বন্ধুগণ,
আমি কন্যাকুমারীতে আসতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।
আমি শ্রদ্ধেয় আম্মা, জয়ললিতাজি’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমার বক্তব্য শুরু করতে চাই।
তামিলনাড়ুর মানুষের জন্য তাঁর ভালো কাজ বহু প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে জেনে আমি সুখি হয়েছি।
আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলাজি তামিলনাড়ুর মানুষ। আমাদের অসম সাহসী উইং কমান্ডার অভিনন্দনও যে তামিলনাড়ুর মানুষ, তাঁর জন্য প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত।
কয়েকদিন আগে এখানকার বিবেকানন্দ কেন্দ্র গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, তাই আমি এই কেন্দ্রকে অভিনন্দন জানতে চাই। গোষ্ঠি উন্নয়নে এই কেন্দ্রের সেবা শুধু প্রশংসনীয় নয়, প্রেরণাদায়ক ও বটে।
বন্ধুগণ,
কিছুক্ষণ আগে আমরা সড়ক, রেল ও মহাসড়কের কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছি এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছি।
আমি মাদুরাই ও চেন্নাই-এর মধ্যে দ্রুততম ট্রেন ‘তেজস’এর যাত্রার সূচনা করেছি। এটি অত্যন্ত আধুনিক এক ট্রেন এবং মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর সাফল্যের এক বড় উদাহরন। চেন্নাই-এর ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ট্রেনটি তৈরি হয়েছে।
রামেশ্বরম থেকে ধনুস্কোডি’র মধ্যে রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তরও আজ স্হাপন করা হয়েছে। এই রেলপথটি ১৯৬৪ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্হ হয়। কিন্তু তারপর ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই লাইনটির দিকে কোনো নজর দেওয়া হয়নি। তবে একেবারে না হওয়ার থেকে দেরিতে হলেও ভালো।
আপনারা শুনে খুশি হবেন যে একটি নতুন পাম্বান রেল সেতু নির্মাণ করা হবে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্দ্ধনশীল এক বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। ভারত রেকর্ডগুলিতে পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামো নির্মাণ করছে।
আমরা বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ব্যবস্হার দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
এছাড়া ভারতেই বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্হ্য পরিষেবা আয়ুষ্মান ভারত পরিচালিত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
একুশ শতকের ভারতকে দ্রুতগতিতে ও বড়ো মাপে কাজ করতে হবে। বর্তমান এনডিএ সরকার ঠিক সেই কাজই করে চলেছে।
এই গত রবিবারই এ বছরের বাজেটে ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পে, অনুর্দ্ধ ৫ একর পর্যন্ত জমির মালিক কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি কিস্তিতে প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই এই অর্থের প্রথম কিস্তি পাঠানো হয়েছে। আপনারা ভাবতে পারেন, পয়লা ফেব্রুয়ারী ঘোষিত একটি প্রকল্প এই মাসেই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমরা ২৬ দিনের মধ্যে এই প্রকল্পটির সূচনা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছি।
বন্ধুগণ,
লিপ ইয়ার এবং ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর অন্তর একবার আসে, অনুরূপভাবে কংগ্রেসের অসম্পূর্ণ ঋণ মকুবের ঘটনা নির্বাচনের আগে কেবলমাত্র একবার আসে। কৃষকদের জন্য কোনোকিছুই না করে শেষে তারা আসে এবং বলে আমরা তোমাদের ঋণ মকুব করে দেব। বাস্তবে কংগ্রেসের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্তের ফলে কেবলমাত্র হাতে গোনা কিছু কৃষক উপকৃত হন।
এনডিএ- সরকারের কিষাণ সম্মাননিধি কয়েক বছর পর ঘোষিত এই ধরনের কোনো প্রকল্প নয়। প্রতি বছর কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে, এবং ১০ বছর ধরে প্রায় ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের দেওয়া হতে পারে।
যখন কোনো সরকার দ্রুততার সঙ্গে বড়মাপের কাজ করে, সেটা পরিস্কার দেখা যায়।
বন্ধুগণ,
মহান সন্ত তিরুভাল্লুভার বলেছেন, ‘যখন বিরল সুযোগ আসে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরল কাজ করো।’
২০১৪ সালে ৩০ বছর পর একটি রাজনৈতিক দল আমাদের আইনসভায় সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
এক্ষেত্রে জনসাধারণের সুস্পষ্ট বার্তা ছিল এমন এক সরকার তারা চায়, যা কঠোর এবং সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবে।
মানুষ বংশানুক্রমিক শাসন চায়নি, চিয়েছিল সততা। তারা ক্ষয় চায়নি, চেয়েছিল উন্নয়ন।
মানুষ নীতিপঙ্গুতা চায়নি, চেয়েছিল অগ্রগতি। তারা প্রতিবন্ধকতা চায়নি, চেয়েছিল সুযোগ। মানুষ বন্ধ্যাত্ব চায়নি, চেয়েছিল নিরাপত্তা। মানুষ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি চায়নি চেয়েছিল অন্তর্ভুক্ত আর্থিক বৃদ্ধি।
‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এনডিএ সরকার জাতীয় স্বার্থে ঐতিহাসিক কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমি কয়েকটি স্হানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।
তামিলনাড়ু একটি উপকূলবর্তী রাজ্য যেখানে মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। বহুমৎস্যজীবী ভাই ও বোনেরা এক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এনডিএ সরকার এরই প্রেক্ষিতে মৎস্য বিষয়ক একটি নতুন দপ্তর চালু করেছে। পূর্বতন সরকারগুলি ভোট চাওয়ার জন্য আপনাদের কাছে আসতো কিন্তু মৎস্যজীবীদের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের দেখানোর মত তেমন কিছু নেই।
