ভারতমাতা কি জয়
ভারতমাতা কি জয়
ভারতমাতা কি জয়
মঞ্চে উপস্থিত আসামের রাজ্যপাল, আমার সংসদের সহকর্মীরা, বিভিন্ন পর্ষদ ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দ, উপস্থিত এনডিএফডি-র বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গীরা, এখানে উপস্থিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আমাদের আশীর্বাদ প্রদানের জন্য বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আমি আসামে অনেকবার এসেছি। এই কোকড়াঝাড়েও এসেছি। অনেক বছর, অনেক দশক ধরে এই গোটা অঞ্চলে আমি অনেকবার এসেছি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বারবার আপনাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য এসেছি। কিন্তু আজ যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা আপনাদের মুখে দেখতে পাচ্ছি, তা এখানকার ‘আরোনাই’ এবং ‘ডোখোনা’র বর্ণময় উৎসবের আবহে আরও আনন্দ দিচ্ছে।
সার্বজনীন জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে আমি অনেক সভা ও শোভাযাত্রা দেখেছি, অনেক সভায় বক্তব্য রেখেছি। কিন্তু সারা জীবনে কখনও এতো বিশাল জনসমুদ্র দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। রাজনৈতিক জীবন নিয়ে যাঁদের পাণ্ডিত্য রয়েছে, তাঁরা হয়তো ভবিষ্যতে বলবেন যে, স্বাধীনতার পর ভারতে সবচেয়ে বড় জনসভা যদি কোথাও হয়ে থাকে, সেটি এখানে আজ আপনাদের পরাক্রমে সম্ভব হয়েছে। আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম। হেলিকপ্টার থেকে যেদিকেই তাকাচ্ছিলাম, শুধু মানুষের মাথা দেখতে পাচ্ছিলাম। সেতুর ওপর এতো মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন যে, আমার ভয় করছিল, কেউ পড়ে গেলে কী হবে?
ভাই ও বোনেরা, আপনারা এতো বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ দিতে এসেছেন দেখে আমার বিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। কখনও অনেকে বলেন, মোদীকে ডান্ডা মারা উচিৎ। কিন্তু এতো বিপুল সংখ্যায় মা ও বোনেদের আশীর্বাদের সুরক্ষাকবচ যে মোদীর উপর বর্ষিত হয়, তাকে যতই লাঠিপেটা করো না কেন, কিচ্ছু হবে না। আমি আপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই। মা ও বোনেরা, আমার ভাই ও বোনেরা, আমার নবীন বন্ধুরা, আমি আজ হৃদয় থেকে আপনাদের বুকে জড়িয়ে ধরতে এসেছি। আমার আসামের প্রিয় ভাই ও বোনেদের মনে একটি নতুন বিশ্বাস সঞ্চার করতে এসেছি। গতকাল সারা দেশ দেখেছে যে, কিভাবে আপনারা গ্রামে গ্রামে মোটর সাইকেলে করে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন। গটা এলাকায় দীপ জ্বালিয়ে দীপাবলী পালন করেছিলেন। হয়তো দীপাবলীর সময়েও এতো প্রদীপ জ্বলেনি। আমি গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম, টিভিতেও আপনাদের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের দৃশ্য সারা দেশ দেখছিল। গোটা ভারতে আপনাদেরকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল। ভাই ও বোনেরা, এটা কোনও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ দীপ প্রজ্জ্বলনের ঘটনা নয়, এটা দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূভাগে একটি নতুন আলো ও ঔজ্জ্বল্যের সূত্রপাত।
