Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

আসামের গুয়াহাটিতে ঝুমুর বিনন্দিনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

আসামের গুয়াহাটিতে ঝুমুর বিনন্দিনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ 

 

আসামের গুয়াহাটিতে আজ এক বিরাট মাপের ঝুমুর অনুষ্ঠান ঝুমুর বিনন্দিনী ২০২৫ – এ অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শক্তি, উদ্দীপনা ও আবেগের এক উজ্জীবিত পরিবেশ গড়ে তুলেছে এই অনুষ্ঠান। ঝুমুর শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর প্রস্তুতিতে চা বাগানের সৌন্দর্য ও সৌরভের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ঝুমুর ও চা বাগানের সংস্কৃতির সঙ্গে জনসাধারণের যেমন এক বিশেষ সম্বন্ধ সূত্র রয়েছে, তাঁর নিজেরও অনুরূপ সেই সম্পর্ক রয়েছে। আজ এই বিপুল সংখ্যক ঝুমুর নৃত্যশিল্পীর প্রদর্শন এক রেকর্ড গড়বে বলে তিনি জানান। ২০২৩ সালে তাঁর আসাম সফরে বিহু নৃত্য প্রদর্শনকারী ১১ হাজার শিল্পীর সমাবেশ তিনি কখনই ভুলবেন না। তিনি বলেন, আজও তিনি অনুরূপ কোনও অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন বলে তাঁর মনে হয়েছিল। এই অসাধারণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তিনি আসাম সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আসামের কাছে আজ এক গর্বের দিন। চা বাগানের সঙ্গে জড়িত জনজাতি সম্প্রদায় ও আদিবাসী মানুষেরা এই উৎসব উদযাপনে অংশ নিয়েছেন। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জাতীয় এক বিরাট মাপের অনুষ্ঠান কেবল আসামের গর্বের সাক্ষ্য নয়, ভারতের মহান বৈচিত্র্যকে তা তুলে ধরে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন আসাম সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়ন ও সংস্কৃতি অবহেলিত ছিল। তিনি নিজেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বলে আখ্যা দেন। বিশ্বের কাছে জৈব বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম কাজিরাঙ্গায় ছিলেন – একথা জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েক মাস পূর্বেই অসমিয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা বহু দশক ধরে আসামবাসীর প্রাপ্য ছিল। এছাড়াও, চড়াইদেও মৈদাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় জায়গা পাওয়া তাঁর সরকারের এক সাফল্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। 
আসামের গর্বের ইতিহাস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লচিত বরফুকান মোঘলদের বিরুদ্ধে আসামের সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্রতা রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন। লচিত বরফুকানের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য উদযাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে তাঁর ট্যাবলোকেও যুক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ১২৫ ফুট উঁচু লচিত বরফুকানের ব্রোঞ্জের মূর্তি আসামে স্থাপন করা হয়েছে। জনজাতীয় গৌরব দিবস আয়োজনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আদিবাসী সমাজের ঐতিহ্য রক্ষাই এর উদযাপনের কারণ। আদিবাসী বীরদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশ জুড়ে আদিবাসী সংগ্রহালয় গড়ে তোলা হচ্ছে বলে তিনি জানান। 
আসামের উন্নয়ন ও চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম চা নিগমে কর্মীদের আয় বাড়াতে বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চা বাগানের দেড় লক্ষ মহিলা শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গর্ভকালীন অবস্থায় ১৫ হাজার টাকা করে পাওয়ায় তাঁদের আর্থিক সমস্যা অনেকটাই নিরসন হচ্ছে। এছাড়াও, আসাম সরকার চা শ্রমিকদের পারিবারিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে চা বাগানগুলিতে ৩৫০টির বেশি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির স্থাপন করেছে। এছাড়াও, ১০০টিরও বেশি মডেল টি গার্ডেন স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ১০০টি এই ধরনের স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের কোটায় চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য ৩ শতাংশ সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে। স্বনির্ভর কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের উন্নয়ন আসামের সার্বিক বিকাশ ঘটাবে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উন্নয়নের নতুন শিখরে পৌঁছে দেবে। অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি শিল্পীদের আগামী দিনের অনুষ্ঠানে সার্বিক সাফল্য ও শুভেচ্ছা কামনা করেন। 
আসামের রাজ্যপাল শ্রী লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী পবিত্র মার্গারিটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

SC/AB/SB