আমাদের মৎস্যজীবী ও মহিলাদের কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাদানের ব্যবস্হা চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী জলযান নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে কাজের সময় মহাকাশ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্হা- ইসরো-র সহায়তার আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রদানের উদ্দেশ্যে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের ব্যবস্হা করেছি। এই যন্ত্র থেকে সমুদ্রের কোন অঞ্চলে মাছ পাওয়া যেতে পারে, কেবলমাত্র সেই তথ্যই নয়, আবহাওয়া সংক্রান্ত সাবধানবানীও পাওয়া যায়।
বন্ধুগণ,
আমরা একথা বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের আয় বাড়াতে হলে, মৎস্য সংগ্রহ সংক্রান্ত পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে।
রামনাথপুরম জেলার মুকায়ুর মৎস্যবন্দর এবং নাগাপট্টিনম জেলার পাম্পুহার সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাল প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে।
বন্ধুগণ,
ভারত সরকার মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯০০র বেশি মৎস্যজীবীকে মুক্ত করা হয়েছে।
এনডিএ সরকার দেশের উপকূলবর্তী এলাকার জন্য যোগাযোগ ও উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর দিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও আমরা বন্দর উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। আরও নতুন নতুন বন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে। পুরনো বন্দরগুলির কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাগরমালা প্রকল্পও আমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গ। শুধুমাত্র বর্তমানের প্রয়োজন মেটানোই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনের কথা ভেবেও রূপায়ণ করা হচ্ছে এই প্রকল্পটি।
বন্ধুগণ,
এবার আমির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। আমাদের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের আর্শিবাদে আমরা ‘এক পদ এক পেনশন’এর সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করেছি। এই কাজটিই করার প্রয়োজন ছিল। যারা বহু বছর ধরে দেশ শাসন করেছে, তাঁরা কখনই এক পদ এক পেনশন’ নিয়ে কোন চিন্তাভাবনাই করেনি।
বন্ধুগণ,
ভারত বহু বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে আছে। কিন্তু আগের থেকে বড় পার্থক্য হচ্ছে, সন্ত্রাসের সামনে ভারত এখন আর অসহায় নয়। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। হায়দ্রাবাদ, আমেদাবাদ, জয়পুর, বেঙ্গালুরু, দিল্লী, মুম্বাই, পুনে এবং অন্যান্য জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। দেশ আশা করেছিল এইসব সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্য যারা দায়ি, তারা শাস্তি পাবে। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। ‘২৬/১১’-র মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। ভারত আশা করেছিল সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি।
কিন্তু যখন উরি’র ঘটনা ঘটল, আপনারা দেখেছেন আমাদের সাহসী সৈন্যরা কি করেছেন। যাঁরা এইভাবে দেশের সেবা করছেন, তাঁদের আমি কুর্ণিশ জানাই। তাঁদের অতন্দ্র সতর্কতাই দেশকে নিরাপদ রাখে। একটা সময় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল, আমাদের বিমানবাহিনী ‘২৬/১১’-র পর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাতে চায়। কিন্তু ইউপিএ সরকার তাতে বাধা দিয়েছিল।
আজ আমরা সংবাদপত্রের কথায়- সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ইচ্ছামতো কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি।
সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রভাব বহুলাংশে খর্ব হয়েছে। এই প্রভাব আগামীদিনে আরও খর্ব হবে।
এ এক নতুন ভারত।
এ এক এমন ভারত, যে সন্ত্রাসবাদীদের কাজের ফলে ক্ষয়ক্ষতি সুদ সহ ফিরিয়ে দেবে।
বন্ধুগণ,
গত কয়েকদিনের ঘটনাবলী থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এইসব ঘটনা সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে তুলেছে।
যেভাবে সমগ্র জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে, তা এক অসাধারণ ঘটনা। এরজন্য আমি প্রতিটি ভারতীয় কাছে মাথা নত করি।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, হাতে গোনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল মোদীর প্রতি ঘৃণা বশতঃ, এমনকি ভারতকেও ঘৃণা করতে শুরু করেছে।
অতএব এটা আশ্চর্যের নয় যে যখন সমগ্র জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করছে তখন এইসব দল আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
সমগ্র বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
এরা হচ্ছে সেইসব মানুষ, যাদের কথায় পাকিস্তানের সুবিধা হচ্ছে এবং ভারতের ক্ষতি হচ্ছে।
এরা হচ্ছে সেইসব মানুষ, যাদের বক্তব্য পাকিস্তানের আইনসভায় এবং সেদেশের রেডিও-য় ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
আমি তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনারা কি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করেন, নাকি সন্দেহ করেন ?