ভাই ও বোনেরা, আজকের দিনে আমরা সেই হাজার হাজার শহীদদের স্মরণ করবো, যাঁরা দেশের জন্য নিজের কর্তব্যপথে আত্মোৎসর্গ করেছেন। আজকের দিনটি বোড়োফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মাজী, রূপনাথ ব্রহ্মাজীর মতো নেতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অবদানকে মনে করার ও তাঁদের প্রণাম জানানোর দিন। আজকের দিনে এই চুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালনকারী অল বোড়ো স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন (আবসু), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বোড়ো ল্যান্ড (এনডিএফবি)-র সঙ্গে যুক্ত সকল নবীন বন্ধু, বিটিসি-র প্রধান শ্রী হাগ্রামা মাহিলাড়ে এবং আসাম সরকারের দায়বদ্ধতা – আপনারা সবাই আমার এবং সারা ভারতের পক্ষ থেকে অভিনন্দনের অধিকারী। আজ ১৩০ কোটি ভারতবাসী আপনাদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
বন্ধুগণ, আজকের দিনে আপনাদের সবার এই গোটা এলাকার সমস্ত গুরুজন, বুদ্ধিজীবী, কলা ও সংস্কৃতির ধারকবাহক ও সাহিত্যিকদের প্রচেষ্টাকে উদযাপন ও তাঁদের জন্য গর্ব করার সুযোগ এসেছে। আপনাদের সকলের সহযোগে এই এলাকায় স্থায়ী শান্তির পথ খুলে গেছে। আজকের দিনটি আসাম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একবিংশ শতাব্দীর একটি নতুন সূত্রপাত, নতুন সকাল, নতুন প্রেরণাকে স্বাগত জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে। আজকের দিনটি সংকল্প গ্রহণের, উন্নয়ন ও বিশ্বাসের মূলধারাকে শক্তিশালী করার। এখন আর এই মাটিকে হিংসার অন্ধকারে ফিরে যেতে দেওয়া চলবে না। এখন আর এই মাটির কোনও মায়ের সন্তান-সন্ততি, কোনও বোনের ভাই কিংবা ভাইয়ের বোনের রক্তে লাল হবে না। আজ আমাকে সেই মা ও বোনেরাও আশীর্বাদ দিচ্ছেন, যাঁদের ঘরের ছেলেমেয়েদের একদিন কাঁধে বন্দুক নিয়ে অনিশ্চয়তার পথে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হ’ত। কখনও কখনও মৃত্যু তাঁদের ছিনিয়ে নিত। আজ থেকে তাঁরা মায়ের কোলে মাথা রেখে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। আজ আমাকে সেই মা ও বোনেরাও আশীর্বাদ দিচ্ছেন। কল্পনা করুন এত দশক ধরে দিনরাত গুলি বিনিময় হচ্ছিল। আজ সেই জীবন থেকে মুক্তির পথ খুলে গেছে। আজ নতুন ভারতের নতুন সংকল্পে আপনাদের সকলকে শান্তিপ্রিয় আসামকে শান্তি ও উন্নয়নপ্রিয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা যখন মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী পালন করছি, তখন এই ঐতিহাসিক ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুধু ভারত নয়, এই সভাস্থল আজ গোটা বিশ্বের জন্য হিংসার পথ ছেড়ে অহিংসার পথ বেছে নেওয়ার প্রেরণাস্থল হয়ে উঠেছে। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, অহিংসার পথে আমরা যা পাই, তা প্রত্যেকের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য হয়। এখন আসামের অনেক বন্ধু শান্তি ও অহিংসার পথ বেছে নিইয়ে গণতন্ত্রকে স্বীকার করার পাশাপাশি, ভারতের সংবিধানকে তাঁদের মাথায় তুলে নিয়েছেন।
বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে, আজ যখন আমরা কোকড়াঝাড়ে এই ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি উদযাপন করতে এসেছি, তখন গোলাঘাটে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সংঘের বার্ষিক সম্মেলনও চলছে।
মোই মোহাপুরুখ শ্রীমন্তো হোংকোর দেবোলোই গোভীর প্রোনিপাত জাসিসু।
মোই লোগোত অধিবেখোন খোনোরু হোফোলতা কামনা করিলোঁ।।
(আমি মহাপুরুষ শঙ্করদেবজীকে প্রণাম জানাই। আমি গোলাঘাটে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সংঘের অধিবেশনের সাফল্য কামনা করি)
