উপস্থিতসম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ,
আজ আমরাতথ্য জানার অধিকার সম্পর্কিতদশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানপালন করছি। এই ব্যবস্থাকেআস্থাভাজন করে তুলতে যাঁরানিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদেরসবাইকে আমি ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছাজানাই।
সাধারণমানুষের তথ্য জানার অধিকারথাকা উচিত। কিন্তু, সেই অধিকারশুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকাউচিত নয়। তাঁদের যেন সরকারকেওপ্রশ্ন করার অধিকার থাকে, তা হলেই এটাহয়ে উঠবে গণতন্ত্রের ভিত্তি।আমরা সেই লক্ষ্যে যত দ্রুতগতিতেসম্ভব কাজ করবো, তা হলেইসাধারণ মানুষের মনে গণতন্ত্রেরপ্রতি বিশ্বাস বাড়বে। এইবিশ্বাস যত বাড়বে, প্রশাসনতত শক্তিশালী হয়ে উঠবে। উজ্জীবিতসমাজ রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবানসম্পত্তি। আমাদের ব্যবস্থাএমন কিছু করা উচিত, যা এই উজ্জীবনকেঅঙ্কুরিত করে, পুরস্কৃতকরে, উৎসাহযোগায় এবং পরিণাম পর্যন্তনিয়ে যায়।
আমি যতদূরজানি, ১৭৬৬সালে সবার আগে সুইডেনে এই তথ্যজানার অধিকার লিখিতরূপেস্বীকৃত হয়েছিল। অলিখিতভাবেঅন্যান্য দেশে তার আগে শুরুহয়েও থাকে। কিন্তু, এই ব্যবস্থাআমেরিকায় পৌঁছতে ১৯৬৬ হয়েযায়। ২০০ বছর সময় লাগে। তারপরথেকে আরও কয়েকটি দেশে এ বিষয়েআইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু, আইন প্রণয়নেরপরেও মানুষকে এ বিষয়ে শিক্ষিতকরে শাসন ব্যবস্থাকে তারঅনুকূল করে এই আইনকে কার্যকরকরতে আরও দু’বছরলেগে যায়। আমাদের দেশের অভিজ্ঞতাআলাদা। আমরা আগে সিদ্ধান্তনিয়েছি, তারপর কাজকরতে করতে সংস্কারের পথ ধরেএকে আরও গণমুখী করার মাধ্যমেসাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নকেত্বরান্বিত করেছি। আর এইপ্রক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকবেতবেই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিদিনশক্তিশালী হয়ে উঠবে, আধুনিক হয়েউঠবে।
ডিজিটালইন্ডিয়ার যে স্বপ্ন তা এই তথ্যজানার অধিকারের পরিপূরক।কারণ, যখনসবকিছু অনলাইন হতে শুরু করেতখন নিজে থেকেই দুর্নীতিমুক্তহতে থাকে। প্রশাসন আর জনসাধারণেরমাঝে আস্থা থাকা উচিত। আর এইআস্থা প্রশাসনিক স্বচ্ছতারমাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।আর সেজন্যই ডিজিটাল ইন্ডিয়ারস্বপ্ন সমস্ত প্রশাসনিককাজকর্মকে অনলাইন ও উন্মুক্তকরার মাধ্যমে তথ্য জানারঅধিকারকে সুষ্ঠুভাবে পালনকরবে। সম্প্রতি কয়লাখনিগুলিনিলাম হয়েছিল। আমরা সবাই জানি, এইকয়লাখনির বন্টন নিয়ে কত প্রশ্নউঠেছিল। এই মামলা সুপ্রিমকোর্টঅবধি গড়িয়েছিল। তথ্য জানারঅধিকার বিভাগের কর্মচারীদেরঅনেক পরিশ্রম করতে হতো, বর্তমানসরকার ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়েসবকিছু অনলাইন করে দিয়েছে।এখন কোনও সার্বজনীন স্থানেবড় পর্দায় গোটা প্রক্রিয়াদেখতে পান সাধারণ মানুষ।প্রত্যেক সন্ধ্যায় অধুনাতমতথ্য সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমেরসামনে তুলে ধরা হয়। কাজেই এইবিষয়ে এখন আর তথ্য জানার অধিকারবিভাগের কর্মচারীদের কিছুইকরতে হয় না। সম্প্রতি আমরাএফ.এম. রেডিও’রনিলাম করেছি। তারপর স্পেকট্রামেরনিলাম করেছি। ৭- ১০দিন ধরে একেকটি নিলাম প্রক্রিয়াচলেছে প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমেরবন্ধুরা এসে বসতেন, আপনারাওবসতেন। আর সবার সামনে সমস্ততথ্য জলের মতো পরিস্কার হয়েযেত।
