নমস্কার !
আমার প্রিয় দেশবাসী,
আজ আরো একবার আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী নিয়ে আলোচনা করতে।
22 মার্চ আমরা যে জনতা কারফিউ-এর সঙ্কল্প নিয়েছিলাম, সেটিকে সফল করতে, প্রতিটি ভারতবাসী দায়িত্ব এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে তাতে যোগ দিয়েছিলেন।
বাচ্চা-বুড়ো, বড়-ছোট, গরীব-মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত, সকলে একসঙ্গে এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। জনতা কারফিউকে প্রতিটি ভারতবাসী সফল করে তুলেছিলেন।
যখন দেশে সঙ্কট আসে, মানবতার সঙ্কট আসে౼ এই জনতা কারফিউ-এর মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে কিভাবে সংঘবদ্ধভাবে তার মোকাবিলা করতে হয়।
এই জনতা কারফিউ-এর সাফল্য নিশ্চিত করতে আপনাদের সকলের প্রশংসা প্রাপ্য।
বন্ধুগণ,
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর পরিস্থিতির বিষয়ে খবর আপনারা শুনছেন এবং দেখছেন।
আপনারা এটাও দেখেছেন, উন্নত দেশগুলিকে কিভাবে এই মহামারী সম্পূর্ণ অসহায় করে দিয়েছে। এমনটা নয় যে এই দেশগুলি যথেষ্ট উদ্যোগ নেয় নি বা তাদের সম্পদ কম রয়েছে।
করোনা ভাইরাস এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তার ফলে সমস্ত প্রস্তুতি এবং উদ্যোগ সত্ত্বেও এই দেশগুলির পক্ষে এই সঙ্কট সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই দেশগুলি গত দুই মাস ধরে যে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে এবং বিশেষজ্ঞরাও মতামত দিচ্ছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা একমাত্র ‘স্যোসাল ডিস্ট্যান্সিং’-এর মাধ্যমেই করা যায়। অর্থাৎ, একজন আরেকজনের থেকে দুরে থাকবেন আর বাড়িতেই থাকবেন। করোনা ভাইরাসের থেকে রেহাই পাওয়ার আর অন্য কোন উপায় নেই।
আমরা যদি করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে আটকাতে চাই, তাহলে এর সংক্রমণের চক্রটিকে আমাদের ভাঙতে হবে। কারো কারো মধ্যে এই ভুল ধারণা রয়েছে, অসুস্থদের জন্যই ‘স্যোসাল ডিস্ট্যাসিং’ প্রয়োজন। এটা তাঁরা ভুল ভাবছেন। সামাজিক দুরত্ব বজার রাখা প্রতিটি নাগরিকের জন্য, প্রতিটি পরিবারের জন্য এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যর জন্য জরুরী।
কিছু লোকের অসাবধানতা, ভুল চিন্তাভাবনার জন্য আপনি, আপনার সন্তানরা, আপনার মা-বাবা, আপনার পরিবার, আপনার বন্ধুবান্ধব౼সারা দেশ গভীর সমস্যায় পড়বে। এই অসাবধানতা চলতে থাকলে ভারতকে যে মূল্য দিতে হবে, তা নির্ধারণ করা অসম্ভব।
বন্ধুগণ,
গত দুইদিনে প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অর্থাৎ লকডাউনের আওতায় দেশের অনেক অংশকে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির এই উদ্যোগ কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে।
আজ রাত ১২টা থেকে, পুরো দেশজুড়ে, দয়া করে মন দিয়ে শুনবেন, প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার আওতায় সারা দেশ চলে আসবে।
দেশকে এবং প্রতিটি নাগরিককে রক্ষা করার জন্য আজ মধ্যরাত থেকে জনসাধারণের বাড়ির বাইরে বের হওয়ার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারী হচ্ছে।
দেশের সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জেলা, পুরসভা, গ্রাম, পাড়ায় প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যকর হবে।
এটা অনেকটা কারফিউ-এর মতো।
এটি জনতা কারফিউ-এর থেকে আরো বেশি কঠোর ।
করোনা মহামারীকে আটকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
দেশকে আর্থিকভাবে এর জন্য অবশ্যই মূল্য দিতে হবে।
