৬০০টি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র-এরও সূচনা করবেন তিনি
এই কর্মসূচির আওতায় দেশের খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রগুলি পর্যায়ক্রমে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত হবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে
‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বাদশ কিস্তির ১৬ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে হস্তান্তরের কথাও এদিন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী
‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র আওতায় এ পর্যন্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে মোট ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি
ঐদিনের অনুষ্ঠানে ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’রও সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর লক্ষ্য হল, ‘এক জাতি, অভিন্ন সার’ – এই নীতিকে সারা দেশে রূপায়িত করা
কৃষি স্টার্ট-আপ কনক্লেভ ও প্রদর্শনীরও এদিন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। স্টার্ট-আপ সংস্থা কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার খণ্ডচিত্র তুলে ধরবে এই কনক্লেভ ও প্রদর্শনীতে
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায়। ঐদিন বেলা ১১-৩০ মিনিটে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৩,৫০০ জন কৃষক এবং ১,৫০০-টির মতো কৃষি স্টার্ট-আপ সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের ১ কোটিরও বেশি কৃষক যোগ দেবেন এদিনের সম্মেলনে। গবেষক, নীতি রচয়িতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদারদের উপস্থিতিও এদিনের সম্মেলন সফল করে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঐদিন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের ৬০০টি ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচির আওতায় দেশের খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রগুলি পর্যায়ক্রমে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত হবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে। এগুলি থেকে যোগান দেওয়া হবে সার, বীজ, সহায়ক কৃষি উপকরণ ইত্যাদি। এছাড়াও, মাটি, বীজ ও সার পরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। এর বাইরে কৃষক ও কৃষিজীবীদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটানো, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে তাঁদের ওয়াকিবহাল করে তোলা এবং ব্লক ও জেলা পর্যায়ে কৃষি উপকরণের খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর কাজে সহায়তা করা হবে এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে। দেশের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রকে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ঐদিনের অনুষ্ঠানে ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’রও সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর লক্ষ্য হল, ‘এক জাতি, অভিন্ন সার’ – এই নীতিকে সারা দেশে রূপায়িত করা। এই কর্মসূচির আওতায় ‘ভারত ইউরিয়া ব্যাগ’ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের ইউরিয়া সার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে এই কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই এক বিশেষ প্রতিফলন ঘটবে এদিনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বাদশ কিস্তির ১৬ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে হস্তান্তরের কথাও এদিন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় যোগ্য কৃষক পরিবারগুলিকে বছরে ২ হাজার টাকা করে তিনটি সমান কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে হস্তান্তরের মাধ্যমে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র আওতায় এ পর্যন্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে মোট ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
কৃষি স্টার্ট-আপ কনক্লেভ ও প্রদর্শনীরও এদিন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৩০০টির মতো স্টার্ট-আপ সংস্থা কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার খণ্ডচিত্র তুলে ধরবে এই কনক্লেভ ও প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন পর্বের আলোচনায় স্টার্ট-আপ প্রতিনিধিরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরবেন সকলের সামনে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘ইন্ডিয়ান এজ’ নামে সারের ওপর একটি ই-পত্রিকার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ।