কলম্বোর আন্তর্জাতিক বন্দরনায়েক স্মারক সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভেসক দিবস উদযাপনের সূচনা পর্বে ভাষণ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
অনুষ্ঠানস্থলেশ্রী মোদীকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনাএবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রথাগতভাবেআয়োজন করা হয় নৃত্য ও বাদ্যের এক বিশেষ পরিবেশনা । সম্মেলন কক্ষের প্রবেশ দ্বারে একটি দীপপ্রজ্জ্বলন করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
পাঁচটিস্তোত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। স্বাগত ভাষণ দেনশ্রীলঙ্কার বুদ্ধ শাসন ও ন্যায় দপ্তরের মন্ত্রী মিঃ বিজয়দাসা রাজপক্ষে। “শ্রীলঙ্কায়আপনি আমাদেরই একজন” – এভাবেই তিনি সম্ভাষণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।
শ্রীলঙ্কারপ্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা তাঁর ভাষণে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর উপস্থিতি তাঁদের সকলের পক্ষেই এক সৌভাগ্যের বিষয়। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সুপ্রাচীনমৈত্রী সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন যে ভেসক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যময়। সমগ্র বিশ্বই তা প্রত্যক্ষ করছে সমীহভরে । শান্তি ও মৈত্রীর বার্তা তিনি বহন করেএনেছেন ভারত থেকে।
শ্রীমোদী তাঁর ভাষণে ভেসক দিবসকে এক পবিত্রতম দিন বলে বর্ণনা করেন। এই দিনটিতেইমানবজাতি ভগবান বুদ্ধের জন্ম, দিব্যদৃষ্টি ও পরিনির্বাণকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানায়।শ্রী মোদী বলেন, শাশ্বত সত্য ও ধর্মের কালোত্তীর্ণ প্রাসঙ্গিকতাই প্রতিফলিত হয় এইবিশেষ দিনটিতে যার মধ্য দিয়ে সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে চারটি মহান সত্য।
শ্রীমোদী তাঁর ভাষণে বলেন যে সাম্যক-সম্বুদ্ধ একটি দেশের ১২৫ কোটি নাগরিকের শুভেচ্ছা ওঅভিনন্দন তিনি বহন করে নিয়ে এসেছেন এই দেশটিতে।
এদিনপ্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করা হল এখানে :
রাজকুমারসিদ্ধার্থ যেখানে হয়ে উঠেছিলেন বুদ্ধ, ভারতের সেই বুদ্ধগয়া হল বৌদ্ধ বিশ্বের একপূণ্যভূমি।
বারাণসীতেভগবান বুদ্ধের প্রথম বাণী ‘ধর্মচক্র’কে সচল ও গতিশীল করে তোলে।
আমাদেরমূল জাতীয় প্রতীকটির সৃষ্টি হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের অনুপ্রেরণায়।
আমাদেরদর্শন, সংস্কৃতি এবং শাসন ব্যবস্থায় বৌদ্ধ ধর্মের নীতিগুলি স্থান পেয়েছে বিশেষভাবে ।
বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধ চর্চার ঐশ্বরিক সৌরভ ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী।
সম্রাটঅশোকের সন্তান মহেন্দ্র ও সঙ্ঘমিত্রা ধর্মদূত রূপে পদার্পণ করেছিলেন ভারত থেকেশ্রীলঙ্কায়।
বৌদ্ধশিক্ষা ও আদর্শের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির অন্যতম হয়ে ওঠার গৌরবঅর্জন করেছে শ্রীলঙ্কা।
বহুশতাব্দীর ব্যবধানে অঙ্গারিকা ধর্মপালা অনুসরণ করেছিলেন এই যাত্রাপথ। তবে, সেই সময়তাঁরা শ্রীলঙ্কা থেকে পদার্পণ করেছিলেন ভারতে। তাঁদের লক্ষ্য ছিল বৌদ্ধ ধর্মেরভিত্তিভূমিতে বৌদ্ধ চর্চার পুনরাবিষ্কার ও পুনরুদ্ধার। আর এইভাবেই তাঁরা আবারআমাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন সেই মূল শিকড়ে।
বৌদ্ধঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনগুলি সংরক্ষণের জন্য শ্রীলঙ্কার কাছে কৃতজ্ঞতার ঋণেআবদ্ধ সমগ্র বিশ্ববাসী।
বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধ চর্চার মূল ঐতিহ্য এখনও রয়ে গেছে অক্ষত। ভেসক হল তারই এক উদযাপনেরপূণ্য মুহূর্তে ।
এটিহল এমনই এক ঐতিহ্য যা বহু শতাব্দী ধরেই বিচ্ছিন্ন হতে দেয়নি আমাদের সমাজ ওপ্রজন্মগুলিকে।
ভগবানবুদ্ধের সময়কাল থেকেই মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