কিন্তু প্রতিটি ভারতীয়র জীবন বাচানোর জন্য এই সময়টি౼ আমার, ভারত সরকারের, প্রতিটি রাজ্য সরকারের, প্রতিটি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আপনাদের সকলের কাছে আমার আবেদন, দেশের যেখানে আপনারা রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই লকডাউন ২১ দিন চলবে।
আগামী ২১টি দিন আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাসের চক্র ভাঙতে কমপক্ষে ২১ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ২১ দিনে যদি পরিস্থিতি সামাল না দেওয়া যায়, দেশ এবং আপনার পরিবার ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। এই ২১ দিনে যদি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না যায়, বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে।
আর তাই বাইরে বেরোনো কি ౼ তা এই ২১ দিনে ভুলে যান।
বাড়িতে থাকুন, বাড়িতে থাকুন,আর একটি জিনিস-ই করুন, বাড়িতে থাকুন।
বন্ধুগণ,
দেশজুড়ে প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা জারীর যে সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়েছে, এর ফলে আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় একটি লক্ষণরেখা এঁকে দিন।
অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি বাড়ির বাইরে একটি পা ফেললেই করোনার মত ভয়ঙ্কর মহামারী বাড়িতে ঢুকে পড়বে।
একটি জিনিষ সব সময় খেয়াল রাখবেন, করোনা আক্রান্ত যে কাউকে প্রথমে সুস্থই দেখাবে, সে যে সংক্রমিত হয়েছে, তা বাইরে থেকে বোঝাও যাবে না।
তাই, প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিন আর বাড়িতেই থাকুন।
আর হ্যাঁ, যারা বাড়িতে রয়েছেন,তারা নতুন নতুন পদ্ধতিতে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এরকম একটি ব্যানার আমার খুব ভালো লেগেছে, আমি সেটি আপনাদের দেখাচ্ছি। করোনা অর্থাৎ কেউ রোডে যাবেন না।
বন্ধুগণ,
বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন, কেউ করোনায় সংক্রমিত হলে তাঁর শরীরে এর লক্ষণ দেখা দিতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়। এই সময় সংক্রমিত ওই লোকটি নিজের অজান্তে তাঁর কাছে থাকা অন্যদের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ভাইরাসে আক্রান্ত যে কেউ সাত থেকে দশ দিনে শত শত লোকের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। তার মানে দাবানলের মতো এটা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেকটি হিসাবও গুরুত্বপূর্ণ।
বন্ধুগণ,
৬৭ দিনে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষে পৌছায়। আর তারপর মাত্র ১১ দিনে আরো একলক্ষ লোক সংক্রমিত হয়েছিলেন।
একবার ভাবুন, ৬৭ দিনে ১ লক্ষ লোক সংক্রমিত হলেন প্রথমে আর তারপর মাত্র ১১ দিন লাগল সংখ্যাটি দুই লক্ষ লোকে পৌঁছাতে। আরো সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার হল এই সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছাতে লেগেছিল মাত্র চার দিন।
ভাবতে পারছেন, কত দ্রুত এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে?
একবার ছড়াতে শুরু করলে একে আটকানো খুব কঠিন।
বন্ধুগণ,
এই কারনেই চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইটালি এবং ইরানে করোনা ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো, তখন পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
মনে রাখতে হবে ইটালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশ্বে সবথেকে ভালো বলে মনে করা হয়। তা সত্ত্বেও এই সব দেশগুলি করোনার প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে নি। এখন প্রশ্ন উঠছে এই অবস্থায় আশার আলো কোথায় দেখা যাবে? এর সমাধান কি?
