নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কেরালার রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খানজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়নজি, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং-জি, আমার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সহকর্মীরা, নৌ-বাহিনীর প্রধান স্টাফ অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার, কোচিন শিপইয়ার্ডের এমডি এবং অন্যান্য অতিথি-অভ্যাগত ও এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার প্রিয় দেশবাসী!
কেরালার উপকূলে আজ প্রত্যেক ভারতবাসী এক নতুন ভবিষ্যতের ভোর প্রত্যক্ষ করেছে। আইএনএস বিক্রান্ত-কে ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বিশ্বের আঙিনাতেও এক নতুন দিগন্তের সূচনা হল। আজ আমরা এক নতুন শক্তিশালী ভারতবর্ষের ছবি দেখতে পাচ্ছি। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই ভারতের স্বপ্নই দেখেছিলেন।
‘বিক্রান্ত’ বিপুল আকৃতির ও এক অত্যাধুনিক রণতরী। ‘বিক্রান্ত’ অনন্য। ‘বিক্রান্ত’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ‘বিক্রান্ত’ কেবলমাত্র একটি রণতরী নয়, এটি কঠোর শ্রম, মেধা এবং একুশ শতকের ভারতের প্রতিশ্রুতির পরিচয়বাহক। যখন পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হতে থাকে ও একের পর এক চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে থাকে, সেই সময়ের জন্য ভারতের জবাব হল ‘বিক্রান্ত’। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এ ‘বিক্রান্ত’ আত্মনির্ভর ভারতের এক অনন্য নজির গড়ল। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য এই মুহূর্ত গর্বের। প্রত্যেক ভারতবাসীর আত্মসম্মান বৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়েছে এই রণতরী। আমি সকল দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
লক্ষ্য কতটা কঠিন বা পরিস্থিতি কতটা চ্যালেঞ্জে ভরা তা কোনো বিশেষ মূল্য রাখে না। ভারত যখন সেই লক্ষ্যপূরণে নিশ্চিত হয়, তখন কোনকিছুই অসম্ভব নয়। আজ ভারত বিশ্বের সেইসব দেশের সঙ্গে সামিল হতে পেরেছে যারা বিমানবাহী অত্যাধুনিক রণতরী নির্মাণ করে। দেশের জনগণের মধ্যে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ এক নতুন আত্মবিশ্বাসের সূচনা করেছে। ‘বিক্রান্ত’কে দেখে আজ সমুদ্রের এই ঢেউগুলি বলছে
अमर्त्य वीर पुत्र हो, दृढ़ प्रतिज्ञ सोच लो,
प्रशस्त पुण्य पंथ है, बढ़े चलो, बढ़े चलो।
বন্ধুগণ,
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সব ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী এবং কোচিন শিপইয়ার্ডের সব শ্রমিক ভাই-বোনেদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের জন্যই এই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। কেরালার এই পুণ্যভূমিতে যখন ওনাম উৎসব পালিত হচ্ছে, তখনই এই গৌরব অর্জন করা বিশেষ আনন্দের।
বন্ধুগণ,
‘বিক্রান্ত’-এর প্রতিটি অংশেই বিশেষত্ব রয়েছে, এক নতুন শক্তি রয়েছে এবং এর নিজস্ব উন্নয়ন যাত্রাও রয়েছে। এটি দক্ষতা, ক্ষমতা ও সম্পদের এক অনন্য নজির। যে ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে তাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় কোম্পানিগুলির তৈরি এই ইস্পাত উৎপাদন করেছেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা।