আমাদেরদু’দেশের সম্পর্কের বর্তমান দীপ্তি ও ঔজ্জ্বল্যের মূলে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধচর্চার ঐতিহ্য।
দুটিঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক।
বৌদ্ধধর্মের মিলিত মূল্যবোধ এবং আমাদের দু’দেশের মিলিত ভবিষ্যতের অনন্ত সম্ভাবনাই শক্তিযুগিয়েছে আমাদের এই সম্পর্ককে। এই মৈত্রী সম্পর্ক হল এমনই একটি বিষয়, যা প্রোথিতরয়েছে দু’দেশের হৃদয়ের অন্তঃস্থলে, যা সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে দু’দেশের সমাজ ব্যবস্থারমধ্যে।
বৌদ্ধঐতিহ্যের এই দেশটির সঙ্গে আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্পর্কের একটি প্রতীক হিসেবে এ বছরআগস্ট মাসে কলম্বো ও বারাণসীর মধ্যে চালু হতে চলেছে সরাসরি বিমান পরিবহণ। এর মধ্যদিয়ে শ্রীলঙ্কার ভাই-বোনেরা সহজেই পৌঁছতে পারবেন বুদ্ধের নিজের দেশে। শ্রাবস্তী,কুশিনগর, সারনাথ ইত্যাদি স্থানও পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন তাঁরা। আমার তামিলভাই-বোনেরাও সুযোগ পাবেন কাশী বিশ্বনাথের নিজভূমি বারাণসী দর্শন করার।
শ্রীলঙ্কারসঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নিবিড় করে তোলার এক বিশেষ সুযোগ ও মুহূর্ত যে এখন উপস্থিতএকথা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ককে আরওএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এ এক অনন্য সুযোগ।
আমাদেরমৈত্রী সম্পর্কের সাফল্যের একটি দিকচিহ্ন হল শ্রীলঙ্কার সফল অগ্রগতি।
এইদেশের ভাই-বোনদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে তোলার কাজে সাহায্য করতে আমরাপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদেরউন্নয়ন সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তুলতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইতিবাচক পরিবর্তনেরলক্ষ্যে নিরন্তরভাবেই আমরা বিনিয়োগ করে যাব।
আমাদেরমূল শক্তি নিহিত রয়েছে পারস্পরিক জ্ঞান, দক্ষতা ও ক্ষমতা এবং সমৃদ্ধি বিনিময়েরমধ্যে।
বাণিজ্যও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছি পরস্পরের বিশেষ অংশীদার।
আমরাবিশ্বাস করি যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং চিন্তাভাবনাকে যদি আমরা সীমান্তঅতিক্রম করে একে অপরের দেশে পৌঁছে দিতে পারি, তাতে লাভবান হব আমরা দুটি দেশই।
ভারতেরদ্রুত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি প্রভূত কল্যাণসাধন করবে সমগ্র অঞ্চলেরই এবং বিশেষভাবেশ্রীলঙ্কার।
পরিকাঠামোও যোগাযোগ, পরিবহণ ও জ্বালানি – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা নিবিড় করে তুলব আমাদেরসহযোগিতাকে।
কৃষি,শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুনর্বাসন, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি, জল, আশ্রয়, ক্রীড়া এবংমানবসম্পদ সহ মানব প্রচেষ্টার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রসারিত আমাদের উন্নয়নসহযোগিতা।
বর্তমানে,শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতার মাত্রা উন্নীত হয়েছে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিনডলারে ।
আমাদেরমূল লক্ষ্য হল এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে তোলার কাজেশ্রীলঙ্কা ও তার জনসাধারণকে সর্বতোভাবে সাহায্য ও সমর্থন করে যাওয়া।
কারণ,শ্রীলঙ্কার অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১২৫ কোটিভারতবাসীর কল্যাণ।
ভারতমহাসাগর অঞ্চলে স্থল ও জলসীমা সর্বত্রই আমাদের দু’দেশের সমাজ ব্যবস্থার নিরাপত্তাএকে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং তাকে কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না। প্রেসিডেন্টসিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে আমার আলোচনা ও মতবিনিময়ের মধ্যদিয়ে এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে আমাদের সাধারণ লক্ষ্যপূরণে পারস্পরিক সহযোগিতাপ্রসারের সদিচ্ছা রয়েছে আমাদের দুটি দেশেরই।
