সবার আগে এই আয়োজনের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
এর আগেও আমি ইন্ডিয়া টূডে কনক্লেভের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাকেবলা হয়েছে যে, গতকাল ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের এডিটর-ইন-চিফ আমাকে একটি নতুন আখ্যাদিয়েছেন – “ডিসরপ্টর-ইন-চিফ”! দু’দিন ধরে আপনারা “দ্য গ্রেট ডিসরাপশন” নিয়ে আলোচনাকরছিলেন।
বন্ধুগণ, অনেক দশক ধরে আমরা ভুল নীতি অনুসরণ করে ভুল পথে চলেছি। ফলে সবকিছুসরকার করবে – এই মনোভাব প্রবল হয়ে উঠেছে। কয়েক দশক পর এই ভুলকে আমরা চিহ্নিত করতেপেরেছি। ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করেছি। আর ভাবনার সীমা শুধু এতটাই ছিল যে, দু’দশকআগে ত্রুটি সংশোধনের একটি চেষ্টা হয়েছে আর সেটিকেই ‘সংস্কার’ বলে মনে নেওয়া হয়েছে।
অধিকাংশ সময় দেশে এক ধরণের সরকার ক্ষমতায় এসেছে অথবা বিভিন্ন দলের সম্মিলিতসরকার। সেজন্য দেশে এক ধরনের চিন্তাধারা বা কর্মধারা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আগে রাজনৈতিক ব্যবস্থাজাত কর্মধারা নির্বাচন চালিত হতো কিংবা আমলাতন্ত্রের‘বদ্ধ কাঠামো’-এর ভিত্তিতে পরিচালিত হতো। সরকার পরিচালনার শুধু এই দুটি ব্যবস্থাছিল আর সরকারের পরিসংখ্যানও এই ভিত্তি নির্ভর হতো।
আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে যে, পূর্ববর্তী ২০০ বছরে প্রযুক্তির পরিবর্তনযতটা সাধিত হয়েছে গত ২০ বছরে তার চাইতে বেশি পরিবর্তন এসেছে।
স্বীকার করে নিতে হবে যে, ৩০ বছর আগের যুবক-যুবতীদের সঙ্গে আজকেরযুবক-যুবতীদের উচ্চাকাঙ্খা বা ব্যাকুল বাসনায় চরিত্রগত পার্থক্য এসে গেছে।
স্বীকার করে নিতে হবে যে ‘বাই পোলার ওয়ার্ল্ড’ (দ্বি-মেরুযুক্ত পৃথিবী) আর‘ইন্টার ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ল্ড’ (পরস্পর নির্ভরশীল পৃথিবী)-এর মধ্যে সমস্ত সমীকরণবদলে গেছে।
স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগে যুবমনে বা জনমানসে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেজাতীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রাধান্য ছিল। এর তীব্রতা এতই ছিল যে তাঁরা দেশকে কয়েকশোবছরের পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেন। এখন সময়ের চাহিদা হল অনুন্নয়নের গ্লানিথেকে মুক্ত করা। স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই উন্নয়নের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের স্বার্থে আবার জাতীয়উচ্চাকাঙ্ক্ষায় মাত্রান্বিত করার সময় এসেছে।
বর্তমান সরকার ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে।সমস্যাগুলি দেখার পদ্ধতি কী হবে, তার ওপর নির্ভর করে কিভাবে সেগুলির সমীপবর্তী হয়েসমাধান করবো। অনেক বছর ধরে দেশে ইংরাজী-হিন্দি নিয়ে লড়াই চলছিল । কিন্তু আমরামনে করি, ভারতের সকল ভাষা আমাদের সম্পদ। সেজন্য সকল ভাষার মানুষকে ঐক্যসূত্রেগাঁথার চেষ্টা করেছি। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্পের দেশের ভিন্ন প্রান্তেরদুটো করে রাজ্যকে জুড়ি মিলিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেক জুড়ির মধ্যে পারস্পরিক সাংস্কৃতিকআদান-প্রদান শুরু হয়েছে। তাঁরা একে অন্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিতহচ্ছেন।
