Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন আয়োজিত ৩০০ কোটিতম খাবারের থালা পরিবেশন উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন আয়োজিত ৩০০ কোটিতম খাবারের থালা পরিবেশন উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন আয়োজিত ৩০০ কোটিতম খাবারের থালা পরিবেশন উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন আয়োজিত ৩০০ কোটিতম খাবারের থালা পরিবেশন উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আমার আসতে দেরি হল বলে ক্ষমা চাইছি। সবার আগে লীলাধর বালগোপাল নন্দলালের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবাইকে অভিবাদন জানাই।

 

আজ যখন ভগবান কৃষ্ণের লীলার সাক্ষী ব্রজধামে আমরা এই মহতী পবিত্র অনুষ্ঠানে এসেছি, তখন আপনাদের ভগবদ্গীতার একটি শ্লোক শোনাতে চাই। ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলেন –

 

দাতব্য মিতি য়দ্দানম্‌ দীয়তে নুপকারিণে।

দেশে কালে চ পাত্রে চ তদ্দানং সাত্ত্বিকং স্মৃতম্‌।।

 

অর্থাৎ, যে দানকে কর্তব্য ভেবে কোনরকম উপকারের ভাবনা ছাড়াই সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে প্রদান করা হয় – তাকেই সাত্ত্বিক দান বলা হয়।

 

অক্ষয় পাত্র সংস্থান বিগত ১৮ বছর ধরে দেশের শৈশবকে পুষ্টিকর আহার প্রদানের মাধ্যমে এই সাত্ত্বিক দান করে যাচ্ছে। সেজন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ, আর কিছুক্ষণ পর আমার কিছু শিশুর হাতে খাবার থালা পরিবেশনের সৌভাগ্য হবে। আজ যত থালা পরিবেশন করা হবে, তার মধ্যে এই সংস্থা প্রদত্ত ৩০০ কোটিতম থালাটিও থাকবে। এখানে আমরা শুনেছি যে ১,৫০০ শিশুকে খাবার দেওয়ার মাধ্যমে অভিযান শুরু হয়েছিল। আর আজ … একটু আগে মোহনদাস বলছিলেন যে, এখন দৈনিক ১৭ লক্ষ শিশুকে পুষ্টিকর আহার পরিবেশন করা হচ্ছে।

 

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আপনারা সবাই শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্রথম থালা পরিবেশন করেছিলেন। আর আজ আমার সৌভাগ্য হচ্ছে ৩০০ কোটিতম থালাটি পরিবেশনের।

 

বন্ধুগণ, আপনারা যে কাজটি করছেন তা অসাধারণ সেবা ও অতুলনীয় সমর্পণের কাজ। এটি আমাদের সেই সংস্কারের বিস্তার যা আমরা হাজার হাজার বছরের মহান পরম্পরা থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। আমি জানি যে সেবা এবং সমর্পণ কেউ কিছু পাওয়ার জন্য, এমনকি সম্মান পাওয়ার জন্যও করে না। কিন্তু আপনাদের এই প্রচেষ্টায় সারা দেশে সাধারণ মানুষের মনে বিশেষ সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছে।

 

লক্ষ লক্ষ শিশুকে খাবার খাওয়ানোর জন্য অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশনকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। তাছাড়া, স্বামী মধুপণ্ডিত দাসকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। সেজন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ, স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের বিদ্যালয়গুলিতে মধ্যাহ্নভোজনের প্রথা চালু হয়েছিল। পরাধীনতার সুদীর্ঘ কালখণ্ডে বিদেশি শোষণের ফলে আমাদের দেশে যে সম্পদের অভাব সৃষ্টি হয়েছিল, দারিদ্র্য চরমে পৌঁছেছিল, জনগণকে কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ করতে হত, এর সবচাইতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল দেশের শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিশুদের পুষ্টির পাশাপাশি, পর্যাপ্ত এবং সুষম খাদ্য প্রদান সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এভাবে আপনারা রান্না থেকে শুরু করে খাদ্য পৌঁছনো এবং পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছেন।

 

বন্ধুগণ, একটি মজবুত অট্টালিকা গড়ে তুলতে যেমন পোক্ত ভিতের প্রয়োজন হয়, শক্তিশালী ভারত গড়ে তুলতে তেমনই সুষম পুষ্টিসম্পন্ন সুস্থ শৈশবের প্রয়োজন। দেশের শৈশব দুর্বল থাকলে, উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে পড়বে। জন্মের আগে ও অব্যবহিত পরে সদ্যোজাতদের যথাযথ আহারের ব্যবস্থা করা গেলে, নানা রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের উপযোগী করে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা হ্রাস পাবে।