সমাজব্যবস্থায় সম্প্রীতি ও অগ্রগতির বিষয়টি যখন আপনারা চিন্তা করবেন, তখনই এই জাতিগঠনের প্রচেষ্টায় আপনারা সঙ্গে পাবেন ভারতকে।
বহুশতক পূর্বের ভগবান বুদ্ধের বাণী আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
যেপথের সন্ধান দিয়ে গেছেন ভগবান বুদ্ধ, তার প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে আমাদের সকলেরই জীবনে।তার সার্বজনীনতা ও সজীবতা সত্যিই বিস্ময়কর।
বিভিন্নজাতিকে যুক্ত করেছে ভগবান বুদ্ধের বাণীর এই প্রাসঙ্গিকতা।
ভগবানবুদ্ধের দেশ থেকে বৌদ্ধ চর্চার যে প্রসার ঘটেছে বিশ্বের সর্বত্র, তার জন্য গর্বিতদক্ষিণ, মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ার সবক’টি জাতিই।
ভেসকদিবস উদযাপনের বিষয় হিসেবে যা আজ সর্বজন স্বীকৃত সেই সামাজিক ন্যায় ও নিরন্তরবিশ্ব শান্তির মধ্যে প্রতিফলিত হয় ভগবান বুদ্ধেরই শিক্ষাদর্শ।
বিষয়গুলিকেআপাত দৃষ্টিতে পৃথক মনে হলেও তা কিন্তু পরস্পর সংযুক্ত ও পরস্পর নির্ভরশীল।
বিভিন্নসম্প্রদায়ের ভেতরে ও বাইরে সংঘাত ও সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে সামাজিক ন্যায়ের গুরুত্বআজ আরও বেশি করে অনুভূত হয়।
সংঘাতেরমূল কারণ হল ‘তানহা’ বা তৃষ্ণা যার আসল কারণ হল লোভ।
লোভবা লিপ্সা মানবজাতির ওপর এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছে যে প্রকৃতিগত স্বাভাবিক অবস্থানথেকে তা আজ অনেকটাই সরে এসেছে।
আমাদেরসকলেরই বাসনা যাবতীয় অভাব পূরণ করা। এর ফলে, মানুষের আয় ও উপার্জনের ক্ষেত্রে যেমনসৃষ্টি হয়েছে বৈষম্যের, অন্যদিকে তেমনই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে নষ্ট হয়েছেসামাজিক সম্প্রীতি।
নিরন্তরবিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বর্তমানে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ কিন্তু জাতিতেজাতিতে সংঘর্ষ নয়, সংঘাত ও সংঘর্ষের মূল কারণ লুকিয়ে রয়েছে চিন্তাভাবনা ও মানসিকতারমধ্যে যার থেকে জন্ম নিয়েছে হিংসা ও ঘৃণা।
মানুষেরএই বিধ্বংসী আবেগের চরম প্রতিফলন ঘটেছে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্যেরমধ্য দিয়ে।
দুঃখেরবিষয়, এই অঞ্চলে ঘৃণা ও বিদ্বেষকে যারা ছড়িয়ে দিতে চায়, তারা কিন্তু কোনরকমআলোচনায় মিলিত হওয়ার বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র ধ্বংস ও হত্যাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিশ্বব্যাপীহিংসা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে একমাত্র বুদ্ধের শান্তির বাণীই তার যোগ্য প্রত্যুত্তরহয়ে উঠতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নিষ্ক্রিয়শান্তির কোন বাণী নয়, বরং সক্রিয় শান্তি প্রচেষ্টার মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারেআলোচনা, সম্প্রীতি ও ন্যায়ের পরিবেশ। ভগবান বুদ্ধের ভাষায় যা করুণা (সহমর্মিতা) ওপ্রজ্ঞা (বিশেষ জ্ঞান)।
ভগবানবুদ্ধ বলেছেন, “শান্তির থেকে বড় আশীর্বাদ আর কিছু হতে পারে না।”
আজকেরএই ভেসক দিবসে আমি আশা করব যে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষাদর্শকে তুলে ধরতে এবং শান্তি,সম্প্রীতি, সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তি তথা সহমর্মিতার বাণীকে নীতি ও শাসন ব্যবস্থারমধ্যে প্রতিফলিত করে তোলার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
আজকেরএই ভেসক দিবসে অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণের লক্ষ্যে আসুন আমরা সকলে মিলে আজপ্রজ্জ্বলন করি জ্ঞানের এই প্রদীপটিকে। আসুন, আমরা সকলেই প্রবেশ করি আমাদের অন্তর্লোকেএবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরি সেই শ্বাশত সত্যকে।
আমাদেরসকল প্রচেষ্টা ধাবিত হোক ভগবান বুদ্ধ প্রদর্শিত সেই আলোকময় পথ ধরে ।
ধর্মপদের৩৮৭ শ্লোকটিতে বলা হয়েছে :
দিনআলকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে সূর্যকিরণে,
রাত্রিআলোকিত হয় চন্দ্রালোকে,
যোদ্ধারঔজ্জ্বল্য তাঁর সশস্ত্র বর্ণে,
