Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী


নতুন দিল্লি, ১২ অক্টোবর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও সূচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামোন্নয়ন, সড়ক, বিদ্যুৎ, সেচ, পানীয় জল, উদ্যানপালন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রকল্প। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তাঁর প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য উত্তরাখণ্ডের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন এখানে ভালোবাসা ও স্নেহের গঙ্গা বয়ে যাচ্ছে।’ আধ্যাত্মিকতা ও সাহসিকতার এই ভিত্তিভূমি, বিশেষত এখানকার মায়েদের প্রতি তিনি সম্মানজ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বৈদ্যনাথ ধামে ‘জয় বদ্রী বিশাল’ ধ্বনি গাড়োয়াল রাইফেলসের সেনাদের মনোবল বাড়িয়ে তোলে। একইভাবে গঙ্গোলীহাটের কালীমন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি কুমায়ুন রেজিমেন্টের সেনাদের মধ্যে নতুন সাহসের সঞ্চার করে। বৈদ্যনাথ, নন্দাদেবী, পুরনগিরি, কাসারদেবী, কাইঞ্চিধাম, কাটারমল, নানাকমাতা, রিঠাসাহিব ও এমন অগণিত মন্দির এই ভূমির মহিমা ও ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে। উত্তরাখণ্ডের মানুষের মধ্যে এলে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। 

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী পার্বতী কুন্ডে পূজা ও দর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটি ভারতবাসীর সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি, বিকশিত ভারতের সংকল্পকে মজবুত করার প্রার্থনা জানিয়েছি। আমি আশীর্বাদ চেয়েছি যাতে উত্তরাখণ্ডের মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়।’ 

প্রধানমন্ত্রী সেনা, শিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের উল্লেখ করেন। নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতির স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত এই মানুষগুলির সঙ্গে দেখা করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দশক উত্তরাখণ্ডের দশক হতে চলেছে। তাঁর সরকার উত্তরাখণ্ডের উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে তোলার লক্ষ্যে পূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছে। উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই রাজ্য থেকে পাওয়া সাড়া ও সমর্থনের উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতের উন্নয়নের অগ্রগতির ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব এখন ভারত এবং ভারতীয়দের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। অতীতের হতাশা কাটিয়ে উঠে ভারত এখন বিশ্বমঞ্চে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় নিজের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর রাখতে পারছে। জি২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন এবং এর শিখর সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রশংসা হচ্ছে। এজন্য ভারতের জনসাধারণকে কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় পর তাঁরা কেন্দ্রে এক সুস্থিত ও শক্তিশালী সরকার বেছে নিয়েছেন। তিনি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের আস্থা ও বিশ্বাস বহন করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য গত ৫ বছরে সাড়ে ১৩ কোটিরও বেশি ভারতীয় দারিদ্রের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গেছে। সারা বিশ্ব এই উন্নয়ন দেখে স্তম্ভিত। এই সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের মধ্যে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন। ভারত যে নিজের দারিদ্রকে সমূলে উপড়ে ফেলতে পারে, এঁরা তারই নিদর্শন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকারগুলি ‘গরিবি হঠাও’ শ্লোগান দিলেও মোদীই প্রথম বলেছেন, দায়িত্ব ও সচেতনতা নিয়ে চেষ্টা করলে দারিদ্রকে নির্মূল করা যায়। একযোগে প্রয়াস চালালে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ যা করতে পারেনি, ভারত তাই করে দেখিয়েছে। চাঁদের যে স্থানে চন্দ্রযান নেমেছে সেই স্থানটির নাম দেওয়া হয়েছে শিব শক্তি এবং এভাবেই চাঁদে উত্তরাখণ্ডের অস্তিত্ব চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। উত্তরাখণ্ডে প্রতিটি পদক্ষেপেই এই শিব শক্তি যোগের সন্ধান মেলে। 