তাদের বলে দেওয়া দরকার যে তারা কি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কাজে আস্হা রাখে, নাকি আমাদের দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনকারীদের প্রতি আস্হা রাখে ?
আমি এইসব দলকে বলতে চাই- মোদী হয়তো আসবে, হয়তো বা চলেও যাবে। কিন্তু ভারত চিরদিনের জন্য থাকবে।
আপনাদের নিজস্ব রাজনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য অনুগ্রহ করে ভারতকে দুর্বল করার কাজ বন্ধ করুন।
প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই ভারতীয় এবং শেষেও একমাত্র ভারতীয়।
আপনাদের রাজনীতি অপেক্ষা করতে পারে, কারণ আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এবার একটু দূর্নীতি এবং কালোটাকা নিয়ে কথা বলা যাক।
ভারত এমন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছে, যিনি বলেছেন- প্রতি ১ টাকায় মাত্র ১৫ পয়সা দরিদ্র্য মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ভারত এমন উদ্ধত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথা শুনেছে, যিনি বলেছেন-লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারিতে ‘ক্ষতির পরিমাণ শূন্য’।
কিছু মানুষ বলেন দূর্নীতি জীবনের অঙ্গ।
একথা তাঁরা মানতে পারেন, কিন্তু আমি কখনই মানতে পারি না।
এনডিএ সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভূয়া কোম্পানীগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়া প্রাপকদের অপসারণ করা হয়েছে।
দূর্নীতিগ্রস্হদের এখন তাদের কাজের জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে।
বিখ্যাত পুর্নগণনা মন্ত্রী, যিনি মানুষের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে গর্ব অনুভব করেন এবং মধ্যবিত্তদের অপমান করেন, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের জন্য এখন জামিনের আবেদন করতে হয়েছে। যেমনটা তাঁর দলের প্রথম পরিবার জামিনের জন্য আবেদন করতে বাধ্য হয়েছেন।
বন্ধুগণ,
যখন আমরা দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, একইসঙ্গে আমরা সৎকরদাতাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্হাও নিয়েছি।
ঠিক একমাস আগে বাজেটের সময় ঘোষনা করা হয়েছিল যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের জন্য কোনও আয়কর দিতে হবেনা।
যারা দীর্ঘ সময় ধরে ভারতকে শাসন করে গেছে, তারা কি মধ্যবিত্তের জন্য চিন্তাভাবনা করেছে, অথবা তাদের জন্য কর ছাড়ের ব্যবস্হা করেছে ?
