Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক


মহোদয়া প্রধানমন্ত্রী মেলোনি,

দুই দেশের প্রতিনিধিগণ,

সাংবাদিক বন্ধুরা,

নমস্কার!

আমি প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে প্রথম ভারত সফরে আন্তরিক স্বাগত জানাচ্ছি। ইতালির জনগণ গত বছর নির্বাচনে প্রথম মহিলা এবং তরুণতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে নির্বাচিত করেছে। সকল ভারতীয়র পক্ষ থেকে এই ঐতিহাসিক সাফল্যে তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কয়েকদিন বাদেই বালি-তে জি-২০ শিখর সম্মেলনে আমাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক হয়।

বন্ধুগণ,

আজ আমাদের আলোচনা অত্যন্ত কার্যকর এবং অর্থবহ হয়েছে। এ বছর ভারত এবং ইতালি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। এই উপলক্ষে আমরা ভারত-ইতালি অংশীদারিত্বকে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক মৈত্রীকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযান ভারতে বিনিয়োগের বিশাল সুবিধা এনে দিয়েছে। আমরা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, গ্রিন হাইড্রোজেন, আইটি, সেমি-কন্ডাক্টর, টেলিকম এবং মহাকাশ ক্ষেত্রের মতো এলাকায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছি। আজ আমরা ভারত এবং ইতালির মধ্যে স্টার্ট-আপ ব্রিজ স্থাপনের ঘোষণা করছি এবং আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

বন্ধুগণ,

আরও একটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দুই দেশ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। সেটি হল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা। ভারতে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে উৎপাদন ও উন্নয়নে সহযোগিতার সুবিধা তৈরি হয়েছে যা দু’দেশের পক্ষেই ভালো। আমরা দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত যৌথ মহড়া এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে ভারত এবং ইতালি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে। এই সহযোগিতা আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সেই নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

বন্ধুগণ,

ভারত এবং ইতালির মধ্যে মানুষে মানুষে এবং শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক মৈত্রী বহমান। বর্তমান সময়ের দাবি মেনে এই সম্পর্ককে নতুন আকার এবং নতুন প্রাণশক্তি যোগানো নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে অভিবাসন এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে যে কথাবার্তা চলছে তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তি যত দ্রুত কার্যকর হবে তাতে দু’দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। আমরা দু’দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। ভারত এবং ইতালির মধ্যে সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনে আমরা একটি কার্যকরি পরিকল্পনা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর সাহায্যে আমরা বিশ্ব মঞ্চে দু’দেশের বৈচিত্র্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, ক্রীড়া এবং সাফল্য তুলে ধরতে সক্ষম হব।

বন্ধুগণ,

সব দেশই কোভিড অতিমারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য খাদ্য, জ্বালানি এবং সার সঙ্কটে ভুগছে। এর প্রভাব বিশেষ করে পড়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলির ওপর। এই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আমরা ভাগ করে নিয়েছি এবং এই সমস্যাগুলির সমাধানে যৌথ প্রয়াসের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে এই বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই মতানৈক্য সমাধান হতে পারে একমাত্র আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে। ভারত যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রস্তুত। আমরা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ে ইতালির সক্রিয় যোগদানকে স্বাগত জানাই। এটা আনন্দের বিষয় যে ইতালি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, ভারত মহাসাগরীয় বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংস্কার প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক বাস্তবতাকে আরও সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে। আমরা এ বিষয়েও আলোচনা করেছি।

মহোদয়া,

আজকের সন্ধ্যায় আপনি প্রধান অতিথি হিসেবে রাইসিনা ডায়ালগে অংশ নিতে চলেছেন। আমরা অধীর আগ্রহে আপনার ভাষণ শোনার অপেক্ষায় রয়েছি। আপনাকে এবং আপনার প্রতিনিধিদলকে ভারত সফরের জন্য এবং কার্যকরি আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন