প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে শত্রু সম্পত্তির অংশ বিক্রির জন্য নীতি-পদ্ধতি ও ব্যবস্থার রূপরেখা অনুমোদন করা হয়। ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারা মোতাবেক এইসব সম্পত্তির অভিভাবক হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক/ভারতের শত্রু সম্পত্তি অভিভাবক সংস্থা, (সিইপিআই)। এই সম্পত্তির অংশ বিক্রির জন্য মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। বিনিয়োগ এবং জনসম্পদ পরিচালন দপ্তরকে শত্রু সম্পত্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারানুযায়ী এই সম্পত্তিগুলি বিক্রয়ের কর্তৃত্ব/অধিকার দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের সরকারি অ্যাকাউন্টে বিলগ্নীকরণ বাবদ আয় হিসাবে এই অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমাদের দেশে ৯৯৬টি কোম্পানির ২০ হাজার ৩২৩ জন শেয়ার মালিকের মোট ৬ কোটি ৫০ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার শত্রু সম্পত্তি অভিভাবক সংস্থার অধীনে রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে ৫৮৮টি সক্রিয় বা কার্যকর রয়েছে। এর মধ্যে ১৩৯টি সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। এই সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত একটি বিকল্প ব্যবস্থা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। এই কমিটি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলির মূল্য ও পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব শত্রু সম্পত্তির অংশ দীর্ঘকাল ধরে অব্যবহৃত হিসাবে পড়ে আছে, তার আর্থিক ব্যবহার সম্ভব হবে। ২০১৭ সালে শত্রু সম্পত্তি আইনের সংশোধনের ফলে এগুলি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিক্রয়ের এবং তা যথাযথভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
CG/PB/SB