বন্ধুগণ,
বহু বছর ধরে কংগ্রেস এমন এক অর্থনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে, যাতে বৃহৎ বংশগুলির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরাই কেবলমাত্র উপকৃত হোত।
সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুবিধা অথবা অর্থনৈতিক উন্নতির ব্যবস্হা ছিলনা।
যদি কেউ কংগ্রেসের এই অর্থনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকেন, তিনি হলেন তামিলনাড়ুর বিখ্যাত সন্তান সি রাজাগোপালাচারি।
আমরা সংস্কারমুখী এবং জনবান্ধব এক অর্থনীতি সৃষ্টি করে, রাজাজীর স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছি।
‘সহজে ব্যবসার সুবিধা’ বিষয়ক সূচকে ভারতের স্হান ৬৫ ধাপ এগিয়েছে।
৪ বছর আগে আমরা এই সূচকে ১৪২তম স্হানে ছিলাম, বর্তমানে আমরা ৭৭তম স্হানে উঠে এসেছি।
গত বছর অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে।
বর্তমানে মাত্র ৫৯ মিনিটের মধ্যে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এটি এমনকি এখান থেকে চেন্নাই পৌঁছানোর জন্য সময়ের থেকেও দ্রুতগামী।
বন্ধুগণ,
আমরা ভারতের যুব সম্প্রদায় ও তাদের প্রতিভার ওপর আস্হাশীল।
এই কারণেই মুদ্রা যোজনার মতো কর্মসূচির সূচনা করে যুব ভারতের উদ্যোগের ধারণা যাতে ডানা মেলতে পারে তার ব্যবস্হা করেছে।
মুদ্রা যোজনার আওতায় ১৫ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ পেয়েছে।
এই যোজনার আওতায় তামিলনাড়ু অন্যতম শীর্ষস্হানীয় রাজ্য।
বন্ধুগণ,
আমাদের বিরোধীদের সামাজিক ন্যায়ের প্রতি কোনরূপ দায়বদ্ধতা নেই।
কংগ্রেসের শাসনকালেই দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নৃশংস অত্যাচার হয়েছে।
কংগ্রেসই ডঃ বালাসাহেব আম্বেদকরকে একবার নয়, দু-দুবার হারানোর ব্যবস্হা করেছে।
৪০ বছর ধরে কংগ্রেস ডঃ আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি, এমনকি তাঁর প্রতিকৃতি সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাখার ব্যবস্হা করেনি।
বিজেপির সমর্থনে অ-কংগ্রেসী সরকার-ই এই কাজ করেছে।
বন্ধুগণ,
বর্তমান এনডিএ সরকার তপশীলি জাতি-উপজাতি আইনে কঠোরতম সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ন্যায় আমাদের কাছে এক বিশ্বাসের বস্তু, ভোটে জেতার জন্য কোনও শ্লোগান নয়।
বন্ধুগণ,
২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের দুটি পৃথক ভাগ রয়েছে।
আমাদের দিকটি শক্তি এবং স্হিতিশীলতার স্বপ্ন দেখায়।
অন্যদিকে বিরোধীদের দিকটি দূর্বলতা এবং পরাজয়ের সম্ভাবনার কথা বলে।
আমাদের নেতৃত্বের কর্মসংস্কৃতি সারা ভারত জুড়ে সুবিদিত।
বিরোধীদের নেতৃত্বে রয়েছে এক ধরনের বিভ্রান্তি।
দেশের পরবর্তী নেতা হিসেবে বিরোধীরা কোনও নাম এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি।
ভারতের বিকাশের জন্য তাদের কোনও লক্ষ্য বা স্বপ্ন নেই।
রেকর্ড পরিমানে দুর্নীতি থেকে বিরত রাখার জন্য তাদের কোনও লজ্জা নেই।
ভারত ২০০৯ সালকে মনে রেখেছে। কিভাবে ডিএমকে এবং কংগ্রেস নির্বাচনের পর বিভিন্ন মন্ত্রীপদ বরাদ্দ করেছিল তাও মনে রেখেছে।
সেইসময় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নির্বাচন করেননি। জন পরিষেবার সঙ্গে সম্পর্ক বিহীন কিছু মানুষ মন্ত্রীদের নির্বাচন করেছিল।
মন্ত্রী পদের জন্য এমনকি টেলিফোনে দর কষাকষি পর্যন্ত হয়েছিল।
‘মহা মিলাবট’ বা মহাভেজাল সরকার ব্যক্তিগত অহংকারের বশবর্তী হয়ে কাজ করবে এবং বংশানুক্রমিক উচ্চাকাঙ্খা মেটানোর উদ্যোগ নেবে।
আমার একমাত্র পরিবার হচ্ছে, ১৩০ কোটি ভারতীয়।
আমি তাদের জন্যই বেঁচে থাকবো, আবার তাদের জন্যই মৃত্যু বরণ করবো।
আমি কোনও বংশানুক্রমিক শাসনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে জনজীবনে আসিনি।
আমি ভারতের বৃদ্ধির জন্য যতদূর পারি কাজ করার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি।
আমি দরিদ্র্যদের মধ্যে দরিদ্র্যতম মানুষের স্বপ্ন পূরণের এক ভারত গড়ে তোলার জন্য আপনাদের জন্য সমর্থন এবং আর্শিবাদ প্রার্থনা করি।
এতো বিরাট সংখ্যায় এই জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানায়।
ভারত মাতার জয় !