অর্থাৎ, সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে এবং ভিন্ন পদ্ধতিতে আসছে। সেজন্যআপনাদের এই আখ্যা এত কিছুকে আত্মস্থ করার ক্ষেত্রে ছোট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কোনওব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ভাবনা নিয়ে কাজ করি না। এই মহান কায়কল্পে এদেশের আত্মাঅক্ষুন্ন থাকবে, ব্যবস্থাগুলি সময়ানুকূল হতে থাকবে। এটাই একবিংশ শতাব্দীর জনমানসেরচাহিদা। সেজন্য ‘ডিসরপ্টার-ইন-চিফ’ যদি কেউ হন, তাঁরা হলেন ১২৫ কোটি ভারতবাসী।
সীমিত ভাবনা, সমস্ত কিছুকে পুরনো পদ্ধতিতে দেখার পরিসীমা এত সংকীর্ণ যেঅনেকে ভাবেন, ক্ষমতার অলিন্দেই বুঝি পৃথিবী বদলায়। এমনটি ভাবা ঠিক নয়।
আমরা সময় নির্দিষ্ট বাস্তবায়ন এবং সংহত চিন্তাভাবনাকে সরকারের কর্মসংস্কৃতিরসঙ্গে যুক্ত করেছি। কাজ করার এমন পদ্ধতি যেখানে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকবে,পদ্ধতিগুলি হবে নাগরিক-বান্ধব এবং উন্নয়ন-বান্ধব। দক্ষতা বৃদ্ধির স্বার্থেপদ্ধতিগুলি পুনর্ব্যবস্থায়ন করা হবে। বন্ধুগণ, আজ ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীলঅর্থনীতির দেশগুলির মাধ্যে অন্যতম। ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্টে ভারত’কেবিশ্বের সর্বোচ্চ তিনটি ‘প্রসপেক্টিভ হোস্ট ইকনমি’র মধ্যে রাখা হয়েছে। ২০১৫-১৬অর্থবর্ষে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি রেকর্ড বিনিয়োগ হয়েছে। দু’বছরে ওয়ার্ল্ডইকনমিক ফোরামের গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস ইন্ডেক্স-এ ভারত ৩২ স্থান উপরে গেছে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আজ ভারতের সবচেয়ে বড় ‘প্রয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। আজ ভারতবিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ।
বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার কো-অপারেটিভ ফেডরেলিজম-এ গুরুত্ব দিয়েছে। জিএসটি আজযতদূর পৌঁছেছে, সেটা সুফলদায়ী গণতন্ত্রের পরিণাম। প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গেকেন্দ্রের এ নিয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। ফলস্বরূপ, জিএসটি নিয়ে এই বিপুলসম্মতি আমরা অর্জন করেছি। এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা সকলের ইচ্ছায় বর্তমানরূপ ধারণ করেছে। দেশের প্রত্যেক রাজ্য এতে সম্মতি জানিয়েছে। আপনাদের দৃষ্টিকোণথেকে একে বিপর্যয়মূলক বলতে পারেন। কিন্তু আসলে জিএসটি ভারতের যুক্তরাজ্যব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সকলের উন্নয়ন’ এটা কেবল শ্লোগানই নয়, আমরা এটাকেবাস্তবে পরিণত করে দেখাচ্ছি।
বন্ধুগণ, আমাদের দেশে দীর্ঘকাল ধরে মনে করা হয় যে, শ্রমিক আইন দেশেরউন্নয়নের পরিপন্থী। অন্যদিকে, শ্রমিক আইনে কেউ সংস্কার আনতে গেলে তাঁকে শ্রমিকবিরোধী মনে করা হয়।
কখনও এটা ভাবা হয়নি যে, মালিক, কর্মচারী এবং কর্মপ্রার্থী – এই তিনের জন্যইকিভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এগিয়ে চলা যা্য়!
