Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

উত্তরাখন্ডের হরসিলে শীতকালীন পর্যটন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

উত্তরাখন্ডের হরসিলে শীতকালীন পর্যটন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ


নয়াদিল্লি, ০৬ মার্চ, ২০২৫ 

 

গঙ্গা মাতা কি জয়।
গঙ্গা মাতা কি জয়।
গঙ্গা মাতা কি জয়।
ভারত মাতা কি জয়।
ভারত মাতা কি জয়।
ভারত মাতা কি জয়।
উত্তরাখন্ডে আমার প্রিয় সকলকে জানাই আমার নমস্কার!
এখানকার ক্ষমতাবান মুখ্যমন্ত্রী আমার ছোট ভাই পুষ্কার সিং ধামীজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অজয় টামটাজি, রাজ্যের মন্ত্রী সতপাল মহারাজজি, সংসদে আমার সঙ্গী ও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্র ভাটজি, সংসদে আমার সঙ্গী মালা রাজ্যলক্ষ্মীজি, বিধায়ক সুরেশ চৌহানজি ও অন্য বিশিষ্ট জনেরা এবং ভাই ও বোনেরা।
সর্বপ্রথম আমি কিছু দিন আগে এখানকার মানা গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ঐ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা। সঙ্কটের এই মুহূর্তে দেশের জনগণ একজোট হয়ে লড়াই করেছেন। এতে করে ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি সাহস পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
উত্তরাখন্ডের এই ভূমি আমাদের দেবভূমি। আধ্যাত্মিক শক্তির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই স্থান। চার ধাম এবং অনন্ত তীর্থের আশীর্বাদ, জীবনদায়িনী মা গঙ্গার এই শীতকালীন আবাস-স্থলে আজ আরেকবার আসতে পেরে আমার সব পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি ধন্য হয়েছি। মা গঙ্গার কৃপায় আমার গত এক দশক ধরে উত্তরাখন্ডে সেবা করার সৌভাগ্য হচ্ছে। আমি মনে করি, তাঁর আশীর্বাদেই আমি কাশী পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি এবং বর্তমানে সাংসদ হিসেবে কাশীর সেবা করতে পারছি। এজন্য আমি কাশীতেও বলেছি যে, আমাকে মা গঙ্গা ডেকেছেন। কিছু মাস আগে আমার মনে হচ্ছিল যে, মা গঙ্গা আমাকে কোলে তুলে নিয়েছেন। মা গঙ্গারই আশীর্বাদ এটি। নিজের এই সন্তানের প্রতি তাঁর স্নেহের ফলেই আমি আজ তাঁর বাপের বাড়ির এই গ্রামে এসেছি। এখানে এসে আমার মুখীমঠ ও মুখওয়াড় দর্শন ও পুজো করার সৌভাগ্য হয়েছে। 
বন্ধুগণ,
আজ হরসিলের এই মাটিতে এসে আমি নিজের দিদি ভুলিয়ার স্নেহের কথা স্মরণ করছি। তিনি আমাকে রাজমা ও অন্যান্য স্থানীয় সামগ্রী পাঠাতেন। আপনাদের এই আন্তরিক অনুভূতি এবং উপহারের জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
বন্ধুগণ,
কিছু বছর আগে যখন আমি বাবা কেদারনাথ দর্শনের জন্য বাবার চরণে পৌঁছেছিলাম, তখন বাবার দর্শন ও পূজনের পর আমার মধ্যে হঠাৎ-ই এক বিশেষ ভাব সৃষ্টি হয়। আর আমি তখন বলেও ছিলাম যে, এই দশক হবে উত্তরাখন্ডের দশক। ঐ শব্দগুলি আমার ছিল। অনুভূতি আমার ছিল। কিন্তু, এর পেছনে শক্তি যুগিয়েছেন স্বয়ং বাবা কেদারনাথজি। আমি দেখতে পাচ্ছি যে, বাবা কেদারের আশীর্বাদে ধীরে ধীরে ঐ শব্দগুলি বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। এই দশক ধীরে ধীরে উত্তরাখন্ডের হয়ে উঠছে। এখানে উত্তরাখন্ডের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে উত্তরাখন্ড গঠিত হয়েছিল, এখানকার উন্নয়নের জন্য যে সংকল্প আমরা নিয়েছিলাম, ধীরে ধীরে তা পূরণের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। আর, এই লক্ষ্যেই এই শীতকালীন পর্যটন এক বড় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তরাখন্ডের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মজবুত করার স্বপ্ন পূরণে অনেক সাহায্য হবে। আমি এই অভিনব প্রয়াসের জন্য ধামীজি ও উত্তরাখন্ড সরকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমি উত্তরাখন্ডের উন্নতি ও প্রগতি কামনা করি। 
বন্ধুগণ,
পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটিয়ে একে বহুমুখী করে তোলা এবং ১২ মাস ৩৬৫ দিন পর্যটনের সুবিধা প্রদান করা উত্তরাখন্ডের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমি চাই যে, উত্তরাখন্ডের যে কোনও মরশুমেই পর্যটন চলতে থাকুক। কখনই যেন এখানে মন্দা না আসে। বর্তমানে পাহাড়ে পর্যটন মরশুমের হিসেবে চলে। আপনারা সকলেই জানেন যে, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখানে আসেন। এরপর, তাঁদের সংখ্যা কমতে থাকে। শীতের সময় অধিকাংশ হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে-গুলি খালি থাকে। এই অসাম্য উত্তরাখন্ডের আর্থিক সুস্থিতির জন্য বড় সমস্যা। এর জন্য পরিবেশেও নানারকম চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়।
বন্ধুগণ,
সত্যিটা হ’ল এই যে, দেশ-বিদেশের মানুষ যদি শীতের সময় এখানে আসেন, তা হলে বাস্তবিক অর্থেই তাঁরা দেবভূমির পরিচয় পাবেন। শীতকালীন পর্যটনে এখানে এলে জনগণ ট্রেকিং, স্কিইং – এর মতো নানারকম কর্মসূচির রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারবেন। ধর্মীয় যাত্রার জন্যও উত্তরাখন্ড শীতের সময় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন তীর্থস্থানে এই সময় নানা ধরনের বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। এখানে মুখওয়া গ্রামেই দেখুন না! এখানে যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়, তা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। এজন্য উত্তরাখন্ড সরকার ১২ মাস পর্যটন বা মরশুম ৩৬৫ দিন পর্যটনের মরশুম – এই ভাবনা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছে। এর ফলে, সারা বছরই এখানে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের রোজগারের সুযোগ হবে। এর বড় লাভ পাবে উত্তরাখন্ডের স্থানীয় জনগণ। উপকৃত হবেন, এখানকার যুবসম্প্রদায়।
বন্ধুগণ,
উত্তরাখন্ডকে বিকশিত রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার একযোগে কাজ করছে। চারধামকে সব মরশুমের জন্য অনুকূল সড়ক, আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেল, বিমান ও হেলিকপ্টার পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। ১০ বছরে উত্তরাখন্ডে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হয়েছে। এই দেখুন না – গতকালই উত্তরাখন্ডের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গতকাল কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্প এবং হেমকুন্ড রোপওয়ে প্রকল্প অনুমোদন করেছে। কেদারনাথ রোপওয়ে তৈরি হওয়ার পর যে যাত্রা সম্পূর্ণ হতে ৮-৯ ঘন্টা সময় লাগতো, তা এখন মাত্র ৩০ মিনিটে সম্পূর্ণ হবে। এরফলে, প্রবীণ, শিশু ও মহিলাদের জন্য কেদারনাথ যাত্রা সহজ হবে। এই রোপওয়ে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। আমি উত্তরাখন্ড সহ সমগ্র দেশে চলতি এ ধরনের প্রকল্পগুলির জন্য অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে পাহাড়ে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য হেলিপ্যাডের পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। উত্তরাখন্ডের টিম্মর-সেন মহাদেব, মানাগ্রাম, জাদুংগ্রামে পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। দেশবাসীরা হয়তো জানেন না যে, ১৯৬২ সালে যখন চীন ভারতের উপর আক্রমণ করেছিল, তখন আমাদের এই জাদুংগ্রাম সহ অন্য একটি গ্রামকে খালি করে দেওয়া হয়েছিল। ৬০-৭০ বছর হয়ে গেছে, মানুষ ভুলে গেছেন। কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি। আমরা আবার ঐ দুই গ্রামে জনবসতি স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। এই জায়গাকে পর্যটনের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেও আমরা এগিয়ে চলেছি। এর ফলে, গত এক দশকে উত্তরাখন্ডে পর্যটকের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ২০১৪ সালের আগে প্রতি বছর চারধাম যাত্রার জন্য ১৮ লক্ষ যাত্রী আসতেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ তীর্থ যাত্রী এই চারধাম যাত্রায় আসেন। এ বছরের বাজেটে ৫০টি পর্যটন স্থানকে উন্নত করার সংস্থান রাখা হয়েছে। এই স্থানগুলির হোটেলের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয় মানুষেরও রোজগার বাড়বে।
বন্ধুগণ,
