নয়াদিল্লি, ১৮ অক্টোবর ২০২২
আগামী ২১ অক্টোবর উত্তরাখণ্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৮-৩০ মিনিটে তিনি পৌঁছবেন কেদারনাথে। সেখানে শ্রী কেদারনাথ মন্দিরে পূজা ও দর্শন শেষে সকাল ৯টা নাগাদ কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। এরপর, প্রধানমন্ত্রী দর্শন করবেন আদি গুরু শঙ্করাচার্য সমাধিস্থল। সকাল ৯-২৫ মিনিট নাগাদ মন্দাকিনী আস্থাপথ এবং সরস্বতী আস্থাপথ-এ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির অগ্রগতি তিনি খতিয়ে দেখবেন।
কেদারনাথ থেকে প্রধানমন্ত্রী বদ্রীনাথ-এ গিয়ে পৌঁছবেন বেলা ১১-৩০ মিনিট নাগাদ। শ্রী বদ্রীনাথ মন্দিরে পূজা ও দর্শন শেষে দুপুর ১২টা নাগাদ সেখানকার নদী সন্নিহিত এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন তিনি। এরপর দুপুর ১২-৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মানা গ্রামে রোপওয়ে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করবেন। বেলা ২টোর সময় বদ্রীনাথ-এ ‘অ্যারাইভাল প্লাজা’ ও লেকগুলির উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, কেদারনাথের ৯.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়েটি গৌরিকুণ্ডের সঙ্গে কেদারনাথের সংযোগ স্থাপন করবে। এর ফলে, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই একটি স্থান থেকে অন্য স্থানটিতে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে এজন্য সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। অন্যদিকে, গোবিন্দঘাটের সঙ্গে হেমকুণ্ড সাহিবের সংযোগ রক্ষাকারী রোপওয়েটি হবে ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর ফলে একটি স্থান থেকে অন্যটিতে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। বর্তমানে একটি স্থান থেকে অন্যটিতে পৌঁছতে সময় লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি। এই রোপওয়েটির মাধ্যমে সংযুক্ত হবে ঘাঙ্গারিয়াও। এটি হল ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ন্যাশনাল পার্ক’-এর প্রবেশদ্বার।
এই রোপওয়ে প্রকল্পগুলি গড়ে তুলতে সরকারের ব্যয় হবে ২,৪৩০ কোটি টাকার মতো। এই পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির কাজ সম্পূর্ণ হলে তীর্থ পর্যটনের আরও প্রসার ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথও প্রশস্ত হবে। সৃষ্টি হবে নানা ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগও।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির মধ্যে রয়েছে ১ হাজার কোটি টাকার সড়ক প্রকল্প। মূলত বর্তমান সড়কগুলিকে আরও প্রশস্ত করতে এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হবে। ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর মানা থেকে মানা পাস এবং ১০৭বি জাতীয় সড়ক বরাবর যোশীমঠ থেকে মালারি পর্যন্ত সকল আবহাওয়ার উপযোগী সড়ক নির্মিত হবে।
কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ হল দুটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থস্থান। এই অঞ্চলটি বিখ্যাত শিখ তীর্থস্থান হেমকুণ্ড সাহিবের জন্যও। ধর্মীয় স্থানগুলিতে যাতায়াতের পথ আরও সহজ ও সুগম করে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণের মধ্য দিয়ে।
PG/SKD/DM