দেশে ভিন্ন ভিন্ন শ্রমিক আইন পালনের আগে মালিককে ৫৬টি ভিন্ন রেজিস্টারেতথ্য লিখতে হ’ত। একই তথ্য বারবার বিভিন্ন রেজিস্টারে লিখতে হতো। গতমাসে বর্তমানসরকার বিজ্ঞাপিত করেছে যে শ্রমিক আইন অনুযায়ী এখন থেকে আর ৫৬টি রেজিস্টার নয়, ৫টিরেজিস্টারে তাঁদের তথ্যাবলী লিখলেই হবে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিমালিকদের জন্য অনেক সহজ হবে।
বর্তমান সরকার, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশিব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমেনবীন প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়াহয়েছে। বিগত আড়াই বছরে ৬ কোটিরও বেশি যুবক-যুবতী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৩ লক্ষকোটি টাকারও বেশি ঋণ পেয়েছেন।
সাধারণ দোকান এবং সংস্থাগুলি যাতে চাইলে বছরে ৩৬৫ দিনই খোলা রাখা যায়, সেইপরামর্শও রাজ্য সরকারগুলিকে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথম কৌশল বিকাশ মন্ত্রালয় গড়ে তুলে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনা এবং আয়করে ছাড়ের মাধ্যমে বিধিবদ্ধকর্মসংস্থানকে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
একইভাবে অ্যাপ্রেন্টিসশিপ আইনে সংস্কার এনে অ্যাপ্রেন্টিসদের সংখ্যা এবংতাঁদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে।
বন্ধুগণ, সরকারের ক্ষমতার চাইতে জনগণের ক্ষমতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের মঞ্চে আমি আগেও বলেছি যে, সরকারের সকল কাজের সঙ্গে জনগণকেযুক্ত করতে না পারলে এত বড় দেশ চালানো সম্ভব নয়। দীপাবলির পর কালো টাকা এবংদুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তারপর আপনারা জনশক্তির এমন উদাহরণদেখেছেন, যা সাধারণত যুদ্ধ অথবা সঙ্কটের সময়ে দেখা যায়।
এই জনশক্তি দেশের অভ্যন্তরে ঘুণের মতো কুরে কুরে খাওয়া দুর্নীতির শেষ দেখতেচায়, নিজেদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাকে পরাজিত করে এগিয়ে যেতে চায়, এক নতুন ভারত গড়েতুলতে চায়। আজ স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশে ৪ কোটিরও বেশি নতুন শৌচালয় গড়েতোলা সম্ভব হয়েছে, দেশের ১০০টিরও বেশি জেলা ইতিমধ্যেই খোলা জায়গায় প্রাকৃতিককাজকর্ম থেকে মুক্ত বলে ঘোষিত হয়েছে। এটাই জনশক্তির ঐক্যবদ্ধতার প্রমাণ। ১ কোটিরওবেশি মানুষ রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি স্বেচ্ছায় সমর্পণ করেছেন। এটাও জনশক্তিরঐক্যবদ্ধতার প্রমাণ।
সরকার যখন জন ধন যোজনা শুরু করেছিল, তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, দেশেরগরিব মানুষদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করবে। এই যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই২৭ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
এভাবেই সরকার ঠিক করেছে যে, তিন বছরের মধ্যে দেশের ৫ কোটি গরিব মানুষকেনিঃশুল্ক রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেবে। মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই প্রায় ২ কোটি গরিবমানুষকে এই নিঃশুল্ক রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ১০০০ দিনের মধ্যে সেই ১৮,০০০ গ্রামে বিদ্যুৎপৌঁছে দেবে, যেগুলিতে স্বাধীনতার পর ৭০ বছরেও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। তারপর ৬৫০ দিনেরমধ্যে ১২,০০০-এরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
যেখানে নিয়মকানুন বদলানোর প্রয়োজন ছিল, বদলানো হয়েছে। যেগুলি বাতিল করারপ্রয়োজন ছিল, সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১,১০০-রও বেশি পরস্পর বিরোধী আইনবাতিল করা সম্ভব হয়েছে।
বন্ধুগণ, বছরের পর বছর ধরে বিকেল ৫টায় দেশের বাজেট পেশ করা হতো। ইংরেজরা এইনিয়ম চালু করেছিল, কারণ আমাদের দেশের বিকেল ৫টায় তাদের দেশে সকাল ১১টা বাজে। অটলজিএই প্রথা বদলাতে চেয়েছিলেন। এ বছর আপনারা দেখেছেন যে, বাজেট এক মাস আগেই পেশ করাহয়েছে, বাস্তবায়নের দৃষ্টিকোণের দিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আগেফেব্রুয়ারির শেষে বাজেট পেশ হলে সরকারি বিভাগগুলিতে টাকা পৌঁছতে কয়েক মাস পেরিয়েযেত। তারপর বর্ষাকাল শুরু হলে কাজ শুরু হতে আরও দেরী হতো। এখন বিভাগগুলির হাতে আগেথেকেই টাকা পৌঁছনোর ফলে বর্ষার আগেই অধিকাংশ কাজ করে ফেলা যাবে।