আমাদের প্রচেষ্টা উত্তরাখন্ডের সীমান্ত এলাকাতেও যেন পর্যটনের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায়। আগে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিকে শেষ গ্রাম বলা হ’ত। আমরা এই চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এনেছি। আমরা বলি, এগুলি শেষ গ্রাম নয়, এগুলি হ’ল আমাদের প্রথম গ্রাম। এই গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য শুরু হয়েছে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ কর্মসূচি। এই এলাকার ১০টি গ্রাম এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই গ্রামগুলির কয়েকজন গৃহবধূ আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত রয়েছেন। নৈলাঙ্ঘ ও জাদুংগ্রাম যার বর্ণনা আমি কিছুক্ষণ আগে করছিলাম। সেই জাদুংগ্রামের জন্য আমি এই একটু আগেই বাইক র‍্যালির সূচনা করেছি। আমরা হোমস্টে তৈরি করার জন্য মুদ্রা যোজনার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণাও করেছি। উত্তরাখন্ড সরকারও রাজ্যের হোমস্টে-কে উৎসাহিত করতে নানাধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যে গ্রামগুলি এত দশক ধরে সবরকম পরিকাঠামোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল, সেখানে খোলা হচ্ছে নতুন হোমস্টে। বাড়ানো হচ্ছে পর্যটনের সুবিধা। সেখানে বসবাসকারী বসবাসকারী মানুষের আয়ও বাড়ছে।
বন্ধুগণ,
আজ আমি এই দেবভূমি থেকে মা গঙ্গার বাপের বাড়ি এই পবিত্র স্থান থেকে দেশের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ এবং মধ্য প্রতিটি প্রান্তের জনগণকেই, বিশেষ করে যুবসমাজকে আহ্বান জানাই এখানে আসার।
বন্ধুগণ,
শীতকালে দেশের বিস্তীর্ণ অংশে যখন কুয়াশা থাকে, যখন সূর্যদেবের দর্শন পাওয়া যায় না, তখন পাহাড়ে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ার আনন্দ লাভ করা যায়। এটি একটি বিশেষ বিষয় হয়ে উঠতে পারে। গাড়োয়ালিতে এই বিষয়টিকে আমরা কি বলব? ‘ঘাম তাপো পর্যটন’। ঠিক বললাম তো? ‘ঘাম তাপো পর্যটন’। এর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা অবশ্যই উত্তরাখন্ডে আসবেন। বিশেষ করে, আমাদের কর্পোরেট ক্ষেত্রের বন্ধুরা নিশ্চয়ই এই শীতকালীন পর্যটনে অংশ নেবেন। যে কোনও বৈঠক, সম্মেলন বা প্রদর্শনী যাই করতে হোক না কেন, শীতের সময় এই দেবভূমিতে এর আয়োজন করার মতো আকর্ষণীয় কিছুই বোধ হয় হবে না। আমি কর্পোরেট ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানাই যে, আপনারা নিজেদের বড় বড় সম্মেলনের জন্য উত্তরাখন্ডে আসুন। এই স্থানটির আনন্দ অনুভব করুন। এখানে এসে মানুষ যোগ ও আয়ুর্বেদের মাধ্যমে রিচার্জ ও রি-এনার্জাইজড্‌ হতে পারেন। অর্থাৎ, নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিদ্যালয় ও কলেজের তরুণ-তরুণীদের আমি বলতে চাই যে, পড়ুয়াদের শীতকালীন পর্যটনের জন্য আপনারা আপনাদের পছন্দের তালিকায় উত্তরাখন্ডকে বেছে নিন। 
বন্ধুগণ,
আমাদের এখানে হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি বোর্ডিং অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়, যা অর্থনীতির হিসেবে অনেক বড় অঙ্ক। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আমি দেশের জনগণকে ওয়েড ইন ইন্ডিয়া বা ভারতেই বিয়ে কর – এই আহ্বান জানিয়েছিলাম। বর্তমানে অনেকেই বিয়ে করার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশে যান, এখানে কিসের অভাব আছে। অর্থ এখানেই খরচ করুন না। আর এই জন্য উত্তরাখন্ডের থেকে ভালো স্থান আর কিই বা হতে পারে। আমি চাই, শীতের সময় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং – এর জন্য উত্তরাখন্ডকেই দেশবাসী প্রাথমিক পছন্দ হিসেবে নির্বাচন করুন। এভাবে ভারতের চলচ্চিত্র জগতকেও আমি বলতে চাই যে, আপনারা হয়তো জানেন যে, উত্তরাখন্ডকে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র-বান্ধব রাজ্যের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এখানে দ্রুতগতিতে আধুনিক সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য শীতের সময়ে চলচ্চিত্রের শ্যুটিং – এর জন্য উত্তরাখন্ড সমগ্র ভারতের মধ্যে অন্যতম পছন্দের স্থান হয়ে উঠতে পারে।