বন্ধুগণ,
আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেই সব দেশের কাছ থেকে, যারা করোনাকে কিছুটা হলেও আটকাতে পেরেছে।
এই সব দেশের নাগরিকরা সপ্তাহের পর সপ্তাহ বাড়ির বাইরে বের হন নি। এইসব দেশের নাগরিকরা সরকারের নির্দেশাবলী পুরো মেনে চলেছেন আর তাই তারা বিশ্বজুড়ে এই মহামারী বা অতিমারীর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন।
আমাদের তাই মেনে নিতেই হবে এটাই আমাদের কাছে একমাত্র পথ। আমরা কেউ বাড়ির বাইরে বের হব না। যাই ঘটুক না কেন, আমরা বাড়ির ভেতরেই থাকব। আমরা যদি আমাদের বাড়ির লক্ষন রেখা পার না হই, তাহলেই আমরা করোনা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারব। আমাদের এই অতিমারীকে আটকাতেই হবে আর তাই সংক্রমণের চক্রটি ভাঙতে হবে।
বন্ধুগণ,
ভারত এখন এমন এক অবস্থায় আছে, যেখানে আমাদের ভূমিকাই ঠিক করে দেবে কিভাবে আমরা এই বিপর্যয়ের প্রভাবকে কমিয়ে ফেলতে পারব।
এই সময় আমাদের সংকল্পগুলিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে প্রাণ থাকলেই জগত থাকবে।
বন্ধুগণ,
এখন ধৈর্য ও শৃঙ্খলার সময়। যতদিন এই প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকবে, আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, আমাদের প্রতিজ্ঞা থেকে আমরা বের হব না।
আপনাদের কাছে তাই আমার আবেদন, বাড়িতে থাকার সময়, আপনারা তাঁদের কথা ভাবুন , তাঁদের মঙ্গল কামনা করুন, যারা এই বিপদের দিনেও প্রাণ হাতে করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন।
সেইসব চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, প্যাথলজিস্টের কথা ভাবুন, যারা প্রত্যেকের জীবন বাচানোর জন্য হাসপাতালে দিন রাত এক করে কাজ করছেন। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ওয়ার্ড বয়, সাফাই কর্মচারীদের কথা ভাবুন, যারা এই কঠিন পরিস্থিতিতে অন্যের জন্য কাজ করছেন।
তাঁদের জন্য প্রার্থনা করুন, যারা আপনাদের এলাকা, রাস্তাঘাট, সর্বসাধারণের স্থানগুলিকে জীবানুমুক্ত করার কাজ করছেন, যাতে এই ভাইরাসটি পুরোপুরি নির্মূল করা যায়।
সেইসব সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কথা ভাবুন, যারা চব্বিশ ঘন্টা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা এবং হাসপাতাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কথা ভাবুন, যারা তাঁদের পরিবারের সুখ সাচ্ছন্দের কথা না ভেবে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। দিন রাত এক করে তাঁরা আপনাদের রক্ষায় কাজ করেন আর অনেক সময়ই আপনাদের অসন্তোষের শিকারও হন।
বন্ধুগণ,
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্র এবং দেশ জুড়ে রাজ্য সরকারগুলি দ্রুত কাজ করতে শুরু করেছে। আমরা সবসময় খেয়াল রেখে চলেছি , নাগরিকরা দৈনন্দিন জীবনে যেন খুব সমস্যায় না পরেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সামগ্রীর সরবরাহ বজায় রাখা নিশ্চিত করতে আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এই সঙ্কটে গরীব মানুষরা নিশ্চিতভাবেই খুব সমস্যায় পড়বেন।
গরীব মানুষদের সমস্যার নিরসনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গরীবদের সাহায্যের জন্য অনেকেই উদ্যোগী হয়েছেন।
বন্ধুগণ,
জীবনধারণের জন্য যা যা দরকার, সেগুলি ছাড়াও জীবনরক্ষার জন্য যে সব জিনিষের প্রয়োজন সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এই অতিমারীর মোকাবিলায় কেন্দ্র দেশ জুড়ে ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কাজ করে চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দেশের প্রথম সারির চিকিৎসা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করতে কেন্দ্র ১৫হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে।
এর ফলে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র , ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, আইসোলেশন বেড , আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য সামগ্রীর পরিমাণ বাড়ানো যাবে। এছাড়া চিকিতসাকর্মী এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও করা হবে।
আমি সব রাজ্যসরকারগুলির কাছে অনুরোধ করেছি, এই মুহূর্তে তারা স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারের তালিকাভুক্ত করার জন্য ।
আমার খুব ভালো লেগেছে, সংকটের এই সময়ে বেসরকারি ক্ষেত্রও পুরো উদ্যোমে সহ নাগরিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে।
কঠিন এই সময়ে বেসরকারি পরীক্ষাগার ও হাসপাতালগুলিও সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু বন্ধু, খুব সাবধান। এইধরণের সময়ে౼ জেনে বা না জেনে অনেক রকম গুজব ছড়ায়। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, যে কোন রকমের গুজব বা কুসংস্কারের থেকে সতর্ক থাকার জন্য।
কেন্দ্র, রাজ্যসরকারগুলি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা যে নির্দেশ ও পরামর্শ আপনাদের দিচ্ছে, সেগুলি মেনে চলা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, এই সংক্রমণের কোন লক্ষণ দেখা দিলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসার বিষয়ে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে আপনার জীবন সংশয় হতে পারে।
বন্ধুগণ,
আমি নিশ্চিত , সংকটের এই সময়ে প্রতিটি ভারতবাসী সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলবে।
২১ দিনের লকডাউন একটি দীর্ঘ সময়, কিন্তু আপনার ও আপনার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য এটা সমান ভাবে প্রয়োজন।
আমি আশাবাদী সংকটের এই সময়ে প্রত্যেক ভারতবাসী সফলভাবে লড়াই-ই চালাবেন না, তাঁরা বিজয়ীও হবেন।
আপনার এবং আপনার প্রিয় মানুষদের যত্ন নিন।
জয় হিন্দ!