এখানে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তা ৫ হাজার বাড়িকে আলোকজ্জ্বল করে তুলতে পারবে। ডেকটি দুটি ফুটবল মাঠের সমান বড়। ‘বিক্রান্ত’-এ যে তার ব্যবহার করা হয়েছে তা একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হলে কোচি থেকে কাশী পৌঁছে যাবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের কঠোর পরিশ্রমের নিদর্শন ‘বিক্রান্ত’।
বন্ধুগণ,
এ বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি যে পাঁচ প্রাণ বা প্রতিজ্ঞার কথা বলেছিলাম, সে বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে আমাদের হরিজিও উল্লেখ করেছেন। এর প্রথমটি ছিল উন্নত ভারত গঠন! দ্বিতীয়টি ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি। তৃতীয়টি হল নিজের ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ করা। চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রতিজ্ঞা হল, একতা ও দেশবাসীর প্রতি সহমর্মিতা এবং নাগরিক দায়িত্ব পালন। ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর এই নির্মাণ সফরে আমরা এর সবগুলিই দেখতে পাই। আজকের আগে পর্যন্ত কেবলমাত্র উন্নত দেশগুলিই এ ধরনের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করেছে। ভারত উন্নত দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
বন্ধুগণ,
জল পরিবহণের ক্ষেত্রে ভারতের এক উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। আমাদের ঐতিহ্যও সমৃদ্ধশালী।
दीर्घिका तरणि: लोला, गत्वरा गामिनी तरिः।
जंघाला प्लाविनी चैव, धारिणी वेगिनी तथा॥
ইতিহাসে আমাদের যে জাহাজ ও নৌকার বর্ণনা আছে, তাতে ‘বল্লিকা’, ‘তরণী’, ‘লোলা’, ‘গাতধরা’, ‘যামিনী’, ‘জঙ্গলা’, ‘প্লাবিনী’, ‘ধরিনী’র মতো বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন জাহাজ ও নৌকার উল্লেখ রয়েছে। আমাদের বেদ-এ নৌকা, জাহাজ ও সমুদ্র সম্বন্ধে অনেক মন্ত্রও রয়েছে। বৈদিক যুগ থেকে গুপ্ত যুগ এবং মৌর্য সাম্রাজ্যে ভারতের সমুদ্রশক্তি বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত ছিল। ছত্রপতি বীর শিবাজী মহারাজ এমন এক নৌ-বাহিনী তৈরি করেছিলেন যা গোটা বিশ্বের কাছে আতঙ্ক সৃষ্টি করত।
বৃটিশ যখন ভারতে আসে তখন তারা ভারতীয় জাহাজের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। তাই তারা ভারতের সমুদ্র ক্ষমতা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজ ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদের ওপর কি ধরনের কড়া নিয়ম-বিধি লাগু করা হয়েছিল, ইতিহাস তার সাক্ষী।
ভারতের মেধা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে, কিন্তু আমাদের জনগণ মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলেন না। আমরা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ি। ঔপনিবেশিক শাসনকালে আমরা ধীরে ধীরে আমাদের ক্ষমতার কথা ভুলতে থাকি। বর্তমানে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময় ভারত তার হৃত ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করছে।
বন্ধুগণ,
আজ এই ঐতিহাসিক দিনে আমরা ইতিহাসের আরও একটি নতুন অধ্যায় পালটে দিলাম। আজ ভারত ঔপনিবেশিক শাসনকালের আরও একটি বোঝা থেকে মুক্ত হল। আজ থেকে ভারতীয় নৌ-বাহিনী পেল নতুন পতাকা। এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় নৌ-বাহিনীর পতাকায় ঔপনিবেশিক শাসনকালের প্রতিচ্ছবি ছিল, কিন্তু আজ থেকে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের চিন্তাভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নৌ-বাহিনী তার নতুন পতাকা নিয়ে আকাশ ও সমুদ্রপথে উড়ে বেড়াবে। রামধারী সিং দিনকর তাঁর কবিতায় লিখেছিলেন –
नवीन सूर्य की नई प्रभा, नमो, नमो, नमो!
नमो स्वतंत्र भारत की ध्वजा, नमो, नमो, नमो!