এইভাবে বাজেটে পরিকল্পিত, অপরিকল্পিতর মধ্যে একটি কৃত্রিম দেওয়াল ছিল।খবরের কাগজের শিরোনামে আসার জন্য নতুন নতুন বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হতো। আর যা আগেথেকে চলছিল, সেগুলিকে তেমন আমল দেওয়া হতো না। ফলস্বরূপ, পরিকল্পনা ও কাজের মধ্যেঅনেক ভারসাম্যহীনতা ছিল। আমরা সেই কৃত্রিম দেওয়ালটিকে ভেঙে দিতে চেয়েছি।
এবার রেল বাজেটকে আমরা সাধারণ বাজেটে বিলীন করে দিয়েছি। এই আলাদা রেল বাজেটপেশ করার ব্যবস্থা ইংরেজদের বানানো। বিগত ৭০ বছরে পরিবহণের দুনিয়ায় অনেক পরিবর্তনএসেছে। রেলের পাশাপাশি সড়ক, বিমান, জলপথ ও সমুদ্রপথ পরিবহণের গুরুত্ব বৃদ্ধিপেয়েছে। সেজন্য এই সকল পরিবহণ ব্যবস্থা সুসংহত পরিকল্পনার অন্তর্গত করে সরকারপরিবহণ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
গত আড়াই বছরে আপনারা সরকারের নীতি, নির্ণয় এবং নিয়ত – এই তিনটেই দেখেছেন।আমি নিশ্চিত যে, এই অভিগমনই একবিংশ শতাব্দীতে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ারক্ষেত্রে নতুন ভারতের ভিতকে আরও মজবুত করবে।
আমাদের দেশে প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন আর ফিতে কাটাকে সরকারি কাজ বলে মানা হয়।আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে আমরা ক্ষমতাসীন হয়ে দেখেছি যে ১৫০০টিরও বেশি নতুন প্রকল্পঘোষণা হয়ে ফাইল চাপা পড়ে রয়েছে।
এরকমই অনেক বড় বড় প্রকল্প বছরের পর বছর ফাইল চাপা পড়ে রয়েছে। আমরা এই ঘোষিতপ্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের বিষয়টিকে সঠিকভাবে তদারকি করার জন্যে একটি ব্যবস্থা গড়েতুলেছি, ‘প্রগতি’ অর্থাৎ, প্রো-অ্যাক্টিভ গভন্যান্স অ্যান্ড টাইমলিইমপ্লিমেন্টেশন। আমি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বসে সকল কেন্দ্রীয় বিভাগের সচিব এবংসকল রাজ্যের মুখ্যসচিবদের ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে সকল থেমে থাকাপ্রকল্প আবার কিভাবে চালু করা যায়, কত দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব সেসব বিষয়ে নিয়মিতআলাপ-আলোচনা করি। কোন্ কোন্ থেমে থাকা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে তার তালিকা আগেথেকেই সকলের কাছে থাকে। ইতিমধ্যেই এভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ৮ লক্ষ কোটি টাকারওবেশি বিনিয়োগে নির্মীয়মান পরিকল্পনার অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা হয়েছে।দেশের উন্নয়নের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ১৫০টিরও বেশি থেমে থাকা বড় প্রকল্পের কাজ আবারমহাসমারোহে চালু হয়েছে। কোন্ প্রকল্প কবে শেষ হবে, সেই সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়াহয়েছে।
সরকার এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পরিকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছে। বিগততিনটি বাজেটে রেল ও সড়কপথের পরিকাঠামো নির্মাণে সর্বাধিক বিনিয়োগ করা হয়েছে।সেজন্য উভয় ক্ষেত্রেই পরিবহণের গড় গতি অনেক বেড়েছে।
আগে অনেক ধীর গতিতে বিদ্যুৎচালিত রেল রূপান্তরের কাজ এগোচ্ছিল। আমরা এইকাজেও গতি এনেছি। ফলে, রেল পরিবহণের খরচ অনেক কমে গেছে, আর দেশে উৎপন্ন বিদ্যুৎদিয়েই আমরা রেল চালাতে সক্ষম হচ্ছি। এভাবেই রেলপথকে বিদ্যুৎ আইনের অন্তর্গত মুক্তব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে, রেলের কেনা বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও রেল সাশ্রয়করতে পারছে। আগে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলির বিরোধিতার ফলে রেলকে বাধ্য হয়ে বেশিদাম দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে হতো।
আগে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলিতে কয়লা সরবরাহের অদ্ভুত পদ্ধতি ছিল। উত্তর ভারতেরপ্ল্যান্টগুলিতে মধ্য ভারত থেকে কয়লা সরবরাহ করা হতো, আর উত্তর কিংবা পূর্ব ভারতেরকয়লা পশ্চিম ভারতের প্ল্যান্টগুলিতে যেত। ফলস্বরূপ, কয়লা পরিবহণে পাওয়ারপ্ল্যান্টগুলির যত টাকা খরচ হতো, তাতে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যেত। আমরা এই কয়লাসরবরাহকে বাস্তবসম্মত করে পরিবহণের খরচ কমাতে পেরেছি, ফলে বিদ্যুতের দামও কমেছে।