CG/CB/25th March…
22 मार्च को
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
जनता कर्फ्यू का जो संकल्प हमने लिया था,
एक राष्ट्र के नाते उसकी सिद्धि के लिए हर भारतवासी ने पूरी संवेदनशीलता के साथ,
पूरी जिम्मेदारी के साथ अपना योगदान दिया: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
बच्चे-बुजुर्ग,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
छोटे-बड़े,
गरीब-मध्यम वर्ग-उच्च वर्ग,
हर कोई परीक्षा की इस घड़ी में साथ आया: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
एक दिन के जनता कर्फ़्यू से भारत ने दिखा दिया कि जब देश पर संकट आता है,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
जब मानवता पर संकट आता है तो किस प्रकार से हम सभी भारतीय मिलकर,
एकजुट होकर उसका मुकाबला करते हैं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
साथियों,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
आप कोरोना वैश्विक महामारी पर पूरी दुनिया की स्थिति को समाचारों के माध्यम से सुन भी रहे हैं और देख भी रहे हैं।
आप ये भी देख रहे हैं कि दुनिया के समर्थ से समर्थ देशों को भी कैसे इस महामारी ने बिल्कुल बेबस कर दिया है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इन सभी देशों के दो महीनों के अध्ययन से जो निष्कर्ष निकल रहा है, और एक्सपर्ट्स भी यही कह रहे हैं कि कोरोना से प्रभावी मुकाबले के लिए एकमात्र विकल्प है-
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
Social Distancing: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
कोरोना से बचने का इसके अलावा कोई तरीका नहीं है,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
कोई रास्ता नहीं है।
कोरोना को फैलने से रोकना है,
तो इसके संक्रमण की सायकिल को तोड़ना ही होगा: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
कुछ लोग इस गलतफहमी में हैं कि social distancing केवल बीमार लोगों के लिए आवश्यक है।
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
ये सोचना सही नहीं।
social distancing हर नागरिक के लिए है, हर परिवार के लिए है, परिवार के हर सदस्य के लिए है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
कुछ लोगों की लापरवाही, कुछ लोगों की गलत सोच, आपको,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
आपके बच्चों को,
आपके माता पिता को,
आपके परिवार को,
आपके दोस्तों को,
पूरे देश को बहुत बड़ी मुश्किल में झोंक देगी: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
साथियों,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
पिछले 2 दिनों से देश के अनेक भागों में लॉकडाउन कर दिया गया है।
राज्य सरकार के इन प्रयासों को बहुत गंभीरता से लेना चाहिए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आज रात 12 बजे से पूरे देश में, ध्यान से सुनिएगा,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
पूरे देश में,
आज रात 12 बजे से पूरे देश में, संपूर्ण Lockdown होने जा रहा है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
हिंदुस्तान को बचाने के लिए, हिंदुस्तान के हर नागरिक को बचाने के लिए आज रात 12 बजे से, घरों से बाहर निकलने पर, पूरी तरह पाबंदी लगाई जा रही है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
देश के हर राज्य को,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
हर केंद्र शासित प्रदेश को,
हर जिले,
हर गांव,
हर कस्बे,
हर गली-मोहल्ले को अब लॉकडाउन किया जा रहा है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
निश्चित तौर पर इस लॉकडाउन की एक आर्थिक कीमत देश को उठानी पड़ेगी।
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
लेकिन एक-एक भारतीय के जीवन को बचाना इस समय मेरी,
भारत सरकार की,
देश की हर राज्य सरकार की, हर स्थानीय निकाय की,
सबसे बड़ी प्राथमिकता है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इसलिए
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
मेरी आपसे प्रार्थना है कि आप इस समय देश में जहां भी हैं,
वहीं रहें।
अभी के हालात को देखते हुए,
देश में ये लॉकडाउन
21 दिन का होगा: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आने वाले 21 दिन हमारे लिए बहुत महत्वपूर्ण हैं।
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
हेल्थ एक्सपर्ट्स की मानें तो, कोरोना वायरस की संक्रमण सायकिल तोड़ने के लिए कम से कम 21 दिन का समय बहुत अहम है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
घर में रहें,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
घर में रहें
और एक ही काम करें कि अपने घर में रहें।
साथियों,
आज के फैसले ने,
देशव्यापी लॉकडाउन ने आपके घर के दरवाजे पर एक लक्ष्मण रेखा खींच दी है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आपको ये याद रखना है कि कई बार कोरोना से संक्रमित व्यक्ति शुरुआत में बिल्कुल स्वस्थ लगता है,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
वो संक्रमित है इसका पता ही नहीं चलता।
इसलिए ऐहतियात बरतिए,
अपने घरों में रहिए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
सोचिए,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
पहले एक लाख लोग संक्रमित होने में 67 दिन लगे और फिर इसे
2 लाख लोगों तक पहुंचने में सिर्फ
11 दिन लगे।
ये और भी भयावह है कि
दो लाख संक्रमित लोगों से तीन लाख लोगों तक ये बीमारी पहुंचने में सिर्फ चार दिन लगे: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
साथियों,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
यही वजह है कि चीन,
अमेरिका,
फ्रांस,
जर्मनी,
स्पेन,
इटली-ईरान जैसे देशों में जब कोरोना वायरस ने फैलना शुरू किया, तो हालात बेकाबू हो गए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
उपाय क्या है,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
विकल्प क्या है?