আজ আমি নৌ-বাহিনীর এই নতুন পতাকাটি ছত্রপতি বীর শিবাজী মহারাজের উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম। ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে নতুন আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা তৈরি করবে এই পতাকা।
বন্ধুগণ,
আমি দেশবাসীর কাছে আমাদের বাহিনীর ক্রমশ যে পরিবর্তন হচ্ছে সে বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই। আমাদের সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য যখন ‘বিক্রান্ত’কে জলে ভাসানো হয়, তখন বেশ কয়েকজন মহিলা সেনাকর্মীকে ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সমুদ্রের ক্ষমতার সঙ্গে ভারতীয় নারীশক্তির ক্ষমতা মিলেমিশে এক নতুন ভারতের পরিচয় গঠন করে।
আমাকে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে ৬০০ জন মহিলা আধিকারিক রয়েছেন। কিন্তু এখন ভারতীয় নৌ-বাহিনী তাদের সব শাখাগুলিই মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চায়। যে বিধি-নিষেধ ছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। শক্তিশালী ঢেউয়ের জন্য কোনো সীমা নেই। ভারতীয় কন্যাদের জন্য নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
এক বা দু’বছর আগে ভারতীয় মহিলা আধিকারিকরা ‘আইএনএস ভি তারিনী’তে করে সারা বিশ্ব পরিক্রমা করেছিলেন। আগামীদিনে ভারতের অগণিত মেয়েরা বিশ্বের সামনে এ ধরনের আরও নানান শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসবে। নৌ-বাহিনীর মতো সশস্ত্র বাহিনীর তিন বিভাগেই মহিলাদের এখন অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য দায়িত্ব পালনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আত্মনির্ভর ও স্বাধীনতা – এই দুটি শব্দ একে অপরের পরিপূরক। একটি দেশ যতটা অন্য আরও একটি দেশের ওপর নির্ভর থাকবে, ততই সমস্যার সৃষ্টি হবে। কোনো দেশ যত বেশি আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে, তত বেশি শক্তিশালী হবে। করোনা অতিমারীর সময় আমরা দেখেছি ও উপলব্ধি করেছি, আত্মনির্ভর হওয়ার এই অসীম ক্ষমতা। তাই আজ ভারত আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ শক্তিতে কাজ করছে।
আজ ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ যখন সমুদ্রে ভারতের গৌরব কাহিনী তুলে ধরছে, তখন ‘তেজস’ দিগন্তে ডানা মেলে নিজের গৌরব কাহিনী শোনাচ্ছে। এ বছর ১৫ আগস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসী ভারতে তৈরি বন্দুকের আওয়াজ পেয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন হচ্ছে। একে আত্মনির্ভর করে তুলতে অবিরাম আধুনিকীকরণের কাজ চলছে।
আমাদের সেনাবাহিনী একটি বিশাল তালিকা তৈরি করেছে যাতে সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার উল্লেখ রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বরাদ্দ আরও কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে গড়ে তোলা হচ্ছে দুটি প্রতিরক্ষা করিডর। এভাবেই ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার পাশাপাশি অনেক নতুন কাজের সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
লালকেল্লার প্রাকার থেকে ভাষণে আমি নাগরিক দায়িত্ব পালনের কথা বলেছিলাম। আমি আজ আবার তা বলছি। ছোট ছোট বিন্দু থেকেই সিন্ধু তৈরি হয়। একইভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্র নিয়ে বাঁচতে শুরু করেন, তাহলে খুব দ্রুত ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। এর প্রতিধ্বনি কেবলমাত্র দেশের অভ্যন্তরে নয়, সারা বিশ্বে শোনা যাবে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে বিশ্বের পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আগামীদিনে কাজের লক্ষ্য স্থির করতে নতুন নতুন পন্থা গ্রহণ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে পারি, অতীতে নিরাপত্তার দিক থেকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে উপেক্ষা করা হত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এগুলিই দেশের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। নৌ-বাহিনীর বাজেট ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে।
সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী কিংবা প্রহরারত জাহাজ – সবক্ষেত্রেই ভারতীয় নৌ-বাহিনী বিশেষ উন্নতি করছে। আরও উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে আমাদের সমুদ্রপথে বাণিজ্য বাড়বে বলেই আশা। বাণিজ্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের সামনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
বন্ধুগণ,
আমি একবার পড়েছিলাম, ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামকে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আপনি খুব শান্ত, আপনার কেন অস্ত্রের প্রয়োজন? কালামজি বলেছিলেন, শক্তি এবং শান্তি একে অপরের সমার্থক। তাই আজকের ভারত এভাবেই শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে উঠছে।
আমি নিশ্চিত, এক শক্তিশালী ভারত শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বিশ্বের পথ প্রশস্ত করবে। আমরা আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের সম্মান জানাই। আপনাদের সকলকে আমার হৃদয় অন্তঃস্থল থেকে অনেক ধন্যবাদ।
জয় হিন্দ!