ভাই ও বোনেরা, শ্রীমন্ত শঙ্করদেবজী আসামের ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি, সমগ্র ভারত তথা গোটা বিশ্বকে আদর্শ জীবনযাপনের পথ দেখিয়েছে। তিনি আসাম সহ সমগ্র বিশ্বকে বলেছিলেন,
সত্য শৌচ অহিংসা শিখিবে সমদম।
সুখ দুখ শীত উষ্ণ আত হৈব সম।।
অর্থাৎ সত্য, শৌচ, অহিংসা, সাম, দাম ইত্যাদি থেকে শিক্ষা নাও। সুখ, দুঃখ, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ইত্যাদির সহ্য করার জন্য নিজেকে তৈরি করো। তাঁর এই ভাবনায় ব্যক্তির আত্মবিকাশের পাশাপাশি, সমাজ উন্নয়নের বার্তাও নিহিত রয়েছে। আজ অনেক দশক পর এই অঞ্চলে ব্যক্তি বিকাশের পাশাপাশি, সমাজ উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা, আমি বোড়ো ল্যান্ড আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সমস্ত ব্যক্তিকে দেশের মূলস্রোতে ফিরে আসার জন্য অনেক অনেক স্বাগত জানাই। পাঁচ দশক পর অত্যন্ত সৌহার্দ্যের পরিবেশে বোড়োল্যান্ড আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক বন্ধুর আশা-আকাঙ্খা সম্মানিত হয়েছে। সমস্ত পক্ষ মিলেমিশে স্থায়ী শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক হিংসায় আজ পূর্ণযতি টেনেছে। আমি দেশবাসীকে এটাও জানাতে চাই, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যাঁরা বিভিন্ন টীভি চ্যানেলের মাধ্যমে এই মুহূর্তটিকে প্রত্যক্ষ করছেন, তাঁরা দেখছেন যে, আপনারা একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ভারতে একটি নতুন আস্থার জন্ম দিয়েছেন। আপনারা শান্তির পথকে নতুন শক্তি যুগিয়েছেন।
ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আজ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি দাবি পূরণ করা হয়েছে। সেজন্য আপনাদের আন্দোলনেও পূর্ণযতি এসেছে। ১৯৯৩ সালে এবং তারপর ২০০৩ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ রূপে শান্তি স্থাপন করতে পারেনি। এখন কেন্দ্রীয় সরকার, আসাম সরকার এবং বোড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি যে ঐতিহাসিক চুক্তিতে সহমত হয়ে হস্তাক্ষর করেছেন, তারপর আর কোনও দাবি বাকি নেই, এখন উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে, আর উন্নয়নই শেষ কথা।
বন্ধুগণ, আমাকে ভরসা করুন। আমি আপনাদের দুঃখ, ব্যথা, আশা-আকাঙ্খা, সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সমস্ত ক্ষেত্রেই কাজ করে যাবো। কারণ আমি জানি, বন্দুক বোমা পিস্তলের পথ ছেড়ে আপনারা যখন ফিরে এসেছেন, তখন আপনাদের মানসিক স্থিতি কী তা আমি বুঝতে পারছি। এই শান্তির পথে কোনও কাঁটা যদি আপনাদের খোঁচা দেয়, তার যন্ত্রণা আমারও হবে। কারণ এই শান্তির পথ একটি প্রেমের ভালোবাসার পথ। আপনারা দেখবেন এই অহিংসার পথ গোটা আসামবাসীর হৃদয়ে আপনাদের স্থায়ী জায়গা করে দেবে। আপনারা ইতিমধ্যেই গোটা ভারতের হৃদয় জয় করেছেন। আপনারা সঠিক পথ বেছে নিয়েছেন।
বন্ধুগণ, এই চুক্তিতে বোড়ো জনজাতির বন্ধুরা ছাড়াও সমাজের অন্যান্য মানুষও উপকৃত হবেন। এই চুক্তির মাধ্যমে বোড়ো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের অধিকারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এই চুক্তিতে সমস্ত পক্ষের জয় হয়েছে। তারচেয়েও বড় কথা শান্তি ও মানবতার জয় হয়েছে। একটু আগেই আপনারা সকলে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে আমাকে সম্মান জানিয়েছিলেন। আমি চাই যে, আপনারা আরেকবার উঠে হাততালি দিন। সেটা আমার জন্য নয় – শান্তির জন্য।
আমি আপনাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
চুক্তি অনুসারে, বিটিএডি-তে যে অঞ্চলগুলি অন্তর্ভুক্ত হবে, সেগুলির সীমা নির্ধারণের জন্য কমিশন গঠন করা হবে। এই অঞ্চল দেড় হাজার কোটি টাকার বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ পাবে। এই অর্থ কোকড়াঝাড়, চিরাঙ্গ, বক্সা এবং উদালগুড়ির মতো জেলাগুলিকে উপকৃত করবে। বোড়ো জনজাতির প্রত্যেক অধিকার এবং বোড়ো সংস্কৃতির উন্নয়ন ও সংরক্ষণ সুনিশ্চিত হবে। এই চুক্তির পর এই অঞ্চলের রাজনৈতিক, আর্থিক ও শিক্ষার মতো প্রতিটি বিষয়ে উন্নতি হবে।
আমার ভাই ও বোনেরা, সরকার আসাম চুক্তির ৬ নম্বর ধারাটিকে দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি আসামের জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্ট আসার পর কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুততার সঙ্গে তৎপর হবে। আমরা ঝুলিয়ে রাখা কিংবা বিভ্রান্ত করার মানুষ নই। আমরা স্বভাব দায়িত্ব পালনের। সেজন্য অনেক বছর ধরে আসামে যে বিষয়গুলি ঝুলে ছিল, সেগুলি আমরা দ্রুত বাস্তবায়িত করবো।
বন্ধুগণ, আজ যখন বোড়ো অঞ্চলে নতুন আশা, স্বপ্ন ও উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে, তখন আপনাদের সকলের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমার বিশ্বাস, বোড়ো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল এখন এই অঞ্চলের প্রত্যেক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কোনও বৈষম্য ছাড়াই সকলকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের নতুন মডেল বিকশিত করবে। আমি এটা জেনে খুব খুশি হয়েছি যে, আসাম সরকার বোড়ো ভাশা ও সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও সংরক্ষণের স্বার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে এবং বড় প্রকল্পও রচনা করেছে। সেজন্য আমি রাজ্য সরকারকে অন্তর থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বোড়ো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল, আসাম সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলেমিশে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস’ এই মন্ত্রকে একটি নতুন মাত্রা দেবে। ভাই ও বোনেরা, এর মাধ্যমে আসাম শক্তিশালী হবে এবং ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ এর ভাবনাও আরও শক্তিশালী হবে।
বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর ভারত এখন দৃঢ় নিশ্চিত যে আমাদের এখন অতীতের সমস্যাগুলিতে জড়িয়ে থাকলে হবে না। আজ দেশ কঠিন থেকে কঠিন সমস্যার সমাধান চায়। দেশের সামনে যতই সমস্যা থাকুন না কেন
***
CG/BD/SB……09_FEBRUARY_2020
आज जो उत्साह, जो उमंग मैं आपके चेहरे पर देख रहा हूं, वो यहां के 'आरोनाई' और 'डोखोना' के रंगारंग माहौल से भी अधिक संतोष देने वाला है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आज का दिन उन हज़ारों शहीदों को याद करने का है, जिन्होंने देश के लिए अपने कर्तव्य पथ पर जीवन बलिदान किया: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आज का दिन, इस समझौते के लिए बहुत सकारात्मक भूमिका निभाने वाले All Bodo Students Union (ABSU), National Democratic Front of Bodoland (NDFB) से जुड़े तमाम युवा साथियों, BTC के चीफ श्रीहगरामामाहीलारेऔर असम सरकार की प्रतिबद्धता को अभिनंदन करने का है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आज का दिन असम सहित पूरे नॉर्थईस्ट के लिए 21वीं सदी में एक नई शुरुआत, एक नए सवेरे का, नई प्रेरणा को Welcome करने का है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