 

ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে –

 

য়ুক্তাহারবিহারস্য য়ুক্তচেষ্টস্য কর্মসু।

য়ুক্তস্বপ্নাববোধস্য য়োগো ভবতি দুঃখহা।।

 

অর্থাৎ, যাঁর আহার, আচার আর চলন ভারসাম্যযুক্ত, যিনি নিয়ম মেনে ঘুমোন আর জাগেন, ধ্যানের পথ তাঁর সমস্ত দুঃখ দূর করতে পারে। এই ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে বিগত ৫৫ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের সুস্থ জীবন সুনিশ্চিত করার জন্য মা এবং শিশুদের পুষ্টিসাধনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

 

বন্ধুগণ, স্বাস্থ্যের সঙ্গে পুষ্টির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য আমরা যদি পুষ্টি অভিযানকে প্রত্যেক মা ও শিশুর কাছে পৌঁছে দিতে সফল হই, তাহলে অনেক জীবন রক্ষা হবে। এই ভাবনা নিয়ে আমাদের সরকার গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে সারা দেশে রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযান শুরু করেছে।

 

বন্ধুগণ, এমন কথা দাবি করছি না যে এই পুষ্টি অভিযান, পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণ – এগুলি নিয়ে আগে কেউ ভাবেননি। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই অনেক সরকারি কর্মসূচি হয়েছে কিন্তু এত বছরেও কার্যকর সাফল্য আসেনি। আমাদের থেকে অনেক কম সম্পদসম্পন্ন ছোট ছোট দেশও এসব ক্ষেত্রে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা নতুন রণনীতি নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি। টিকাকরণের অভিযানকে ‘মিশন মোড’-এ পরিচালিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’-এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক শিশুর টিকাকরণ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।

 

বন্ধুগণ, ইতিমধ্যে এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ শিশু এবং প্রায় ৯০ লক্ষ গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। যে গতিতে কাজ চলছে, আমি নিশ্চিত যে অতি সত্ত্বর আমাদের সার্বিক টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।

 

বন্ধুগণ, আমরা টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, প্রতিষেধক টিকার সংখ্যাও বাড়িয়েছি। আগে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে যতগুলি টিকা দেওয়া হত, এখন তার সঙ্গে আরও পাঁচটি নতুন টিকা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল এনসেফেলাইটিস বা জাপানি জ্বরের প্রতিষেধক। আমাদের উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় এই এনসেফেলাইটিস ভয়ানক মারণ রোগ হয়ে উঠেছিল। ফলে, এখন বাচ্চাদের মোট ১২টি প্রতিষেধকের টিকাকরণ হয়।

 

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারতের এই প্রচেষ্টা ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’ আজ সারা পৃথিবীতে উচ্চ প্রশংসিত। সম্প্রতি একটি বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল এই ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’কে বিশ্বের ১২টি শ্রেষ্ঠ জনকল্যাণকারী অভিযানের অন্যতম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান, সদ্যোজাত এবং প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষিত গর্ভ এবং গর্ভধারণকালে পুষ্টিকর আহারের জন্য সরকার থেকে যে ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, তার ফলে দেশে সদ্যোজাত শিশু, প্রসূতি এবং গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যুর হার অনেক কমেছে।

 

বন্ধুগণ, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হল পরিচ্ছন্নতা। পাঁচ বছর থেকে কম বয়সী শিশুদের জীবনে সবথেকে বড় বিপদ হল ডায়রিয়া। আমরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে এই বিপদ থেকে অনেকটা উদ্ধার পেয়েছি।

 

গত বছর একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে শুধু ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে, শৌচালয় ব্যবহার শুরু করার ফলে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিচ্ছন্নতার শক্তি এমনই যে গরিবদের বিনা খরচে জীবন বাঁচাচ্ছে।

 

একটু আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আমাকে বলছিলেন যে এবারের কুম্ভমেলা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অবশ্য শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরেই কুম্ভমেলা সামাজিক বার্তা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ অবকাশ গড়ে ওঠে। সাধারণতঃ দেশে এবং বিশ্বের সর্বত্র খবরের কাগজে কুম্ভমেলা সম্পর্কে কিছু ছাপা হলে সেখানে নাগা সাধুদের সম্পর্কে সংবাদ ও ফটো ছাপা হয়। কিন্তু এই প্রথম এ বছর নিউইয়র্ক টাইম্‌সে কুম্ভমেলার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশংসাসূচক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।

 

আমাকে বলা হয়েছে যে অক্ষয় পাত্র সংস্থান ও বিদ্যালয়গুলিতে পরিচ্ছন্নতার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরিচ্ছন্ন ছাত্র, পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় ও পরিচ্ছন্ন গৃহের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই পবিত্র কর্মের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

