেয়ে বড় ‘ইনিশিয়েটিভ’-এ পরিণত হয়েছে।

সকল রেটিংএজেন্সি এই সাফল্যের প্রশংসা করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতকেপরিকাঠামো, ডিজাইন এবং উদ্ভাবনের ‘গ্লোবাল হাব’ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইপ্রক্রিয়ায় ভারত আজ বিশ্বের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং’ দেশগুলির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠেএসেছে। আগে ছিল নবম স্থানে।

ম্যানুফ্যাকচারিংক্ষেত্রে ভাল বৃদ্ধি দেখা গেছে। উদাহরণ ‘গ্রস ভ্যালু অ্যাডিশন’-এর বিকাশ হারেউন্নতি। ২০১২-১৫ পর্যন্ত এই হার ছিল ৫-৬ শতাংশ আর গত বছর তা বেড়ে ৯.৩ শতাংশ অব্দিপৌঁছেছে। আজ ভারত বিশ্বের বড় অর্থ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সর্বাধিক দ্রুতগতিতেউন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠেছে।

আমরা ‘বন্দরচালিত’ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সাগরমালা প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়েচলেছে।

নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলির আধুনিকীকরণ নতুন নতুন বন্দর নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,বন্দর-ভিত্তিক শিল্পায়ন আর উপকূলবর্তী অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের একটি সুসংহতপ্রকল্প এই সাগরমালা। ৮ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ৪০০টিরও বেশি প্রকল্প বেছেনেওয়া হয়েছে; আর প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা লাগবে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের বিভিন্নপর্যায়ে।

রেলপথেজলবন্দরগুলির সঙ্গে যোগাযোগের উন্নতি ঘটাতে ‘ইন্ডিয়ান পোর্ট রেল কর্পোরেশন’ স্থাপনকরা হয়েছে।

দেশের বিভিন্নঅংশে ১৪টি ‘কোস্টাল ইকোনমিক জোন’ গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে।

গুজরাটে ৮৫ হাজারকোটি টাকা বিনিয়োগ করার মতো ৪০টিরও বেশি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কাজ করা শুরু হয়েছে।

কান্ডলা বন্দরেবেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর পরিষেবার ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসম্ভব হয়েছে। এছাড়া, ১৪০০ একর জমিতে ‘স্মার্ট শিল্পনগরী’ গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলেপ্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

দুটি নতুনকার্গো জেটি আরেকটি অয়েল জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বায়ুশক্তি প্রকল্প আর‘রুফ সোলার প্রোজেক্ট’-এর কাজও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।

গত নভেম্বরেকালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর অর্থ ব্যবস্থায়লোকসানের আশঙ্কা আরোপ করা হচ্ছিল, গত তিন মাসের পরিসংখ্যান, এর সুযোগ্য জবাবদিয়েছে। বিশ্বের বড় বড় সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে।

অ্যাপেল-এরসিইও টিম কুক বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পরিণাম সুদূরপ্রসারী হবে! মাইক্রোসফ্‌ট-এরসহ-সংস্থাপক বিল গেট্‌স বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সমান্তরাল অর্থনীতির বিনাশ ঘটিয়েঅর্থব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনবে।

বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও ক্লিস্টলিনা জার্জিয়েবা-ও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনিবলেছেন, এর ফলে অর্থ ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে! আর ভারত যা করেছে, বিশ্বেরঅন্যান্য দেশও তা অধ্যয়ন করবে।

মালয়েশিয়ারপ্রধানমন্ত্রী নজীব রজাক-ও এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ বলে আখ্যাদিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড-ও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে।

নোবেল পুরস্কারবিজয়ী মহম্মদ ইউনুস বিমুদ্রাকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ ও অসংগঠিত ক্ষেত্রকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রশংসা করেছেন।

ব্রিটেনেরবিখ্যাত খবরের কাগজ ‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস্‌’-এর বিশিষ্ট অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মার্টিনওল্‌ফ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে পুঁজির সিংহভাগ অপরাধীদের হাত থেকে সরকারেরহাতে আসবে। আর পুঁজির এই হস্তান্তরের ফলে যাদের লোকসান হয়েছে জনমানসে তাদের জন্যকোনও সহানুভূতি থাকা অসম্ভব।

বন্ধুগণ, অর্থব্যবস্থা থেকে কালো টাকার প্রভাব নির্মূল করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই সমাজের প্রতিটিক্ষেত্র দ্বারা লাভবান হবে। সেজন্য বিশ্ব, ভারত সরকারের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে আজবিশ্ববাসী সম্মান জানাচ্ছে।

বন্ধুগণ,সবশেষে আমি আপনাদের সামনে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরতে চাই, তা হল পরিবেশসুরক্ষা।

আমি আগেওবলেছি, যে কোনও প্রকল্প গড়ে তোলার আগে, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় একথা মনেরাখতে হবে, যাতে এগুলির ফলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়। পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গেকোনও রকম সমঝোতা করা সম্ভব হবে না।

আমি আশা করি,দাহেজের গোটা পরিকল্পনা যেমন পরিবেশ-বান্ধব, দাহেজের এসইজেড-ও তেমনই পরিবেশ-বান্ধবথাকবে।

এই কথাগুলিবলেই আমি নিজের বক্তব্য শেষ করব।

আপনাদের সবাইকেঅনেক অনেক ধন্যবাদ।