CG/PB/NS/… 04 March, 2019
I am proud that India’s first woman Defence Minister is from Tamil Nadu.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
It makes every Indian proud that the brave Wing Commander Abhinandan hails from Tamil Nadu: PM
I have flagged off the fastest train, Tejas, between Madurai and Chennai.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
This is one of the most modern trains and is a great example of ‘Make in India’ having been manufactured in the Integral Coach Factory of Chennai itself: PM
The foundation stone of a railway line between Rameshwaram and Dhanushkodi has also been laid today.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
This line got damaged after the disaster of 1964 but for over fifty years, no attention was paid to this line.
But, better late than never!: PM
Under #PMKisan, over 1.1 crore farmers have already got their first installment in their bank accounts.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
Imagine, a scheme announced on 1st February has become a reality in the same month itself.
We worked 24 hours non-stop to ensure the scheme is rolled out in 24 days: PM
The great Tiruvalluvar said “When the rare chance comes, seize it to do the rare deed.”
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
In 2014, it was after thirty years that a Party got a full majority in the Parliament.
The people’s message was clear- they wanted a Govt that takes bold and tough decisions: PM
People wanted honesty, not dynasty.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
People wanted development, not decay.
People wanted progress, not policy paralysis.
People wanted opportunities, not obstacles.
People wanted security not stagnation.
People wanted inclusive growth, not votebank politics: PM
We understand that if we want to increase the income of Fishermen brothers and sisters, then we have to develop infrastructure associated with fisheries.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
The construction works of Mukayur Fishing Harbour and Pumpuhar Fishing Harbour are almost completed: PM
Government of India is most sensitive to the safety and well-being of fishermen.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
Due to sustained diplomatic efforts, since May 2014, hundreds of fishermen have been released by Sri Lankan authorities: PM
India has been facing the menace of terrorism for years.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
But, there is a big difference now- India will no longer be helpless in the wake of terror.
From 2004 to 2014 there were several terror attacks.
The nation expected perpetrators to be punished but nothing happened: PM
26/11 happened, India expected action against terrorists but nothing happened.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
Uri happened and you saw what our brave men did.
Pulwama happened and you saw what our brave men did.
I salute all those who are serving the nation. Their vigilance keeps our nation secure: PM
There was a time when the news reports would read- Air Force wanted to do surgical strike after 26/11 but UPA blocked it.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
Today, we are in an era where the news reads- Armed forces have full freedom to do what they want: PM
Influence of terrorists and terrorism has been curtailed and it is going to be curtailed even more.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
This is a New India.
This is an India that will return the damage done by terrorists with interest: PM
The events of the past few days have demonstrated yet again the strength of our armed forces.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
It has also brought our nation closer.
The way the nation has supported our armed forces is extra-ordinary and I bow to every Indian for that: PM
Sadly, a few parties, guided by Modi hatred have started hating India.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
No wonder, while the entire nation supports our armed forces, they suspect the armed forces.
The world is supporting India’s fight against terror but a few parties suspect our fight against terror: PM
These are the same people whose statements are helping Pakistan & harming India.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
They are the same people whose statements are being happily quoted in Parliament of Pakistan and in the radio of Pakistan.
I want to ask them- do you support our armed forces or suspect them?: PM
They should clarify- Do they believe our armed forces or they believe those forces who support terrorism on our soil?
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
I want to tell them- Modi will come and go, India will remain. Please stop weakening India to strengthen your own politics: PM
Today we are fulfilling the dreams of Rajaji by creating an economy that is reform oriented and people-friendly.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
India’s ranking for ‘Ease of Doing Business' has come risen by 65 places.
Now, it is possible to get a loan up to Rupees one crore in 59 minutes: PM
We are betting on India’s youth and their talent.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
That is why, the Mudra Yojana was launched to give wings to the spirit of enterprise of young India.
15 crore people have got loans totaling worth over Rs 7 lakh crore.
Tamil Nadu is one of the top states under this scheme: PM
India remembers 2009 and how the DMK and Congress allotted portfolios after the elections.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
Ministers were being picked not by the Prime Minister but by those who had nothing to do with public service.
There was telephone bargaining for minister posts: PM
My family is 130 crore Indians.
— PMO India (@PMOIndia) March 1, 2019
I will live for them, I will die for them.
I am not in public life to further a dynasty.
I am here to do whatever I can for the growth of India.
I seek your blessings to create an India where the dreams of the poorest of poor are fulfilled: PM