বন্ধুগণ, শিশুদের স্বাস্থ্য, সুষম আহার ও পুষ্টির ক্ষেত্রে মায়ের অপুষ্টি ও খারাপ স্বাস্থ্যের ভূমিকা রয়েছে। গরিব পরিবারে মায়েদের রোজ রান্নাঘরে ধোঁয়ার সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হত। বিগত সাড়ে চার বছর ধরে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। প্রত্যেক মা-বোনের রান্নাঘরে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদানের অভিযানে সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যেই ৬ কোটি ২৫ লক্ষ গ্যাস সংযোগ প্রদান সম্ভব হয়েছে, এর মধ্যে ১ কোটি এই উত্তরপ্রদেশের গরিব বোনেরা পেয়েছেন। তাঁরা রান্নার জন্য কাঠ কাটা কিংবা তা জোগাড় করা অথবা গোবর দিয়ে ঘুঁটে দেওয়ার মতো ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, নিজেদের পাশাপাশি বাড়ির শিশুদের নৈমিত্তিক ধোঁয়ার কবল থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

 

বন্ধুগণ, আরেক মা আমাদের শৈশবের সুরক্ষায়, আমাদের জীবনের পুষ্টিসাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গোকুলের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সেই মা হল গো-মাতা। ভারতবাসী কখনও গো-মাতার দুধের ঋণ শোধ করতে পারবে না। বাল গোপালের মতো দেশের প্রত্যেক শিশুর পুষ্টিসাধনে দুধ, দই, মাখনের উৎপাদনে গো-মাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

বন্ধুগণ, গো-মাতা যুগ যুগ ধরে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের পরম্পরা, গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এখানে মথুরায় তো গো-সেবার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। সম্প্রতি সুদেবী দাসী বোনকে পদ্মশ্রী উপাধি প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে, তাঁর জীবন আমাদের সংস্কারের শক্তি প্রদর্শন করে।

 

বন্ধুগণ, গোকুলের এই ভাবনা, দেশের ভাবনাকে বিস্তৃত করতে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন চালু করেছিল। এবারের বাজেটে সেই প্রকল্পকে আরও ছড়িয়ে ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আয়োগের মাধ্যমে গো-মাতা এবং গো-বংশের দেখাশোনা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুনকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, পশুপালক পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য এখন ব্যাঙ্কের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফসলের জন্য ঋণের মতোই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত পশুপালক ভাই-বোনদের অনেক উপকার হবে। পাশাপাশি, এই পদক্ষেপ দেশের ডেয়ারি শিল্পেও জোয়ার আনবে। ফলস্বরূপ, পশুপালকদের রোজগার বাড়বে, তাঁদের জীবন সহজ হবে।

 

বন্ধুগণ, আমাদের অন্নদাতা কৃষকদের জন্যও সরকার বড় প্রকল্প গড়ে তুলেছে। এর মাধ্যমে সবচাইতে বেশি উপকৃত হবে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। কারণ এই রাজ্যের অধিকাংশ কৃষকের দুই থেকে পাঁচ একরের কম জমি রয়েছে। নতুন প্রকল্পে পাঁচ একর বা তার থেকে কম জমি যাঁদের রয়েছে, প্রতি বছর সেই কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জমা করা হবে।

 

বন্ধুগণ, আমাদের অন্নদাতারা আজ রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করছেন। আর আপনাদের মতো সমর্পিত প্রাণ কর্মকর্তারা সেই অন্ন শিশুদের মুখে তুলে দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করার কাজ করছেন। এই প্রচেষ্টা ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’য় পৌঁছনোর প্রচেষ্টার উৎকৃষ্টতম উদাহরন। সেজন্য আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যখন এভাবে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সমষ্টির জন্য কাজ করতে পারি, তখন আমাদের ভাবনার পরিধি প্রসারিত হয়। এই সমষ্টি ভাবনা নিজের দেশ, নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ব্যক্তির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন করে তোলে। আমাদের দেশে এই সমষ্টি ভাবনা শাশ্বত ও পুরাতন।

 

বন্ধুগণ, ‘নতুন ভারত’ দেশের এই শাশ্বত ভাবনাকেই আরও শক্তিশালী করবে। আমরা সকলে পরস্পরের সহযোগিতায়, সকলের জন্য অর্থাৎ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর পথে এগিয়ে যাব। আরেকবার আপনাদের সকলের সেবার এই মহান সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের এই সেবাভাব অক্ষয় থাকুক এই আশা রাখি।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

CG/SB/DM/