ব্রাহ্মণেরকান্তি তাঁর ধ্যান ও তপস্যার মধ্যে,
কিন্তুযে আলোকপ্রাপ্ত তাঁর ঔজ্জ্বল্য দিন ও রাত সর্বদাই অম্লান।
পরিশেষে,এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ লাভের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐদিনই বিকেলে কাণ্ডিতে শ্রী দালাদা মালিগাওয়া মন্দিরে শ্রদ্ধানিবেদনের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি। বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘ – এইতিনটি মূল্যবান সম্পদ আশীর্বাদধন্য করে তুলুক সমগ্র মানবজাতিকে এই প্রার্থনা জানানপ্রধানমন্ত্রী।
PG/SKD/DM/
Grateful to President @MaithripalaS, PM @RW_UNP & people of Sri Lanka for extending to me the honour to be Chief Guest at Vesak Day: PM pic.twitter.com/aoAu1wmYpn
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
I also bring with me the greetings of 1.25 billion people from the land of the Samyaksambuddha, the perfectly self awakened one: PM pic.twitter.com/6o99XAOXs8
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
Our region is blessed to have given to the world the invaluable gift of Buddha and his teachings: PM @narendramodi pic.twitter.com/px7yj2INLC
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
Buddhism and its various strands are deep seated in our governance, culture and philosophy: PM @narendramodi pic.twitter.com/enc6OtVz5b
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
Sri Lanka takes pride in being among the most important nerve centres of Buddhist teachings and learning: PM @narendramodi pic.twitter.com/48jG8kiW1p
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
Vesak is an occasion for us to celebrate the unbroken shared heritage of Buddhism: PM @narendramodi pic.twitter.com/fRXDQtPyr0
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
I have the great pleasure to announce that from August this year, Air India will operate direct flights between Colombo and Varanasi: PM
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
My Tamil brothers and sisters will also be able to visit Varanasi, the land of Kashi Viswanath: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
I believe we are at a moment of great opportunity in our ties with Sri Lanka: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
You will find in India a friend and partner that will support your nation-building endeavours: PM @narendramodi to the people of Sri Lanka
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
Lord Buddha’s message is as relevant in the twenty first century as it was two and a half millennia ago: PM @narendramodi pic.twitter.com/g2E1ANbVLj
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
The themes of Social Justice and Sustainable World Peace, chosen for the Vesak day, resonate deeply with Buddha's teachings: PM
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
The biggest challenge to Sustainable World Peace today is not necessarily from conflict between the nation states: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
.@narendramodi It is from the mindsets, thought streams, entities and instruments rooted in the idea of hate and violence: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017
On Vesak let us light the lamps of knowledge to move out of darkness; let us look more within & let us uphold nothing else but the truth: PM
— PMO India (@PMOIndia) May 12, 2017