এই দুটি উদাহরণ দিয়েই বলা যায় যে, সরকার ‘টানেল ভিশন’ নয়, ‘টোটাল ভিশন’কেমাথায় রেখে কাজ করছে।
আগে রেলপথের নীচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে উড়ালপুল গড়ে তুলতে হলে রেলদপ্তর থেকে অনুমতি পেতে মাসের পর মাস পেরিয়ে যেত। উড়ালপুলের নক্শাটি ঠিক আছে কিনা, তা নিয়ে টালবাহানা চলতো। বর্তমান সরকার রেল উড়ালপুলের ক্ষেত্রে সুষম নক্শাগড়ে তুলেছে। আর এই নক্শা অনুসারে প্রস্তাব জমা দিলে দ্রুত ‘এনওসি’ দেওয়া হচ্ছে।
সুলভে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেশের আর্থিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। আমরা শুরুথেকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে পূর্ণাংগ ভিত্তিতে কাজ করছি, সাফল্যও পাচ্ছি। ২৬,০০০মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫ শতাংশবৃদ্ধি পেয়েছে। কয়লা খনিগুলি নিলামের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আর উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতেকয়লা সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা এই সাফল্য পেয়েছি।
আজ এমন কোনও তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নেই, যেখানে কয়লা সরবরাহের সমস্যা রয়েছে।প্রত্যেকের কাছেই সবসময়ে ন্যূনতম ৭ দিন কাজ চালানোর মতো কয়লা সরবরাহের ব্যবস্থাকরা হয়েছে। আগে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতে কয়লা সরবরাহের সঙ্কট নিয়ে সংবাদশিরোনাম হতো। গত আড়াই বছরে কি আপনারা এরকম কোনও সংবাদ শিরোনাম দেখেছেন।
বন্ধুগণ, সরকার প্রথম দু’বছরেই ৫০ হাজার সার্কিট কিলোমিটার পরিবহণ লাইনসংযুক্তিকরণ সম্পূর্ণ করেছে। ২০১৩-১৪’তে সারা দেশে ১৬,০০০ হাজার সার্কিট কিলোমিটারপরিবহণ লাইন সংযুক্তিকরণ হয়েছিল।
আমাদের ‘উদয়’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রগুলি নতুনজীবন লাভ করেছে। সারা দেশে বিদ্যুতের যোগান বেড়েছে, দামও কমেছে। আজ ‘বিদ্যুৎপ্রবাহ’ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে দেখা যেতে পারে কোন্ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দামকতো।
সরকার ক্লিন এনার্জি’কে গুরুত্ব দিয়ে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিউৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। ইতিমধ্যেই ৫০ গিগাওয়াট অর্থাৎ ৫০,০০০ মেগাওয়াটপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। ভারত ‘বিশ্ববায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায়’ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে গেছে।
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও জোরদিয়েছে সেজন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২২ কোটি এলইডি বাল্ব বিতরণ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ,বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি প্রদূষণও হ্রাস পেয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি বছর১১,০০০ কোটি টাকা আনুমানিক সাশ্রয় হচ্ছে।
বন্ধুগণ, দেশের আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতকে অপ্টিক্যাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করারকাজ ২০১১ সালেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু তখন থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেবলমাত্র ৫৯টিগ্রাম পঞ্চায়েতেই পৌঁছেছিল। এই গতিতে আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতে কবে পৌঁছতো তা আপনারাকল্পনা করতে পারেন। আমরা এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছি, প্রতিবন্ধকতাগুলিকে দূরকরার ব্যবস্থা করেছি। আর এভাবে বিগত আড়াই বছরে ৭৬,০০০-এরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতকেঅপটিক্যাল ফাইবার দ্বারা যুক্ত করতে পেরেছি।
প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে ওয়াইফাই হটস্পট প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে,যাতে গ্রামের মানুষ সহজেই এই পরিষেবা পেতে পারেন। গ্রামের স্কুল, হাসপাতাল এবংথানাগুলিতে এই পরিষেবা যাতে দ্রুত পৌঁছতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। শুধুকাজের পদ্ধতি বদলে আমরা এই গতি বাড়াতে পেরেছি।
