Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

“কৃষিকাজে শিক্ষিত যুবকদের অংশগ্রহণ আমাদের লক্ষ্য ও সঙ্কল্প পূরণে শক্তি যোগাবে”


নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর,২০২৩

আজ এখানে এক ভিডিও কনফারেন্সের মঞ্চে ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সুফলভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। 

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান প্রধান কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলি যাতে সুনির্দিষ্ট সুফলভোগীদের কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়ার কাজ নিশ্চিত করা যায়, সেই লক্ষ্যেই দেশব্যাপী ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র সূচনা। 

আলাপচারিতাকালে আইটিআই থেকে হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত গুজরাটের ভারুচের শ্রী অল্পেশভাই চাঁদুভাই নিজামার কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান যে কৃষিকাজে তাঁর যোগদানের নেপথ্য কারণটি কি। উত্তরে অল্পেশভাই বলেন যে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তাঁর ৪০ একর জমিতে কৃষির ফলন আরও বাড়িয়ে তুলতেই চাকরি ছেড়ে তিনি কৃষিকাজে মন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রী অল্পেশভাই প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান যে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তিনি ভর্তুকিপ্রাপ্ত মূল্যে কৃষি উপকরণ ও সাজসরঞ্জাম ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন। তাঁর জমিতে সেচের সুযোগ গ্রহণ করার জন্য ৩ লক্ষ টাকার বিশেষ ভর্তুকি সহায়তাও তিনি গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে অল্পেশভাই এত কম বয়সে যেভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার সহায়তা গ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন তা দেশের পরিবর্তনেরই এক বিশেষ সূচক বলে তিনি মনে করেন।

ভর্তুকি সহায়তার এই বার্তা যাতে অন্যান্য কৃষক ভাইদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার তিনি পরামর্শ দেন অল্পেশভাইকে। কারণ, এই ভর্তুকি সহায়তার মাধ্যমে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও কৃৎকৌশল কাজে লাগানো সম্ভব। 

শ্রী অল্পেশভাই আরও জানান যে ‘আত্মা’ (এগ্রিকালচারাল টেকনলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) প্রকল্পগুলির সঙ্গে তিনি ২০০৮ সাল থেকেই যুক্ত এবং এর মাধ্যমে তিনি অন্যান্য রাজ্য ও অঞ্চলের কৃষি পদ্ধতি ও কৃৎকৌশল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আহরণ করেছেন। শুধু তাই নয়, ভারুচে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাঁকে ‘আত্মা’র পক্ষ থেকে ‘শ্রেষ্ঠ কৃষক’ হিসেবে পুরস্কৃতও করা হয়।

অল্পেশভাইয়ের মেয়ের হাসি মুখ লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেন, ‘ভারতমাতার জয়’ – এই স্লোগানটি উচ্চারণের সাথে সাথে তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সমগ্র অনুষ্ঠানস্থলটি তখন সমবেত জনতার উচ্চারিত স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই দৃশ্য প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।

আলাপচারিতার শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে শ্রী অল্পেশভাইয়ের মতো একজন ব্যক্তি সমগ্র যুব সমাজের কাছেই প্রেরণাস্বরূপ। যাঁরা কৃষিকাজে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা লাভ করবেন অল্পেশভাইয়ের কাছ থেকে। শস্যবীজ থেকে শুরু করে কৃষি উৎপাদনের বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে কৃষকরা যাতে উন্নততর আধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং নতুন নতুন চিন্তাভাবনার সুযোগ পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, কৃষিকাজে শিক্ষিত যুবকদের অংশগ্রহণ আমাদের সঙ্কল্প পূরণের কাজে আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। কৃষিক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহারে কৃষকরা যাতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উৎসাহিতও করেন।

পার্শ্ববর্তী আরও পাঁচটি গ্রামে ‘মোদী কী গ্যারান্টি’ প্রচারযাত্রা সফল করে তোলার জন্যও কৃষকদের আহ্বান জানান তিনি।

PG/SKD/DM