বন্ধুগণ,
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীতকালীন পর্যটন বেশ জনপ্রিয়। উত্তরাখন্ডে শীতকালীন পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা এইসব দেশগুলি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি চাই যে, উত্তরাখন্ডে পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সব হোটেল, রিসর্ট ও অন্যান্য ক্ষেত্র ঐসব দেশগুলি থেকে শিক্ষা লাভ করুক। আমি এখানে যে ছোট প্রদর্শনীটি চলছে, তা দেখেছি। এই প্রদর্শনীতে উদ্বুদ্ধ করার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। একেকটি স্থানের একেকটি ছবি গভীর প্রভাব তৈরি করতে পারে। আমার মনে হচ্ছিল যে, আমার ৫০ বছর পুরনো সেই জীবনের কথা। আমি সেই জীবন আরেকবার যদি আপনাদের মাঝে এসে অতিবাহিত করার সুযোগ পেতাম, তা হলে অবশ্যই এই স্থানগুলিতে কখনও না কখনও যাবার সুযোগ খুঁজে নিতাম। এত ভালোভাবে এই স্থানগুলি তৈরি করা হচ্ছে। আমি উত্তরাখন্ড সরকারকে বলতে চাই যে, বিদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস পর্যবেক্ষণ করে তার ফলাফল সক্রিয়ভাবে এখানে বাস্তবায়িত করুন। এখানকার স্থানীয় ঐতিহ্যকে উৎসাহিত করুন। এখানে কেবলমাত্র বদ্রীনাথজি আছেন তা নয়, আরও অনেক অঞ্চল রয়েছে। সেইসব ক্ষেত্রগুলি উন্নত করার কাজ চলুক। আমি চাই যে, শান্ত ও তুষারাবৃত অঞ্চলে শীতকালীন যোগ রিট্রিট আয়োজন করা হোক। আমি সব সাধু-সন্ত এবং মঠ ও মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত যোগাচার্যদের বলতে চাই যে, আপনারা বছরে একবার নিজেদের শিষ্যদের নিয়ে এই উত্তরাখন্ডে শীতের সময় শিবির করুন। শীতের সময় বিশেষ বন্যপ্রাণী সাফারি উত্তরাখন্ডের বিশেষ পরিচয় হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ, আমাদের ৩৬০ ডিগ্রি প্রচেষ্টার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। সবস্তরেই কাজ করতে হবে।
বন্ধুগণ,
সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার পাশাপাশি, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়াও বিশেষ জরুরি। এজন্য আমি দেশের যুব কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের এবং সামাজিক মাধ্যমে যে বিপুল সংখ্যা ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছেন, তাঁদের উত্তরাখন্ডের অর্থাৎ আমার এই দেবভূমির সেবা করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আপনারা নিজেদের স্থানে বসে বসেই পুণ্য অর্জন করতে পারেন। আপনারা দেশের পর্যটন ক্ষেত্রে গতি সঞ্চার করতে এবং জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনারা উত্তরাখন্ডের শীতকালীন পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠুন। আমি তো চাই যে, উত্তরাখন্ড সরকার একটি বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করুক। যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বা ইনফ্লুয়েন্সার এখানকার শীতকালীন পর্যটনের উপর ৫ মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। যাঁর বিষয়বস্তু যত সেরা হবে, তিনি পাবেন তত ভালো পুরস্কার। দেশের জনগণকে বলি আসুন, আপনারা এখানেই আসুন, তা হলে প্রচার ও প্রসার শুরু হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, যখন এ ধরনের কোনও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, তখন কোনও না কোনও নতুন জায়গা তো অবশ্যই আবিষ্কার হবে। তৈরি হবে নতুন নতুন চলচ্চিত্রও। মানুষ জানতে পারবেন উত্তরাখন্ড সম্পর্কে।
বন্ধুগণ,
আমি বিশ্বাস করি যে, আগামী বছরগুলিতে আমরা অবশ্যই এই ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন করব। আবার একবার ৩৬৫ দিন ১২ মাস পর্যটন অভিযানের জন্য উত্তরাখন্ড সরকার ও এখানকার সব ভাই ও বোনেদের আমি অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই। রাজ্য সরকারকেও আমি অভিনন্দন জানাতে চাই। আপনারা সবাই আমার সঙ্গে বলুন –
গঙ্গা মাতা কি জয়।
গঙ্গা মাতা কি জয়।
গঙ্গা মাতা কি জয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

 

SC/PM/SB