আমাদেরপ্রত্যেকেরই উচিত স্বতঃস্ফূর্তভাবেএহেন স্বচ্ছ প্রশাসনের দিকেএগিয়ে যাওয়া। প্রশাসনের কোনওকাজের দিকে কেউ যেন আঙুল নাতুলতে পারে। প্রশ্ন করার আগেইতাঁরা যেন সহজরূপে সমস্ত তথ্যপেয়ে যান। আমাদের অনেক পুরোনোপদ্ধতি ধীরে ধীরে বদলাতে হবে।কোথাও চাকরির জন্য দরখাস্তকরতে হলে একাধিক শংসাপত্রেরপ্রত্যয়িত নকল জমা দিতে হয়, সেগুলিকেকোনও গেজেটেড অফিসার বা রাজনৈতিকনেতার কাছে নিয়ে যেতে হতোপ্রত্যয়িত করার জন্য। যুগযুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে।আমরা এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করতেহবে। প্রত্যয়িত নকল জমা দেওয়ারকোনও প্রয়োজন নেই। কর্মপ্রার্থীযদি চাকরির জন্য নির্বাচিতহন, তাহলে চাকরিতে যোগদানের আগেমূল শংসাপত্রগুলিকে সঙ্গেনিয়ে আসবেন, সেগুলিসংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরাএকবার দেখে নেবেন। অর্থাৎ, আমরা সাধারণনাগরিকদের ওপর ভরসা করে ব্যবস্থাপরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সাধারণ নাগরিকদের সন্দেহ করেযদি প্রশাসন চালাই, তা হলে আমরাওকোথাও না কোথাও নিজেদের লুকোনোরচেষ্টা করবো। আমরা যে বৈপ্লবিকপরিবর্তন এনেছি, তা প্রশাসনকেঅনেক বেশি গণমুখী ও উন্মুক্তকরে তুলবে। দেশের সাধারণ মানুষঅনেক বেশি ক্ষমতাবান হবেন।
সরকারও প্রশাসনের আরেকটি স্বভাবআমরা বদলাতে চাই। সেটা হললালফিতের ফাঁস। একই কামরায়চারজন আধিকারিক কাজ করেন, কিন্তুতাঁদের মধ্যে একটি ফাইল ঘুরতেঅনেক সময় লেগে যায়, অনেকসিদ্ধান্ত ফাইল চাপা পড়ে থেকেবিলম্বিত হয়। এই ব্যবস্থাযখন চালু হয়েছিল, তখনহয়তো এই গোপনীয়তার মানসিকতারপেছনে কোনও যুক্তিযুক্ত কারণছিল। কিন্তু, আজএসবের কোনও প্রয়োজন নেই। এখনসবকিছু উন্মুক্ত করে দিতেহবে। স্বচ্ছভাবে প্রশাসনচালাতে হবে। এই সরলতাই কাজেগতি আনবে। সবকিছুই যে ফাইলেলিখে রাখতে হবে তার কোনও মানেনেই। যে কোনও সংস্কারের ক্ষেত্রেআমাদের পারম্পরিক স্বভাবেপরিবর্তন আনতে হয়। আমরা কীরকম পরিবর্তন চাই, তাঠিক হয়ে গেলে আমরা সেই লক্ষ্যেদ্রুত এগিয়ে যেতে পারবো। আমারদৃঢ় বিশ্বাস, এইসুফলদায়ক হবে।
আজ আমিমনে করি, এইতথ্য জানার অধিকারেও একটাসীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমাহল – যিনিতথ্য জানতে চান, তিনি তথ্যপেলেও সেই তথ্য থাকে অসম্পূর্ণ।এই তথ্য হয়তো সংবাদ মাধ্যমেরখুব কাজে লাগে। কাজের পদ্ধতিসম্পর্কে জানা যায়, কিন্তুপ্রোডাক্ট সম্পর্কে জানা যায়না। মনে করুন, একটি সেতুনির্মাণের চুক্তি হয়েছে, সেই সম্পর্কেতথ্য জানতে গেলে তথ্য জানারঅধিকার দপ্তর জানিয়ে দেবেকেমনকরে ফাইল চলতে শুরু করেছিল, দরপত্রকিভাবে হয়েছিল, তাতে কী নোটদেওয়া হয়েছিল, কার্য ক্ষেত্রকিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলপ্রভৃতি। কিন্তু, সেই সেতুটিকিভাবে নির্মিত হয়েছিল, ঠিক ঠাক কাজহয়েছে কি হয়নি, তার কী ত্রুটিরয়েছে, সময়মতো শেষ হয়েছে কি হয়নি – এসব বিষয়কিছুই জানা যাবে না। এখন সময়এসেছে, এসববিষয় সম্পর্কেও তথ্য যাতেজানা যায়, তবেই ব্যবস্থায়স্বচ্ছতা আসবে। নিছক আত্মসন্তুষ্টিরজন্য নয়, তথ্য যেনপ্রশাসনকে গতিশীল করে তোলে, সাধারণমানুষের উপযোগী করে তোলে, সেই বিষয়টিকেইঅগ্রাধিকার দিতে হবে।
