Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

আম্মার ৭০তম জন্মদিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

আম্মার ৭০তম জন্মদিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী


নতুন দিল্লি, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আম্মা, মাতা অমৃতানন্দময়ীজির ৭০তম জন্মদিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। 

বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মাতা অমৃতানন্দময়ীজির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করে বলেছেন, আম্মা হলেন ভারতের সেবা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতিমূর্তি। বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা ছড়িয়ে দেওয়ার যে ব্রত আম্মা নিয়েছেন, তা এগিয়ে চলবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেছেন। আম্মার অনুগামী সহ জীবনের বিভিন্ন স্তর থেকে যাঁরা এই উপলক্ষে সমবেত হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। 

আম্মার সঙ্গে তাঁর ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী কচ্ছের ভূমিকম্পের পর দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করার কথা স্মরণ করেছেন। অমৃতাপুরীতে আম্মার ৬০তম জন্মদিবস উদযাপনেরও স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এখনও আম্মার হাসিমুখের উষ্ণতা এবং তাঁর স্নেহপূর্ণ ব্যবহার আগের মত একই রকম আছে।” তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আম্মার কাজের পরিধি ও প্রভাব বিশ্বজুড়ে আরও ছড়িয়ে পড়েছে। হরিয়ানার ফরিদাবাদে আম্মার উপস্থিতিতে অমৃতা হাসপাতাল উদ্বোধনের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আম্মার উপস্থিতির আভা এবং তাঁর আশীর্বাদের বিভা কথায় প্রকাশ করা কঠিন, আমরা কেবল তা কেবল অনুভব করতে পারি। ভালোবাসা, মমতা, সেবা ও ত্যাগের মূর্ত প্রতীক হলেন আম্মা। তিনি ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের বাহিকা।”

দেশে এবং দেশের বাইরে আম্মা যে প্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে তুলেছেন সেগুলির সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্য হোক বা শিক্ষা, আম্মার নির্দেশনায় তাঁর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই মানব সেবা ও সমাজ কল্যাণকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে”। দেশের স্বচ্ছতা অভিযানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা এই অভিযানকে সফল করতে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আম্মা। গঙ্গার তীরে শৌচাগার নির্মাণের জন্য আম্মা ১০০ কোটি টাকা দান করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে আম্মার অনুগামীরা ছড়িয়ে রয়েছেন, আম্মা সবসময়ই ভারতের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে সুদৃঢ় করেছেন। প্রেরণা যখন সুমহান হয়, তখন প্রয়াসও সুযোগ্য হয়ে ওঠে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আম্মা হলেন ভারতের মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন, যা আজকের অতিমারী পরবর্তী বিশ্বে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। আম্মা সবসময়ই বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে তাঁদের ক্ষমতায়নে সচেষ্ট হয়েছেন।” সংসদে কয়েকদিন আগে নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল পাশের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত যে মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার সংকল্প নিয়েছে, তার প্রেরণা হলেন আম্মার মত ব্যক্তিত্বরা। আম্মার অনুগামীরাও তাঁর দেখানো পথে বিশ্বজুড়ে শান্তি ও প্রগতির প্রসারে কাজ করে চলবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 
 

PG/SD/AS/