मैं न्यू इंडिया के नए संकल्पों में आप सभी का, शांतिप्रिय असम का, शांति और विकास प्रिय नॉर्थईस्ट का स्वागत करता हूं, अभिनंदन करता हूं: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
अब असम में अनेक साथियों ने शांति और अहिंसा का मार्ग स्वीकार करने के साथ ही, लोकतंत्र को स्वीकार किया है, भारत के संविधान को स्वीकार किया है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
मैं बोडो लैंड मूवमेंट का हिस्सा रहे सभी लोगों का राष्ट्र की मुख्यधारा में शामिल होने पर स्वागत करता हूं। पाँच दशक बाद पूरे सौहार्द के साथ बोडो लैंड मूवमेंट से जुड़े हर साथी की अपेक्षाओं और आकांक्षाओं को सम्मान मिला है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
अब केंद्र सरकार, असम सरकार और बोडो आंदोलन से जुड़े संगठनों ने जिस ऐतिहासिक अकॉर्डपर सहमति जताई है, जिस पर साइन किया है, उसके बाद अब कोई मांग नहीं बची है और अब विकास ही पहली प्राथमिकता है और आखिरी भी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
अब केंद्र सरकार, असम सरकार और बोडो आंदोलन से जुड़े संगठनों ने जिस ऐतिहासिक अकॉर्डपर सहमति जताई है, जिस पर साइन किया है, उसके बाद अब कोई मांग नहीं बची है और अब विकास ही पहली प्राथमिकता है और आखिरी भी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
इस अकॉर्डका लाभ बोडो जनजाति के साथियों के साथ ही दूसरे समाज के लोगों को भी होगा। क्योंकि इस समझौते के तहत बोडो टैरिटोरियल काउंसिल के अधिकारों का दायरा बढ़ाया गया है, अधिक सशक्त किया गया है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
अकॉर्ड के तहत BTAD में आने वाले क्षेत्र की सीमा तय करने के लिए कमीशन भी बनाया जाएगा। इस क्षेत्र को 1500 करोड़ रुपए का स्पेशल डेवलपमेंट पैकेज मिलेगा, जिसका बहुत बड़ा लाभ कोकराझार, चिरांग, बक्सा और उदालगुड़ि जैसे जिलों को मिलेगा: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
अब सरकार का प्रयास है कि असम अकॉर्ड की धारा-6 को भी जल्द से जल्द लागू किया जाए। मैं असम के लोगों को आश्वस्त करता हूं कि इस मामले से जुड़ी कमेटी की रिपोर्ट आने के बाद केंद्र सरकार और त्वरित गति से कार्रवाई करेगी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आज जब बोडो क्षेत्र में, नई उम्मीदों, नए सपनों, नए हौसले का संचार हुआ है, तो आप सभी की जिम्मेदारी और बढ़ गई है। मुझे पूरा विश्वास है कि Bodo Territorial Council अब यहां के हर समाज को साथ लेकर, विकास का एक नया मॉडल विकसित करेगी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
बोडो टेरिटोरियल काउंसिल, असम सरकार और केंद्र सरकार, अब साथ मिलकर, सबका साथ, सबका विकास और सबका विश्वास को नया आयाम देंगे। इससे असम भी सशक्त होगा और एक भारत-श्रेष्ठ भारत की भावना भी और मजबूत होगी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
बोडो टेरिटोरियल काउंसिल, असम सरकार और केंद्र सरकार, अब साथ मिलकर, सबका साथ, सबका विकास और सबका विश्वास को नया आयाम देंगे। इससे असम भी सशक्त होगा और एक भारत-श्रेष्ठ भारत की भावना भी और मजबूत होगी: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
