Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নতুন দিল্লি,  ২০ এপ্রিল, ২০২১

 

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মহামারীতে প্রাণহারানো মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি এই দুঃখের সময়ে আপনাদের সঙ্গে আছি। এই সঙ্কট বিশাল, কিন্তু আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্প, সাহস এবং প্রস্তুতি নিয়ে সম্মিলিতভাবে একে পরাস্ত করতে হবে”। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদানের জন্য তিনি চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী, প্যারা মেডিকেল স্টাফ, সাফাই কর্মী, অ্যাম্বুলেন্সের চালক, সুরক্ষা বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৎপরতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করছে। কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি ক্ষেত্র অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে এমন প্রতিটি ব্যাক্তির কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ে অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির প্রয়াস চলছে। নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন, ১ লক্ষ নতুন সিলিন্ডার সরবরাহ, শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা, অক্সিজেন সরবরাহকারী রেল-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী জানান যে, আমাদের বিজ্ঞানীরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই টিকা নিয়ে এসেছেন এবং বর্তমানে ভারতের কাছে বিশ্বের সর্বাধিক সস্তা টিকা রয়েছে। এই দলীয় প্রচেষ্টার কারণে দেশে “মেড ইন ইন্ডিয়া” টিকা নিয়ে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। টিকাকরণ অভিযানের প্রথম পর্ব থেকেই এই টিকা যাতে সর্বাধিক অঞ্চলে এবং প্রয়োজনীয় লোকেদের কাছে পৌঁছে যায় তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে কম সময়ে ১০, ১১ এবং ১২ কোটি টিকার ডোজ প্রদান করেছে। 

গতকাল টিকা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বসয়ী প্রত্যেককে টিকা দেওয়া হবে। ভারতে উৎপাদিত টিকার অর্ধেক সরাসরি রাজ্য এবং হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী জীবন রক্ষা করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কাজকর্ম সুরক্ষিত রাখা এবং মানুষের জীবিকা নির্বাহের ওপর ন্যূনতম বিরুপ প্রভাব দূর করার ওপর জোর দিয়েছেন। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যাক্তির জন্য টিকাকরণ অভিযান চালু করার মাধ্যমে শহরগুলিতে কর্মীদের জন্য টিকা দ্রুত পাওয়া যাবে। শ্রমিকদের আস্থা বাড়ানো এবং তারা যে যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই তাদের থাকার বিষয়ে রাজি করানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যগুলির এই আত্মবিশ্বাস শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে সহায়তা প্রদান করবে এবং তারা যেখানেই থাকুক টিকা পাবেন ও তাদের কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। 

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রথম ঢেউয়ের প্রাথমিক দিনগুলির চেয়ে এখন এই সমস্যা মোকাবিলায় দেশের কাছে আরও ভালো জ্ঞান এবং সংস্থান রয়েছেন। শ্রী মোদী দেশবাসীকে ধৈর্যশীল লড়াইয়ের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের অংশগ্রহণের শক্তি নিয়ে করোনার এই ঢেউকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবে দেশবাসী। প্রয়োজন মতো জনগণকে সহায়তা প্রদান করেছে এমন সামাজিক সংগঠনগুলির অবদানকে অভিবাদন জানান তিনি এবং সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে এমন লোকেদের সহায়তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

প্রধানমন্ত্রী যুবদের, তাদের এলাকা এবং আশপাশের জায়গায় উপযুক্ত কোভিড আচরণ বিধি বজায় রাখতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপ আগামী দিনে কনটেনমেন জোন, কারফিউ বা লকডাউন এড়াতে সহায়তা করবে। তিনি বাচ্চাদের এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে বলেছেন যেখানে তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে অযথা বাড়ির বাইরে না বের হন। 

প্রধানমন্ত্রী এদিনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন দেশকে লকডাউন থেকে বাঁচাতে হবে। রাজ্য সরকারগুলিকে একমাত্র শেষ পন্থা অবলম্বনের ব্যবস্থা হিসেবে লকডাউন মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাইক্রো কনডেনমেন্ট জোনগুলির ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে এবং লকডাউন এড়াতে সকলকে যথাসাধ্য প্রয়াস করতে হবে।

 

 

CG/SS/SKD/