২০১৪’র আগে একটি কোম্পানিকে ‘ইনকর্পোরেট’ করতে ১৫ দিন সময় লাগতো, এখন ২৪ঘন্টা সময় লাগে। আগে আয়কর রিফান্ড পেতে কয়েক মাস লাগতো, এখন কয়েক সপ্তাহ লাগে। আগেপাসপোর্ট তৈরি হতে কয়েক মাস লাগতো, এখন এক সপ্তাহের মধ্যেই পাসপোর্ট আপনার বাড়িতেপৌঁছে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, আমাদের জন্য প্রযুক্তি সুশাসনের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা তোবটেই দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নে সহায়কও বটে।
সরকার দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে, সেজন্য বীজ থেকেশুরু করে বাজার পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাঁদেরকেউন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা, প্রত্যেক ক্ষেতে যাতে সেচের জল পৌঁছয়, তার জন্যপ্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনারমাধ্যমে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্র প্রশস্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া, কৃষকদের মৃত্তিকাস্বাস্থ্য কার্ড বিতরণের মাধ্যমে নিজের জমিকে ভালোভাবে বুঝে চাষের সিদ্ধান্তনেওয়ার সুবিধা করে দিয়েছে। ‘ইউরিয়া সঙ্কট’ এখন একটি ঐতিহাসিক শব্দে পরিণত হয়েছে।কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের উচিৎ দাম পেতে e-NAM প্রকল্পেরমাধ্যমে সারা দেশের ৫৮০টিরও বেশি বাজারকে অনলাইনে যুক্ত করে গুদামজাতকরণ এবংসরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও আমরা প্রত্যেক স্তরে সংস্কারের কাজ এগিয়েনিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের টীকাকরণ, গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিবারণমূলকস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার মতো বিষয়গুলিকে যথাযথ তদারকি করার জন্যপ্রকল্প চালু করা হয়েছে । সম্প্রতি সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। একটি স্বাস্থ্যমানচিত্র তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থারআওতায় আসতে পারেন।
সরকার এই চেষ্টায় রয়েছে যে আগামীদিনে দেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের ন্যূনতম আড়াই শতাংশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ করাহবে। আজ দেশে ৭০ শতাংশেরও বেশি চিকিৎসার উপকরণ, যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামগ্রীবিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্যসামগ্রী উৎপাদনকে উৎসাহ প্রদান করে চিকিৎসাকে সুলভ করে তুলতে চাইছি।
বন্ধুগণ, সরকার সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদেরসরকার দিব্যাঙ্গদের সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সারা দেশে প্রায় ৫,০০০ শিবিরের মাধ্যমেইতিমধ্যে ৬ লক্ষরও বেশি দিব্যাঙ্গকে প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এই শিবির গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এও নথিভুক্ত হয়েছে।
হাসপাতালে, রেল স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে, সরকারি দপ্তরগুলিতে চলাফেরা ওওঠানামার ক্ষেত্রে দিব্যাঙ্গদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে সুগম্য ভারত অভিযান চালুকরা হয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দিব্যাঙ্গদের জন্য সংরক্ষণ ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে৪ শতাংশ করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গদের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য দেশের আইনে পরিবর্তনআনা হয়েছে। সারা দেশে দিব্যাঙ্গদের জন্য একটি ‘কমন সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ উদ্ভাবন করাহচ্ছে।
বন্ধুগণ, ১২৫ কোটি মানুষের এই দেশে উপাদানের প্রাচুর্য রয়েছে, সামর্থ্যঅনেক রয়েছে।
২০২২ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন করবে, তখন আমরা কি সবাই মিলেমহাত্মা গান্ধী, সর্দার প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকর আর দেশ স্বাধীন করতে গিয়েশহীদ হওয়া অসংখ্য বীরের স্বপ্নের ভারতকে সাকার করতে পারব?