साथियों,
कोरोना से निपटने के लिए उम्मीद की किरण,
उन देशों से मिले अनुभव हैं जो कोरोना को कुछ हद तक नियंत्रित कर पाए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
हमें भी ये मानकर चलना चाहिए कि हमारे सामने यही एक मार्ग है-
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
हमें घर से बाहर नहीं निकलना है।
चाहे जो हो जाए,
घर में ही रहना है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
भारत आज उस स्टेज पर है जहां हमारे आज के एक्शन तय करेंगे कि इस बड़ी आपदा के प्रभाव को हम कितना कम कर सकते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
ये समय हमारे संकल्प को
बार-बार मजबूत करने का है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
साथियों,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
ये धैर्य और अनुशासन की घड़ी है।
जब तक देश में lockdown की स्थिति है,
हमें अपना संकल्प निभाना है,
अपना वचन निभाना है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
उन डॉक्टर्स,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
उन नर्सेस,
पैरा-मेडिकल स्टाफ, pathologists के बारे में सोचिए,
जो इस महामारी से एक-एक जीवन को बचाने के लिए,
दिन रात अस्पताल में काम कर रहे हैं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
आप उन लोगों के लिए प्रार्थना करिए जो आपकी सोसायटी,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
आपके मोहल्लों,
आपकी सड़कों,
सार्वजनिक स्थानों को sanitize करने के काम में जुटे हैं,
जिससे इस वायरस का नामो-निशान न रहे: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
कोरोना वैश्विक महामारी से बनी स्थितियों के बीच,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
केंद्र और देशभर की राज्य सरकारें तेजी से काम कर रही है।
रोजमर्रा की जिंदगी में लोगों को असुविधा न हो,
इसके लिए निरंतर कोशिश कर रही हैं: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
अब कोरोना के मरीजों के इलाज के लिए,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
देश के हेल्थ इंफ्रास्ट्रक्चर को और मजबूत बनाने के लिए केंद्र सरकार ने आज 15 हजार करोड़ रुपए का प्रावधान किया है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
इससे कोरोना से जुड़ी टेस्टिंग फेसिलिटीज,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
पर्सनल प्रोटेक्टिव इक्वीपमेंट्स, Isolation Beds,
ICU beds,
ventilators,
और अन्य जरूरी साधनों की संख्या तेजी से बढ़ाई जाएगी: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
मैंने राज्य सरकारों से अनुरोध किया है कि इस समय उनकी पहली प्राथमिकता,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
सिर्फ और सिर्फ स्वास्थ्य सेवाएं ही होनी चाहिए, हेल्थ केयर ही प्राथमिकता होनी चाहिए: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
लेकिन साथियों,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
ये भी ध्यान रखिए कि ऐसे समय में जाने-अनजाने कई बार अफवाहें भी फैलती हैं।
मेरा आपसे आग्रह है कि किसी भी तरह की अफवाह और अंधविश्वास से बचें: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
मेरी आपसे प्रार्थना है कि इस बीमारी के लक्षणों के दौरान,
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
बिना डॉक्टरों की सलाह के,
कोई भी दवा न लें।
किसी भी तरह का खिलवाड़, आपके जीवन को और खतरे में डाल सकता है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona
मुझे विश्वास है हर भारतीय संकट की इस घड़ी में सरकार के, स्थानीय प्रशासन के निर्देशों का पालन करेगा।
— PMO India (@PMOIndia) March 24, 2020
21 दिन का लॉकडाउन,
लंबा समय है, लेकिन आपके जीवन की रक्षा के लिए, आपके परिवार की रक्षा के लिए, उतना ही महत्वपूर्ण है: PM @narendramodi #IndiaFightsCorona