देश के सामने कितनी ही चुनौतियां रही हैं जिन्हें कभी राजनीतिक वजहों से, कभी सामाजिक वजहों से, नजरअंदाज किया जाता रहा है। इन चुनौतियों ने देश के भीतर अलग-अलग क्षेत्रों में हिंसा और अस्थिरता को बढ़ावा दिया है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
हमने नॉर्थईस्ट के अलग-अलग क्षेत्रों के भावनात्मक पहलू को समझा, उनकी उम्मीदों को समझा, यहां रह रहे लोगों से बहुत अपनत्व के साथ, उन्हें अपना मानते हुए संवाद कायम किया: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
जिस नॉर्थईस्ट में हिंसा की वजह से हजारों लोग अपने ही देश में शरणार्थी बने हुए थे, अब यहां उन लोगों को पूरे सम्मान और मर्यादा के साथ बसने की नई सुविधाएं दी जा रही हैं: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
पहले नॉर्थईस्ट के राज्यों को Recipient के तौर पर देखा जाता था। आज उनको विकास के ग्रोथ इंजन के रूप में देखा जा रहा है। पहले नॉर्थईस्ट के राज्यों को दिल्ली से बहुत दूर समझा जाता था, आज दिल्ली आपके दरवाजे पर आई है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
नए रेलवे स्टेशन हों, नए रेलवे रूट हों, नए एयरपोर्ट हों, नए वॉटरवे हों, या फिर इंटरनेट कनेक्टिविटी, आज जितना काम नॉर्थईस्ट में हो रहा है, उतना पहले कभी नहीं हुआ:PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
जब बोगीबील पुल जैसे दशकों से लटके अनेक प्रोजेक्ट पूरे होने से लाखों लोगों को कनेक्टिविटी मिलती है, तब उनका सरकार पर विश्वास बढ़ता है। यही वजह है कि विकास के चौतरफा हो रहे कार्यों ने अलगाव को लगाव में बदलने में बहुत बड़ी भूमिका निभाई: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आज देश में हमारी सरकार की ईमानदार कोशिशों की वजह से ये भावना विकसित हुई है कि सबके साथ में ही देश का हित है।
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
इसी भावना से, कुछ दिन पहले ही गुवाहाटी में 8 अलग-अलग गुटों के लगभग साढ़े 6 सौ कैडर्स ने शांति का रास्ता चुना है: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
मैं आज असम के हर साथी को ये आश्वस्त करने आया हूं, कि असम विरोधी, देश विरोधी हर मानसिकता को, इसके समर्थकों को,देश न बर्दाश्त करेगा, न माफ करेगा: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
यही ताकतें हैं जो पूरी ताकत से असम और नॉर्थईस्ट में भी अफवाहें फैला रही हैं, कि CAA से यहां, बाहर के लोग आ जाएंगे, बाहर से लोग आकर बस जाएंगे। मैं असम के लोगों को आश्वस्त करता हूं कि ऐसा भी कुछ नहीं होगा: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आपकी Aspirations, आपके सुख-दुख, हर बात की भी मुझे पूरी जानकारी है। जिस प्रकार अपने सारे भ्रम समाप्त कर, सारी मांगे समाप्त कर,बोडो समाज से जुड़े साथी साथ आए हैं, मुझे उम्मीद है कि अन्य लोगों के भी सारे भ्रम बहुत जल्द खत्म हो जाएंगे: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020
आप अपने सामर्थ्य पर विश्वास रखें, अपने इस साथी पर विश्वास रखें और मां कामाख्या की कृपा पर विश्वास रखें। मां कामाख्या की आस्था और आशीर्वाद हमें विकास की नई ऊंचाइयों की ले जाएगा: PM @narendramodi #BodoPeaceAccord
— PMO India (@PMOIndia) February 7, 2020