আমরা প্রত্যেকেই যদি সংকল্প গ্রহণ করি – পরিবার, সংগঠন এবং কর্মস্থলে আগামীপাঁচ বছরে সকলেই নতুন ভারতের স্বপ্ন সাকার করার কর্মযজ্ঞে সমর্পিত হয়ে কাজ করি, তাহলে তাঁদের স্বপ্ন অবশ্যই সাকার হবে। এই স্বপ্ন যে আমাদেরও সংকল্পও আমাদের, সময়ওআমাদের, সমর্পণও আমাদের – সেজন্য সিদ্ধিও আমরাই অর্জন করব।
নিউ ইন্ডিয়া, স্বপ্ন থেকে বাস্তবের পথে এগিয়ে যাওয়া ভারত।
নিউ ইন্ডিয়া, যেখানে উপকার নয়, সুযোগ থাকবে।
নিউ ইন্ডিয়া ভিত্তি স্থাপনের মন্ত্র, সকলকে সুযোগ সকলকে উৎসাহ।
নিউ ইন্ডিয়া, অনেক নতুন সম্ভাবনা, অনেক নতুন সুযোগের ভারত।
নিউ ইন্ডিয়া, শস্যশ্যামলা ফসলের ক্ষেত, হাসিমুখ কৃষকের ভারত।
নিউ ইন্ডিয়া, আপনার আমার অহংকারের ভারত।
PG/SB/SB
Swachh Bharat Abhiyaan is a social movement that involves all of us: Mr. @aroonpurie speaks at the India Today Conclave @IndiaToday
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
He has involved everyone in the process of nation building: Mr. @aroonpurie on PM @narendramodi at the @IndiaToday Conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Have seen 12 PMs but I have rarely seen so much energy & commitment for the cause of India: Mr. @aroonpurie on PM @narendramodi @IndiaToday
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Earlier decisions were election driven or based on set notions of officials. This has changed now: PM @narendramodi at @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Technology has changed so much. We have to keep pace with the aspirations of the youth: PM @narendramodi at @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Like the freedom movement, we need a movement for development, where collective aspirations propel growth of the nation: PM
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
We have focused on time bound implementation & integrated thinking. Our processes are citizen friendly: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
India's economy is being transformed and manufacturing sector is getting a strong impetus: PM @narendramodi at the @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
We believe in cooperative federalism. And see the GST process for instance. It showed what deliberative democracy is about: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
The manner in which the GST was achieved is as important as the GST itself. States have taken ownership of this: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Why do small shops have to shut early. Why can't the small shopkeeper keep his or her shop open for longer hours: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
We brought changes to ensure shopkeepers can keep shops open longer and this gives better economic opportunities to them: PM
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Bigger than the strength of the Government is the Jan Shakti: PM @narendramodi at the @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
We have begun work on electrifying villages that did not receive electricity for so many years after Independence: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
And, the work on village electrification has been going on with immense transparency: PM @narendramodi at the @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
By merging Railway Budget with General Budget we have ensured faster growth of not only the railways but also overall transport sector: PM
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Our focus is next generation infrastructure. Significant resources have been devoted to the railway and road sector: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Speed of work in the railway and the road sector is progressing at a very quick pace: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
Addition of optical fibres is happening at a very quick pace and that too in rural areas: PM @narendramodi at the @IndiaToday conclave
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
In the health sector, work is on at a quick place. A roadmap has been prepared to make healthcare accessible to the nation: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017
New India is not about Upkaar but about Avsar. It is about opportunity for all: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 18, 2017