Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

গর্ভপাত (সংশোধনী) বিল, ২০২০-তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন


 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে নতুন দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯৭১ সালের গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে গর্ভপাত (সংশোধনী) বিল, ২০২০-র প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই বিলটি সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ করা হবে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য :

·        গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে হলে একজন চিকিৎসকের মতামত নেওয়া জরুরি এবং গর্ভধারণের পর ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে হলে দু’জন চিকিৎসকের মতামত নেওয়া জরুরি।

 

·        ক্ষেত্রবিশেষে মহিলাদের জন্য গর্ভপাতের অনুমতি গর্ভধারণের পর ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত করার প্রস্তাব এই সংশোধনীতে রয়েছে। এক্ষেত্রে যৌন লাঞ্ছনার শিকার, নিকট আত্মীয়-পরিজনের লালসার শিকার এবং ভিন্নভাবে সক্ষম অথবা নাবালিকা বা অরক্ষণীয়া মহিলাদের গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

 

·        মেডিকেল বোর্ডের বিচারে ভ্রূণে কোন অসঙ্গতি দেখা দিলে গর্ভধারণের সর্বোচ্চ সীমা গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে না। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে গর্ভপাতের বিষয়টি স্থির করবেন।

 

·        যে মহিলার গর্ভপাত করানো হবে, তাঁর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। তবে, আইন অনুযায়ী স্বীকৃত ব্যক্তি ঐ মহিলার নাম ও পরিচয় জানতে পারবেন।

মহিলাদের ক্ষেত্রে থেরাপেটিক, সুপ্রজনন, মানবিক বা সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনার পর সুরক্ষিতভাবে বৈধ উপায়ে গর্ভপাত করানোর লক্ষ্যে গর্ভপাত (সংশোধনী) বিল, ২০২০ আনা হচ্ছে। বর্তমান ১৯৭১-এর গর্ভপাত আইনটির ধারাগুলির সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে প্রস্তাবিত এই সংশোধনী বিলে কিছু উপ-ধারায় পরিবর্তন আনতে গর্ভপাতের জন্য গর্ভধারণের পর থেকে সময়সীমা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করা ও সুরক্ষিতভাবে গর্ভপাত করানোর সময় উপযুক্ত পরিষেবা এবং গুণমান বজায় রাখতে কঠোর শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।

মহিলাদের নিরাপত্তা ও সহায়তার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে, বহু মহিলা উপকৃত হবেন। সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে যেখানে ভ্রূণে অসঙ্গতি ধরার পড়ার পর বা মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের গর্ভপাতের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। যেসব মহিলার গর্ভপাত জরুরি, তাঁদের স্বার্থে এই সময়সীমা বাড়ানোর সংশোধনীটি আত্মসম্মান, স্বনির্ভরতা, গোপনীয়তা এবং ন্যায়-বিচার সুনিশ্চিত করবে।

মহিলাদের সুরক্ষিত গর্ভপাত পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে এবং চিকিৎসা-বিজ্ঞানে অগ্রগতির বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষ এবং একাধিক মন্ত্রকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর এই সংশোধনী প্রস্তাব এনেছে।   

 

CG/BD/DM