সেজন্যবিজয়জীর সঙ্গে যখন আমার দেখাহয়েছিল, আমিতাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, আমাদেরকেসাধারণ মানুষ যত প্রশ্ন করেন, আমরা কিসেগুলি নিয়ে কোনও বিশ্লেষণকরি। রেল দপ্তর সম্পর্কে কতপ্রশ্ন এলো, গৃহ মন্ত্রণালয়সম্পর্কে কতগুলি প্রশ্ন এলো – এগুলিরবিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, কোনও দপ্তরকিংবা মন্ত্রকের কাজ সম্পর্কেহাজার হাজার প্রশ্ন আসে, আর কোন্দপ্তর কিংবা মন্ত্রক সম্পর্কে১০০’রবেশি প্রশ্ন আসে না। সেইবিশ্লেষণ থেকেই আমরা বুঝতেপারবো, প্রশাসনেরসেই বিভাগ বা মন্ত্রকটি কোনওঅসাড় সিদ্ধান্তের শিকার হয়েপড়েছে কি না, সেই অসাড়সিদ্ধান্তকে যদি আমরা চিহ্নিতকরতে পারি, তা হলে তথ্যজানার অধিকারকে নিছকই জানারঅধিকার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নারেখে ব্যবস্থার সংস্কারেরমাধ্যমে প্রশাসনকে জঙ্গম করেতুলতে পারি। সাধারণ মানুষযখন কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্নতুলছেন, তারমানে শাসন ব্যবস্থায় কিছুফাঁক রয়েছে। সেই ফাঁকটিকেইচিহ্নিত করতে হবে। সরকারেউচ্চ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনারমাধ্যমে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকরলে আমরা সুপ্রশাসনের পথেযেতে পারি। শুধু জবাব দিলেইতথ্যের অধিকার পালন করা হয়না। যাতে প্রশ্ন না উঠে, প্রশাসনকেসেরকম স্বচ্ছ ও গতিশীল করেতুলতে হবে।
আমারদ্বিতীয় পরামর্শ, তথ্য জানারঅধিকার বিভাগ যেসব প্রশ্নেরসম্মুখীন হচ্ছে, বিশ্লেষণেরমাধ্যমে যদি দেখা যায়, সেগুলি কোনওব্যক্তির গাফিলতি কিংবাদুর্নীতির কারণে হচ্ছে, তা হলে সেইব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। যদি কখনও মনেহয়, আর্থিককারণে তিনি সিদ্ধান্ত নিতেদেরী করেছেন, তা হলে কিভাবেঅর্থের যোগান দিলে তিনি দ্রুতসিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তা বোঝাযাবে। এভাবেই বিশ্লেষণপ্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলিকেচিহ্নিত করতে পারে এবং সেগুলিকেসংস্কার করতে পারে। সেজন্যআমি চাই, তথ্য জানারঅধিকারকে কিভাবে সুপ্রশাসনেরএকটি উপাদান রূপে ব্যবহারকরা যায়, তানিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক হোক।
বর্তমানসরকারের মূল মন্ত্র হল প্রগতি।ভারত সরকারের মুখ্যসচিব এবংসকল বিভাগের সচিবদের সঙ্গে১২ – ১৫টিবিষয় নিয়ে আমি আলোচনায় বসি।সেই আলোচনা যে কোনও নাগরিকেরএকটি চিঠি নিয়ে শুরু হতে পারে।মনে করুন কেউ লিখলেন, প্রাক্তনসৈনিকদের পেনশনের সমস্যা।আমি সেই বিষয় উত্থাপন করেসকলের মতামত জানতে চাই, যাতে এইবিষয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করতেগেলে কোন্ দপ্তরকে কী কী সমস্যারসম্মুখীন হতে হবে, তা আমি ঐছোট ঘরে বসেই একসঙ্গে জেনেযেতে পারি। তারপর, সবাই মিলেচিন্তাভাবনা করে দ্রুত সমস্যারসমাধান করতে পারি। আবার কেউচিঠি লিখলেন – ডাকবিভাগেরমাধ্যমে পার্সেল পাঠানোর১৫-২০দিন পরেও, তা পৌঁছয়নি।আমি সকলের সামনে এই প্রশ্নউত্থাপন করে সারা দেশের ডাকব্যবস্থার গতি সম্পর্কে অবহিতহতে পারি এবং দ্রুত সেই সমস্যারসমাধান করতে পারি।