ক্রীড়া ক্ষেত্রে দেশের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন পদক তালিকায় নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে। উত্তরাখণ্ড ৮ জন ক্রীড়াবিদকে এশিয়ান গেমসে পাঠিয়েছিল, এদের মধ্যে লক্ষ্য সেন এবং বন্দনা কাটারিয়ার দল পদক জিতেছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত জনতা তাদের মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে এই সাফল্য উদযাপন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পূর্ণ সহায়তা করছে। হলদোয়ানিতে আজ একটি হকি মাঠের এবং রুদ্রপুরে একটি ভেলোড্রোমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় গেমসের জন্য প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি গ্রামেই সেইসব মানুষের বাস, যাঁরা ভারতের সীমান্ত রক্ষা করে চলেছেন। তাঁর সরকার তাঁদের দীর্ঘ দিনের ‘এক র্যােঙ্ক এক পেনশন’-এর দাবি পূরণ করেছে। এপর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে, যার সুফল পেয়েছেন ৭৫ হাজারেরও বেশি প্রাক্তন সেনা পরিবার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির উন্নয়ন। পূর্ববর্তী সরকারগুলির সময়ে সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন সেভাবে হয়নি, কারণ সেই সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলি জমি দখল করে নিতে পারে এই ভয় ছিল। কিন্তু নতুন ভারত কোনো কিছুকেই ভয় করে না। অন্যকে ভয় দেখায়ও না। সেজন্যই গত ৯ বছরে সীমান্ত এলাকায় ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সড়ক, ২৫০টি সেতু এবং ২২টি সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় রেল সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাণবন্ত গ্রাম প্রকল্পের আওতায় দেশের শেষ গ্রামগুলিকে প্রথম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যাঁরা এই সব গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এই গ্রামগুলিতে পর্যটনের বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অতীতে জল, ওষুধপত্র, সড়ক, শিক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ভুল নীতির জন্য মানুষজন তাঁদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। নতুন সুযোগ সুবিধা ও পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আজ যে সড়ক ও সেচ সুবিধা এবং পলিহাউজ প্রকল্পের সূচনা হল, তার থেকে আপেল চাষের সুবিধা হবে। এই সব প্রকল্পগুলিতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা এপর্যন্ত ২ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি পেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরাখণ্ডে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শ্রীঅন্নের চাষ হয়। সরকার এই শ্রীঅন্নকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে। দেশজুড়ে এসংক্রান্ত যে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে তাতে উত্তরাখণ্ডের ক্ষুদ্র কৃষকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন। 

মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মা-বোনেদের সবরকম প্রতিবন্ধকতা ও অসুবিধা দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেজন্যই সরকার গরিব বোনেদের নামে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে। মা ও বোনেদের জন্য শৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে, গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ‘হর ঘর জল’ যোজনার আওতায় উত্তরাখণ্ডের ১১ লক্ষ পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে গেছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ড্রোন দেওয়ার যে প্রকল্পের ঘোষণা তিনি লালকেল্লার প্রাকার থেকে তিনি করেছিলেন, তাও শুরু হয়ে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। এই ড্রোনগুলি কৃষি কাজ এবং কৃষি পণ্য পরিবহণে বিশেষ সহায়ক হবে এবং এর সুবাদে উত্তরাখণ্ড আধুনিকতার নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি গ্রামের মধ্য দিয়ে গঙ্গা প্রবাহিত হচ্ছে। এখানেই রয়েছে গঙ্গোত্রী। এখানকার তুষারাবৃত পর্বতচূড়ায় দেবাদিদেব মহাদেব ও নন্দাদেবীর বাস। উত্তরাখণ্ডের মেলা, সঙ্গীত ও খাবারের এক স্বতন্ত্র মর্যাদা রয়েছে। এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কালীগঙ্গা ও চম্পাওয়াতের অদ্বৈত আশ্রমের সঙ্গে তাঁর আজীবনের সম্পর্ক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অদ্বৈত আশ্রমে কিছুদিন থাকার বাসনা ব্যক্ত করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরাখণ্ডের পর্যটন ও তীর্থযাত্রার বিকাশে ডাবল ইঞ্জিন সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, এখন তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এই বছর চারধাম যাত্রার জন্য তীর্থযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষে পৌঁছেছে। কেদারনাথ ধামের পুনর্গঠনের কাজও সম্পন্ন রয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বৈদ্যনাথ ধামের উন্নয়নেও অনেক কাজ হয়েছে। কেদারনাথ ধাম ও হেমকুন্ডসাহিবে রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে তীর্থযাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ পাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। কেদারনাথ ও মানসখন্ডের মধ্যে সংযোগের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে মানসখন্ড মন্দির মালা মিশন চালু হল তাতে কুমায়ুন অঞ্চলের বহু মন্দিরে যাওয়া সহজতর হবে এবং আরও বেশি সংখ্যায় তীর্থযাত্রীরা এইসব মন্দিরে যেতে পারবেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরাখণ্ডে সংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি রাজ্যকে উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে। এই প্রসঙ্গে তিনি চারধাম মেগা প্রকল্প, সব ধরণের মরশুমে ব্যবহার উপযোগী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের উল্লেখ করেন। উড়ান প্রকল্পের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চলে সুলভে বিমান পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ যেসব সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন হল তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সুবিধা তো হবেই, সেই সঙ্গে পর্যটনের বিকাশ ঘটবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে এই শিল্প আরও বিকাশলাভ করবে। আজ সারা বিশ্ব ভারতে আসতে চায়। আর যারা ভারতে আসবেন, তারা অবশ্যই উত্তরাখণ্ডে আসবেন। 

উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগপ্রবণ প্রকৃতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্পে আগামী ৪-৫ বছরে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। উত্তরাখণ্ডে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালানো যায়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অমৃতকাল হল দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও বিভাগকে সুযোগ-সুবিধা, সম্মান ও সমৃদ্ধির সংযোগসূত্রে বেঁধে নেওয়ার সময়।” বাবা কেদার ও বদ্রী বিশালের আশীর্বাদে দেশ তার সংকল্প পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

PG/SD/SKD/