Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২ মার্চ) নতুন দিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে ভাষণ দেন।

 

স্বচ্ছ ভারত মিশন সম্পর্কে ‘ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ’ সচেতন করার ব্যাপারে যে প্রয়াস নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদকালের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, জাতীয় স্তরে তাঁর স্বল্প অভিজ্ঞতাই অভিশাপের পরিবর্তে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।

 

দেশের বৈদেশিক নীতি প্রসঙ্গে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েকদিনের ঘটনাসমূহ, এই নীতি নিয়ে যে সন্দেহ রয়েছে তা নিরসনে সাহায্য করবে।

 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজকের ভারত এক নতুন ভারত এবং এক ভিন্ন ভারত। তিনি বলেন, প্রত্যেক সেনার জীবন অমূল্য এবং আজ ভারতের সঙ্গে কেউই বিশৃঙ্খলা তৈরির সাহস দেখাতে পারে না। জাতীয় স্বার্থে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে এবং বাইরে কিছু অশুভ শক্তি রয়েছে, যারা দেশের বিরুদ্ধে এবং ভারতের এই একতা দেখে ভীত। তিনি বলেন, এই ভীতি একদিকে দেশের পক্ষে ভালোই। ভারতের শৌর্য দেখে শত্রুরা ভীত, দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তিরা আইনের কারণে ভীত, পক্ষান্তরে এই ভীতি মঙ্গলজনক। তিনি আরও বলেন, নতুন ভারত তার সক্ষমতা ও সম্পদ নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

 

সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলির সদিচ্ছা নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন, তাদের উদার মানসিকতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন। শ্রী মোদী বলেন, নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে আসলে তারা দেশের বিরোধিতা করছেন। এমনকি, এই বিরোধিতা দেশের ক্ষতি করছে। তাঁর অভিমত, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলির প্রতি যারা সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং যারা দেশে সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেন, তাদেরকেই বিশ্বাস করেন। সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ভারত রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের অভাব সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি অনুভব করেছে। এমনকি, এই যুদ্ধ বিমান সংগ্রহ নিয়ে অনেক রাজনৈতিক খেলাও হয়েছে। যাদের কিছু পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কড়া সমালোচনা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু বছর ধরেই যারা দেশ শাসন করেছেন, তাদের দুটি বিষয়ের ওপর আগ্রহ ছিল। এগুলি হল – দান-খয়রাতি ও চুক্তি। এর ফলে, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের জওয়ান ও কৃষকরা।

 

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ, হাতেগোনা কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। আর, কৃষিক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ, চুক্তির পেছনে সঠিক কোন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি পূরণেই দান-খয়রাতি করা হয়েছে যাতে দরিদ্ররা দরিদ্রই থেকে যান এবং তাদের কাছে দয়ার পাত্র হয়ে থাকেন। এর সবথেকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল কৃষি ঋণ মকুব। তাঁর সরকার যে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ চালু করেছে, তার উদ্দেশ্যই হল কৃষক সমাজের ক্ষমতায়ন। ঘোষণার ২৪ দিনের মধ্যেই এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলেও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।

 

শ্রী মোদী বলেন, তাঁর সরকারের ৫৫ মাস এবং অন্যান্যদের ৫৫ বছর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দুই ভিন্নধর্মী প্রয়াসের প্রতিফলন ঘটায়।

 

তিনি বলেন, ‘তাদের প্রয়াস ছিল প্রতীকি’, আর ‘আমাদের প্রয়াস সামগ্রিক’। এ প্রসঙ্গে তিনি সেনানীদের জন্য ‘এক পদ এক পেনশন’; ‘গরিব মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ’; পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি ‘উজ্জ্বলা যোজনা’; ‘সকলের জন্য বিদ্যুৎ’ এবং ‘সকলের জন্য আবাসন’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন।

 

তিনি প্রশ্ন করেন, ভারত কেন এখনও প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্ত হয়ে ওঠেনি! বহু দশক পেরিয়ে গেলেও কেন যুদ্ধ স্মারক বা পুলিশ স্মারক গড়ে তোলা হয়নি!

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আজ দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ভারত এখন দ্রুত বিকাশশীল বৃহৎ অর্থনীতি। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির কথাও তিনি উল্লেখ করেন। কর্মপ্রয়াসের পাশাপাশি আইন বা উদ্যোগের যৌথ মেলবন্ধনে এগিয়ে যেতে তাঁর সরকার বিশ্বাসী। তিনি বলেন, ২০১৪-১৯ ছিল সকলের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করা। তবে, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলিতে প্রত্যাশা পূরণ এবং অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছনোর সময় হয়ে উঠতে চলেছে।