এসব কথাবলার উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষেরপ্রতিটি অভিযোগের গুরুত্বঅপরিসীম। আমি যখন গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন একটিপদ্ধতি চালু করেছিলাম। বিধানসভায়যে কোনও দলের বিধায়ক কোনওবিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি সেটিকেসমান গুরুত্ব দিয়ে বিচারকরতাম। কারণ, সেই বিধায়কতাঁর অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিএবং দলমত নির্বিশেষে তাঁরমাধ্যমেই সেই অঞ্চলের সমস্যাসম্পর্কে সরকার অবহিত হয়।কিন্তু, আজকালবিধানসভায় প্রশ্নোত্তর অনেকটাসংবাদমাধ্যম-কেন্দ্রিক।সবাই চান, পরদিন সকালেরকাজে যাতে তাঁর কথা লেখা হয়কিংবা টিভির পর্দায় যেন তাঁকেদেখানো হয়। সবাই যেন নিজেরস্কোর বাড়াতে ব্যস্ত। রাজনীতিরএই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতেআমি একটি পদ্ধতি শুরু করেছিলাম।বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ারপর সেই অধিবেশনে যত প্রশ্নউঠেছিল, সেগুলি নিয়েআলোচনা হোক বা না হোক আমি সমস্তপ্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকও বিভাগের কাছে বিশ্লেষণেরজন্য পাঠিয়ে দিতাম এবং নির্দিষ্টসময়সীমার মধ্যে তাঁদের উত্তরজানতে চাইতাম। যে কোনও প্রশ্নেরজবাব বিধানসভায় যেভাবেই দেওয়াহয়ে থাকুক না কেন, আমি সত্যিটাজানতে চাইবো। আর সেই সত্যিযদি প্রশাসনের কোনও ত্রুটি, দুর্নীতি, গাফিলতিপ্রকাশ করে আমি দ্রুততার সঙ্গেতা নিরসনের চেষ্টা করতাম।তথ্য জানার অধিকার বিভাগেরকাছে আসা প্রশ্নাবলী প্রশাসনকেসাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্তকরে। প্রশাসনকে পুনর্নবীকৃতহতে সাহায্য করে। এই প্রশ্নাবলীকেআমরা প্রগতির সুযোগ হিসেবেব্যবহার করতে পারি। আমরা সেইলক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।
তথ্যজানার অধিকার নিয়ে যখন আমরাকথা বলি, তখন আমরাচাই, নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে প্রতিকূলতাহীনস্বচ্ছ তথ্য। সময় পেরিয়ে গেলেতথ্য পেয়ে আর কি হবে! দেরী করেতথ্য দিলে তার দায় প্রশাসনের।তখন নানা অছিলায় কৃতকর্মকেমেনে নেওয়া হয়। একটা বাড়ি তৈরিকরা হয়ে গেলে সে বাড়ি কেমন করেভাঙা হবে, যাঁরা থাকতেএসেছেন, তাঁদেরকেকি বের করে দেওয়া যায়? যথা সময়েতথ্য পেলে সেই ত্রুটিযুক্তভবন নির্মাণ হয়তো থামিয়ে দেওয়াযেত এবং সেখানে কেউ থাকতেওআসতো না। সেজন্য আমি নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে প্রতিকূলতাহীনস্বচ্ছ তথ্যের কথা বলেছি।
এইতথ্য জানার অধিকার দেশেরসাধারণ মানুষের কতটা কাজেলেগেছে, সেসম্পর্কে আমি অবহিত। আমি একটিরাজ্যের প্রশাসন চালিয়েছি, সেজন্যজানি, এইঅধিকার গরিব মানুষকে ন্যায়এনে দিতে পারে। আগে গ্রামেরকোনও হোমরাচোমরা ব্যক্তিকারও জমি দখল করে নিলেও, ক্ষমতারঅলিন্দে তার পরাক্রমের দাপটেসাধারণ মানুষটি অসহায় হয়েপড়তো। এখন সেই গরিব মানুষটিতথ্য জানার অধিকার বিভাগেএকটি চিঠি লিখলে প্রশাসননির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নড়েচড়েবসতে এবং তার জমি দ্রুত দখলমুক্তকরতে বাধ্য হয়। তথ্য জানারঅধিকার এভাবে দেশের সাধারণমানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আমারএকটি প্রয়োগ আদিবাসী উন্নয়নেগুজরাট মডেল নামে পরিচিত হয়েউঠেছিল। আমরা সরাসরি আদিবাসীদেরহাতে উন্নয়নের টাকা তুলেদিতাম। আমরা আদিবাসীদের বলতাম, আপনারাএকটি কমিটি গঠন করে নিজেদেরপ্রয়োজন অনুসারে একটি পরিকল্পনাসরকারের হাতে তুলে দিন।