প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা প্রকল্পের সংস্কার এবং ফসল বিমা প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার মাধ্যমে আবহাওয়া ভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্প পূর্ণগঠনের প্রস্তাব মঞ্জুর করা হয়েছে।
ফসল বিমা প্রকল্পে এবং আবহাওয়া ভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্পে বেশ কয়েকটি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলি হল,
· বিমা সংস্হাগুলিকে তিন বছরের জন্য এই দুই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
· রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আর্থিক পরিমান অথবা জাতীয় গড় উৎপাদনের জেলা ভিত্তিক উৎপাদন মূল্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মধ্যে যেকোন একটি বেছে নেবার সুযোগ দেওয়া হবে।
· প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় এবং পুর্নগঠিত আবহাওয়া ভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় ভর্তুকির পরিমাণ কৃষি সেচ বর্হিভূতি এলাকা বা শস্যের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম হারে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত এবং সেচ সেবিত এলাকা বা ফসলের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। যেসমস্ত জেলায় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি জমি সেচ সেবিত, সেই জেলাগুলিকে সেচ সেবিত জেলা হিসেবে গণ্য করা হবে।
· রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ফসল বিমার ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যেকোন একটি বা একাধিক কর্মসূচি গ্রহণের সুবিধা পাবে।
· নির্দিষ্ট সময়সীমার পর সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্হাগুলিকে তাদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম বাবদ ভর্তুকি প্রদানে রাজ্যগুলি দেরি করলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যটি ফসল বিমা যোজনা পরবর্তী মরশুমে কার্যকর করতে পারবেনা। খরিফ ও রবি মরশুমের ক্ষেত্রে বিমা সংস্হাগুলিকে প্রিমিয়াম ভর্তুকি মেটানোর শেষ তারিখ স্হির হয়েছে যথাক্রমে ৩১ মার্চ ও ৩০ সেপ্টেম্বর।
· এই দুই কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের অংশগ্রহণের বিষয়টি ঐচ্ছিক।
· উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য প্রিমিয়াম ভর্তুকি বাবদ কেন্দ্রীয় শেয়ার বেড়ে হবে ৯০ শতাংশ। আগে ছিল ৫০ শতাংশ।
· সংশোধনের পর এই দুই প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ২০২০র খরিফ মরশুম থেকেই কার্যকর হবে।
· মনে করা হচ্ছে এই প্রকল্প দুটিতে সংশোধনের ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ঝুঁকি এড়াতে আরও বেশি সক্ষম হয়ে উঠবে এবং কৃষিকাজ থেকে আয় স্হিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
******
CG/ BD /NS/