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আনুমানিক অনুবাদ এটি। মূল বক্তব্য ছিল হিন্দিতে।
PG/PM/DM/
INS Vikrant is an example of Government's thrust to making India's defence sector self-reliant. https://t.co/97GkAzZ3sk
— Narendra Modi (@narendramodi) September 2, 2022
आज यहाँ केरल के समुद्री तट पर भारत, हर भारतवासी, एक नए भविष्य के सूर्योदय का साक्षी बन रहा है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
INS विक्रांत पर हो रहा ये आयोजन विश्व क्षितिज पर भारत के बुलंद होते हौसलों की हुंकार है: PM @narendramodi
विक्रांत विशाल है, विराट है, विहंगम है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
विक्रांत विशिष्ट है, विक्रांत विशेष भी है।
विक्रांत केवल एक युद्धपोत नहीं है।
ये 21वीं सदी के भारत के परिश्रम, प्रतिभा, प्रभाव और प्रतिबद्धता का प्रमाण है: PM @narendramodi
यदि लक्ष्य दुरन्त हैं, यात्राएं दिगंत हैं, समंदर और चुनौतियाँ अनंत हैं- तो भारत का उत्तर है विक्रांत।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
आजादी के अमृत महोत्सव का अतुलनीय अमृत है विक्रांत।
आत्मनिर्भर होते भारत का अद्वितीय प्रतिबिंब है विक्रांत: PM @narendramodi
आज भारत विश्व के उन देशों में शामिल हो गया है, जो स्वदेशी तकनीक से इतने विशाल एयरक्राफ्ट कैरियर का निर्माण करता है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
आज INS विक्रांत ने देश को एक नए विश्वास से भर दिया है, देश में एक नया भरोसा पैदा कर दिया है: PM @narendramodi
INS विक्रांत के हर भाग की अपनी एक खूबी है, एक ताकत है, अपनी एक विकासयात्रा भी है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
ये स्वदेशी सामर्थ्य, स्वदेशी संसाधन और स्वदेशी कौशल का प्रतीक है।
इसके एयरबेस में जो स्टील लगी है, वो स्टील भी स्वदेशी है: PM @narendramodi
छत्रपति वीर शिवाजी महाराज ने इस समुद्री सामर्थ्य के दम पर ऐसी नौसेना का निर्माण किया, जो दुश्मनों की नींद उड़ाकर रखती थी।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
जब अंग्रेज भारत आए, तो वो भारतीय जहाजों और उनके जरिए होने वाले व्यापार की ताकत से घबराए रहते थे: PM @narendramodi
इसलिए उन्होंने भारत के समुद्री सामर्थ्य की कमर तोड़ने का फैसला लिया।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
इतिहास गवाह है कि कैसे उस समय ब्रिटिश संसद में कानून बनाकर भारतीय जहाजों और व्यापारियों पर कड़े प्रतिबंध लगा दिए गए: PM @narendramodi
आज 2 सितंबर, 2022 की ऐतिहासिक तारीख को, इतिहास बदलने वाला एक और काम हुआ है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
आज भारत ने, गुलामी के एक निशान, गुलामी के एक बोझ को अपने सीने से उतार दिया है।
आज से भारतीय नौसेना को एक नया ध्वज मिला है: PM @narendramodi
अब तक भारतीय नौसेना के ध्वज पर गुलामी की पहचान बनी हुई थी।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
लेकिन अब आज से छत्रपति शिवाजी से प्रेरित, नौसेना का नया ध्वज समंदर और आसमान में लहराएगा: PM @narendramodi
विक्रांत जब हमारे समुद्री क्षेत्र की सुरक्षा के लिए उतरेगा, तो उस पर नौसेना की अनेक महिला सैनिक भी तैनात रहेंगी।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
समंदर की अथाह शक्ति के साथ असीम महिला शक्ति, ये नए भारत की बुलंद पहचान बन रही है: PM @narendramodi
अब इंडियन नेवी ने अपनी सभी शाखाओं को महिलाओं के लिए खोलने का फैसला किया है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
जो पाबन्दियाँ थीं वो अब हट रही हैं।
जैसे समर्थ लहरों के लिए कोई दायरे नहीं होते, वैसे ही भारत की बेटियों के लिए भी अब कोई दायरे या बंधन नहीं होंगे: PM @narendramodi
बूंद-बूंद जल से जैसे विराट समंदर बन जाता है।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
वैसे ही भारत का एक-एक नागरिक ‘वोकल फॉर लोकल’ के मंत्र को जीना प्रारंभ कर देगा, तो देश को आत्मनिर्भर बनने में अधिक समय नहीं लगेगा: PM @narendramodi
पिछले समय में इंडो-पैसिफिक रीज़न और इंडियन ओशन में सुरक्षा चिंताओं को लंबे समय तक नजरअंदाज किया जाता रहा।
— PMO India (@PMOIndia) September 2, 2022
लेकिन आज ये क्षेत्र हमारे लिए देश की बड़ी रक्षा प्राथमिकता है।
इसलिए हम नौसेना के लिए बजट बढ़ाने से लेकर उसकी क्षमता बढ़ाने तक हर दिशा में काम कर रहे हैं: PM @narendramodi