গান্ধীনগরে বসে সরকার যেপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে তাগরিব মানুষের উপযোগী নাও হতেপারে। মনে করুন, সরকারসিদ্ধান্ত নিয়ে অমুক গ্রামেকূপ খননের জন্য অর্থ মঞ্জুরকরল। কিন্তু, সেইগ্রামের মানুষ মনে করেন, তাঁদেরযে কূপটি রয়েছে সেটিই গ্রামেরপানীয়জলের জন্য যথেষ্ট বরংতাঁদের গ্রামে দ্রুত একটিবিদ্যালয় স্থাপন করা উচিত।আমরা আদিবাসীদের কমিটিরসিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদেরচাহিদা অনুসারে অর্থ বরাদ্দকরা শুরু করি। এখন সেই অর্থযদি গ্রামে যথাযথভাবে খরচ নাহয়, তাহলে গ্রামপ্রধানকে গ্রামেরসাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহিকরতে হবে। কারণ, তাঁরাপুরো প্রক্রিয়াটা সম্পর্কেইঅবহিত। এই স্বচ্ছতা এই উন্মুক্ততাপ্রশাসনকে গতিশীল করে তোলে।তথ্য জানার অধিকারের মাধ্যমেআমরা যাতে দেশবাসীর সামনেনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরতে পারি। শুধু প্রক্রিয়ানয়, প্রতিটিপরিষেবায় যেন উৎকর্ষ থাকে।আমাদের মাথায় রাখতে হবে আমাদেরপ্রত্যেকটি জিনিসের হিসেবদিতে হবে। সাধারণ মানুষেরঅর্থেই সরকার চলে।
সকলনির্মাণকার্য সাধারণ মানুষেরঅর্থ দিয়ে হয়। গণতন্ত্রেসাধারণ মানুষই সবার উপরে।তার হিতের কথা ভেবেই শাসনব্যবস্থাকে মজবুত করতে হবে।
আপনারাসারাদিন আলাপ-আলোচনাকরবেন। আমার বিশ্বাস, সকলরাজ্যের প্রতিনিধি আধিকারিকরাওআজ এই সম্মেলনে এসেছেন। আপনাদেরআলাপ-আলোচনাথেকে যেসব পরামর্শ উঠে আসবেতা সরকার জানতে পারবে। সেসবপরামর্শের কার্যকরী প্রয়োগেআমাদের গণতন্ত্র কতটা শক্তিশালীহয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নকতটা নিশ্চিত হয়, সেটাইআমাদের দেখতে হবে। সাধারণমানুষের মিলিত শক্তিই দেশেরআসল শক্তি। সেই লক্ষ্য নিয়েআমরা এগিয়ে যাব। এই আশা নিয়েআপনাদের সবাইকে অনেক অনেকশুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
PG/SB/SB/S
The right to information is not only about the right to know but also the right to question. This will increase faith in democracy: PM
— PMO India (@PMOIndia) October 16, 2015
When things go online, transparency increases automatically. Trust also increases: PM @narendramodi https://t.co/DNjiKQLZrV
— PMO India (@PMOIndia) October 16, 2015
More openness in government will help citizens. In this day and age there is no need for secrecy: PM @narendramodi https://t.co/DNjiKQLZrV
— PMO India (@PMOIndia) October 16, 2015
The aim of RTI must be to bring about a positive change in governance: PM @narendramodi https://t.co/DNjiKQLZrV
— PMO India (@PMOIndia) October 16, 2015
Sharing my speech at the 10th Annual Convention of the Central Information Commission. http://t.co/RqqLCCp602
— Narendra Modi (@narendramodi) October 16, 2015