Search

পিএমইন্ডিয়াপিএমইন্ডিয়া

সাম্প্রতিক সংবাদ

বিষয়টিকে সরাসরি পিআইবি থেকে নেওয়া হয়েছে

আফগানিস্তানের ওপর এসসিও-সিএসটিও’র শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

আফগানিস্তানের ওপর এসসিও-সিএসটিও’র শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


নয়াদিল্লী, ১৭  সেপ্টেম্বর, ২০২১

সুধীবৃন্দ,

প্রথমেই আমি এসসিও এবং সিএসটিও’র মধ্যে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করায় রাষ্ট্রপতি রহমোনকে ধন্যবাদ জানাই।

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিকতম ঘটনাবলী আমাদের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।

আর তাই এই বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

এই প্রেক্ষিতে আমাদের চারটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া উচিত।

প্রথম বিষয় হল আফগানিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সর্বাঙ্গীন হয়নি, কারণ কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই প্রক্রিয়াটি সংগঠিত হয়েছে।

তাই নতুন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন উঠছে।  

মহিলা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ আফগান সমাজে সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আর তাই নতুন ব্যবস্থার স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথোচিত বিচার-বিবেচনার পর নিতে হবে। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রসংঘের এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে ভারত মনে করে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হল যদি আফগানিস্তানে অস্থিরতা এবং মৌলবাদ থাকে তাহলে সারা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা উৎসাহিত হবে।

সংঘর্ষের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার আগ্রহ অন্যান্য চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে দেখা যাবে।

অতীতে আমরা সব দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছি।

আর তাই আফগানিস্তানের ভূখন্ড যাতে কোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহৃত না হয় সে বিষয়টিকে আমাদের একযোগে নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে কঠোর হতে হবে।

ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতায় এই নিয়মগুলি আদর্শ হয়ে উঠবে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করাই মূল বিষয়।  

সীমান্তের অন্য প্রান্ত থেকে জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদকে আর্থিক সাহায্য যোগানোর মতো বিষয়ে একটি আচরণবিধি থাকতে হবে ও সেটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

সুধীবৃন্দ,

তৃতীয় বিষয়টি আফগানিস্তানের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। সেখানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান এবং মানব পাচারের মতো ঘটনা ঘটছে।

আফগানিস্তানে এখনও বিপুল পরিমাণ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। এগুলি গোটা অঞ্চলে অস্থির অবস্থা তৈরির কাজে ব্যবহার হতে পারে।

এসসিও-র আরএটিএস ব্যবস্থাপনা অবৈধ চোরাচালানের নজরদারি ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে এবং তথ্যের আদান-প্রদান বাড়াতে সাহায্য করে।

এসসিও-আরএটিএস পরিষদে এ মাসে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা বাস্তব সম্মত সহযোগিতার জন্য কিছু প্রস্তাব তৈরি করেছি।

চতুর্থ বিষয়টি হল আফগানিস্তানে চূড়ান্ত মানবিক সংকট।

আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটায় আফগান জনসাধারণ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বঞ্চিত হচ্ছেন।  

একই সময়ে কোভিডের চ্যালেঞ্জের ফলে তারা সংকটে পরেছেন।

আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে ভারত বিশ্বস্ত অংশীদারের ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিকাঠামো উন্নয়ন- আফগানিস্তানের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাহায্য করে এসেছি।

এমনকি আজও আমরা আমাদের আফগান বন্ধুদের খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদি সামগ্রী পাঠাতে আগ্রহী।

বাধাহীনভাবে যাতে আফগানিস্তানে মানব সাহায্য পৌঁছায় তার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সুধীবৃন্দ,

দীঘদিন ধরে আফগান ও ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। আফগান সমাজকে সাহায্য করার জন্য প্রতিটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ভারত সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত।

ধন্যবাদ

(প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)

 

CG/CB/NS